ইউজার লগইন

জেবীন'এর ব্লগ

"কালো বরফ" এর মোহাবিষ্টতা

অনেকদিন বাদে হওয়া বৃষ্টির কালে মাটি থেকে ওঠা সেই মাদকতাময় সোঁদাগন্ধ, কিবা না শুকানো মেহেদী লাগানো হাত থেকে আসা সুবাস, কিবা কারুর লম্বা আঙ্গুলের নখ নিয়ে খেলা করার উদ্গ্রবাসনা– ভালো লাগার এই ছোট্ট ছোট্ট বোধগুলো অব্যক্তই রয়ে যায়, হয়তো খুব মনলাগা কারুর সাথেই কেবল এই ছোট্ট ছোট অনুভূতিগুলো ভাগাভাগি করে ফেলি, নয়তো রয়েই যায় মনের গহীনে একদমই না বলা হয়ে। হুড়মুড় করে কতো কি মনে পড়ছে, আরো কত নানান তালগোলের ভাবনায় পড়ে গেছি বইটা পড়তে পড়তে।উপহারে পাওয়া বই, তাতে আবার শুভকামনায় কবিতার লাইন উদ্ধৃত করা –“নদীর মতন ভালোবাসা আছে জানি, তবু কেন ভালোবাসা মরে যায় হেমন্ত,বৈশাখে?”

বেশ আগে পড়েছিলাম,”ভালো বই তাই যা চিন্তার খোরাক জোগায়, পারিপার্শ্বিকতার সাথে নিজের সম্পৃক্ততাকে অনুভব করায়, কেবল পড়ার জন্যেই পড়া নয়,মূহুর্তগুলো ছুয়েঁ রয়ে যায়” – সত্যিকার অর্থে মাহমুদুল হক – এর লেখা ‘কালো বরফ’ তেমনি একটা বই। কালোত্তীর্নই বলতে চাই বইটাকে। নইলে সেই কবে ২১-৩০ আগস্ট, ১৯৭৭ সালে লেখা এই বই কি ভীষন রকমের আধুনিক!

"অগনন কুসুমের দেশে, নীল বা নীলাভ গোলাপের অভাবের মতন তোমার অভাব অনুভব করি!"

ঢাকা শহরে সাধ-সাধ্যের মাঝে শান্তি মতোন বাড়ি খুজেঁ পাওয়াই তো দুষ্কর। দক্ষিনা বারান্দা থাকে তো, রান্নাঘরের জানালা রইবে ঘুপচি মতোন, কিবা কমন স্পেস নয়তো শোবার ঘরের মাঝেই ইয়া চওড়া এক পিলার! তবে সাধ্যের মাঝে এই ছোট্ট ফ্ল্যাটটা বেশ ভালোই বলা চলে, হাওয়া-বাতাস চলাচল করে বেশ। সবচেয়ে ভালো কথা হলো একটা পাশে এখনো দালানকোঠা ওঠেনি তাই পুরোটাই ফাকাঁ বলতে গেলে। ঘরগুছানো রিমি’র পছন্দের কাজগুলোর একটা, কর্তব্যের খাতিরে নয়, ছোট্টবেলা থেকে পুতুলের ঘর-ঘর খেলার মতোই যেন আদর নিয়ে সংসারের খুটিনাটি কাজ করে ফেলে, এই করতে করতে আগামীকালের অফিস-ঘর দুইয়েই কাজের প্ল্যান সাজিয়ে ফেলে মনে মনে, কিবা কল্পনাপ্রবন মন পরতে পরতে করে নেয় স্বপ্নে্র বুনন। রান্নাঘরের গ্রীলের আগল গলে শরীর জুড়ানো বাতাস আসছে, ক্লান্তি দূর করে দেয়ার মতোই। কিন্তু আজকের সারাদিনের ধকলের কারনে কিচ্ছুতেই কিছু হচ্ছে না। ঘরদোর পরিষ্কার করে, কখন রান্নাটা শেষ করে সব গুছিয়ে তুলবে তবেই শান্তি। বুয়া সকালে কুটে বেছে না রেখে গেলে আজ রান্নাও বসাতো না, এখন সপ্তাহের রান্না করে তা ভাগে ভাগে ফ্রিজে তুলে সব গুছিয়ে তুলবে তবেই শান্তি।

পড়ানোর মুড়ি, ছড়ানোর মুড়ি ...

