ইউজার লগইন

আরাফাত শান্ত'এর ব্লগ

থ্রি হান্ড্রেড এন্ড মোর!

কালকেই আবিষ্কার করলাম আমার পোষ্ট সংখ্যা ২৯৯, অবাক হচ্ছিলাম। কিভাবে সম্ভব হলো এই জিনিস?

What A Wonderful World!

আজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই আমার লুইস আমস্ট্রংয়ের এই শিরোনামের গানটার কথা মনে পড়লো। জলদি ঘুম থেকে উঠেই গানটা শুনলাম টানা। মাদাগাস্কার মুভির কারনেই এই গানটা আমার শোনা। যতবার এইসব টুকটাক অসুখ বিসুখ থেকে শরীর ভালো হয়, ততবারই আমি এই গানটা গাই,যদিও স্মৃতিভ্রষ্টতার কারনে আর লিরিক মনে থাকে না। ইংরেজী গানের কথা মনে রাখা বড়ই কষ্টের, এই বয়সে এত কষ্ট করতে মনে চায় না। তানভীর নামের এক বন্ধু ছিল ক্লাস নাইনের, কই থেকে নানান পদের ইংরেজী গান মুখস্থ করে এসে আমাদের কাছে ঝেড়ে দিত, আমরা অবাক হতাম। কারন বাংলা গান শুনে মনে রাখা খুব কঠিন কিছু না, কিন্তু বইদেশী ভাষার গান টেপরেকর্ডারের মতো গেয়ে চলা যথেষ্ট কামেল ব্যাপার। বিবিসি বাংলায় মেহের আফরোজ শাওনের ইন্টারভিউ হচ্ছিলো শুনলাম অনলাইনেই। সেখানে স্যার শাওনকে টেপরেকর্ডার বলে ডাকতেন, কারন শাওন নাকি এক গান জাষ্ট একবার শুনেই সেরকম ভাবে গেয়ে ফেলতে পারতেন। আমি মনে মনে হাসছি

এ ট্যুর টু রিমেম্বার!

আমার বেশীর ভাগ পোষ্টই কিছুটা উদাস উদাস ভাব থেকে লেখতে বসা শুরু হয়। অথচ আজ পোষ্ট লিখছি খুব মন ভালো থেকে। এরকম মন ভালো থাকার দিন খুব বেশী আসে না আমার জীবনযাপনে, এক ভালো সময়ের ঘোরের ভেতরে আছি। যদিও শরীরটা ভালো না, টানা জার্নির ধকলে কিছুটা টায়ার্ড, তারপর আমি আবার বাসে ঘুমাতে পারি না। তাই কেমন জানি শান্তি লাগছে না শরীরে। জ্বর আর ঠান্ডায় খুব কাহিল কাহিল লাগছে। তবুও শেষ পর্যন্ত মন যেহেতু ভালো খুব তাই এসব টুকটাক অসুবিধায় কিছু যায় আসে না। এই শরীর খারাপ নিয়ে মশার কামড় খেতে খেতে লিখছি এই লেখা। একলা অবসরে আমার ভাবনার প্রিয় বিষয় এ যাবতকালে ব্লগে ব্লগে কি লিখলাম, ভাবতে ভাবতে নানান টুকরো স্মৃতি মনে আসে। সময় যখন আরো চলে যাবে জীবন থাকে, তখন মন হবে এইসব ব্লগে লিখে রাখা টুকরো স্মৃতিগুলোই বেঁচে থাকার আশ্রয়। কারন স্মৃতিশক্তি ক্রমশ প্রতারণাপ্রবণ, সব কিছুই গুলিয়ে দেয়। মনে হয় সব কিছুই ভাসাভাসা, অথচ এই পোষ্টগুলো

আটপৌরে দিনগুলো!

