ইউজার লগইন

মেসবাহ য়াযাদ'এর ব্লগ

হায়রে মানুষ, রঙ্গীন ফানুশ

স্রষ্টা মানুষ সৃষ্টি করার পর বলেছেন, মানুষ তার সৃষ্টির সেরা জীব। সেই মানুষ আমরা। আশরাফুল মাখলুকাত। কত নিচ আর জঘন্য মানসিকতার প্রকাশ ঘটাই আমরা। হিংসা-বিদ্বেষ-কুটিলতায় ভরপুর আমাদের এক একজনের ভেতর জগত। কোনো না কোনো সময় সেটা বেরিয়ে আসে আমাদের আচারণে।
একটা প্রবাদ আছে, কাউকে ভালো বলার আগে নিশ্চিত হয়ে নাও, তুমি তার সাথে দুটো কাজ করেছো কি না ? এক: একই খাটে/রুমে তার সাথে রাত্রীযাপন। দুই: তার সাথে ভ্রমণ। কেউ কেউ আবার তিন নম্বর একটা কথাও বলেন। সেটা হচ্ছে: আর্থিক লেনদেন করা। তাহলে নাকী মানুষ চেনা যায়। বলা যায়, মানুষটা খারাপ না ভালো ? আদতে কি তাই ? এত্ত সহজ উপায়ে কাউকে বলা যায় যে, সে ভালো বা সে খারাপ ! নাকী বলা উচিত ?

ময়না কাহিনী

ছোট বোনের নাম সুলতানা শিপলু। তার এক বান্ধবীর নাম মিতু। ক্ষাণিকটা 'স্থুল' স্বাস্থ্যের অধিকারীনি বলে তাকে ছাত্রজীবন থেকেই 'পরোটা' ডাকা হয়। আরে না, আমি না। ডাকে আমার ছোট বোন আর তার অন্য বান্ধবীরা। সম্প্রতি ছোট বোনের বাচ্চা হবার পরে হাসপাতালে সেই 'পরোটা'র সাথে দেখা হয়েছে। তিনি এখন আর পরোটা নাই। মাশাল্লাহ দেখতে তিনি 'পাঁচ পয়সা'র মতন। বাংলাদেশে একসময় পাঁচ পয়সার মুদ্রা ছিলো, যারা দেখেছেন তারা বুঝতে পারছেন আশা করি। আর যারা দেখেননি, তাদের জন্য বলি, পরোটা আপা এখন আক্ষরিক অর্থেই চারকোনা। নায়িকা মৌসুমি, শাবনুরের মতন। তো, আজকের লেখার ক্যারেকটার কিন্তু পরোটা আপা না। তার খালাতো বোন ময়না।

এইসব দিনরাত্রি

প্রতিদিন সকালে উঠে বাথরুম যাওয়া, দাঁত মাজা, সেভ করা, গোসল করা, নাস্তা করা, অত:পর কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি। কর্মস্থলে এসে কম্পু চালু করি। নেট কানেকশন দেই। এবিতে লগ ইন করি। তারপর মেইল চেক করি। তিন নম্বরে ফেবুতে ঢুকি। ছুটির দিন ছাড়া এটা আমার নিত্য রুটিন।
যতক্ষণ অফিসে থাকি, লগ ইন অবস্থায় ব্লগে থাকি। ফেবুতেও। তারমানে এই নয় যে, সারাদিন প্রয়োজনীয কাজ কর্ম ফেলে শুধু নেটে ঘুরি। কাজের ফাঁকে একটু উঁকি মারি মাঝে-মধ্যে। এবির দিকে তাকিয়ে অবাক হই। দুই জন বা সর্বোচ্চ তিনজন লগ ইন থাকে। ২৫ থেকে ৩০ জনকে নিয়মিত অনলাইনে দেখায়।
আমার ধারনা, এরা লগ ইন করতে লজ্জা পায় বা ভয় পায়। কেনোনা, যে হারে ব্লগাররা আহত-নিহত হচ্ছে, তাতে না আবার জানের উপর দিয়ে যায় ! গায়ে একবার ব্লগারের ছাপ পড়ে গেলেতো সমস্যা। জানের মায়া কার না আছে ! ঠিকইতো। নিজের জানের চেয়ে বেশি প্রিয় কিছু থাকবে না, থাকতে নেই- এটাইতো স্বাভাবিক।

আমরা কেমন আছি !

