ইউজার লগইন
কবিতা
একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি
আমি নেই।
আমাকে পাওয়া যাচ্ছে না কিছুতেই।
শেষবার যখন দেখা গিয়েছিল তখন আমার হাতে ছিল নীল প্রজাপতি
পায়ে চাপ চাপ কাদা, মেঠো পথের
বয়স হরিণ চপল
গায়ে রংধনু বর্ণ
তারপর উবে গেছি
গুম হয়ে গেছি
বলা নেই কওয়া নেই।
আমি নেই
আমাকে যাচ্ছে না পাওয়া কিছুতেই।
খোঁজকেরা দেখে নেয় পেঁজা মেঘ সরিয়ে
যদি ছেলেখেলা করে আড়ালে থাকি লুকিয়ে!
আমাকে গেল না পাওয়া ঘাসের গোড়াতেও
কৃষ্ণচূড়ার ডালে,
সাম্পানের পালে,
ঝিনুকের খোলে,
আমি নেই!
আমাকে পাওয়া যাচ্ছে না কিছুতেই।
আর কোথায় কিভাবে হারায় কেউ?
জানে না ওরা।
অভয় ঘোষনায় জোর প্রলোভন চলে। বলে,
পৃথিবী কে মুড়ে শব্দ খাতার মলাট করে দেবে সত্যি সত্যি ···
আমি ফিরি না তবু ।
আমি বামপন্থী আলাপে নেই
ডানপন্থী মেজাজে নেই
ওরা আমাকে পেল না খুঁজে কোনভাবেই।
অবশেষে,
খোঁজ থেমে আসে।
স্বজনের অশ্রু মুছে গেছে ওই গণ্ডদেশে।
কবিতা: সমাচার
একটা খবর হচ্ছে, একজন একদিন একজনকে
লুকিয়ে ফেলেছিল বুকের ভেতরে,
তারপর ভুলে গেছে।
স্থান ছেড়ে দেয়ার প্রস্তুতিপর্বে
গোলাপের মতো ফুটলেও
তার স্বামী সেদিন
মুগ্ধ হয় নি ততখানি,
যতখানি হয়েছিলো পড়শীরা।
অথচ অভাজনের
কখনো
সাধ মেটে নি।
ভেজা চন্দনে আগুন ধরে নি
সৎকার হয় নি একটা লাশের,
সেটা বৃষ্টিশেষের
ছন্নছাড়া রোদে, সিক্ত
সময় পেরিয়ে
আর নিজেকে খুঁজে পায় নি।
তারপর গুমোট ঊষ্ণতা বুকে ধরে একজন
মেঘেদের দলে মিশে যায়, আর
কন্ঠসম অপ্রাপ্তির ফেনাগুলো
উপকূলে আছড়ায়।
চলছে এভাবেই,
সুখবর এই যে;
এখনো সে সকালে ঘুমায়
দিনে গাত্রদাহ অনুভব করে
রাত জেগে ডেরায় ফেরে
অশালীনরকম কুকড়ে থাকে,
ভেতরে খুন্তি-শাবলের চাঁড়
পড়তে থাকে অনবরত
শক্তিধর ডায়াফ্রামটা
তবু অক্ষত,
যেন অনুভব না করলে
বা তাকে নিয়ে না ভাবলেই
ভুলে থাকা যায় সবকিছু।
অথচ তারপরও অকারণে আমাকে সে প্রশ্নটা করে আবারো
মাঝে মাঝেও কি তাকে মনে পড়ে না অন্যকারো?
---
কোনো ভিনগ্রহ
ছুটছি তো ছুটছি আমি অবিরাম
এ ছোটার নেই কোনো শেষ --
পেছনে ফেলে যাচ্ছি একে একে পথ
বাঁকের পর বাঁক
যেনো ট্রেন থেকে দেখা চলন্ত পরিবেশ;
পেছনে ছুটছে গাছপালা নদী পাখি
হারিয়ে যাচ্ছে দৃশ্যাবলী বাড়িঘর সব
হঠাৎ দেখি উধাও হয়ে যাচ্ছে
আমার চিরচেনা প্রিয় বাংলাদেশ!
একি কোনো নতুন ভূখন্ড আবার
নাকি ভিনগ্রহ অচেনা জগত?
