ইউজার লগইন

অপূর্ব সোহাগ'এর ব্লগ

রানা প্লাজার এক বছর!

আজ এক বছর হয়ে গেলো রানা প্লাজার বা এভাবেও বলা যায় ১১৩৪ টি প্রাণ গত বছরের এই দিনে লাশ হয়ে গিয়েছিলো। এই দিনটিকে নিয়ে আজ মিডিয়া, ফেসবুক সবাই কথা বলছে। কারণ আজ এক বছর হলো। মধ্যখানে আমরা সবাই (কিছু মানুষ ছাড়া) রানা প্লাজার এই হত্যাকাণ্ডটি ভুলেই গেসলাম। আমাদের কি এইটা মনে রাখার কথা!

কথা-দুই

সমুদ্র যতো বিশাল হোক অন্ধকারে তাকে দেখা যায় না
তুমি সমুদ্র নও, সমুদ্রের মতও নও, তবু তুমি
দৃশ্য হয়ে থাকো অন্ধকারেও!
তোমাকে বলেছিলাম সে কথা- তুমি ক্রিষ্টাল মূর্তির মতো
দাঁড়িয়েছিলে আর সমুদ্র পাড়ের বাতাস কথাগুলো
উড়িয়ে নিয়ে গেলো। তোমার শোনা হলো না!

সময়ে সময়ও যায় বদলে
বদলে গেছে চুলের রঙ, ঠোঁটের আকার
কথা শোনার ধরণটাও,
বদলে গেছে কোন কথার কোন মানে
বদলে গেছে তোমার ঠিকানাটাও!

পৃথিবীর সকল ডাকঘর ঘুরে কথাগুলো ফিরে এলো,
কোন কথা তাই পৌছাতে পারেনা তোমার কাছে,
নিঃসঙ্গতার মতো করে জড়িয়ে থাকা অন্ধকারে
কথাগুলো বুকের ভেতর পায়চারি করে!
তখন একটি দীর্ঘশ্বাস উড়ে গিয়ে শুকনো পাতার মতো
পড়ে থাকে গাছের নিচে!
তুমিই জানলে না, গাছ কি আর জানবে;
একটি দীর্ঘশ্বাসের মধ্যে অনেক না-বলা কথা থাকে!

মান্না দে

গানের মানুষ মাটিতে তোমায় মানায় না
তবু যেতে হচ্ছে
সবাই যে পথ দিয়ে যায়
যাওয়াটাই সত্য, গানের মতো।

সুর দিয়ে পুড়িয়েছো বুকের জ্বালা
আগুন তোমাকে পুড়াবে কি করে।
কতো আগুন নিভিয়েছো তুমি
গানে আর সুরে।
যে আগুন পোড়াবে তোমায়
সে আগুনও প্রণাম করে নেবে আগে!

আগুন তোমায় পুড়াতে পারবে
আগুন পারবে না তোমার গান পুড়াতে!
আগুন ফুরিয়ে যাবে
তোমার গান ছড়িয়ে আছে হৃদয়ে হৃদয়ে
তোমার গান ফুরাবে না কখনও,
তোমার গান পোড়ানোর আগুন সৃষ্টি হয়নি
পৃথিবীতে এখনও!

একাই গেলো

আগুনরঙা গোধূলি শেষে সন্ধ্যার ভেতর যে এতো হাহাকার থাকে
সে তো বোঝাই হতো না, যদি তুমি পৃষ্ঠা পাল্টানোর মতো করে না পাল্টাতে!

চুলের ছায়ায় ছায়ায় সন্ধ্যা আসতো, এসে ভোরে পৌছে যেতো কখন,
টের পেতাম না! এখন সবই টের পাই, সময়ের মাঝে গভীর একটি শূন্যতা,
বাতাসে বাতাসে দোলে দীর্ঘশ্বাসে দীর্ঘ রাত্রি!

কি কারণে চলে যেতে হলো, কি ভেবে কোন দিকে চলে গেলে পথ,
কিছুই জানা হলো না বিস্তারিত। কি নাম রেখে গিয়েছিলো মনে পড়ছে না তাও!
শুধু শরীরে লেগে থাকা শরীরের ঘ্রাণ রয়ে গেছে, ঘ্রাণটুকু ধুবো কোন পুকুরে বলে গেলো না!
যাবেই যখন একা কেনো? তবু,
একলা গেলো, একাই গেলো, আমাকে নিলো না!