আলোর খেলা, কথার খেলা কোনটাতেই পারঙ্গম না, তাই এই নিয়ে আলোচনাতে মেতে উঠার প্রশ্নই আসে না কারুর সাথে, তায় আবার ইন্টারনেটে আড্ডা অচেনা লোকের সাথে! নির্দিষ্ট গন্ডি ছাড়া অচল আমি’র কাছে তখন আন্তর্জালে বন্ধু পাতানো অচিন্তনীয় বিষয়ই! আর সেই “এ,এস, এল প্লিজ” লেখাটা দেখলেই কথা বলার ইচ্ছে উবে যেত, তাই ঘাপটি মেরেই পড়ে থাকা কখন ভাইবোনরা অনলাইন হবে, তবেই আড্ডা হবে – এর অপেক্ষা করা। না চিনতাম ব্লগ, না আর কিছু।

হুদাহুদাই (৭)

বন্ধুদের সাথের যেকোন ট্যুর নিদেন পক্ষে আড্ডাও প্রান ভরে উপভোগ করি! যত সামান্যই কিছু হোক না কেন, একসাথে কাটানো সময়টা কাজ করে ক্লান্তি দূরকারী ঔষধের মতোন, প্রানের উচ্ছ্বাস, কাজের আগ্রহ অকারনেই ফিরে পাই। আমার বন্ধুভাগ্য দারুন! খুব খুবই বিরল ক্ষেত্র ছাড়া আমার কাছেধারে যারাই আসেন প্রত্যেকেই এককথায় চমৎকার মানুষ, তা দেশে কিবা বিদেশেই হোক না কেন। সিডনীতে থাকাকালীন স্বল্পসময়েও আমার ভালো সংখ্যকই বন্ধু জুটেছে, এর মাঝে গ্রেসিটা, মাইকেল, তারান, শাহেদ এদের সাথে তো দিনমান চলতে হতো।

স্ট্যাটিস্টিকস ক্লাশে পাগলা এক টিচার ছিলো, প্রবাবিলিটি বুঝাতে গিয়ে রীতিমত গেম্বলিং এর রোলেট নিয়ে আসতো! এই সময়ে নানান কথায় যখন জানতে পারলো যে কখন যাইনি আগে, মাইকেল কথা দিলো যে ও নিয়ে যাবে সিডনীর সবচেয়ে বড় ক্যাসিনোতে!

স্টার ক্যাসিনো, ডার্লিং হারবার ঘেষে অবস্থান নেয়া অনেক অনেক বিনোদন মূলক সেন্টারের কাছেই আছে সুবিশাল এই বিখ্যাত ক্যাসিনো। প্ল্যান করার সময় যতজন আসার কথা, ইউনুভার্সাল থার্ডহ্যান্ড দেখায়ে অনেকেই এলো না শেষমেষ। ৪/৫জনের দল নিয়েই শুরু হলো আমাদের “সিডনী ডে আউট”।

শুভ জন্মদিন


শুভ জন্মদিন সুপ্রিয় জন্মভূমি।

গড়পড়তা দেশগুলোর মতোন স্বাধীনতা দিবসেই যেমন সেগুলোর অধিবাসীদের নিজের হয়ে যায় দেশটা আমাদের তা হয়নি, অনেক কষ্টের মূহুর্ত পার করে তবেই পেয়েছি বিজয়, নিজের দেশ, বাংলাদেশ। বীর বাঙ্গালী স্বাধীনতা ঘোষনা দিয়ে লড়াই করে তবেই পেয়েছে স্বদেশ, তাই স্বাধীনতা দিবসই আমাদের মাতৃভূমির জন্মদিন নয় কি!