ঝুলছে একটা পোষ্ট, প্রথম পাতার দেয়ালে। নিজেকে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজী না করতে পেরেই এই পোষ্টটা লিখছি। তবে আদৌ নিশ্চিত না যে পোষ্টটা প্রথম পাতায় দিচ্ছি কিনা। তাও লিখছি, লিখতে তো কোনো দোষ নাই। অদ্ভুত এক দিন কাটলো আজ। সাধারণের ভেতরই অসাধারণ। এমন না যে খুব সিগনিফিকেন্ট কিছু ঘটছে বা করছি, তবুও দিনটা খুব ইন্টারেষ্টিং ভাবে কাটলো। এরকম ইন্টারেষ্টিং দিন আগে সমানে কাটাতাম, এখন কালে ভদ্রে আসে। টিভিতে একটা এ্যাড দেখায়, রোশন সাহেব বলেন কোন সুগন্ধি ইউস করতে আর তা করলেই নাকি হবে বি ইন্টারেস্টিং। আমি অবশ্য কোনো সুগন্ধিতে নাই, গায়ে ঝপজপা ঘামের গন্ধই আমার নিত্য দিনের সঙ্গী। নতুন বইয়ের পাতার ঘ্রান আর সুবাস ছড়ায় এমন ফুল ছাড়া, আর কিছুই ভালো লাগে না নাকে। তবে আমার যে বন্ধু ছিল, যার উপরে কিশোর বেলার প্রেম প্রেম ব্যাপার ছিল তাঁর গায়ের গন্ধ খুব আকর্ষণ করতো। রিকশায় কিংবা এক সাথে যখন বসে থাকতাম, কোচিংয়ে পাশে বসে আড্ড

এইভাবে রাত নামে, শহরে শীতের টান বাড়ছে!

সকাল থেকে ভাবছিলাম হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে। কয়েকদিন আগে পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে ঢাকা শহর, ৬৬ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে জানাতে। আমার ভাবনার পয়েন্ট ছিল, মাত্র ৬৪ বছর বয়সে তিনি চলে গেলেন, আমি তো কত অকম্ম মানুষদের দেখি, যারা সত্তর আশি বছর বেঁচে থাকে মূর্খ ও হতাশ জীবন নিয়ে, হয়তো তাঁদেরও বেঁচে থাকতেও ভালো লাগে না। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ কঠিনভাবে জীবনকেই ভালোবাসতেন। আপসোস করে বলতেন, কচ্ছপ নামের প্রানীর আয়ু ৩০০ বছর, আর মানুষ নামের শ্রেষ্ঠ জীবের আয়ু ৫০-৬০, ঈশ্বরের এই ব্যাপার স্যাপার মেনে নেয়া কষ্টের। ছেলের সাথে ছবি তুলতে চাইতেন, কারন ধারনা ছিল ছেলে হয়তো তাঁকে ভুলে যাবে। মৃত্যুর পর সবাইকে জীবিতরা ভুলে যায়। আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি, কলোনীর শোয়েব নামের এক ছেলের বাবা মারা যায়। প্রায় সমবয়সী সে দুদিন পরেই ক্রিকেট খেলতে আসে। আমি আর আমার বন্ধু আক্তার অবাক হয়ে ভাবতাম, কিভাবে পারে খেলতে যার বাবা কোনোদিন ফ

কেউ চায় না দলছুট শূন্য হোক, এই বাস্তব সব্বাই আঁকড়ে থাক!

খোশমেজাজেই ছিলাম। মামা নেই বাসায়, নেটের স্পিড নেই, ওলোর প্যাকেজ নাই, পকেটে টাকা নাই, তাই টিভি ভরসা। কিন্তু সবকিছুকে স্পয়েল করে দিতে ফেসবুকের কোনো বিকল্প নাই। সেখান থেকেই জানলাম, খুলনা নেভী স্কুলের সন্ধ্যা ম্যাডাম মারা গেছেন। মনটা উদাস হলো। টাইম ট্রাভেলে চলে গেলাম সতেরো- আঠারো বছর আগের দুপুর গুলোয়। ক্লাস ফোরের পরিবেশ পরিচিতি সমাজের মতো নিরীহ বিষয়কে আমাদের জন্য দুর্বোধ্য করে তুলতেন তিনি। লাইন বাই লাইন পড়া ধরতেন, এবং পড়া না পারলে শাস্তি বেঞ্চের উপরে কানে ধরে দাঁড়িয়ে থাকো। সে এক কঠিন সময়, ম্যাডাম খাতায় কত কি ঠিক লিখেও নাম্বার দিতেন ৬৫-৬৬, কাউকে বা করাতেন ফেইল। আমাদের প্রথম স্থানের অধিকারী বর্তমানে ফ্লোরিডার এক ভার্সিটির টিচার শাহারিয়ারের নোট পাবার জন্য সবার তখন কি আকুলতা!