চিঠি

(লেখাটি না কি ছোট তাই প্রকাশ করছে না। ৫০র অক্ষর না হলে না কি আমার এই ফালতু লেখা হোম পেইজে দিবে না। আর দিবে না বলেই এইসব লিখে যাওয়া। )

চিঠি এসে দরোজায় কড়া নাড়ে
মেঘগুলো নিচে নেমে আসে
যা যা ছিলো সবই আছে
ভুলে ভরা জীবনে।
চিঠি আসে, ভুলে;
স্মৃতি আসে-
মাঝ রাতে,
চাঁদের পাশে কার মুখ ভাসে?
সমুদ্র এসে পায়ে দোল খায়
অবহেলা সারাবেলা নিজের সনে
আমার একটা সমুদ্র আছে মনে মনে!

আমি গান গাই, হাহাকার, আর্তনাদ যতো
আমি বলি, আমি কেনো আমার মতো?

চ্যাপ্টা গোলাপ ফুল

তখনও আমরা জানতাম না কোথায় থামতে হবে। কোথায় দিগন্ত শেষ। জানা হয়ে ওঠেনি তখন দাম্পট্যের শক্ত মানে। জানতাম শুধু তোমাকে চিঠি লিখবো তার জন্যে খাম কিনে এনে রেখেছি। এইসব অজস্র অজানার মধ্যে ক্লাসে তুমি আমার দিকে ছুঁড়ে দিতে কাগজ দিয়ে বানানো প্লেন, তার মাঝে লেখা থাকতো ’ভালোবাসি’।
তুমি আমার কৈশোরের ডানাকাটা পাখি; আজ জানি না কোন গাছে বসে গেয়ে যাচ্ছো গান। জানি না তোমার বিকেলগুলো এখন আর প্রজাপতিময় হয় কি না। সন্ধ্যা বেলা তুমি দেউড়িতে বসে চাঁদের সাথে হিসেব করে নেও কি না তোমার আগামী দিনের স্বপ্নগুলো, শুধু এইটুকু বুঝতে পারি; আমরা ফিরিনি। গানওয়ালা ফিরে গেছে তার পথে। পথগুলোও পেয়ে গেছে নতুন পথিক। তবু দ্যাখো ডাকনামে কেউ ডেকে উঠলে আমি তোমার কথাই ভাবি। কলিংবেলে শব্দ শুনে তুমি কি কখনও চমকে উঠোনি আমি আসতে পারি ভেবে?

৫ টি কবিতা

নিদ্রা

নগ্ন তুমি
তুমি গভীর ঘুমে
নিদ্রা ঢাকছে তোমার নগ্নতা।

নিদ্রা-এক

তুমি ঘুমে। তোমার ঘুমের মধ্যে জেগে থাকি আমি...

মন খারাপগুলো

সব কথা তো আর লিখে দিতে পারবো না
সমম্ভব না সব চুমু এক সাথে
তবু বিষন্ন এই বেলায়
চলে যাবার 'খন
আমার কাধে একটু মাথা রাখো
আমার মন খারাপের ওপর তোমার
শরীরের ঘ্রাণটুকু ছড়িয়ে দাও
সুগন্ধী হোক মন খারাপগুলো।

অবাধ্য মন ঘুমের ভেতর
ফুল হয়ে ফুটে,
ফিসফিস করে সেইসব কথা বলে দিতে পারি,
লিখে রাখা অসম্ভব!
আজকের লেখা কদিন পরই
উড়াল শিখবে, জানি-
আমি জানি
তখন এ-বাড়ি ও-বাড়ি
সকল বাড়ি হবে জানাজানি।
তার থেকে ভালো
মন খারাপ হয়ে থাকাটাই ভালো।
আমার মন খারাপের ওপর
তোমার চুল খুলে দাও
মন খারাপটা লুকিয়ে যাক তার ভিতরে।

ক্ষত

অন্ধকারের মধ্যে যে ছায়া, সে ছায়ার ভেতরেও ক্ষত আছে..


