ইউজার লগইন

প্রণব আচার্য্য'এর ব্লগ

বুদ্ধম স্মরণম গচ্ছামি

[যে আমারে চিরদিন রাখিলো এ অপমানে অন্ধকারে
পূজিবো না, পূজিবো না সে দেবতারে]

প্রত্যেক অস্ত্রের পেছনে এক একজন মেন্ডেলা থাকে
লাঠি হাতে লেংটি পড়া গান্ধিও। তাই পৃথিবী জুড়ে দূরবর্তী
মানুষগুলো ভাতের বদলে বাবলা পাতা রেধে খায়।

করমচাঁদের মহাত্মা হবার দায় মেটাতে হয়নি কাকে?
হিন্দু হয়নি বাস্তুচ্যুত? ভাঙ্গেনি মসজিদ? শিখের তলোয়ারে
রক্তের দাগ এখনো কি মুছে গেছে? নুন আন্দোলনে মুছে গেছে সব?

অথচ আপনারা গান্ধী পুজা করেন; ছাগলের দুধ খান
যৌণতার ব্লিজার্ডে কিশোরীর নির্ঘূম রাত কাটে
আপনারা হাত তালি দেন, জিন্নার টুপির নিচে বস্তুবাদের
চেতনা কে মুছে দিয়েছে? কে বলবে সাহস করে, আমি মানুষ;
মানুষের পৃথিবীতে মানুষই বাঁচবে; শুধু মুসলমানের
হাতে জল খেলেই জগতের সকল প্রাণী সুখী হয় না।

আনন্দের মতো করে আরেক বার পৃথিবী বলুক-
যে মানব আমি সে মানব তুমি কন্যা
সেই বারি পবিত্র যা তৃপ্ত করে তৃষিতেরে

--------------------------------------------------

(খসড়া গদ্য)

শপথ

কথা দিচ্ছি শবযাত্রার মতো সুবেশ আর পরিপাটি জীবনে
ফিরে যাবো। যত ক্ষত, যত ঘৃণা উগড়ে দেবো গাঢ়শূন্যতায়;
আর নয় আপসের মতো নম্রতার মেঘ, অযুত ইশারা ভুলে
যাবো দেখে নিও- আমি তোমার কাছাকাছি কোন অশরীরি
ইজ্জত মানি না। গোরখোদকের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবো প্রেম

দিনের আভাস নিয়ে দিনে দিনে ভুলে যাবো ঋণ আছে, ঋণ আছে
আমার যা কিছু দেখা সবইতো তোমার দ্বিধা, যত উচ্চারণ বৃষ্টিময়
সবইতো শপথ তোমার। ফিরে যাবো; দেখো, ঠিক ফিরে যাবো।

তন্দ্রার নগরে

তন্দ্রার ভেতরে স্তুপাকৃত তোমার নগর; সারি সারি রুগ্ন দেবদারু
ফুটপাথে বিছানো সঙ্গমরাত- আমি হেঁটে যাচ্ছি, হেঁটে যাচ্ছি-
চলে যাচ্ছি গোধূলি বৈভবে। অদৃষ্টের উপেক্ষার পরেও নিস্তব্ধতা থাকে।
রাত্রির পতঙ্গে চুমু খাবো, আকাশ থেকে লাল বারুদের ষড়যন্ত্র
নেমে আসলে। তোমার তন্দ্রার নগরে শীতার্ত গারগেল হবো দেখে নিও।

শিশ্নবাদী সন্ধ্যায়

একদা সন্ধ্যায় চুল ছেড়ে হেটেছিলে;
আর সেই সুখে প্রবীণ আনন্দে
অন্ধকারে হেসে উঠেছিলেন প্রসন্ন শিশ্নবাদী;

ক্ষয়ের রোগ নিয়ে মহার্ঘ চুলে
এলোমেলো মিশে যাচ্ছেন তিনি ...
বিপন্ন শাড়ির কাছা ধরে তরতর করে উঠে যাচ্ছেন
সত্যসাক্ষী লেজ ভাঙ্গা টিকটিকি; -- ভোগ;

আর দ্বিধা-নমিত মুখে ক্রোধ ঢেলে দিলে বৈধ
শয্যাসঙ্গী নিমেশই মুছে যেও অদৃশ্য অঙ্গীকারে
অথবা কেশগুচ্ছে জ্বেলে দিও ‘না’ এর প্রবল শিখা

কয়েকটি পাখির ডাক ও অন্যান্য

আজ রাতে কয়েকটি পাখির ডাক শোনা যাবে তোমাদের তেমাথায়। সেখানে একটি গর্তের ভেতরে লুকানো রয়েছে আধেক গোধূলী রঙ। আজ রাতে গোধূলী দেখবেন যাঁরা, তাঁদের স্মৃতিমালা রক্ষিত হবে প্রতি শতকের রৌদ্রতম দিনে। অধরা, অদৃশ্য হ্যাঙ্গারে ঝুলে আছি - আমায় শুষে নেবে শীতল আলখেল্লার গভীর কালো রঙ। নিঃশব্দে।।

ধেয়ে আস নেমে আস

ধেয়ে আস স্বপ্নে অস্বপ্নে
জলবিন্দুর মতো বিশাল স্রোতে
তোমার জন্য গাওয়া যে গান
তার সুরে বেজে ওঠো
নেচে চলো নিবিড় ছন্দে

তুমি আকাশে ভাসালে আগুন গুচ্ছ
ফুল হয়ে ফুটে ওঠে মৃত্তিকা সকল।

নেমে আস ধেয়ে আস
দেখ, শৈশব থেকে কি দীর্ঘ পরিভ্রমণ
পায়ে পায়ে একা একা ...
আটাশটি বালিকার ঋতু-রক্তস্রোতের গভীর অনুপ্রাস,
হে শব্দবিন্দু, আমার নৈঃশব্দ্য বোঝ

ধেয়ে আস নেমে আস
নেচে চলো নিবিড় ছন্দে