ক্ষয়ে যায় চোখ রঙপেন্সিল হয়ে, বুকে জমে অভিমান!

বরবারের মতো এবারও শিরোনামের সাথে লেখার কোনো মিল নাই। এইটা একটা গানের লাইন। গানটা আমার অসম্ভব প্রিয়। এই গানের আরেক লাইনও আমার একবার পোষ্টের শিরোনাম হয়েছিল- অলিখিত সব স্বপ্নগুলো ভেঙ্গেচুড়ে খানখান। গুগলে সার্চ দিয়ে জানলাম তা গত বছরের জুলাই মাসের। আমি আমার পোষ্ট কখনোই আর ফিরে ফিরে দেখি না। কিছু মনে আসলে গুগল করি, পেয়ে যাই। আর আমার লেখা ঘুরে ফিরে তো সব একই টাইপের। তাই নিজের লেখা দেখে বিগলিত হবার কিছু নাই। আহমদ ছফা প্রথম লেখা ছাপিয়েছিল, ইসলামী একাডেমির পত্রিকায়- সাথে পেয়েছিলেন ৩০ টাকা নগদ। তিনি পাঁচ ছয়বার ডাবলডেকার বাসে সারা শহর ঘুরেছিলেন। নিজের লেখা ছাপানো ও নিজের নাম ছাপার অক্ষরে দেখার এই থ্রিল আমরা সারাজীবনেও পাবো না। কত ব্লগ- পেপারেই না আমাদের লেখা ছাপা হয়, আমাদের কোনো উচ্ছাস থাকে না । শুধু মনে হয় বালের এক লেখা তাও ছাপিয়ে দিলো এরা, ফ্রি লেখা কি আর পায় না!

এখনো তাই... আমরা বেঁচে থাকি!

আবার পড়ে শেষ করলাম বদরুদ্দীন ওমরের নির্বাচিত প্রবন্ধ- দুই খন্ড। অনেকেই বদরুদ্দীন ওমরকে সহ্য করতে পারেন না, অনেকে তাঁর হিপোক্রেসী নিয়ে ব্যাখা বিশ্লেষন করেন। কিন্তু আমার উনাকে ভালো লাগে কারন উনার সমাসাময়িকতার জন্য। দীর্ঘ জীবনে অনেকদিন ধরে পত্রিকায় কলাম লেখার কারনে নানান কিছু নিয়েই উনার একই কথা ও চর্বিত চর্বণ লেখা পড়তে পড়তে মনে হলো, বাংলাদেশের সব সমস্যাই ঐতিহাসিক। মানে অতীতেও এমন ছিল, এখনও হচ্ছে, সামনেও হবে। বাহাত্তর সালে উনি যে দুর্নীতি নিয়ে লিখছেন তা ২০১৪তেও প্রায় একইরকম, সাতাত্তরেও তিনি শিক্ষার মান নিয়ে লিখছেন, এখনো আমরা তাই নিয়ে মাথা ঘাবড়াচ্ছি, আশি সালে উনি জামাতের উত্থান নিয়ে প্রশ্ন করছেন এখন সেই উত্থানের বড় রূপ আমাদের সামনে। শুধু এসবে না সব ক্ষেত্রেই আমাদের সমস্যাগুলো ঐতিহাসিক ভাবেই জটিল, যা ভবিষ্যতেও শাখা প্রশাখা নিয়ে অব্যাহত থাকবে। এর মধ্যেই আমরা সবাই বলবো, আমাদের সময়ে ঐটা ভালো ছিল, ত

