ইউজার লগইন
ছড়া
ড্যাম কেয়ার
আহা! কি যে বাহারে
কমছে সূচক শেয়ারে,
কতো কি যে প্রণোদনা
প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনা
গেলো মাঠে মারা যে।
মুহিত কামাল সালমান
করলো জারি ফরমান,
মৌলভিত্তি জেনে বুঝে
লগ্নি করো শেয়ারে
রবে ড্যাম কেয়ারে।
কি যে মজা আহা! রে
সূচক কমছে বাহা রে,
স্বল্প মধ্য দীর্ঘমেয়াদে
প্রণোদনা কয় কাহারে
বাড়ছে কি দর শেয়ারে।
ফটকাবাজের সরদার
কমিটি করে বারবার,
তদন্ত নয় সময়ক্ষেপণ
প্রতিবাদে দলন-পীড়ন
কি তামাশা বাহা রে।
দিন নয়, মাস নয়
বছর গেলো পেরিয়ে,
দরপতনের এমন ধারা
দেখেনি কেউ শেয়ারে
মরছে যুবক আহা! রে।
অর্ধাহার আর অনাহারে
যাচ্ছেবা কেউ দিন গুজারে,
দায়দেনা লোনের দায়ে
মানসম্মান সব হারিয়ে
নিচ্ছে বেছে পরপার!
নিঃস্ব সবাই কাঁদছে এবার
কাঁদছে যে তার পরিবার,
আত্মহনন কেউবা করে
সাধ্য কি তা দুর্নিবার
কমছে সূচক বারবার।
০৮.০২.২০১২
মাতৃভূমি
- - - - - - - -
- - - - -
- - -
- -
-
-
.
. .
. . . .
. . . . . .
. . . . . . . .
. . . . . . . . . . . .
. . . . . . . . . . . . . . . . .
কাজলা মেঘের আঁচল তলে
হাজার নদীর শুদ্ধ জলে
সিক্ত করে করুন ডাঙা ,
সে আমারই মাতৃভূমি ।
ছায়াঘেরা শ্যামল গহন
জুরায় তনু শীতল পবন
পাখপাখালীর কলগুঞ্জন
কোখায় গেলে পাবে তুমি !
রক্তে ভেজা পবিত্র মাটি ,
তারই উপর গতর খাটি
কৃষাণ ফলায় সোনার আঁটি
শ্রদ্ধায় বারে বারে নমি ।
আকুল করে এই বাংলার
স্নেহে ভরা শত উপাচার
মরণেও তাতে পাই যেন ঠাঁই
মাতৃভূমির চরণ চুমি । ।
১১/০৩/০৭
(অন্য কোখাও)
আনটাইটেল্ড রোমান্স
উত্সর্গ : শ্রদ্ধেয় তানবীরা আপুকে, আমার সব কবিতা যার মাথার উপর দিয়ে যায়।
শরমবতী বৌ এর মতো আড়াল নিলে কুসুম রঙের দিন
চক্ষু পোড়ায় জলের মতো নিবিড় সজল তোমার ঠোঁটের ঋন ।
কমলা পিঠের শ্যামলা তিল আর সর্বনেশে তোমার ছলাত্ বুক
চাঁদের মতো জোছনা দিয়ে ভাসিয়ে দেয় মনের জমিন টুক ।
তোমার কাছে বারুদ কাঠি, শুকনো হৃদয় রাস্তা ঘাটে খুব
আমার দারুন আদর মাখা বুক , তবু দিলে গভীর জলে ডুব।
আমার আছে নীল কলমে তরল হয়ে ধুসর রঙা দুখ
হিসেবপটু চতুর মেয়ে, সুখ খুঁজেছ, থাকুক তোমার সুখ।
ছেড়ে দেয়া মানে হেরে যাওয়া নয়
ছেড়ে দেয়া মানে হেরে যাওয়া নয়
ফিরে আসা মানে পরাজয় নয়
চোখে যা দেখি
সবসময়, সত্যি কি তা হয়?
স্বপ্ন দেখা মানে ভালো ঘুম নয়
মনের যন্ত্রনা মনে ঠিকি বয়
পথ চলায় কাউকে
ভালো লাগলেই, কি প্রেম হয়?
একা থাকা মানে কিন্তু একাকীত্ব নয়
হৃদয়ের মাঝখানটি হয়তো পলিময়
নিজের সাথে থাকে
অস্তিত্ব, লোকে কেন একলা কয়?
আকাশজোড়া মেঘ মানে মন খারাপ নয়
নবধারা জলে কিসের আবার ভয়
বৃষ্টি ভেজা মন
পুড়িয়ে, উড়ে কি যায় অনুতাপের ক্ষয়?
