ইউজার লগইন
সমসাময়িক
আলোর যাত্রীরা থামবে না
হতাশাবাদীর জিকির
হবে না হবে না ফল
আমরা বলি দেখ গ্লাসে
আরো অর্ধেক আছে জল।
নিরাশকারীর ফিকির
অনবরত উস্কে দেয়া ভয়
বলি তোমাতে নেই প্রয়োজন
আমরা করব জয়।
স্বাপদের গরম শ্বাস ঘারে
বর্ণচোরা গিরগিটি দৌঁড়ে
পথে যখন এঁকেছি পায়ের চিহ্ন
ভেবোনা মোরা যাব সরে।
বিভীষণ নামে একজন ছিল
ঘরের কথা পরকে বলে দিল
যে করে মিথ্যাচার সত্য গোপন
সে আদম বিভীষণের অধম।
ঈর্ষা এসিডসম করে জ্বালাতন
গলায় সম্ভাবনার দেহ ,
লড়ে যায় ঠোঁটে নিয়ে প্রাণ
আলোর দিশা পাবে বলে কেহ।
শাহবাগ এর কথিত 'নাস্তিকতা' এবং ‘সত্যব্যবসায়ীদের’ যুথবদ্ধতা
সত্যের বিপরীতে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির ধর্মাশ্রিত মিথ্যাচার এবং ধর্মের মতলবী ব্যবহার নতুন নয়; পৃথিবীর ইতিহাসে এ পদ্ধতি পুনপৌনিকভাবে ব্যবহার করেছে অপশক্তিসমূহ। মৌলবাদীশক্তি। প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক শক্তি। সামরিক শক্তি। এমনকি গণতন্ত্রের লেবাসে অগণতান্ত্রিক শক্তি। বুদ্ধিজীবিতার ছলে বুদ্ধির বিকিকিনিতে অভ্যস্ত পেশাদার বুদ্ধিজীবীমহলও। সুতরাং মতাদর্শিক লড়াইয়ে টিকতে না পারার ভয় ও শংকায় আকন্ঠ নিমিজ্জিত হয়ে কাউকে বা কোন একটি গোষ্ঠীকে ‘নাস্তিক’ বিধর্মী’ হিসেবে আখ্যায়িক করা একটি পুরনো প্রতিক্রিয়াশীল কৌশল। খ্রীস্টেরও জন্মের প্রায় চারশ’ বছর আগে, খ্রীস্টপূর্ব ৩৯৯ সালে এ কৌশলটি ব্যবহার করেছিল সে সময়ের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি। সক্রেটিস এর বিরুদ্ধে। সে সময় একই অভিযোগে সক্রেটিসকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল সক্রেটিস নাস্তিক। সক্রেটিস ধর্মে বিশ্বাস করেন না। সক্রেটিসের চিন্তা, যৌক্তিকতা আর
একদিন নিমন্ত্রনের দিনে, একদিন না চাইতেই পাওয়ার দিনে...
নিমন্ত্রণ খেতে গেলাম। গৃহস্থ ম্যাডাম বললেন, "ঠিক আছে? আরো লাগবে? লাগলে আরো দিব। কি দিব নাকি আরো?"