ধন ধান্য পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা,
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা,
ও’সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরী সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সেযে আমার জন্মভূমি,
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।

অনেক কঠিন মূহুর্তেও চোখে পানি আসে না, কিন্তু অহেতুকই গলা বুজেঁ এসে চোখ ভিজে উঠে যতবারই শুনি গানটা। অদ্ভুত লাগে ধনধান্যে না ভরা থাকুক, উলটো চুরি-ছ্যাচড়ামি-মিথ্যুকের আখড়া হলেও সব ছাপিয়ে বুকভরা ভালবাসা, আত্মার টান আর কিছুতেই যে লাগে না। যতখানেই যেভাবেই থাকুক সবার নাড়িঁ পোতা যেন এখানেই, উপেক্ষার যো নেই এই অনুভবটাকে। এই দেশ নিয়ে গর্বের শেষ কি আছে কোন বাঙ্গালীরই।

চিরকুট

কত কি ঘটে যায় আশেপাশে, জীবনের হাজারো সেসব টুকিটাকির হিসেব রাখার জো নাই কারুর। তারপরও কিছু কিছু মূহুর্ত, কিছু উপলব্ধি জানাতে ইচ্ছে হয় সবারই, অনুভূতি ভাগাভাগিতে তার মাত্রাটা বাড়েই, আগে যেটা হরহামেশাই করে ফেলতাম আমরা। এই সব লেখার কারনে নানান বিষয়ে জানতে পারছি (ভাল-মন্দ সব রকমেরই), সচেতন হচ্ছি, সর্বোপরি আন্তর্জালের মাধ্যমে পাওয়া বন্ধুগুলোকে কিন্তু কাছে এনে দিয়েছে এই লেখাগুলোই, সেগুলো সবটাতেই যে আমাদের ঐক্যমত থাকে তা নয়। ইদানিংকালের ব্যস্ততা, বিষয়ভিত্তিক লেখাতেই মনোনিবেশ, আলসেমি, লিখে কি হবে, ইচ্ছে না হওয়া – ইত্যাকার কত কি কারন এসে বাধাঁ দেয়া সেই “মন যাহা চায় তাই লিখে ফেলি” ভাবটার সতস্ফুর্ততায়। হরেক কারন থাকুক না হয়, তারপরও দিনভর আমরা কত কি দেখছি, জানছি, ভাবছি, সেসব টুকে রাখার মতোন কিবা একেবারেই গোনায় না ধরা বিষয়গুলো লাগে যে লিপিবদ্ধই না হয় থাকুক। সামান্য সেসব থেকেই না হয় কেউ না কেউ জানবো আমরা সামান্যতমই কিছু। অন্যকে এই জানানোতেও কিন্তু রয়ে যায় ভালবাসা, সে নিজের জন্যে হোক কিবা বন্ধুদের জন্যেই। তাই কবির ভাষায় বলি সকলকে,

অনেক ভালোবাসি তোমায়, একটু ভালোবাসো

র‌্যাগিং নামের নোংরামি বন্ধ হোক!

র‌্যাগিং নিয়ে যুগে যুগেই নানান কেচ্ছা-কাহিনী প্রচলিত। সিনিয়ররা নবীনবরন নামের গালভরা শব্দের আড়ালে জুনিয়রদের নিয়ে যথেচ্ছা যন্ত্রনা দিয়ে থাকে, যা কিনা র‌্যাগিং নামেই পরিচিত। সেসবের কোনটাই ভিক্টটিমের জন্যে সুখকর কিছু নয়। শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই ইউনিভার্সিটি/একাডেমী ছেড়ে দেয়া এমনকি আত্মহত্যা করতে যাওয়ার পর্যায়েও চলে যায় এইসব র‌্যাগিং এ আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা। দুষ্টুমি করা/মজা করা আর নির্যাতন করার মাঝে একটা সীমারেখা আছে র‌্যাগিং এ মত্ত কিছুসব নোংরা উন্মত্তরা ভুলে যায়!