সান্ত্বনা পুরস্কার যেখানে সবকিছুতেই

সাধারণত আমার মন মেজাজ যেদিন ভালো থাকে না সেইদিনই ব্লগে লিখতে বসি। আজ অবশ্য তেমন না। মন মেজাজ ফুরফুরেই বলা চলে, কিন্তু আমার পিসির মনিটরের অবস্থা ভালো না। চি চি শব্দ করে সমানে। জানি না প্রবলেম কোথায়, তবে ইরিটেটিং সাউন্ড। সামনেই হয়তো বড় কোনো সমস্যা হলেও হতে পারে। তাই মন ভালোটা শেষমেশ থাকছেই না- এই শব্দ বিভ্রাটের কারনে। অন্যদিকে নোটবুকেরও মাদারবোর্ড ঠিক করতে হবে, সেই ফিনান্সিয়াল কন্ডিশনও এই মাসের শেষে নাই। এখন আপনি যদি সান্ত্বনা খুঁজে অনেকের মতন ভাবেন- শব্দ করলে করুক বিরক্তিকর, পিসির কাজ তো চলে, দেশের কত মানুষের পিসি নাই তা আপনি জানেন? আমি হয়তো সামনা সামনি মেনে নিবো। মনে মনে বলবো এরকম বিরক্তিকর সাউন্ডের পিসি চালানোর চেয়ে, পিসি না থাকা ভালো, আর কত মানুষের কত হাই কনফিগারেশনের পিসি, আমি কি তা নিয়ে কিছু বলছি! অযথা সান্ত্বনার মুখোশ কেন গায়ে মাখাতে হবে?

কিস্তিমাতের ককটেল কিস্তি কিংবা হুবহু কপি ব্যাং ব্যাং!

আজ সারাদিন বসে বসে বই পড়ছিলাম। বই তেমন কিছু না বদরুদ্দীন ওমরের প্রবন্ধ সংকলন আর একটা ইংরেজি ম্যাগাজিন, যেখানে ইন্ডিয়ান অচেনা সব গল্পকারদের ইংরেজি ভাষায় লিখিত গল্প। কাভার নাই। তাই নাম জানি না। সম্ভবত নীলক্ষেতের কোনো পুরানো ম্যাগাজিনের দোকান থেকে কিনেছিলাম। আমার ইংরেজী সাহিত্য পড়তে মোটেও ভালো লাগে না। ভালো লাগে শুধু এই উপমহাদেশের কারো ইংরেজীতে লেখা ভালো উপন্যাস পড়তে। ইংরেজী বই পড়লেই মনে হয় টেক্সট বুক পড়ছি । অচেনা শব্দ পেন্সিল দিয়ে দাগাচ্ছি, তারপর কম্পিঊটারে বসে তা নিয়ে সার্চ দিচ্ছি। এমবিএ এডমিশন টেষ্টের সময় অনেক নতুন শব্দ শিখেছিলাম, তাই ভরসা। নয়তো টিভিতে সিরিয়ালে সব জায়গাতেই সহজ ইংরেজী, যখনই বই পড়তে যাই তখনই দেখি মাথা ব্যাথা করা সব শব্দ আর আজব সেন্টেন্স প্যাটার্ন। এত কষ্ট করে বই পড়াও খুব কষ্টের। দিগন্ত দুটো ইবুক দিয়েছিল, লিওনার্ড কোহেনের আত্মজীবিনী মুলক। তাঁর গান কিংবা তাঁর জীবন নিয়ে। তা শেষ

ফিরে ফিরে আসি, তোমাদের এই নগরে!