ভুলে থাকা মানে ভুলে যাওয়া নয়
কিছু কিছু ক্ষত জীবনভর রয়
প্রতিদিনের অভ্যাসে
পরাজিত, সব গ্লানি কি হৃদয়ে সয়?
তানবীরা
১৩/১/২০১২
ডায়েরি
দু'একটা দিন বাপের মত
দু'একটা দিন মায়ের
দু'একটা দিন স্বামীর মত
দু'একটা দিন জা-য়ের।
কিছুটাক্ষন চাল ও চুলা
বৃষ অথবা মীন
এভাবেইতো দুপুর গড়ায়
পাশ ফিরে শোয় দিন।
পাশ ফিরে শোয় দিন ও বছর
ঘুমায় জীবনখানি
পাশ ফিরে রয় গোপন অসুখ
পাশ ফেরে হাতছানি।
বীজ পড়ে রয় বীজগণিতে
ফলের চিন্তা লুটায়
সুখ পড়ে রয় ট্রাফিক জ্যামে
দুঃখ ফেরে নটায়।
আমার প্রতি তোমার যে টান
তোমার প্রতি আমার
একটা বিড়াল সে উষ্ণতায়
গড়ে যৌথ খামার।
আমার যত নরম ছিল,
কোমল ছিল, আলো
ঢেকে দিলাম আজকে সবই
-প্রসাধনই ভাল।
হাত ঢেকেছি, মুখ ঢেকেছি
শোক ঢেকেছি শাকে
বুকের ভেতর রোদ ঢুকেছে
তবুও কোন ফাঁকে।
সে রোদ আমার তরল আগুন
সে রোদ আমার টু-জি
সে রোদ দিয়ে, পাঠক, আমি
তোমার মুখকে খুঁজি.....
নদী
অমোঘপুরের ছাত্র আমি
বিধির পদ্য বোধে লিখি
জলের শব্দ নকল করে
পাখির মত গাইতে শিখি
এইতো সেদিন একটা পরী
ভিষণ রাগে, জোরসে হাঁকে
"সাহস কত! আমার পাখা
চুরিয়ে এনে নদী আঁকে!"
আঁকা বলে হেলা করলে
শোন, এও নাচতে জানে
ঢেউও আছে, স্রোতও আছে
বেলাল্লা হয় ঝড়তুফানে।
আমার কাছে নদীই সব
ঝর্ণা হয়ে সাগরে আসা
জীবননদী, সময়নদী
নদী আমার মাতৃভাষা।
গতপরশু নদীর ভাষায়
চা চাইতেই এক দোকানি
বল্লো," আমি নদীভাঙ্গা,
নদীর ভাষা আমিও জানি"।
নদীর ভাষা কঠিন অতি
ভোকাবিউলারি শেখা লাগে
সিনটেক্সের এর শক্ত বাঁধে
না বলা সব ইচ্ছা জাগে।
আমিতো ভাই নদীপাগল
জীবন গেল নদীসুখে
বুড়িগঙ্গায় ঢেউ উঠলেই
আঁছড়ে পড়ে আমার বুকে।
তাইতো আমি নদী পড়ি
নদী শিখি, নদী থাকি
পরীর পাখা চুরি করে
হারিয়ে যাওয়া নদী আঁকি।
চাঁদবেনে যায় সওদা সমেত
বেহুলা লাশ ও লাস্য নিয়ে
মারমেইড গায়, " জীবন হল
জলের সাথে জলের বিয়ে।"
আমরা বন্ধু
তোমরা আমরা
আমরা তোমরা
সবাই আমরা একসাথে
হেথায় সেথায়
সেথায় যেথায়
স্বপ্ন পাড়ি দেয় রাতে ,
যখন তখন
উড়ন পতন
ঘাসের বুকে শীতল প্রাতে
ফুলের ঘ্রাণের
প্রাণের গানের
সুরে মিলাই হাত হাতে ।
মোবাইলের গুণকীর্তন
মোবাইলের গুণকীর্তন
শোনেন মিয়াভাই
মোবাইল ছাড়া জীবন
মোদের যেন বৃথাই।
মোবাইলে চলছে মোদের
পণ্য বেচাকেনা
জরুরি সব খবরাখবর
থাকছে না অজানা।
মোবাইলেই শুনছে গান
খেলছে নানা খেলা
একাকীত্ব কাটছে বটে
কাটছে সময় মেলা।
মোবাইলেই চলছে কাটা
ট্রেন-প্লেনের টিকেট
ব্যস্ত সময় দেখছে খেলা
ফুটবল আর ক্রিকেট।
ভ্রমণে দেশ-বিদেশে
ঠেকায় সাধ্য কার
ছেলে-বুড়ো নর-নারী
মোবাইল সঙ্গী তার।
বার্থডে আর ম্যারেজ ডের
হচ্ছে পিকস আপলোড
সপ্তাশ্চর্য সুন্দরবনকে
করছে আরো ভোট।
ডাকহরকরার আশায় মা
থাকেন না পথ চেয়ে
মোবাইলে এসএমএস
যাচ্ছে সহসা পেয়ে।
প্রবাসী স্বামীকে আর
লিখে না বউ চিঠি
নির্ধারিত নম্বর দিয়ে
সেন্ড বাটন দেয় টিপি।
* টিপি-টিপে দেয়।
পুনশ্চ : আমরা বন্ধুর তানবীরা আপার অনুরোধের ঢেঁকি গেলা এ ছড়াটি।
সোনার বাংলা
দেশটা যেন মগের মুলুক ,
যেমন করে চলছে চলুক !