এতোদিন ছেলেদের হলগুলোতে র‌্যাগিং এর কথা শুনে আসছি আমরা, মেয়েদের হলগুলোতে এক্সট্রিম পর্যায়ের কিছু সামনে আসেনি, কিবা আমার অজ্ঞতার কারনেই জানতে পারিনি। আজ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহানারা হলের র‌্যাগিংএর কথা শুনে হতবাক না কষ্ট লাগছে, কি করে হয় এত্তো নোংরা মানষিকতার মানুষ যারা কিনা সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থী, যারা কিনা মায়াময়ী/কোমলমতি নারী!

ফেসবুকে শেয়ার করা লেখাটা পড়ুন, তারপর ভাবুন এরা কারা

পদ্মারপারে পিকনিক২০১৩

পিকনিকের জন্যে সব্বারই মন আকুপাকু করছিলো। কতদিন একে ওকে দেখি না, নতুন নতুন লোকজন চিনি না, জোট বেধেঁ গল্প করা, বিশেষ কাউরে পচাঁনি দেয়া, কিবা কুটচালি করি্ না, আহ! কত্তোদিন। বছরব্যাপি প্রচুর ঘ্যানঘ্যান চলার পরও, ন’মন ঘি রেডি থাকার পরও রাধার নাচ কেউ দেখতে পায় না আই মিন পিকিনিকের ব্যবস্থা হয় না! আসলে এমন তো হতেই পারে না যে, যেখানে আমি নাই আর আমায় ছাড়া মজা করবে বাকি সব্বাই! এই জন্যেই কেউ পিকনিক করে নাই গেলো দু’বছর! হে জনগন, তোমাদের এইসব ভাঙ্গা জংপড়া হৃদয়ের ভালুবাসার পাকে পড়ে হাবুডুবু খাওয়ার ব্যাপারটা বড়ই গবেষনার বিষয়, আপাতত সেই কাজে আপাতত না যাই।

ফেসবুকের রকমফের

‘সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং’ শব্দটা বতর্মানে বহুল প্রচলিত শব্দ, আর ‘ফেসবুক’ সেতো আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা সকলেরই মুখস্ত!বন্ধুত্বের মানেটাই পালটে গেছে ফেসবুকে এসে। আমার চেনাজানা, যার সাথে দেখাসাক্ষাত ঘটে প্রায়ই,আলাপচারিতায় মেতে উঠতে ভনিতা লাগে না, যার সান্নিধ্য উপভোগ্য লাগে সেই না আমার বন্ধু। কিন্তু ফেসবুকে কেবল এড করা হয়েছে বলে কতশতজন এসে জুড়ে যাচ্ছে আমার বন্ধু তালিকায়, তাদের সাথে আমার দু’দন্ড কথাও হচ্ছে না, তাদের কি হলো না হলো তার কোন পরোয়াই নেই আমার, কিন্তু আমার একাউন্টের বন্ধু তালিকায় তাদের নাম জ্বলজ্বল করে! ভেবেই পাই না একজন মানুষের হাজারে হাজারে বন্ধু হয় কি করে! এমনি করে চললে তো বন্ধু আর চিনপরিচিতের মাঝে পার্থক্যই বুঝাতে পারবো না নতুন প্রজন্মকে!

লে হালুয়া! ... সামলা!

বিদেশযাত্রী একবন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বিদেশ গিয়া করবি কি হে!"
তার সহাস্য উত্তর “ভাতের হোটেল খুলুম! এদ্দিন মেসে নিজে বানায়ে যা খাইছি না খাইছি তাই ঘুটা দিয়া সাজায়ে সার্ভ করলেই কেল্লাফতে!”