যেদিকে তাকাই ঝাঁকঝাঁক শকুন চিল
ছিঁড়েছূঁড়ে খাচ্ছে সোল্লাসে
ফুলেল শিশুর পেলব শরীর।
কারা যেনো কামড়াচ্ছে জীবন্ত লাশ
তানিয়ার শরীরও খুবলে নিচ্ছে অদ্ভুত জীব!
হায়, এখানে বসন্ত নেই কলগুঞ্জন নেই
বয়ে চলেছে কোথাও কোথাও অশ্রনহর!!
দেখে তাই শিউরে উঠি, দেই পেছনছুট----
ছুটতে ছুটতে কবে পার হলো তিনযুগ
এখন খুঁজেও পাইনা আমার সেই সবুজ বাসর
একি মধ্যযুগ, এরা কি তবে ইয়াজুজ-মাজুজ?
কবিতা: বেরসিক
বিশ্ব ইজতেমায় জু্ম্মার নামাজ পড়ে আসা এক বন্ধু সেদিন জানালেন, নামাজ শেষে ভীড় দেখে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এত মানুষ আর এত মানুষ, হাঁটতে হাঁটতে একবার কোনমতে পড়ে যেতে পারলেই কেল্লা ফতে। আর উঠতে হবে না। পেছনের তিন-চার মাইল লম্বা প্রবল জনস্রোত টেরও পাবে না, পায়ের নিচে কিছু পড়লো কি না!
আমি অবাক হলাম। মানুষ যেখানে ওস্তাদের কাছ থেকে রহমত আদায় করার জন্য গেছে, সেখানে একজন যদি পায়ের তলে পড়ে যায়, তাকে ধরে উঠিয়ে দেয়া কি সবার দায়িত্ব না? একটাও এমন দুর্ঘটনা ঘটলে, সেই দেশে কি আরো কোনোদিনো ইজতেমা কবুল হয় কি না কে জানে।
প্রকীর্ণ কথার আবির
প্রকীর্ণ কথার আবির
-আবু মকসুদ
এবং আমার অনুশোচনা হলো-
বিষফনা তোলা বীভৎস ঘাতক
উড়াল পাখির চোখে গেঁথে দিলো
মৃত্যুর গাঢ় রঙ।
সারিবদ্ধ দুপুর, তার পাড়ে থমকানো
জল, ভীষণ উদ্যমী, জালে
আটকানো বাসনাতাড়িত পাখি
জানতো না মানচিত্রের আজব মারপ্যাঁচ
এইতো সেদিন ঘুড়ির সুতোর মতো
আঙ্গুল ছুঁয়েছে ম্রিয়মাণ চাঁদ,
প্রকীর্ণ কথায় আবির ছড়িয়েছে
আতুর সন্ধ্যায় হেঁটেছে শিকড় অবধি
ভোরের আগেই সাজাতে চেয়েছে
স্বপ্নের গুঁড়ো, করুণাশরীরে আগুন
ভাগাভাগি করতে চায়নি, চেয়েছে
বর্ষার আগেই মেঘকথা শিখে নিতে
অতঃপর—
অবৈধ মেঘ ফুঁড়ে হঠাৎ বৃষ্টি নামলে
মানুষের ভুল জন্ম হয়েছে জ্ঞাত। কাঁটাতারে
ঝুলেছে উড়াল পাখির দেহ, তাই দেখে
আমার মতো সীমারও কেঁদেছে অনুশোচনায়।
আমার নামটাও ভুলে যাই
আজকাল কেনো যেনো হয়, বড্ড মতিভ্রম
নিজেকেও আর বিশ্বাস হয়না আমার
কিংবা মনে হয়না কোনো জ্বলজ্যান্ত মানুষ;
কী আশ্চর্য, আমার অনিন্দ্য-সুন্দর নামটাও ভুলে যাই
এমনকি ভুলি চৌদ্দপুরুষেরও সুণাম
হঠাৎ হয়ে যাই যখন জাতি-ধর্মবিমুখ এক ভাষাহীন!
আমার বিবেকের সকল তন্ত্রী ছিঁড়ে যায়--
হৃদয়কন্দরে বাজে নিষিদ্ধসুর
আয়নায় দাঁড়ালেই দেখি নিজেকে দাঁতাল
হায়েনার মতোন হয়ে গেছি ভীষণ ভয়ংকর জীব?