আমার তো পেটের অবস্থা খারাপ, বহু কষ্টে বললাম, "না ম্যাডাম, এমনিতেই বায়ুর ঊর্ধচাপ তার উপর এত এত সুস্বাদু খাবারের চাপ সহ্য করা দায়। যদি বেঁচে যায় কিছু তবে প্যাকেট করে দেন। ছুটির দিনে খাওয়া যাবে।"
হাসলে ম্যাডামকে বড় করুণাময়ী মাতৃদেবী মনে হয়। দাঁতের মাঝখানে রোনালদোর মত সামান্য ফাঁক আছে। কোমল স্বরে বললেন, "এখনই তো বাবা খাওয়ার সময়। আরো নাও আরো নাও" এই বলেই একরকম জোর করেই পাতে ঢেলে দিলেন।
মায়ের কাছ থেকে শুনেছি খাবার নষ্ট করা ঠিক না। গরিব মানুষ, তাই নষ্ট করা সাঁজেও না। নিজেকেই গলাধকরণ করতে হল। পেট ভর্তি, নড়া চড়া করার উপায় নেই। ম্যাডামকে তাই একটু জিরোনোর আর্জি জানালাম। ম্যাডাম বললেন, "আমার ছেলে দুইটা তো বিদেশে। তুমি ওদের রুমে বিশ্রাম নিতে পার। সাবধান ওখানে কিন্তু পার্থ আছে। ও কথা বলার সময় কেবল শুনে যাবে।" ভাবলাম এ আর এমন কী! শুনে গেলাম আর কি, এই ভেবে গেলাম বিশ্রাম নিতে।
সময় গেলে সাধন হবে না
বর্তমান পরিস্থিতি দেখে অনেকেই ভয় পাচ্ছে। কেউ কেউ মিউ মিউ স্বরে বলছে কেন শুধু শুধু জামায়াতকে ঘাটাতে যাওয়া।
আসলে সময় না হলে কিছুই হয়না। দেশের মানুষ এতদিন এত বড় অরাজনৈতিক(রাজনৈতিক দলের এজেন্ডাবিহীন) আন্দোলনের মুখোমুখি হয় নি, কারন মানুষ তৈরি ছিলনা। এই আন্দোলন প্রথম শহীদ জননী জাহানারা ইমাম শুরু করেন। তিনি ১৯৯২ সালে ২৬ মার্চ গণআদালত গঠন করেন এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করে গোলাম আজমের ফাঁসির সপক্ষে প্রমাণ পান। গণআদালতের রায় গোলাম আজমের ফাঁসি দেয়। ’গণআদালত’ প্রতিষ্ঠা করায় বিএনপি সরকার ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ জাহানারা ইমামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে অ-জামিনযোগ্য মামলা দায়ের করে।
২৬ মার্চ ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা দিবসে গণআদালত বার্ষিকীতে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গণতদন্ত কমিটি ঘোষিত হয় হয় যুদ্ধাপরাধের তদন্তের জন্য। আরো আটজন যুদ্ধাপরাধীর নাম ঘোষণা করা হয়। এরা হলঃ আব্বাস আলী খান, মতিউর রহমান নিজামী, মোঃ কামরুজ্জামান, আবদুল আলীম, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, মওলানা আবদুল মান্নান, আনোয়ার জাহিদ এবং আবদুল কাদের মোল্লা।
আস্তিক, নাস্তিক এবং ছাগু
্বেশ দীর্ঘ সময় ধরে ব্লগে লেখা হয়ে উঠেনি । লেখার মতো কোনো বিষয় ছিলো না এমন নয়। তবুও লেখা হয়নি। আমি বরাবরই "ব্যাক ব্যাঞ্ছার" ছিলাম। ব্লগ লেখাতে ও তার ব্যতিক্রম নই। যখন ই কোনো লেখা লিখবো বলে স্থির করি তার আগেই তা নিয়ে ব্লগের পাতা ভর্তি হয়ে যায়।। ওই সব লেখা পড়ার পর আর নিজের লেখা হয়ে উঠেনা। আস্তিকতা, নাস্তিকতা কিংবা ছাগু এটাও খুব পুরোনো বিষয় , তবুও আজ লিখতে হচ্ছে এইটা নিয়ে। আশা করি লেখাটা আমি সবাইকে বুঝাতে পারবো । আমার বুঝিয়ে বলার ক্ষমতা কম । তাই যারা পড়বেন তাদের বলছি। পড়ার সময় একটু ধৈর্য্য নিয়ে পড়বেন।
বর্তমানের প্রচলিত তিনটা শব্দ আস্তিক, নাস্তিক এবং ছাগু। সমমনা ব্যতীত অন্য কারো কাছ থেকে এই উপাধি গুলোর কোনোটা না পেয়ে থাকলে বুঝতে হবে আপনি কথা কম বলেন। আর যদি বলে থাকেন , তাহলে এতোদিনে যে কোনো একটা পেয়ে গেছেন । অবশ্য আস্তিক উপাধিতে কেউ গালি দেয়না। তবে আস্তিক শব্দটা নাস্তিক এর বিপরীত হিসেবে মুখে মুখে চলে এসেছে। তাই আস্তিক শব্দটা নিয়ে কিছু বলার নাই।
আবোল তাবোল - ১৫
# আমি; এবি, আমরা : বাউন্ডুলের জবানবন্দি #
আজকাল এবি তে আসলেই মন ভাল হয়ে যায়। আমি এবি'র খোঁজ পাওয়ার পর থেকেই দেখে আসছি, ভাল লেখা যত টা না চোখে পরে তার চাইতে ঢের বেশি লেখা অদেখাই রয়ে যায়। এর বড় একটা কারন হল ভাল লেখিয়েরা এখন আর লেখতেই চান না, প্রিয় লেখিয়েরা কেবলই হারিয়ে যাওয়াদের দলে নাম লেখিয়ে যান!