ফেরা

তোমায় দেখতে আসি, আমার বহুকাল
তুমি কেমন আছো?
জয়গুলো তো তোমার, তোমারই আছে।
তুমি কেমন আছো?

পেছনে পড়ে আছে অনেকগুলো গতকাল
তার ভেতরে ঘুমিয়ে আছো তুমি
তোমার পাশে কে?

ভাঙাচোরা দিনকাল

১.
হঠাৎ স্মৃতির বিপন্নতায় হয়তো ডুবে যায় কিছুটা সময়। দিঘল কালো চুলের মতো মেঘের ভেতর গুটিয়ে নেই নিজেকে। স্মৃতির চিঠি পাঠ করতে করতে নিজের মধ্যে বসে নীল হই নিজে। ভুলে যাই জীবনের মানে, হারিয়ে ফেলি স্বপ্নের সাকিন। দিকভ্রষ্ট হতে হতে সন্ধ্যা নেমে আসে বুক বরাবর, বিষাদ অন্ধকার শেষে আবারও কারো চোখের কোণে সূর্য ওঠে। চায়ের কাপে কালো পিঁপড়েটাকে ভেবে নেই লাল, তাতে যদি সুখ পাই। তাতে যদি সকালটা শুভ হয়।
ভাঙাচোরা এই দিনকালে, ‘ভাব লাগে না মনে’ ও কিছু কিছু সকাল ভালোবাসাবাসির রং ভিড় করে। ভুলে যাওয়া মুখ, হারিয়ে যাওয়া মুখ, হঠাৎ টুইটার বা স্কাইপে পেয়ে ভাবি, যে দিন যায়, তারে আমি পারি না ধরে রাখতে ক্যালেন্ডারের পৃষ্ঠায়। শুধু মনের ভেতর যে ডায়েরি আছে সেখানে লেখা থাকে, সমস্ত ভুল অথবা ভুল অক্ষরে লেখা নাম বা আমার ডাকনাম।

মৃত্যু আমার অনেক প্রিয়

মৃত্যু আমার অনেক প্রিয়
আমি কখনও তাকে দেখিনি
শুধু দেখেছি যারা মুত্যুকে দেখতে পায়
তারা মুত্যুর সাথে চলে যায়।
তাদের এই চলে যাওয়া দেখতে দেখতেই
মৃত্যু আমার প্রিয় হয়ে ওঠে।
নিশ্চয়ই মৃত্যুর মধ্যে এমন কিছু আছে
যা দেখে সবাই, সকল মায়া-মমতা, সাজানো পৃথিবী
পেছনে রেখে চলে যায় মুত্যুর সাথে সাথে।

মৃত্যুর সাথে বন্ধুত্ব করতে আমার কোন রকমের দ্বিধা নেই
মৃত্যুকে ছুঁয়ে দেখার কৌতূহল আমার দীর্ঘ দিনের;
একবার মৃত্যুর সাথে দেখা হয়ে গেলে
আমি সবাইকে রেখে, একা চলে যাবো তার সাথে,
আমি কাউকে নেবো না আমার সাথে
আমি যে স্বার্থপর এই কথাটা তো পুরাতন!

আমার বই

'রোদ কিংবা জ্যোৎস্না হতে চাইনি কখনও। কবি তো নয়-ই। তবু শব্দের করতালিতে জেগে ওঠে মধ্য রাতে কলম। বরফ হয়ে যাওয়া পাঁজরে চাষবাস করবো শব্দের, কখনও ভাবিনি। আমি কবি নয়, কবিতা হতে পারলে ভালো হতো। কোন কিশোরী লুকিয়ে লুকিয়ে পড়তে সে কবিতা বা সেই কবিতা উপহার দিতো তার প্রেমিককে, আর সেই প্রেমিক কবিতাটি রেখে দিতো বালিশের নিচে।
হতে পারিনি কবিতা। হতে পারিনি বলে কোন আফসোস পোষে রাখিনি।
অথচ কবি হয়ে আমি আফসোস এর স্রোতে ভাসি ক্রমশ, কারণ আমি কবি হতে পারিনি। যা আমি লিখি তা কবিতা নয়! কবিতা বলতে যা বোঝায় সেই কবিতা আমি লিখতে জানিনা।
আমি যা বলতে পারি না কারো কাছে, যে কথাগুলো বলা যায় না, যে কথা শুধু দীর্ঘশ্বাস হতে পারে, যে কথা প্রেমিকটির বালিশের নিচে গোপন থাকা চিঠির মতো গোপন! সেই সকল-ই আমি লিখি, আর আমার এক একটা লেখা পড়ে ছিঁড়ে ফেলে দেই, আমার মনে হয়, আমার লেখা কেউ পাঠ করলে আমার সব ভেসে উঠবে, কারণ শব্দ দিয়ে আমি ঢেকে রেখেছি জীবনের ক্ষতগুলো।