লিখতে ভালো লাগছে না। মনটা বিক্ষিপ্ত। কত কিছু ভাবনায় আসে। সময়, সুযোগ আর ইচ্ছের সমন্বয় ঘটছে না। কী যে করি ?
চারদিকে কেমন একটা থমথমে ভাব। প্রাণচাঞ্চল্য নেই কোথাও। কেমন মরা মরা। আকাশটাও কেমন জানি গোমরামুখো হয়ে আছে।
চারদিকে কেমন একটা তাল-লয়-সুর কাটা অবস্থা। দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন আদালত। যে কোনো সময় ঝুলে যাবে তারা। দেশের অবস্থা নাকী অস্থিতিশীল। আম জনতা বলে। মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিবিদরা বলছেন- ভিন্ন কথা। টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে আর সংবাদপত্রে তাদের কথা শুনে মনে হয়, দেশের কোথাও কোনো সমস্যা নেই। সবাই নিরাপদে, নিশ্চিন্তে, দুধ-ভাত খাচ্ছে প্রতিদিন।
ধরে নিলাম তাদের কথাই ঠিক।

আইজকা হের জন্মদিন

আমগো সবতের প্রিয় চৌধুরী সাহেবের (টুটুল চৌধুরী) জন্মদিনে একটা লেখা লেখনের ইচ্ছা ছিলো। সময় পাই নাই। তার জন্য আমি লজ্জিত। আইজকা হাতে কিছু সময় আছে। আইজকা আমগো এই ব্লগের একজন বিখ্যাত লেখকের জন্মদিন।
আমরা যারা একসময় এই ব্লগের বাসিন্দারা আড্ডা দিতাম, সবাই মিল্যা তারে লইয়া বিস্তর গবেষনা করছি। সে কে ? আসলে এই নামে কেউ আছে কি না ? এত্ত সোন্দর কৈরা কেমনে লেখে ? তার বয়স কিরাম... ইত্যাদি।
তারপর ঢাকার রাস্তায় যানজট বাড়ছে। সরকার পরিবর্তন হৈছে। আমগো আড্ডা কমছে। বুড়িগঙ্গায় মেলা ময়লা পানি বাড়ছে। তিনিও নিয়মিত লেখে গেছেন ব্লগে।
আমরা আবিষ্কার করলাম, তিনি একজন সংবাদকর্মী। আমাদের কারো কারো সাথে তার দেখাও হৈছে। একসাথে চা-বিড়িও খাইছি।

সিঙ্গারা, বেলা বিস্কুট আর ভূনা কালো গোশতের গপ্পো

কোনো একটা সময় চট্টগ্রাম শহরের পাশাপাশি দুটি পার্বত্য জেলায় কাজ করতাম। হাটহাজারি, নাজির হাট, দিঘি নালা, মাটিরাঙ্গা, খাগড়াছড়ি, লিচু বাগান, কাপ্তাই, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙ্গামাটি... এসব এলাকায় ছিলো আমার কাজ। সে এক সময় ছিলো। পাহাড়ে তখন শান্তিবাহিনীর রাজত্ব। তাদেরকে দমানোর জন্য ছিলো সেনাবাহিনী। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ছিলো না। তারপরও চাকরীর প্রয়োজনে আমাকে সপ্তাহে একবার পাহাড়ে রাত্রিযাপন করতে হতো। সারা রাত ভয়ে থাকতাম। ঠিকমত ঘুম হতো না। তবু যেতে হতো সে এলাকায়। চাকর বলে কথা।

ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো প্রভু

ঘুমাতে আমি বেশ পছন্দ করি। যখন-তখন যেখানে- সেখানে চাইলেই ঘুমিয়ে পড়তে পারি। সে ঘুমের স্থায়িত্ব ৫ মিনিট থেকে শুরু করে ৫ ঘন্টাও হতে পারে। এ নিয়ে ঘর থেকে বাইরে আমি হলাম গিয়ে সবার ঈর্ষার পাত্র। তবে যতউ ঘুমাই না কেনো, আমার ঘুম অনেক পাতলা। একবার আস্তে করে ডাকলেই ঘুম থেকে উঠে যেতে পারি। কেবলমাত্র ঘুমের কারণে কোনোদিন আমি বাস-ট্রেন বা প্লেন মিস করিনি। সেটা যতই সকাল বা মধ্যরাতে হোক না কেনো।

সমস্যাটা শুরু হলো মাস দুয়েক ধরে। সকাল ১০/১১ টায় বাসা থেকে বের হই। জীবিকার প্রয়োজনে। কখনো দুপুরে ফিরি। কখনো ফিরি না। রাতে বাসায় ফিরতে ফিরতে ৯/১০ টা বেজে যায়। ১১ টা নাগাদ খাওয়া-দাওয়া সেরে আড্ডা দেয়া বা টিভি দেখা চলে। শেষ হয় ১ টা দেড় টায়। তারপর শুয়ে পড়ি। ঘুম আর কাছে ঘেঁষে না। এপাশ ওপাশ করি। একসময় ক্লান্ত হয়েই বোধ করি ঘুমিয়ে পড়ি।

চোখ বুঁজিলেই দুনিয়া আঁধার

পথিক, তুমি কি পথ হারাইছো ?
না, আমি হারাইছি দিশা।
তাবৎ সমস্যার মাঝে বসতি আমার।
কোনোভাবেই টিউনিং হচ্ছে না। চেষ্টার কোনো কমতি নেই।
যে, যার মতো করে চলছে। যা খুশি করছে। কেউ কোনো সিস্টেমের মধ্যে থাকতে চাচ্ছে না। শুধু বিদ্যুৎ বা গ্যাস খাতে নয়। জীবনের পরতে পরতে সিস্টেম লস।
এই জীবনের যা কিছু অর্জণ, সবই কি তাহলে ভুল ?
চাওয়া আর সাধ্যের মাঝে কেনো এত্ত ফারাক।
কেনো এই মিছে ভুল বোঝাবুঝি।
চোখ মুদলেইতো জাগতিক সব কিছুর পরিসমাপ্তি।
আর একদিনতো চোখ মুদতেই হবে। সবাইকে।
এ থেকে কারো নিস্তার নেই।

আমের গপ্পো

চাঁপাই থেকে কিছু আম আনালাম। ল্যাংড়া আর গোপালভোগ। বাসায় লোকবল ৪ জন। বড় পুত্র ক্ষাণিকটা আম পছন্দ করে। সমুদ্দুর একদমই না। মোবাইলে গেম খেলতে দেবো বললে এক পিস খায়। মুখের ভাব দেখে মনে হয়-তিতা ওষুধ খাচ্ছে।
কিন্তু আমের প্যাকেট খুলেতো মেজাজ খারাপ আমার। আমের জাত ঠিকাছে। মাগার সব আম ছোটো। যে পাঠালো তাকে জানালাম। সে স্যরি টরি বলে একাকার। পারলে পা ধরে ক্ষমা চায়। লাভ কী ?
গতকাল এসএ পরিবহন থেকে ফোন করলো। আমার নামে এক খাঁচি আম এসেছে। কোত্থেকে, জানতে চাইলাম। বললো, চাঁপাই থেকে। ওই বেটা আবার আম পাঠাইছে। গেলাম। আমের খাঁচি নিলাম।
বাসায় গিয়ে খুলে দেখলাম, এবারের আম মোটামুটি বড়। ওই লোককে ফোন করলাম। আবার কেনো আম পাঠাইছে, জানার জন্য। বেটা বলে কী, স্যার, আগের আম ছোট পড়ছে। আমি লজ্জিত। তাই আপনের জন্য আবার আম পাঠাইলাম। কত কেজি ? দাম কত ?