তাই বরাবরই আমার একটা আফসোস কাজ করত যে, এবি'র স্বর্ণযুগটা আমার দেখা হল না! ইদানিং সেই আফসোস টা আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছে।
প্রিয় লেখকেরা আবারও ফিরে আসছেন, লগ-ইন করছেন । চমৎকার সব লেখা পর্যন্ত দিচ্ছেন। আর এবি'র নিয়মিত প্রানের বন্ধুরা তো সাথে আছেন প্রতিদিনই।
সব মিলিয়ে প্রায় প্রত্যেকদিনই প্রথম পাতায় জায়গা করে নিচ্ছে অসাধারণ সব লেখা, প্রিয় ব্লগ কে এমন প্রাণচঞ্চল দেখতে কার না ভাল লাগে!
প্রায় মাসখানেক পার হয়ে গেছে, কিছু লিখতে বসা হয় না। বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাবছি, হাবিজাবি একটা কিছু লিখব। লেখা হয় না। আসলে, লেখার সাহস আর উৎসাহ কোনটাই আগের মত পাই না আজকাল।
২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০১৩
সকাল থেকে বসে ছিলাম দুরুদুরু বুকে। ৫ই ফেব্রুয়ারী কি আবার ফিরে আসছে আমাদের বাংলায়? আবার কি ফুঁসে উঠবে সবাই? নাকি হতাশা নিয়ে ফিরে যাবো ঘরে, পরাজিত কুকুরের মত মাথা নীচু করে...
সময় কাটে, বুকের ধুক ধুক শব্দ বাড়তেই থাকে। এমন অপেক্ষা করি নি কখনো। যদিও সকল লজিকাল পথ গিয়ে একটা পথেই মিলছিলো, তবুও চিরদিনের পেসিমিস্ট মন মাথা চাড়া দেয়। যদি কোনো কম্প্রোমাইজ করা হয়, যদি আমাদের আবেগ নিয়ে আবার খেলা হয়...
বাসায় টিকতে না পেরে ছুটে যাই অফিসে, একটা দু'টো ছোট কাজ সেরে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকি ফেসবুকে। একটু পরে পরেই রিফ্রেশ দেই পেজ, অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘতর হ'তে থাকে। অস্থিরতা বেড়েই চলে...
অফিসও অসহ্য লাগতে থাকে। শাহবাগ হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে। অফিস থেকে শাহবাগে চলে যাই। শাহবাগ যেতে যেত মনে পড়ে ৫ তারিখের কথা। সে সময়ের হতাশা, তার পরে সেই হতাশা থেকে আশার সঞ্চার। তবুও মনের আশঙ্কা কমে না। যদি কোন খেলা চলে...
শাহবাগে গিয়ে একে একে দেখা হয় অনেকের সাথেই। সবাই শংকিত, সবার মনেই কি হয় কি হয় ভাব...
ধর্মের নামে ভন্ডামি এবং মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করুন !!!