চোখ

ধরা পড়ে গেছি তোমার চোখে। আমি একশো বার নিশ্চিত হয়ে বলছি, ধরা পড়ে গেছি তোমার চোখের ফাঁদে। নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি ওই চোখের গভীরে।
সত্যি বলছি, তোমার চোখের দিকে আমি তাকাতে পারি না, চোখে চোখ রাখলেই আমার ভেতরে কি এক অস্থিরতা শুরু হয়, মনে হয় আমি বুঝি ডুবে যাবো এখনই। সত্যি বলছি ক্রন্দসী কন্যা, মনে হয় আমি নিঃস্ব হয়ে যাবো আরো একটু তাকালে। কি আলো ঝরে চোখ দুটি থেকে, মনে হয় সে আলোয় তুমি দেখো ফেলো আমার সব। আমায় কিনে নিচ্ছো বিনিময় ছাড়া।
পৃথিবীতে আমি আরো বহু চোখের ওপর রেখেছি চোখ, কখনও এমন মধুর ঝড়জলে ভাসি নি। কি নেশা চোখ দুটিতে, একবার তাকোলে আর তাকাতে পারি না। চোখ কখনও এমন নেশার হতে পারে ধারণাও ছিলো না। কি যে নেশা। কি মায়া চোখের ছায়ায়, খুব ইচ্ছে করে চোখ দুটিতে রেখে আসি বাড়ি ফেরার পথ। আমার ভোরবেলা। আমার ঘুমপাহাড়। যা যা আমার সব রেখে আসি চোখের ভেতর। কন্যা সত্যি করে বলো তো তোমারও কি এমন হয়?

৫টি কবিতা

এপিটাফ

অনুভূতিহীন এই নগরে
আমি পতনের শব্দ শুনতে শুনতে ক্লান্ত
তাই দৃশ্যের দর্শক না হয়ে,
রোদের মধ্যে মিশে গেছি
হয়ে গেছি রাতের চিত্রকল্প।

দ্যাখো তো আমাকে দেখতে পারো কি না

সিগারেট

অন্ধকারের করতালিতে তোর মুখের ছায়া কখন লাফিয়ে উঠে
সেই ভয়ে আমি সিগারেট পাশে রাখি,
সিগারেটে আগুন ধরিয়ে তোর ঘাতক ছায়াকে ভয় দেখাই
যতোবার তোর মুখের ছায়া উদয় হয় আমি একটা সিগারেট জ্বালাই!

সিগারেট শেষ হয়। সিগারেটের প্যাকেট হৃদয়ের মতো হয়ে যায়
সিগারেট পুড়ে, কলিজা পুড়ে, তোর মুখের ছায়া তবু পোড়ে না।

গোপন

তোমার গোপন দাগ
রোজ দেখে স্নানের জল।

তাহলে গোপন রইলো কিভাবে?