প্যারেডি গানের কী ছিরি...

অনেকদিন আগে কোনো একজন বিবাহিত লোকের মুখে শোনা গান।
'তুমি কি দেখেছো কভু, জীবনের পরাজয়। দুখের দহনে করুন রোদনে তিলে তিলে তার ক্ষয়' এর প্যারেডি গান এটি:

সাধে কি বলিগো আমি
এ জীবন জ্বালাময়
বিয়ার পরেতে
বউয়ের জ্বালায়
তিলেতিলে মোর ক্ষয়।।
প্রতিদিন কত শালা-শালী আসে
বোনের খবর নিতে
সারারাত মোর বাইরে কাটে
মশার কামড়েতে।
নিউমার্কেটে পকেট আমার
শূণ্য হয়ে যায়
মুদির দোকানে বাকীর খাতাটা
পূর্ণ রয়ে যায়।
এক সাধের বউ তবু মোর
মুখ ভার করে রয়...
বিয়ের পরেতে বউয়ের জ্বালায়
তিলে তিলে মোর ক্ষয় ।।
স্নো-পাউডার-গহনা পর্লার
প্রতিদিন বায়না
হাইহিল আর সিনেমা ছাড়া
তাকে মানায় না
এই করে করে পকেট আমার
শূণ্য হয়ে যায়
মুদির দোকানী আমার দিকে
আড় চোখে তাকায়
এত সাধের বউ তবু মোর
মুখ ভার করে রয়...
বিয়ার পরেতে
বউয়ের জ্বালায়
তিলেতিলে মোর ক্ষয়।।
সাধে কি বলিগো আমি
এ জীবন জ্বালাময়
বিয়ার পরেতে

মরতে মরতে এবারও বেঁচে গেলাম

৩ জুন কোলকাতা যাবার প্ল্যান আমাদের তিন জনের। এটা পুরোনো গল্প। গত মাসের শেষের দিকে টিকেট করে রেখেছে এক বন্ধু। জিপি ব্যবহারের বদৌলতে ১০% ছাড়ের অফার ছিলো সৌদিয়া বাসে। বন্ধুকে বললাম। সে পাত্তা দিলো না। টিকেট কাটলো গ্রিণলাইন বাসের। পান্থপথ থেকে বাসে উঠলাম রাত ১১.৩০ এ। ছাড়ার সময় ছিলো ১১.১৫। গোড়ায় গলদ। ভয়াবহ গরম। বাসে উঠে টের পেলাম- এসিটা ঠিকমত কাজ করছে না। কী আর করা। আল্লার নাম নিয়ে রওয়ানা দিলাম।

সমুদ্দুরের গ্রাম দেখা

অনেকদিন গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয় না। শেষ গিয়েছিলাম তাও বছর খানেক আগে। সমুদ্দুরের বয়স এখন ৫ বছর ৩ মাস। বেশ কিছুদিন ধরে জ্বালাচ্ছিলো, গ্রামে যাবার জন্য। যদিও এর পেছনে তার মায়ের ইন্দন ছিলো স্পষ্টত। তাই প্ল্যান ছিলো রোজার ঈদের পরদিন বাড়ি যাবো। সপ্তাহ খানেকের জন্য।

আকাশে বাতাসে প্রচন্ড গরম। তারপরও হঠাৎ করে গ্রামে যেতে হলো। ২৪ তারিখ বাড়ি থেকে খবর এলো, একমাত্র ফুপুর অবস্থা খারাপ। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, বাড়ি যাবো। ২৪ তারিখ বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটের বাসে চড়লাম। সায়েদাবাদ থেকে বাস। মাঝে কুমিল্লায় চা বিরতি ৪৫ মিনিট। তেল নিলো বাসে, আরো ১৫ মিনিট। ঢাকা থেকে বাড়ি যেতে সময় লাগে ৬ ঘন্টার মত। যদি যানজটে না পড়ে।