ছিনিয়ে নিয়ে ভুখার আহার
গরবে যারা টাকার পাহাড় ,
আইন তাদের বাবার দাদার !
রুখবে এমন কে আছে আর ?
সেই আশাতেই রইল বসে
ঘাতক দালাল সাধুর বেশে ,
দেশকে হাতের মুঠোয় চেপে
রাত-দুপুরে উঠলো ফেঁপে ।
হঠাত্ যখন তুফান এলো
আবহাওয়া পাল্টে গেলো ,
করত যারা খবরদারি
ভাঙলো হাটে তাদের হাঁড়ি !
রুই কাতলার হাজতবাসে
কেউবা আবার মুচকি হাসে ;
কেউবা শোকে মর্মাহত ,
কেউবা নীরব গুণীর মত !
এমনি করেই দিন কেটে যায়
সোনার বাংলা পাবার আশায় ।
মিথ্যার বেসাতি
মোবাইল তো নয় যেন
মিথ্যার বেসাতি
ঢাকায় থেকেও বলি
আছি আমি রামগতি।
মোবাইলে বন্ধু খোঁজা
সহজ উপায়
ভালো নাকি মন্দ
বোঝা বড় দায়।
মোবাইলে করে কেউ
বাজার-সদাই
অর্থ নয়, সময় বাঁচে
ভাবনা কী তাই।
প্রযুক্তির নিত্যনতুন
শত আবিষ্কার
বিশ্বকে করেছে যান্ত্রিক
ব্যক্তিরা বেকার।
প্রতিদিন মোবাইলে
বলি শত কথা
অর্ধেক তার দরকারি
বাকি সব অযথা।
বিরক্তির রং নাম্বার
অভিজ্ঞতা সবার
FnFসুবিধায়
সারারাত কাবার।
মোবাইলে চলে প্রেম
হয় ভালোবাসা
আবেগতাড়িত জীবন
যেন শতভাগ খাসা।
মোবাইলে চলে কথা
চরম অশ্লীল
স্বপ্নে বিভোর হয়
হায়! বুজদিল।
পারা, না পারার দেশে
পুঁজিবাজারে পুঁজি কোথায়
বলতে পারেন, না-
পুঁজি হারিয়ে গলায় দড়িতে
ঝুলতে পারেন।
ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য কি
কিনতে পারেন, না-
বেশি দামে ভেজাল পণ্য
আনতে পারেন।
নিরাপদে সড়কপথ কি
চলতে পারেন, না-
নিসন্দেহে জীবনবাজি
রাখতে পারেন।
বিদ্যুতের লোডশেডিং কি
মানতে পারেন, না-
কুপি-হারিকেন জ্বালিয়ে
রাখতে পারেন।
ফুটপাতে নির্ঝঞ্ঝাটে কি
হাঁটতে পারেন, না-
মূল সড়কে হাঁটতে গিয়ে
প্রাণ দিতে পারেন।
জীবন চলার সংকট কি
সইতে পারেন, না-
না খেয়ে ধুঁকে ধুঁকে
মরতে পারেন।
আয় বুঝে ব্যয় কি কভু
করতে পারেন, না-
ভিক্ষার থালা হাতে রাস্তায়
নামতে পারেন।
সরকারের চৌদ্দগোষ্ঠী কি
ঝাড়তে পারেন, না-
বসে বসে বৃদ্ধাঙ্গুলি মুখে
চুষতে পারেন।
খুন-সন্ত্রাসের বিচার কি কভু
পাইতে পারেন, না-
দুহাত তুলে সৃষ্টিকর্তাকে
জানাতে পারেন।
১১.১০.২০১১
মডার্ন যুগের ছেলে
মডার্ন যুগের ছেলে রে ভাই
হাতে পরেছে চুড়ি
মেয়ে ভেবে সামনে গিয়ে
কেউ বলে ভাই সরি!
