Reply to comment
ggggg
গত এক দশকে বিশ্বে মুসলিমবিদ্বেষ বেড়েছে। এয়ারপোর্টে সিক্যুরিটি ক্লিয়ারেন্সে দাঁড়িয়ে দুটি কারণে মেজাজ খারাপ হয়, প্রথমত বেশীর ভাগ এয়ারপোর্ট এখন নন-স্মোকিং, একবার সিক্যুরিটি ক্লিয়ারেন্স অতিক্রম করলে আয়েশ করে ধুমপানের কোনো সুযোগ নেই। দ্বিতীয়টা সিক্যুরিটি চেক আপ। পাসপোর্ট হাতে নিয়ে লাইনে দাঁড়াও, একের পর এক বাঁক অতিক্রম করে অবশেষে জুতা খুলো, তারপর স্ক্যানারের সামনে দুই পা ৩০ ডিগ্রী ফাঁকা করে হাত দুটো মাথার উপরে তুলে দাঁড়াও, একবার এই দিকে তাকাও, আরেক বার অন্যদিকে, ল্যাপটপ, মানিব্যাগ, পকেটের সবকিছু দেখে শেষ করার পর দুর্ভাগা হলে বায়োলজিক্যাল হ্যাজার্ড চেক আপ। শরীর ঘাঁটাঘাঁটি করার সময় নিরাপত্তাকর্মকর্তা নরম সুরে বলবে আমি তোমার পাছের ওখানে নাড়বে তবে তখন আমি হাতের তালুর উল্টোদিক ব্যবহার করবো। দুই পায়ের মাঝখানেও একই রকম অবস্থা। তোমার শরীরে স্পর্শ্বকাতর কোনো জায়গা থাকলে জানাও।
" অপরিচিত একজন আমার সমস্ত শরীরে হাত দিচ্ছে ভাবনাটাই আমার জন্যে অসস্তিকর।" কিন্তু এটা এয়ারপোর্ট সিক্যুরিটি কর্মকর্তাকে বলা যাবে না। শার্টের হাতা, প্যান্টের পকেট, ব্যাগের প্রতিটা খুচরা কাগজ, সবকিছু দেখে নিশ্চিত হওয়ার পর, ঠিক আছে তুমি যেতে পারো। এরপর মেজাজ ঠান্ডা করার জন্যে সিগারেট টানার উপায় নাই, সেটা করতে হলে আবার বাইরে যেতে হবে, আবার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটা নতুন করে শুরু হবে।
হিন্দু-খ্রীষ্টান-বৌদ্ধ- ইহুদি-বাহাই-জৈন-শয়তান উপাসক এরা কেউই সম্ভবত এয়ারপোর্টের তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্ঠনীর ভেতরে এত বেশী নিরীক্ষার ভেতর দিয়ে যায় না। নামের ভিতিতে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের আলাদা করে জঙ্গীবাদী চিহ্নিত করা, তাদের জন্যে বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহন করা, সীমান্তে এবং বিমানবন্দরে প্রায় সম্পূর্ণ শরীর নেড়েচেড়ে নিশ্চিত হওয়া মানুষটা একটু পরেই আত্মঘাতী হামলা চালাবে না, তাকে নিরাপত্তাবেষ্ঠনী অতিক্রম করতে দেওয়া যায়।
এমন নিরাপত্তাচৌকির সামনে অপেক্ষা করতে করতে আমার মাথায় উদ্ভট সব ভাবনা তৈরী হয়। কোনো না কোনো নিয়ম মেনে যন্ত্র কাজ করে। কোন নিয়মটা যন্ত্র মেনে চলছে সেটা জানা থাকলে যন্ত্রকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব। রাডারকে ফাঁকি দিয়ে উড়তে পারা যুদ্ধ বিমান তৈরী হয়েছে, তল্লাশি চালানো যন্ত্রগুলোকে ফাঁকি দেওয়ার প্রাযুক্তিক দক্ষতা আমাদের কাছে আছে, তবে সাধারণ মানুষ সেসব প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রক্রিয়া জানে না, কিংবা এখনও সেসব প্রযুক্তি সস্তায় সহজলভ্য হয়ে উঠে নি।
তবে সবচেয়ে ভয়ংকর হলো এয়ারপোর্টে নিরাপত্তাতল্লাশী কঠোর হলেও বাস ট্রেন ব্যবহার করতে তেমন নিরাপত্তা তল্লাশীর ভেতর দিয়ে যেতে হয় না। ট্রেন স্টেশনে কিছুটা কড়াকড়ি থাকলেও বাসে ওঠার জন্যে এমন নিরাপত্তা বেষ্ঠনী নেই। কেউ যদি কোনো মতে তেমন