তখন আমি খুবলে খুবলে খাই কোমল শরীর
বিষাক্ত লালায় ঝলসে যায় কতো নন্দিত মুখ।
কেটে গেলে ভ্রম, খোলে বিবেকের দ্বার---
হায় আমি কি মানুষ, কেনো এমন হয়ে যাই!!
শখৎ মামার চোখে কেন শসা দেয় না
যদ্যপি আমার গুরু
শুঁড়ি বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু
শ্রী নিত্যানন্দ রায়।
তারপরেও গুরুর ইদানিং কালের কার্যকলাপ আমাদের কেমন যেন এক চিন্তায় ফেলে দেয়। কিছুদিন আগেও যে কাজে তাকে নিয়ে চিন্তাও করা যেতনা বর্তমানে একটার পর একটা সেসব কাজ করে আমাদের ভাবনায় ফেলে দিচ্ছেন।
মাসুম ভাইয়ের এহেন পরিবর্তন নিয়া আমরা টাস্কিত। যারা গত বছর উনার পিকনিকের পারফরমেন্স সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন, এবছর অনুরূপ পারমেন্স না দেখে হতাশ হয়েছেন। কিন্তু কারণ কী এ হেন পরিবর্তনের?
উনি আগে কখনো কোনো ছেলের সাথে কোলাকুলির ধারে কাছে যেতেননা। রাসেলরা দুই একবার ট্রাই করলে বলতেন, দূরে গিয়া মর। কিন্তু কি আশ্চর্য্য! সেদিন দেখলাম মীরকে বুকে নিতে চাচ্ছেন।
কুল যায়, পাশে বসে কাঁদে কালের সতী
কুল যায়, পাশে বসে কাঁদে কালের সতী
-আবু মকসুদ
বনাঞ্চলে গিয়ে হতাশই হয়েছি। দেখি, বদলে গেছে মানচিত্র। শ্যাওলা- মাঠের সুষমা কেড়েছে, বোবামুখ ডালপালা আকাশের নীলে উঁকি দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু পৌঁছাতে পারছেনা ঈশানের লক্ষ্যে। প্রকৃত বৃক্ষের আকাল বড় বেশী। পাতাতেও আজকাল বিঁধে থাকে ধূসর কাঁটাচামচ। মরণজয়ী মন্ত্রের দিন পেরিয়ে এসেছি অনেক আগেই , তাই বক্তাদের নীতিবাক্যগুলি আর মননে প্রভাব ফেলে না। মাটিবর্তী মাঠ ছেড়ে, ধানজমির আদি গন্ধ ভুলে ঘোমটার আড়ালে অহরহই পৌঁছি লোকালয়ে। পূর্বপুরুষের কঙ্কাল রোদবৃষ্টি পাহারা দেয়। তাদের ঋণ আদিমতার রাতগন্ধে পুনরায় নিমন্ত্রণ পাঠায়। অনির্বাণ পিলসুজে, ফুলেফলেবীজে অনন্ত হাঁটার শেষে বহে ধারাস্নান।
শিশুকালের কথা ও কবিতা: একদিন আমি
কবিতা পোস্টানো অবশ্যই বিপদজনক একটা কাজ। তারপরও কবিতা পোস্ট করে যাচ্ছি। অপূর্ণতাকে ছাড়িয়ে যাবার নিরন্তর অপচেষ্টা চালানোর এই বিষয়টা আমার ভেতরে কিভাবে আসলো একটু ব্যাখ্যা করি, ছোটবেলায় মোগলি নামের একটা কার্টুন সিরিজ খুব প্রিয় ছিলো। সে সময় খুব মনে মনে চাইতাম একটা বুমেরাং পেতে। পরে টিনটিনেও অনেককে বুমেরাং মারতে দেখেছি। এ জীবনে বুমেরাং পাওয়ার শখ পূরণ হয় নি আজো। পূরণ হয় নি এরকম আরো অনেক শখ। তারপরও সময় থেমে থাকে নি। একবিন্দুও ছাড় দেয় নি কাউকে। হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে ল্যন্ডস্কেপে আঁকা দূরের উইন্ডমিলটার মতো। সেখানে বোধহয় সময়ের এত টানাপোড়েন নেই। ছবির উইন্ডমিলটা সারাজীবন একরকমভাবে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে। আমি ওটাকে হিংসে করি। ভীষণ রকম।
আমার ভেতরে হিংসা প্রচুর। কেউ একটু ভালো লিখলেও আমার খুব হিংসে হয়। মনে হয়, আমি কেন পারি না? এই 'আমি কেন পারি না'ই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সারাজীবন ধরে।
পাতা ঝরার গল্প
তোমাকে পাতা ঝরার গল্প বলি ......