’৭১ এর পরাজিত শক্তি জামায়াত শিবির এবং তাদের দোসর বিএনপি-বিশেষ করে বিএনপি জামাত ঘরোয়ানা গণমাধ্যম এই আন্দোলনের গায়ে নাস্তিকতার তকমা লাগিয়ে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য মিথ্যা অপবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে যে ’৭১ এর এই ঘাতকরা আন্দোলনকারীদের অন্যতম সহযোদ্ধা আহমেদ রাজীব হায়দারকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর মৃতব্যক্তিকে নিয়ে অপরাজনীতি শুরু করেছে। বিএনপি-জামাতের অভিযোগ প্রয়াত রাজীব হায়দার নাকি ইসলাম ধর্ম, ধর্মীয় অনুশাসন, এবাদত, নামাজ রোজা, হজ্জ যাকাত ইত্যাদি বিষয় এবং মহানবী(সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ লেখালেখি করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশের ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞদের অভিমত শাহবাগের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ’৭১ এর পরাজিত শক্তি প্রয়াত রাজীবের নামে ভূয়া একাউন্ট খুলে তার নামে ইসলাম বিরোধী রচনাবলী পোষ্ট করেছে। তর্কের খাতিয়ে যদি ধরেও নেওয়া হয় যে, প্রয়াত রাজীব হায়দার একজন ইসলাম বিরোধী ব্লগার। তারপরও কোন সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে একজন মৃতব্যক্তিকে মুরদাত ঘোষণা করা ইসলাম অনুমোদন করে কিনা- কোরআন-হা
প্রজন্মের যুদ্ধ - গর্জে ওঠা শানিত কণ্ঠস্বর!
সময়ের অভাবে ব্লগে লেখা কমে গেছে অনেক, তার উপর শাহবাগ কিছুটা সময় কেড়ে নেওয়াতে লেখা আরও হয়ে ওঠে না। প্রজন্ম চত্বরের অভিজ্ঞতার কথাগুলো লেখা হয়নি এতদিনেও। লিখতে গেলে মনে হত এ তো সবারই জানা কথা! এই সময়ে সবাই কম বেশী শাহবগের বাসিন্দা, মানুষজন দেখি নিয়মিত লেখে। বেশীর ভাগই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জামাত শিবির নিষিদ্ধকরন, প্রজন্ম চত্বর নিয়েই লেখা! পড়তে পড়তে মনে হয় আমার না লেখা কথাগুলো তো লোকজন লিখে ফেলেছে, আমি আর কি লিখবো! তবুও আজ মনে হল নিজের কিছু অনুভূতির কথা অন্তত লিখে রাখি।
দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও
প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সুবাদে সুদূর জাপানে বসেও বাংলাদেশের সমসাময়িক ঘটনাবলী সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। যদিও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া প্রায়শই দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সংবাদ প্রচার করে থাকে। বাংলাদেশের অধিকাংশ গণমাধ্যম নিরপেক্ষ খবর প্রচার করতে পারে না দলীয় আনুগত্যের কারণে। তারপরও সকল গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর দেখলে একটা বাস্তব চিত্র বিশ্লেষণ করার প্রয়াস পাওয়া যেতে পারে। ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তারিখে বাংলাদেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত শিরোনাম হলোঃ “সিলেটে শহীদ মিনারে হামলা-ভাঙ্চুর, গুলি”, “চট্টগ্রামে গণজাগরণ মঞ্চে হামলা”, “হামলায় ১৭ জন সাংবাদিক আহত”, “দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা, নিহত ৪” – (দৈনিক প্রথম আলো)। “উত্তাল সারাদেশ” “কুচক্রী মহলের ফাঁদে পা দিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষ ও সাধারণ মুসল্লীদেরকেও প্রতিপক্ষ বানানো শুভকর হবে না” “তৌহিদী জনতার আড়ালে জামায়াতে শিবিরের হামলা” “যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির এক দাবিসহ জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ফের প্রকম্পিত শাহবাগ চত্বর”, “ইসলাম ও মহানবী (সা.) অবমাননা প্রতিবাদে গর্জে উঠছে চট্টগ্রাম” (দৈনিক ইনকিলাব)। “সি
আজকের জামাতে ইসলামী শিবির ও সমমনা ১২ দলের নগ্ন হামলা কর্মকান্ড ও জাতীর বিবেকের কাছে কিছু প্রশ্ন ।
আজ সারাদেশে জামাতে ইসলামী , শিবির আর তাদের সমমনা ১২ ইসলামী দল যে ভেলকি দেখালো তাতে কি তারা তাদের অস্তিত্বের প্রমান দিল নাকি শক্তির জানান দিল ?