ঢাকা শহরের সুখ এখন ইন্টারনেট স্পিডে। ওলোতে ব্যাপক ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। এক উইকের প্যাকেজ নিয়েছিলাম অর্ধেক একদিনেই শেষ। কাল বাসায় এসেই ব্যাপক উৎসাহে ডেক্সটপে বসে পড়লাম। কিসের জার্নির ক্লান্তি- কিসের কি? গত দুই সপ্তাহের ব্লগ- পত্রিকা- লিংক- ইউটিউব যা বাকী ছিল সব দেখলাম। দেখতে দেখতে বাজালাম দুটো। তাও আমার ঘুম আসে না। মামার সেট দিয়ে গেম খেললাম তিনটা অবধি। তারপর আমার এক স্কুল বান্ধবী আমেরিকা থেকে ফোন দিল। কি সব আনকমন শহরের নাম বলে, যেখানে বেড়াতে গিয়েছিল, নামই শুনি নাই। ফেসবুকে এড রিকোয়েষ্ট এক্সেপ্ট করতে বললো, আমি বললাম করবো না, বড়লোক বন্ধু বান্ধবের থেকে আমি দূরে থাকি। মন চাইলে ফোন দিবা, কথা বলবো। কথা হতে হতে চারটা। জানতে চাইলো আমার দেবর যাবে দেশে কিছু পাঠাবো তোমার জন্য?

সবকিছু অথবা কিছুই- না!

শিরোনামটা আমার মাথায় থেকে আসে নাই। 'লাতিন আমেরিকার গল্পসমগ্র' নামে একটা বই কামাল ভাই কিনে দিয়েছিলেন, এই বই মেলায়। সেখানে হোর্হে লুইস বোহের্সের গল্প। বইটা অসাধারন। দারুন সব গল্প, যার ভাষা সহজবোধ্য না, কিন্তু গল্পের এমন অদ্ভুত ছন্দময়তা, মানব মনের নানান অনুভুতির এত বিচিত্র বয়ান তা পড়তে পড়তে শুধু অবাক লাগে। অনেক কিছুই হয়তো বুঝে উঠতে পারি নি, তাও বইটা আমার খুব প্রিয়। বইটা কাগজ প্রকাশনের একটা দারুন উদ্যোগ। আজ ভোরে বাড়ীতে যাবো। তাই লিখতে বসা। জামালপুরে ল্যাপটপ নিতে পারবো না, মোবাইল নষ্ট প্রায়, মন মেজাজ ভালো না, অগ্রিম ট্রেনের টিকেট কাটতে পারি নাই, বাসের জন্য মহাখালী যেতে হবে ভোর বেলায়। ভালোই লাগছে না এবার বাড়ীতে যেতে। শুধু বাবা মা আছে বলেই যাওয়া, নয়তো আমার ঢাকা ছেড়ে এখন জামালপুর তো দূরে থাক, প্রিয় শহর চিটাগাং যেতেও ইচ্ছে করে না। তার সাথে সাথে ব্লগেও লেখা হবে না, যতদিন বাড়ীতে থাকা হবে। কি যে কষ্টে

"বম্বে টকিজ"

এখন আমার সময় কাটে বেশীর ভাগ 'পার্লজ্যাম' ব্যান্ডের গান শুনতে শুনতেই। টরেন্ট দিয়ে নামিয়েছিলাম, দিনে দিনে তার শুধু আসক্তি বাড়ছে। যদিও আমি অনেক পরে শুনছি পার্লজ্যাম, সবার শোনা শেষে অনেক আগেই। ভালো লাগছে। তার কিছু দিন আগে আরেক ব্যান্ডের গান খুব শুনলাম। কিছুই বুঝি না। কেরালার ব্যান্ড। তাইক্কাডুম ব্রিজ। আগে আমি মানতাম না কিন্তু এখন মানি সুরের কোন দেশ- কাল নাই। এক বিন্দু কথা না বুঝেও আপনি কোন গানের গভীর প্রেমে পড়ে যেতে পারেন। আমার এক পরিচিত ছেলে ছিল, সে হা করে কোরিয়ান চ্যানেলে পড়ে থাকতো, সেখানে গান হতো। তাই তাঁর ভালো লাগতো। কার যে কী ভালো লাগে, বলা মুস্কিল। যেমন পুলকের ভালো লাগে তামিল-তেলেগু সিনেমা। সিনেমা দেখতে দেখতে এখন সে মোটামুটি এইটি পারসেন্ট বুঝে যায় সিনেমায় কি বলা হচ্ছে। আমার আরেক বন্ধু ছিল, কিছুটা দূরের সে আগ্রহ নিয়ে ইরানী সিনেমা দেখতে দেখতে ফারসী ভাষা শিখে ফেলেছে প্রায়। লোকজনের এত প্রতি

