আহা সৈদি বাদশাহর নাতি-
You shall not covet your neighbor’s house; you shall not covet your neighbor’s wife, or male or female slave, or ox, or donkey, or anything that belongs to your neighbor
মুসার ঈশ্বরের শেষ নির্দেশ। বিখ্যাত টেন কমান্ডমেন্টসের শেষ কমান্ডমেন্ট এটা। ভাষ্যটাকে সরল বাংলায় বললে বলা যায়-
হে মানব সম্প্রদায় তোমার পরের সম্পদের দিকে বদ নজর দিবে না, তাদের গৃহ কিংবা স্ত্রী ভোগ করিবে না, প্রতিবেশীর নারী কিংবা পুরুষ দাস ভোগ করিবে না, প্রতিবেশীর গবাদি পশু কিংবা অন্য যেকোনো বস্তু যা তোমার প্রতিবেশীর, সে সম্পদ কামনা করিবে না।
হিন্দি সিরিয়ালে ধারাবাহিক ভাবে পরকীয়ার বিভিন্ন পরিণতি দেখানো হচ্ছে সপ্তাহের ৫ দিন, মানুষ দেখছে, পরকীয়াকে ঘৃণা করছে এবং তীব্র উৎসাহে পরকীয়া করছে। । বাংলাদেশের প্রধানতম মানসিক সমস্যা ও সংকটের কারণ পরকীয়া। বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কের কারণেই অধিকাংশ মানুষ মানসিক চিকিৎসকের সহায়তা চায়। বাংলাদেশের মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ৮০ শতাংশ মানুষ বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কের কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছে।
যৌনহতাশা কিংবা যৌন অবসাদে ভোগা বীর বাঙ্গালী একজন পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে খুন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছে গতকাল। তবে পরকীয়া-স্বকীয়ার তুলনায় ভিন্নতর আলোচনার সুযোগ আছে এই টেন কমান্ডমেন্টসে।
নারীবাদিদের অভিযোগ ধর্মমূলত পৌরুষের প্রতইফলন, বিশ্বের সকল ধর্মই নারীবিদ্বেষী এবং নারীর প্রতি সহিংস। তারা পুরুষের যৌনতাকে উপভোগ্য করতে এবং নারীর যৌনস্বাধীনতা হরণ করতে চায়। তবে লুতের ইশ্বর এবং মুসার ইশ্বর একই। তিনি সমকামীতা পছন্দ করেন না। সমকামী বিদ্বেষী মুসার ইশ্বর নিশ্চিত ভাবেই নারীকে যৌন স্বাধীনতা দিতে প্রতিবেশীর দাসদের প্রতি কামার্ত হতে নিষেধ করেন নি, বরং এখানে প্রতিবেশীও পুরুষ এবং পুরুষেরই সম্পদ সংগ্রহের ও সম্পদ পরিচালনার অধিকার রয়েছে। । ।
সুতরাং মুসার ঈশ্বর যিনি লুতের শহর ধ্বংস করলেন সমকামীতার অভিযোগে, সেই ইশ্বরই মুসাকে দিয়ে প্রত্যাদেশ পাঠালেন- হে মানব সম্প্রদায় তোমরা প্রতিবেশীর দাসেদের প্রতি কামার্ত হয়ে উঠো না, বরং নিজের দাসেদের ভোগ করে, প্রতিবেশীর দাস প্রতিবেশী ভোগ করলেও কোনো ক্ষতি নেই। ।
সমকামী বিদ্বেষী ধার্মিক সম্প্রদায় যদি এভাবে ভাবতো তাহলে সৈদি আরবে হয়তো সমকামীতার অভিযোগে কাউকে প্রকাশ্য ফাঁসী দেওয়া হতো না।
এখন সৈদি বাদশাহর নাতির কি ফাঁষি হপে?
যদি ২০ বছর পর সৈদি আরবের পরিস্থিতি না বদলায় আর যদি তখনও তার দেশে ফিরবার আগ্রহ থাকে তাহলে ফাঁসী হবে, ইসলামিক আইনে পেছনের দরজা বৈধ কিন্তু দাস কিংবা পুরুষের পেছনের দরজা বৈধ না।
আমার মনে হয় এই পাবলিকের জন্য এইটা শাস্তি না বরং স্বর্গযাত্রার মতো বিষয়।, জেলের গালগল্প শুনলে সে ৬৪টা দাঁত বের করে জেলে যাবে। ।
আপনে এইটারে প্রধান সমস্যা হিসাবে চিহ্ণিত কইরা ফেললেন? ৮০ শতাংশের হিসাবটা কি কোন সার্ভের রিপোর্ট? তো এই কথা অনুযায়ী পরকীয়া না কইরা স্বামী/স্ত্রীর একে অপরের প্রতি ১০০% লয়্যাল থাকলেই মানসিক হাসপাতালের ৮০% রুগী কইমা যাবে। জাজমেন্টাল লাগল অনেক।
এইটা কোনো সিদ্ধান্তমূলক অবস্থান নেওয়া বলা যাবে না। । বাংলাদেশের মানুষ সাইক্রয়াটিস্টের কাছে কিংবা মনোরোগবিশারোদের কাছে যায় না, এখনও এই মানসিক রোগ বিশারদগণ পাগলের চিকিৎসক হিসেবে চিহ্নিত বাংলাদেশে। সেখানে যারা আসছে চিকিৎসা সেবা নিতে, তাদের ৮০% যখন বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কের পীড়ণে অবসাদগ্রস্ত হচ্ছেন তখন মানতে হবে এই সমস্যাটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
প্রচন্ড রাগী এবং হিংস্র একজন মানুষ, যাকে হয়তো অন্য যেকোনো দেশেই ভায়োলেন্ট ডিপ্রেডশড হিসেবে নিয়মিত ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে রাখা হবে এবং নিয়মিত তাকে কাউন্সিলিং করে সমাজে কিভাবে চলতে হয় শেখানো হবে সেই মানুষটা বাংলাদেশের পুরুষ হলে তার এই ব্যধির চিকিৎসা হবে না, লোকজন বলবে ওর রাগটা একটু বেশী, মেরে খুন করে ফেলবার অপরাধগুলোও এমন কোমল ভাবনায় ডাক্তারের কাছে রিপোর্টেড হয় না, সেই দেশে এই পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অন্য রকম।
আমি ঠিকঠাক বুঝি নাই। সৌদি আর বাংলাদেশ, পরকীয়া আর সমকামিতা সব এক সাথে এক জায়গায়
'...বিশ্বের সকল ধর্মই নারীবিদ্বেষী এবং নারীর প্রতি সহিংস। তারা পুরুষের যৌনতাকে উপভোগ্য করতে এবং নারীর যৌনস্বাধীনতা হরণ করতে চায়।...' তীব্র মন্তব্য্।
হুমমম
চুপচাপ পড়ে গেলাম।
মন্তব্য করুন