তার হোটেল চলবে কি না চলবে তাতে আস্থা না থাকলেও আমাদের নারু’র যে ভাতের হোটেল ব্যাবসায় ভবিষ্যত জ্বলজ্বলে উজ্জ্বল তা নিশ্চিত বলা চলে। তার হোটেল প্রথমে সার্ভ করা হবে তার নিজের করা কড়া পাকের এপিটাইজার! (এইখানে বুঝে নেন ওর লেখা ইংরেজী কবিতা) তার স্বাদ গ্রাহককে কনফিউসড করে দিতে পারবে চোখবুজেঁই! আপনি ধন্দে পড়বেন যে, জিনিসটা আসলে খারাপ নাকি খুবই আনকমন রকমের ভালোকিছু! যেই আপনি অন্ট্রেতে যাবেন আসবে এমন কমন ধাচেঁর কিছু। (প্যানপ্যানানিই বলতে পারেন) কিন্তু সেই অখাদ্য জাতীয় ব্যাপারটা আপনি নিজেই স্বীকার করবেন না, ভাবতে বাধ্য হবেন যেহেতু আমি প্রথমটা নিয়ে কনফিউসড আছি, হয়তো এইটাতে কিছু লুক্কায়িত স্বাদ আছেই যা আমি বুঝে উঠতে পারিনি! এরপরই নারু বাজিমাত করে দিবে! মনকে আনন্দে ভরিয়ে দেয়ার মতোন দিলখুশ ডেসার্ট! এর মজাতে আপনি তাতে এত্তোই চমকিত হবেন যে ভুলেই যাবেন কিছু আগে কিসব আস্বাদন করেছেন

কিছু ভুল রঙের ফুল ফুটে আছে রাজপথে, কিছু মিথ্যে কথার রঙ আমাদের হৃদয়ে ...

kashful.jpg

শরৎকে বলা চলে শুভ্রতার আরেক রুপ! নদীর তীর ধরে সাদা কাশের অপরুপ রাশি সারিসারি, আকাশে কাশফুলের মতোন গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা মেঘের ভেলা, এই বৃষ্টি ঝরছে অঝোরধারায় আবার ঝলমল করে হেসে উঠছে চারিদিক, মেঘ-বৃষ্টি-রোদের এই আলোছায়ার খেলার মাঝেই হঠাৎ হঠাৎই দেখা দেয় দিগন্ত জোড়া সাতরঙ্গা রংধনু, দোলনচাপাঁর মন আবেশ করা সুবাস, শিউলীর মৌ মৌ করা গন্ধের সাথে তার সিদুঁরলাল-সাদা পবিত্র রুপরাজি, মাতাল করা স্নিগ্ধ জ্যোৎস্না – সব মিলিয়েই এই তো শরৎ।

মুস্তফা মনোয়ার বলেছিলেন,

“শরৎ হচ্ছে চমৎকার মেঘের ঋতু, স্পষ্টতার ঋতু। কেননা শরতের আকাশ থাকে ঝকঝকে পরিষ্কার। নীল আকাশের মাঝে টুকরো টুকরো সাদা মেঘ যেন ভেসে বেড়ায়। গ্রামের বধূ যেমন মাটি লেপন করে নিজ গৃহকে নিপুণ করে তোলে, তেমনি শরৎকাল প্রকৃতিকে সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়”।

হুদাহুদাই(৬)