আনন্দের পোস্টমর্টেম

ছেলেটাকে খুব কাছ থেকে চিনি আমি। তার শৈশব, কৈশরের অনেক গল্প আমার জানা। কিছুটা সে জানিয়েছে। কিছুটা জেনে নিয়েছি। শৈশবের ডানপিটে স্বভাবের একটি ছেলে কী করে ধীরে ধীরে পাল্টেছে-সেটাও আমার চোখে দেখা।

ছেলেটার একটা নাম দেওয়া দরকার। মনে করুন, তার নাম আনন্দ। তো, আনন্দের ছোট বেলা বেশ আনন্দেই কেটেছে। মফস্বল শহরের ছেলে। প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত গ্রামেই কাটিয়েছে সে। সকালবেলা স্কুলে যাওয়া, স্কুল থেকে ফিরে পুকুরের ঘোলা জলে সাঁতার কেটে চোখ লাল করা, তারপর মায়ের বকুনি খেয়ে পুকুর থেকে ওঠা, গরম ভাত খাওয়া, বিকালবেলায় হাডুডু খেলা, বৃষ্টির দিনে স্কুল মাঠে জাম্বুরা দিয়ে ফুটবল খেলা, সন্ধ্যায় হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসা... এই ছিলো তার নিত্যদিনের কাজ।

কেটে যাচ্ছে, রক্ত কিন্তু বের হচ্ছে না...

অনেকদিন পরে ব্লগে লিখতে বসলাম। এক সময় ছিলো, যখন প্রতিদিন ব্লগে বিচরণের পাশাপাশি সপ্তাহে ২/৩ টা লেখা লিখতাম। সর্বশেষ কবে লিখেেছি, মনে নেই। মিস করি খুব। ব্লগ, ব্লগের বন্ধুদের। প্রতিদিন একবার করে হলেও আমরা বন্ধুতে ঢু মারি। কদাচিৎ কারো লেখায় কমেন্টস করি। কিন্তু দেখি সবার লেখাই।
দিনকাল কাটছে মহা ব্যস্ততায়। ব্লগের পিকনিক হলো- আমি যেতে পারলাম না। ব্লগের সবার সাথে দেখা হয় না সেও ম্যালাদিন। আড্ডা দেবার কথাতো ভুলেই গেছি ! জীবন আর জীবীকার তাগিদে একদম সময় করে উঠতে পারি না।
অনেকেই ইনবক্সে/ফোনে বা দেখা হলে অভিযোগ করে- আমাকে নাকি সারাদিন ফেবুতে দেখা যায়। আসলে তা কিন্তু নয়। সকালে অফিসে ঢুকেই লগ ইন করি। অফিস থেকে বেরুনোর সময় কেবল সাইন আউট করি।

সুনামগঞ্জ হাওড়ে স্মৃতিময় দুই দিন

২৭ তারিখ রাত সাড়ে ১০ টার বিআরটিসিতে চেপে বসলাম আমরা ৩ জন। এক দিন আগে চলে গেছে আমাদের আরো ২ জন। তৃতীয় বারের মত আমরা যাচ্ছি সুনামগঞ্জ শিশু পল্লীতে। স্থানীয় ভাষায় যাকে বলে এতিম খানা। এর আগে দুবার গিয়ে সেখানকার ১০০ এতিম শিশুদের সাথে কিছু সময় কাটিয়েছিলাম। ওদের জন্য টুকটাক এটা-সেটা নিয়ে গিয়েছিলাম। শেশবারের মত ওদের দাবী ছিল- কিছু খেলনা। সেটা আগেই পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ছোট মেয়েগুলো বায়না ধরেছে- আমরা কজন না গেলে ওরা সে খেলনায় চড়বে না। অগত্যা আমাদেরও যেতে হলো। আমরা মানে আমি, গিয়াস আহমেদ, রাশেদুল হুদা, অঞ্জন আর শিবানীদি। শিলং থেকে ট্যুর সংক্ষেপ করে আমাদের সাথে যোগ দিলো- সুবীর মহাজন আর চট্টগ্রাম থেকে সুবীরের বন্ধু ফারুক।