চে’ গুয়েভারা

আমাকে পথ দেখাতে হবে না
কোন পথে যেতে হবে আমি জানি,
আমার পথ দেখিয়ে দিয়ে গেছেন চে’ গুয়েভারা।

প্রস্থান

ঢাক পিটিয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে নয়
রোদের ব্যানারে ঘোষণা দিয়ে নয়,
খুব নিভৃতে ঝরা পাতার মতো
ঝরে পড়বে ক্ষুদ্র একটি পাতা,
যে পাতা অনেক কষ্ট করে ঝড়ের মোকাবেলা করতো,
বিশ্বাস আর স্বপ্ন ছাড়া তার আর কোন অস্ত্র ছিলো না।

অনেকদিন পর

অনেকদিন পর দেখা হলো আবার
একটু খারাপ লাগলো কিন্তু কষ্ট হলোনা একটুও!
বিচ্ছেদের পর যে কষ্টে আমায় করেছিলো বাউরি, আর
সে স্তন ঢাকার মতো যত্নে ঢেকেছিলো না পাওয়ার ক্রন্দন।
সেই কষ্ট আজ আর হলো না। সেই কষ্ট, কষ্টের তীব্র ক্ষমতা
এখন কোথায় গেলো? দূরত্ব বাড়ার সাথে সাথে
কষ্টেরও কি বয়েস বেড়ে গেছে?

বহুদিন পর আমরা পাশাপাশি বসে আছি। আজ কেউ দেখছেনা
আমাদের কৌতূহল দৃষ্টি দিয়ে। স্পর্শের নিকটে বসে থেকেও
আজ কেউ অস্থির নয়। দু'জনের হাতই পড়ে আছে একা!

বহুদিন পর দেখা হলো। অনেককিছুই আগের মতো নেই।
শুধু তার শরীরের গন্ধ আগের মতোই। যে গন্ধ আমি বহুদিন
শহরের বাতাসে পেয়েছি এবং ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলেছিলাম।

বহুদিন পর কথা বলছি
অতীত নিয়ে গল্প করতে কেউ-ই আগ্রহ বোধ করলাম না!
সে বললো- বদলে গেছে চারপাশ, জীবনের ধারাপাত।
আমি বললাম, আরো অনেককিছু বদলে গেছে, যেমন ধরো;
তুমি এখন প্রযত্নে স্বামীর নাম লেখো, বাবার নাম লিখতে আগে!
সে বললো তুমিও নিশ্চয়ই এখন আদর্শ কর্তা?
আমি বললাম- অনেককিছু বদলে গেছে,
কিন্তু দেখো তোমার শরীরের গন্ধ আগের মতোই, আমিও
তোমার শরীরের গন্ধের মতো বদলাতে পারিনি!

নিষিদ্ধ অন্ধকার

প্রতারক শহরে আমরা সবাই বোকা
বেহালা বাদক ফিরে যাচ্ছে,
জ্বলে ওঠো বিশ্বাসের বারুদ
জ্বলে ওঠো নক্ষত্রপুত্র।
ফেরাও তাকে এই দুর্দিনে
ফেরাও তাকে ভালোবাসায়।
পূর্ণিমার প্রছন্ন বিষাদে
অন্তরালে যে নিষিদ্ধ অন্ধকার ঝড় তুলছে
পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে সোনালি বাগান
ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে স্বপ্নের প্রতিমা
চোখের জলে ভাসিয়ে দিচ্ছে গোপন ঠিকানা!
রক্ষা করো তাকে, রক্ষা করো হে তরুণ,
সময় তোমাদের, সময় সত্যের।
দোহাই তোমাদের, ফেরাও তাকে, ঘরে ফেরাও
তোমরাও ফিরো পুর্ণ হাতে
বেহালার নিষ্পাপ সুরে, ভালোবাসায়, বিশ্বাসে...

নিঃসঙ্গতার ছদ্মবেশ

নাম লিখতে পারবো না সমস্যা আছে
ভীষণ অপ্রয়োজনে তবু তোকে ডাকছি কাছে।
ভাঙছি তোকে, গড়ছি তোকে
পদ্য কিংবা কবিতায়-

হঠাৎ অকারণে আমাকে না পেয়ে
ঘুরে ঘুরে দুপুর রোদে
রোদ হয়ে গেলে
রোদ হয়ে গেলে, দুপুর হয়ে গেলে।

একটি শব্দচারী পাখি
নিঃসঙ্গতার ছদ্মবেশে রেললাইনের পাশে
খেলছে মুখোশের সাথে,
দেখেছে লাউয়াছড়া, খুলে ফেলা লেবু বাগানের নগ্নতা।

ডাকবো না তোকে, বারণ আছে
তবু ডাকতে খুব ইচ্ছে করছে।