হেমন্তের ঘাসের বুকে ঢলে পড়ে যে বিবর্ণ পাতারা
তাদের শেষ ইচ্ছের কথা বলি তোমায় ।
কোন কালে কোন এক অনার্য বীজের সাধ হয়েছিল মাথা তুলে দাঁড়ানোর
এ ভূ-খন্ডের বুক চিরে
অনুর্বর জলাভূমির কাছে করজোড় করে চেয়েছিল একফোঁটা মাটি
তারপর, সেই মাটির বুকে যুগ যুগ ধরে
রোপিত হয়েছে বীজের শরীর ।
সে বীজ শুনেছে বহু আত্মার ক্রন্দন ।
অজস্র ঘুনপোকার হাহাকার পেরিয়ে
সে বীজ পৌঁছেছে উদ্ধত যৌবনে ।
তার নিটোল শরীরে জমেছে ধীরে ধীরে
সময়ের মেদ ।
তার চোখের পাতায় ঝরে পড়েছে নতুন সূর্যের সোনালী কণা ।
সে বীজ স্বপ্ন বোনে ,
স্বপ্নরা সবুজ পাতা হয়ে তির তির করে কাঁপতে থাকে অচেনা বাতাসে।
কেউ কখনো দেখেনি সে স্বপ্নের রঙ;
কেউ দেখেনা কখনো ।
কেউ জানেনা যে, সেই স্বপ্নরাই অবশেষে ঝরে পড়ে অবিমিশ্র বেদনার ভারে ।
যে জীবন সময়ের পরে রেখাপাত টানে , সময়কে বন্দী করে
কবিতার চলাচল
কবিতার কাছে সব বলা যায়,
প্রিয়জনের শপথের চেয়েও যে বেশী আপন
নিজের সেই একান্ত গোপনীয়তা, সেতো কবিতায় প্রকাশ।
কবিতাই পারে মুখোশ খুলতে,
অতিমানবকে টেনে হিঁচড়ে জনারণ্যে দাঁড় করাতে
কবিতাই পারঙ্গম।
কবিতারা যুদ্ধ করে।
রেসের ময়দানে দাঁড়িয়ে জ্বালাময়ী ভাষন , সে তো কবিতাই।
আবার সীমাহীন আকাশ, সফেন সমুদ্র আর
অবারিত সবুজ
এক একটা নিটোল কবিতা নয় কি?
কবিতা মহাকালের মত, প্রাচীন জনপদের মত।
নরম কোন গানের মত।
আবার ঝরে পড়া বৃষ্টির শব্দ-
জাল বুনে বুনে কখনও
তৈরী করে কবিতা।
কবিতা নারী হতে জানে,
হতে জানে আবেগী যুবক-
তুলতুলে শিশুও হয় কখনও।
আর হয় প্রাচীন, অভিজ্ঞ কোন বৃদ্ধ কবিতা।
ঝুলে পড়া চামরায়
ত্বকের প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে জমা হয় যার অশেষ বাণী;
কবিতারা মানুষের মিছিলের মত;
তাদের হাতে প্রজ্জ্বলিত মশালের মত;
কবিতা কেঁপে কেঁপে ওঠা হাওয়ার মত;
কবিতা যুদ্ধ শেষে ঘরে ফেরা কিশোরের মত।
রোদকণা
বিশাল সমুদ্র আহ্বান করে না
লাল পাহাড় ডাকে না
শান্ত নদী স্মরণ করে মাঝরাতে
দূর কাশবনে শুধু মগ্ন নির্জনতা ডাকে।
অনুভূতিহীন দিন কেটে যায় বিরহ-সন্ন্যাসে
শীতল কুয়াশার চাদর সরে
রোদকণা জমে থাকে রূপালী বিভ্রমে।
প্রতারণা করে মেঘ পরাজিত চাতকের সাথে
তবুও বর্ষণ হলে চাতকের জলতৃষ্ণা হয়।
অপেক্ষার সময় প্রসারিত হয়ে
জমে থাকা কথানুড়ি
নিঃশব্দে গড়িয়ে যায় ঝর্ণার ধারে।
স্বপ্নগুলো উড়ে যায় গভীর অরণ্যে।
তোমার কী একটু সময় হবে সময় দেবার!