লীনা’পুকে দেখি না অনেকদিন ব্লগে! এমন না যে উনি লিখছেন না, দূর্দান্ত লিখে যাচ্ছেন, সেদিন তো এক প্রতিযোগীতায় পুরষ্কারও পেলেন লেখার জন্যে। কিন্তু ব্লগে উনার লেখা নাই। ফেসবুকে বইপড়ুয়া গ্রুপটাতে দারুন সব আলোচনা হয়। মানুষ কত্তো পড়ে, তায় আবার জীবনের খুটিঁনাটির সাথে তার মিলটাও খুজেঁ নেন, তুলে ধরেন মতামত। ভালোলাগার দারুন সব ব্যাপারস্যাপার। তেমনি একআলাপে লীনা’পু কাকে যেন বলছিলেন যে, ব্লগটা অনেক ডিমান্ডিং, নিয়মিত ব্লগ পড়তে হয় মূলধারার সাথে তাল পাবার নিমিত্তে, আবার যখন লেখা দেও, তাতে পাঠকের প্রতিক্রিয়া দেখো, তায় আবার উত্তর জানাও – একেরপর এক লেগেই থাকতে হয়, এতে করে অনেকটা সময় নিয়ে যায় ব্লগ, নতুন কিছু ভাবনারই অন্তরায় লাগে তা। হুবহু এই কথাই বলেনি উনি, তবে মূলকথা এই ধাচেঁরই। কামালভাইও বেশ আগে এমনি করেই বলে লেখা কমিয়ে দিয়েছিলেন! এইভাবে লেখা বন্ধ করা খুব খারাপ লেগেছে। আরো অনেকেই আছেন এমন, নাম নিয়ে বলছি না আর। হ্যা, হয়তো বুঝেশুনে উত্তর-প্রত্যুত্তর দিতে পারি না, কিন্তু ভালোলাগার মানুষগুলার সবার লেখা পড়ি, তাদের অনেক মিস করি

দিবস ধরে না, মা ভালোবাসি, ভালোবাসবো, ভালোবাসছি জন্মাবধি ...

শবেবরাত খুব করে মানি, ছোটকাল থেকেই যত্ন করে নামায-কোরান পড়তাম। সাধারনত শীতকালেই শবেবরাত হতো। খুব হিম থাকলেও গোসল করে নামায পড়তাম পাল্লা দিয়ে ভাইবোনেরা, কে কতদূর কোরানশরীফ পড়বো তাও ঠিক করতাম, একজন ঝিমানো শুরু করলে অন্যে গিয়ে চা বানিয়ে এনে ঘুম তাড়াতাম। মন মতোন সব হলে, পরেরদিন অন্যরকম এক মজা পেতাম, সারা বছরের জন্যে বরাতে অবশ্যই ভালোকিছু হবে ভেবে! ভবিষ্যতের চিন্তা কি ধীরে ধীরে ছেড়ে দিয়েছিলাম, নয়তো ইদানিং আগের মতোন সেই উদ্যোমে শবেবরাত পালন করি না কেন যে। অন্যকিছুর জন্যে একটুও আফসোস নাই, কিন্তু গত প্রায় দু’বছর সে এক ভীষন না পাওয়া এই ভাবনাটা এনে দিয়েছে, কোন পাপে আল্লাহ বরাতে এই শাস্তি দিলেন!

কানপাশা

.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।।।.।.।।।।।।।.।.।।।।।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।।।।।.।।।

.।.।..।।।।।।।।।।.।.।।।.।.।.।.।.।।।.।.।.।.।.।.।।।।।।।.।।.।.।।।.।।।।।।।।.।.।.।.।.।।

images.jpg

.।.।।.।।।।।।।.।.।।।।।।।.।।।।।।।।।।।।।.।।।।।.।.।।।।..।।.।।।।।।।.।।।.।।।।।.।।.।।।।

।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।.।।।।।।.।।.।.।.।।.।।।।।।।।।।।।।।.।।।।।।।।।।।।।।।.।।.।।।

.।।।.।।।.।।।.।।।.।।।.।।।.।।।.।।।।।।।।।।।।।।।.।।.।।।।।।.।।।।।.।।।।।.।।।.।।.।।.।।.।।।।।

নজর না কাড়া তোমাতেই নাকি আমায় বেশি মানায়!
একান ওকান হয়ে সবখান থেকেই শুনতে পাই,
আহামরি সবকিছুতেই থাকি স্বাচ্ছন্দ্যহীন
বোধকরি তাই হয়ে গেছে অভ্যস্ততা তোমাতেই।

হতবাক হয়ে স্মৃতি হাতঁড়েও পাইনা সে দিনক্ষন
কি করে কবেই বা এসে ছিলে এতোটা কাছে

একাকীকথণ (৪)

টুউউ! টুউউ! ...