ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো প্রভু
ঘুমাতে আমি বেশ পছন্দ করি। যখন-তখন যেখানে- সেখানে চাইলেই ঘুমিয়ে পড়তে পারি। সে ঘুমের স্থায়িত্ব ৫ মিনিট থেকে শুরু করে ৫ ঘন্টাও হতে পারে। এ নিয়ে ঘর থেকে বাইরে আমি হলাম গিয়ে সবার ঈর্ষার পাত্র। তবে যতউ ঘুমাই না কেনো, আমার ঘুম অনেক পাতলা। একবার আস্তে করে ডাকলেই ঘুম থেকে উঠে যেতে পারি। কেবলমাত্র ঘুমের কারণে কোনোদিন আমি বাস-ট্রেন বা প্লেন মিস করিনি। সেটা যতই সকাল বা মধ্যরাতে হোক না কেনো।
সমস্যাটা শুরু হলো মাস দুয়েক ধরে। সকাল ১০/১১ টায় বাসা থেকে বের হই। জীবিকার প্রয়োজনে। কখনো দুপুরে ফিরি। কখনো ফিরি না। রাতে বাসায় ফিরতে ফিরতে ৯/১০ টা বেজে যায়। ১১ টা নাগাদ খাওয়া-দাওয়া সেরে আড্ডা দেয়া বা টিভি দেখা চলে। শেষ হয় ১ টা দেড় টায়। তারপর শুয়ে পড়ি। ঘুম আর কাছে ঘেঁষে না। এপাশ ওপাশ করি। একসময় ক্লান্ত হয়েই বোধ করি ঘুমিয়ে পড়ি।
এবার রোজা আসার পরে সমস্যাটা প্রকটভাবে অনুধাবন করলাম। দৈনন্দিন রুটিন মত জীবন চলছে। সমস্যা হচ্ছে- ঠিক যখন ঘুম আসবে আসবে করছে- তখনি মোবাইলে অ্যালার্ম বেজে উঠে। সেহরি খাওয়ার জন্য। উঠি। উঠতে হয়। সেহরি খেয়ে, নামাজ পড়ে আবার ঘুমাতে যাই চারটা সাড়ে চারটায়। ঘুম আসে আরো ঘন্টাখানেক পরে। ৬ টায় ঘুমিয়ে ৯ টায় উঠলে চলবে কী করে ?
মাথার মধ্যে লেখার কিছু বিষয় কিলবিল করছে। যতি ৩/৪ দিন ছুটি কাটিয়ে আসতে পারতাম। হয়তো কিছু একটা লিখেও ফেলতে পারতাম। ছুটি যে নেওয়া যাবে না, তা নয়। কিন্তু কদিন পরেই ঈদ। তখন এমনিতেই ৬/৭ দিন অফিস বন্ধ। তাই এখন আর ছুটি নিতে চাই না। তবে ঈদে ছুটিতো পাবো ঠিকাছে, তখন যদি লেখার এই 'কিলবিলানী' না থাকে ! না থাকলে আর কী করা...
এবার ঈদের প্ল্যান হচ্ছে, ঈদের একদিন আগ পর্যন্ত অফিস করবো। তারপর যথারীতি নারায়ণগঞ্জ যাবো ঈদের আগের দিনে মানে চাঁদ রাতে। সেদিনটা থাকবো। ঈদের দিন দুপুর অবধি থাকবো। বিকেলে ঢাকায়। তারপর ফোন-টোন বন্ধ করে কেবলি ঘুমাবো। খাবো। বাথরুম করবো। আবার ঘুমাবো। এইভাবে ৬ দিন ঘুমানোর পর নিশ্চয়ই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হবে। ফিরে আসবে অ্যানার্জি। আবার নতুন করে শুরু হবে বাঁচার লড়াই...
ঈদ পর্যন্ত অপেক্ষা করার দরকার কি? এখনই একটা রেড বুল পান করে এনার্জি ফিরিয়ে আনুন না
আসতাগফিরুল্লাহ... মিন জালিক...
কত দিন এমন ইচ্ছা মতো ঘুমাই না। ঘুমাতে ঘুমাতে রাত তিনটা বাজে। আবার আটটায় উঠা লাগে। এই জীবন আর ভালো লাগে না।
তাইলে আগের জীবনে ফিরা যাও
মন্তব্য করুন