শহীদ মিনার ভাঙ্গা , জাতীয় পতাকা পোড়া , সাংবাদিক , পুলিশ , সাধারন মানুষের উপর হামলা , জাতীয় মসজিদে আগুন দেয়া সহ গনজাগরনের মন্চ গুলো ভাঙ্গা সহ কি করেনি তারা ? এর থেকে বড় দেশদ্রোহী কর্মকান্ড আর কি হতে পারে?
আজ ধিক্কার তাদের যারা জামাতে ইসলামী আর শিবিরের সাথে তাদের একাত্বতা প্রকাশ করেছে তাদের ।
তবে এতে অবাক হবার কি আছে ? এটা তো এদের কাজ । ধর্ম হল তাদের রুটি রুজি । আর আমাদের সাধারন জনগন হল এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের বলির পাঠা । কিন্তু এই মানুষ গুলো কি মূর্খ ? কোনটা ভাল কোনটা মন্দ তা কি তারা বোঝেনা ? ধর্মকে পুজি করে সাধারন মানুষ নিয়ে খেলছে এই ইসলামী দল গুলো । আর এই ধর্মান্ধ মানুষ গুলো তাদের পিছনে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত ছুটছে ।
চিলে কান নিছে বলছে হুজুরে,
আনতে পারলে কান,
যাইবো জান্নাতে ।
জামায়াত আর শিবির বড় নাস্তিক।
যে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে সে আস্তিক আর যে না রাখে সে নাস্তিক , তাই না ? নাকি যে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে আর তার কথা মেনে চলে সে আস্তিক ? জামায়াত আর শিবির কি করে ? ধর্ম কে ঢাল করে রাজনিতী , মানুষ খুন , জিহাদের নাম এ মানুষ হত্যা , ওরা কি জানে আল্লাহ তার বান্দাদের কি করতে বলেছেন আর কি করতে বলেনি ? বিদায় হজ্বের ভাষন কি ওরা ভুলে গেছে ?
সব ভুলে গেছে ওরা জামায়াত আর শিবিরের আল্লাহ হল গোলাম আজম আর নবী হল সাইদি,মুজাহিদ,কাদের মোল্লা । কারন জামায়াত আর শিবির আমাদের আল্লাহ,মহানবী(স:) আমাদের পবিত্র কুরআন শরীফ কোনোটাই মেনে চলেনা তাদের রাজনৈতিক গুরু যাদের তারা তাদের আল্লাহ মানে তাদের কথা তারা মেনে চলে । তাহলে ভেবে দেখুন জামায়াত আর শিবিরের থেকে বড় নাস্তিক কোথাও আছে কি ? যেসব জামায়াত আর শিবিরের নাস্তিক রা এ পোস্ট টা দেখবেন তাদের জন্য আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) এর বিদায় হজ্বের ভাষন টি নিচে তুলে ধরলাম। কোনো কমেন্টর করার আগে একবার পরবেন।
¤ বিদায় হজ্বে আরাফার মাঠে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ঐতিহাসিক সেই ভাষনের কিছু অংশঃ
কিছু জিজ্ঞাসা
কর্মকান্ড ১: নতুন প্রজন্ম ১৭ দিন টানা বিক্ষোভ সমাবেশ করলো , কিন্তু কোনো সহিংসতা হলোনা। একটি বারের জন্যও অরাজকতার সৃষ্টি হলোনা। লাখো মানুষের জমায়েত , স্লোগান কিন্তু হলোনা কোনো ক্ষয়ক্ষতি।
ফলাফল: এটা নাস্তিকদের আন্দোলন। এরা ইসলাম এর শত্রু। এদেরকে রুখে দিতে হবে।
কর্মকান্ড ২: তথাকথিত মুসলিমরা আজ শাহবাগের আন্দোলনের প্রতিবাদে মিছিল বের করেছিলো। শুরুতেই পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, বোমা নিক্ষেপ । কয়েকশত মানুষের জমায়েত , স্লোগানের সাথে সাথে হলো আক্রমন প্রতিআক্রমণ , জ্বললো জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম আর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