ইচ্ছে ছিল বেড়াতে যাবো অজানাকে সাথে নিয়ে। নেয়া হবে আচানক কোন পথে পা ফেলার সমূহ অনুভূতি। দিন-রাতের ভেদ ভুলে পূরো দিন ধরে আবিস্কার করবো নূতন কোন পথ। যে পথে আর কেউ হাটেনি ও পর্যন্ত। তুমি-আমি ছাড়া যে পথের দিশে পায়নি/পাবেনা কেউ কোনজন।
পৃথিবীর পথে হাটতে গিয়ে অনেকগুলো পথ আমার সাথে পরিচিত হয়েছে। তাদের অনেকের চেহারা মিশে গেছে কালের স্রোতে আবার অনেককেই মনে রেখেছি সজ্ঞানে কিংবা অজ্ঞানে। তাদের কেউ কড়া নাড়ে,কেউ হাতড়ায়। তাই মাঝে মাঝে ভাবতে বসি যদি কখনো পরিচিতের দাবি নিয়ে কেউ সামনে দাঁড়ায় আমার কী আছে করার? এখানে কেমন ভাবছো তুমি!
এই ক'দিন আমি একটা হতাশার পাখি দেখেছি যে রোজ রোজ আকাশ ছেড়ে আমাতে এসে বাসা বাঁধে। আমি ফি-বার তাকে তাড়াতে গিয়ে বৃথা মনোরথে ঘরে ফিরি। সেও আমাকে ছাড়েনা যেন আমিই তার কাংখিতজন। আমি তাকে দেখে হতাশ হই আর ব্যর্থজনের মতো অভিসম্পাত ছুঁড়ি বাতাসে; কেন তবে পেলে না আর অন্যকোনজন-অন্য কেউ!
এখনো আলোর অপেক্ষায়....
আত্মাটা ভেবে ভেবে ক্ষত-বিক্ষত......
কেন এত রক্তক্ষয়,অনিয়ম আর ধ্বংসযজ্ঞ !!
লক্ষ্যটা হলো কতটুকু অর্জিত??
'অর্জন"----কথাটি যাবে কি রয়ে ;
কেবলই একটি শব্দ হয়ে..!
তাকিয়ে দেখি....
উড়ন্ত ক্রমশ বিবর্ণ পতাকাখানি
বাড়ন্ত এক ক্ষত হয় দৃষ্টিগোচর...
এ যেন হৃদয়ে ক্ষরণ রক্তের...
আর সবুজের গায়ে হলুদ ব্যাধি...।
একি তবে প্রতিবাদের নতুন এক হাতছানি !!
দৃষ্টি সমূখে অদ্ভুত আঁধার এক ;
আসছে কেবলই ধেয়ে....
কালো ধূসর মেঘ ।।
অপেক্ষায় থাকি,কবে দেবে দেখা...
মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা
রূপোলী সেই রেখা ।
মনে মনে শুধু জানি
হতে থাকে যার প্রতিধ্বনি......
----------------------
আঁধারেই আলোর কোলাহল ;
অন্ধকারই আলোর কারণ
নিকষ আঁধার চিরেই হবে আলোর বিস্ফোরণ।।
মনে হয় প্রতীক্ষা.......
আজকাল ভালো লাগে না কিছু...
বুঝি না হায় ;
মনটা ছুটছে কিসের পিছু..!!
ভাবনাগুলো লাগামহীন ,
চলছে ছুটে অন্তহীন।
না খুঁজে পেয়ে গন্তব্য,,,
মুষড়ে পরে যত্রৎত্র..।
শুধু জানি ভাবনাগুলো রঙীন;
বসবাস তাদের মনের গহীন।
কখনোবা ভাসতে থাকে বেলুন হয়ে..
আকাশ----সীমাহীন....।
হঠাৎ কোথা হতে..
আসে উড়ে এক তীর !!
বেগ যার তীব্র ;
বেলুনগুলো সব কল্পনার
করে দেয় ছিদ্র ..।
এরই নাম তবে রিয়্যালিটী ..
যেখানে সমাপ্ত সকল ফ্যন্টাসী !!
আমি নেমে আসি..
আকাশ হতে মাটিতে ।
আবারো হেঁটে চলা ,
সেই একি পথে ;
যারে আমি পারিনা এড়াতে...।।