হাল ফ্যাশনের নায়ক
সেজে রাখে বড় চুল
মেয়ে ভেবে সামনে
গিয়ে হয় এবারো ভুল।
ভিলেন সেজে কেউবা
আবার পরে কানে দুল
মেয়ে সাজার শখটি বড়
নাম কিন্তু আবদুল।
পাঞ্জাবি নয়, কোর্তা যেন
সঙ্গে আছে ওড়নাই
মেয়ে সাজার শখটি বেশ
নাই যে তুলনাই।
সাজাসাজির এতো কথা
যায় না কভু ভোলা
ওই ছেলেটি ছিল নাকি
ঢাকাইয়া এক পোলা।
০৬.১০.২০১১
ডিজিটাল বিড়াল!
ডিজিটাল বাংলাদেশে
বিড়ালগুলো হায়!
মাছ-মাংস কাঁটা রেখে
দুধ নাহি খায়।
আদ্যিকালের বিড়ালেরা
দিব্যি মানতো পোষ
ডিজিটাল যুগে এসে
মাছ-মাংসে বেহুঁশ।
আরাম প্রিয় বিড়ালের
নেই তো এখন সুখ
মাছ-মাংসেই অভ্যস্ত
সেজেছে রাজপুত।
বিড়ালের গোঁফ-দাড়ি
এখন যেমন নেই
চুক চুক দুধের শব্দ
আছে শুধু পুরাণেই।
ডিজিটাল বিড়ালের
হলো কি যে দশা!
গেরস্তের ঘুম হারাম
নতুন এক হতাশা।
পাল্টে গেছে বিড়ালের
আসল চরিত্র
ফরমালিনের ভেজালে
বিপন্ন ধরিত্র।
গরুর খাঁটি দুধ এখন
গল্পেতে কেবল
দুধ প্রিয় বিড়াল তাই
খুঁজে ফেরে জল।
৩০.০৮.২০১১
যোগ্য ছেলে সোহেল তাজ
প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ
মন্ত্রিসভায় নেইকো আজ
যোগ্য বাপের যোগ্য ছেলে
বড় গলায় সবাই বলে।
গেলেন তিনি ছুটিতে
কলঙ্ক দিয়ে কার টুঁটিতে
সবার জানা সে কথা
বলতে মানা অযথা।
পদটি ছিল স্বরাষ্ট্র
রর্য্যাব র্পুলিশের কারবার
জনতার অভিযোগে
করেন তিনি দরবার।
যোগ্য বাপের উত্তরসূরি
নয়তো ধোঁকাবাজ
অযোগ্যদের তাড়নায়
পেলেন তিনি লাজ।
রর্য্যাব-পুলিশের ক্রসফায়ার
ভুল ধরেছেন সাম হোয়ার
সত্য কথা বলতে মানা
ছিল না তো তার জানা।
খাঁটি কথা সহজভাবে
বলেন সোহেল তাজ
বিস্ময়ে ভাবেন উকিল
হলো এ কী কাজ।
মান-অভিমান নয়তো জেদে
রয়েই গেলেন দূরে
মন্ত্রিসভার কমলো সংখ্যা
এলেন না তিনি ফিরে।
শিরোনামহীন
প্রবাদ শুনেছি ছেলেবেলায়
উড়িয়ে দেইনি অবহেলায়
চোর-চোট্টা খেজুরের গুড়
আছে যতো ফরিদপুর।
লুটে নিচ্ছে চোরের দল
জনতার সম্পদ
আঁকড়ে আছে মন্ত্রিত্বের
বড় বড় পদ।
স্বাধীনতার বয়স কতো?
নিশ্চয় হয়েছে চল্লিশ
এতোদিনেও কি জনতা
রয়ে গেছে ফুলিশ।
সাধ ছিল এক সময়
সাধ্যও ছিল সমান
এখন কেবলই স্মৃতি
গোলাভরা ধান।
ভারতীয় জনতার যতো
আছে দেশপ্রেম
আমাদের দেশাত্মবোধ
বন্দী যেন ফটোফ্রেম।
বাংলাদেশের নাগরিক
তাই কি বাঙালি
বিদেশীরা দেয় কেন
হীন দৃষ্টিতে গালি।
ঋণ করে ঘি খাওয়ার
অভ্যাস যতো মোদের
প্রতিবেশীর দাদাগিরি
ঠেকায় সাধ্য কাদের।
বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন
মোরা এক জাতি
দুর্নীতিতে ঢের ভালো
আছে বহু কুখ্যাতি।
পুঁজিবাজারে পুঁজি নেই
যতো কেলেঙ্কারি
অর্থ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর
নিত্য আইন জারি।
পুঁজিবাজারে ব্যবসা নাকি
ফটকা এক কারবার
ভূঁতের মুখে রাম নাম
জপে সে বারবার।