ফলাফল: এটা ইসলামের আন্দোলন। এরা ইসলাম এর প্রতিষ্ঠা চায়।
জিজ্ঞাসা : হিংস্রতা ইসলামের কোথায় আছে? মসজিদ জ্বালিয়ে ইসলাম কিভাবে প্রতিষ্ঠা পাবে? ইসলাম শান্তির ধর্ম ; তাহলে এই অশান্তি সৃষ্টিকারীরা কোন হাদিসের আলোকে ইসলাম এর পক্ষে? ইসলাম ধর্মের ক্ষতি কে বেশি করলো , শাহবাগের তরুনরা নাকি আজকের প্রতিবাদকারীরা?
বিশ্লেষণ :যে ঘুমিয়ে থাকে তাকে জাগানো যায় , কিন্তু যে জেগে ঘুমায় তাকে কিভাবে জাগায়?
নেড়া কয়বার বেলতলায় যায়?
১. ছাত্রলীগ দাঙ্গাদারী ও কামড়াকামড়ির জন্য বিখ্যাত। এই সরকারের আমলে তা বার বার প্রমাণিত হয়েছে। এদের উপর জনগনের কোন শ্রদ্ধা তো নেইই তারা ওদের ঘৃণা করে। ছাত্রলীগের নেতাকে তাই মঞ্চে তোলাটাকে সমর্থন করি না। কিন্তু তার মানে এই না যে ভাবছি আন্দোলন দলীয় কিংবা আন্দোলন থেকে সমর্থন তুলে নেয়া উচিৎ। কারণ এখানে আরো বেশ কিছু ছাত্র সংগঠনের নেতা মঞ্চে উঠেছিল। এই আন্দোলনকে সমর্থন দানের একতিয়ার নিশ্চই তারা রাখেন। কিছু কিছু পেজের 'ছাত্রলীগ নেতাকে দেখে সমর্থন তুলে নিলাম' টাইপের স্ট্যাটাসকে তাই একরকম তংচঙ্গতা মনে করি। তারা মূল স্প্রিট থেকে বিচ্যুত। বরং সকল জাতীয় দলের সমর্থন থাকা উচিৎ শাহবাগ আন্দোলনে।
প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন এবং জামায়াত শিবিরের অপপ্রচার
আজকের (১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩) দৈনিক ইনকিলাবের ইন্টারনেট সংস্করণে “ফুঁসে উঠেছে তৌহিদী জনতা” শিরোনামের রিপোর্টটি পড়লাম। রিপোর্টটির মূল বক্তব্য হচ্ছে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলাম, আমাদের প্রিয় নবী (সাং), ইসলামী অনুশাসন ইত্যাদির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছে। শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের ইসলামের শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। জামায়াত শিবির এবং বিএনপি যখন রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলনকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, তখন তারা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশের নিরপেক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদেরকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি শাহবাগের আন্দোলনের সাথে ধর্মের কোন বিরোধিতা নেই। ইসলাম আমাদের প্রাণের ধর্ম। বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলমান খুবই খোদাভীরু, ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যেই আমাদের বেড়ে ওঠা। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে ধর্মীয় অনুভূতির সাথে সাংঘর্ষিক কোন বক্তৃতা বা বিবৃতি দেয়া হয়নি। আপনারা একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন, গত দুই সপ্তাহ যাবৎ কোনপ্রকার অঘটন ছাড়াই শাহবাগের আন্দোলন এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে হাতে হাত ক