কুতুববাগ কিংবা মনের বাঘ!

কুতুববাগ দরবারের কথা মনে আসলেই আমার মনে আসে, ফার্মগেটের পাশ দিয়ে যে পার্ক সেখানে কোরবানী স্টাইলে ছাগল গরু উট সংমিশ্রনে এক বর্জ্য নিঃসৃত গন্ধে লোকজনের ভীড়ের এক শ্বাসকষ্টের কথা । বছর সাতেক আগে আমার আড্ডাস্থল ছিল ফার্মগেট। চিটাগাংয়ের নানান বন্ধু ঢাকার অনেক জায়গা থেকে এসে একত্রিত হতাম সেখানে। সে এক সময় ছিল। নিজেদের মন মেজাজ সবার থাকতো উদাস। সবাই মিলে পিন্ডি চটকাতাম ঢাকা কত খারাপ, চিটাগাং কত অসাধারন। তবে সবার এক ব্যাপারে প্রশ্রয় ছিল ঢাকার মেয়েরা চিন্তা চেতনা স্মার্ট সুন্দরের দিক দিয়ে বেশী জোশ। আমার এই ব্যাপারের আপত্তি, বাসে- কারে- রিকশায়- পথে মেয়েরা দেখতে আকর্ষনীয় হলেই, কি পুরো শহরের মেয়েরা ভালো হয়ে যায়, চিটাগাংয়েও ভালো সুন্দরী ললনা নেহায়েত কম তো না, আমরা দেখি নাই বলে তাঁদের সমন্ধে এই অবিচার। আমার কথার বিপক্ষে সবাই, আমার তখন মেনে নিয়ে বলতেই হতো, বিজ্ঞানের সুত্র মানলে ঢাকাই ব্যাটার, কারন ঢাকার

আমি আছি এর মাঝেই!

শুক্রবারে আমার মন মেজাজ আজকাল ভালো রাখার চেষ্টা করি। সকাল থেকে বের টের হই না। বাসাতে বসেই থাকি। পিসিতে না বসার চেষ্টা করি। সিদ্দিক সালিকের ইংরেজী বইটা প্রায় শেষ করে দিলাম। কোনো এক ইউপিএলের মেলায় কিনে ছিলাম। পড়াই হয় নি। টেবিল আর পিসির চিপায় পড়েছিল। আমার বেশীর ভাগ কিছুই এরকম। এলোমেলো হয়ে পড়ে থাকে। বুয়া চায় গোছাতে। আমি বলি আপনার দরকার নাই, যে কাজ করেন তাই পারেন না আর অন্য কাজ তাও আবার গোছানো। আমার ঘর ভর্তি বই এইভাবে নানান প্রান্তে ছড়ানো, যে কেউ দেখে ভাববে কি দারুন পড়ুয়া ছেলে, আসলে আমি ওতো পড়ুয়া না। রুমে থাকলে বেশির ভাগ সময় কানে হেডফোন দিয়ে পিসি খুলেই বসে থাকি। কিন্তু খুব ভাব নেই যেন পড়তে পড়তে জান নিয়েই টানাটানি। তবে চাইলেই আমি পড়তে পারি এবং ভালোবেসেই পড়ি সবসময়। নামায পড়তেও গেলাম না। সারাদিন বাসায় বসেই থাকলাম। দুপুর হলো ভাত নিয়ে বসলাম। টিভিতে কি হয়?