ইউজার লগইন

গণজাগরণ মঞ্চের নতুন কর্মসূচী ও আমার ভাবনা

গণজাগরণ মঞ্চ থেকে নতুন কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়েছে! বিচার ও জামাত শিবির নিষিদ্ধের দাবী নিয়ে আগামী ৩১ মার্চ যাচ্ছি জাতীয় সংসদে এবং ৪ এপ্রিল যাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে! মিছিল করে, স্লোগান দিয়ে যাবো আমরা! এই কর্মসূচীর প্রতি আমার সমর্থন আছে!

আমি কখনই জাগরণ মঞ্চের কোন কর্মসূচীকে ছোট করে দেখার সাহস করি নাই! বরং মনে হইসে, মঞ্চের কর্মসূচী গুলোর সাথে থাকতে হবে আমাকে এবং সবাইকে! কর্মসূচী গুলোর মূল শক্তিটা আসলে এইখানেই, মানে জনগনই মূল শক্তি! এই শক্তিই পারে আমাদের দাবী গুলো পূরণ করাতে!

আজকের কর্মসূচী শুনে হয়তো অনেকে হতাশ/অসন্তুষ্ট বা আরেকটু কঠোর কর্মসূচী আশা করছিলেন, তাদের কে বলবো, হতাশ হবেন না দয়া করে! বর্তমান অবস্থা চিন্তা করে এর থেকে কঠিন কোন কর্মসূচী দেয়া হয়তো ঠিক হবেনা মনে করেছে মঞ্চ! "এই কর্মসূচী দিয়ে কিছু হবেনা", এই টাইপ কথা না বলে থাকুন আন্দোলনের সাথে! চলুন মিছিল করে সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাই! মিছিলে স্লোগান ধরি জোরে! আমাদের দাবী গুলো যেহেতু সরকারের কাছে করা, আসুন জোর স্লোগানের মাধ্যমে আমাদের দাবী গুলোর আওয়াজ সরকারের কর্তা-ব্যক্তিদের কানে পৌঁছে দেই! মনে রাখবেন স্লোগানে আপনার গলার আওয়াজটি না থাকা মানেই আন্দোলনের শক্তি কমে যাওয়া! আমি আমার যায়গাটি ছাড়বনা, অনুরোধ থাকলো আপ্নিও ছাড়বেন না দয়া করে!

এই গন-স্লোগানের মাধ্যমেই ৫ ফেব্রুয়ারী তৈরি হয়েছিলো, গন-স্লোগানের মাধ্যমেই বাংলাদেশ আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবীতে এতটা সক্রিয়! সরকার বিভিন্ন টাল-বাহানা করে হয়তো আমাদের দাবী গুলো এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করবে, সরকার চেষ্টা করুক, আমরা অন্তত এই দিকটায় সরকার কে সফল হতে দিবো না! আমাদের দাবী সরকার কে মানতেই হবে এবং আমরা মনে করি সরকার আমাদের দাবী গুলো মেনে নিবেন!

আজ যখন গণজাগরণ মঞ্চের প্রধান মুখপাত্র ইমরান ভাই কর্মসূচী ঘোষনা করছিলেন তখন হতাশ হয়ে কিছু আন্দোলনকারী বিক্ষোব প্রকাশ করেছেন যা আমার কাছে পসিটিভ সাইনই মনে হয়েছে! মঞ্চকে জানতে হবে যে, আন্দোলনকারীরা আরো কঠোর কর্মসূচী চায় মঞ্চ থেকে এবং সেই কর্মসূচীর জন্য আমরা প্রস্তুত! মঞ্চকেও বুঝতে হবে যে আমাদের মধ্যে কতটা ক্ষোব জমে আছে! সরকার আমাদের "পাত্তা" দিচ্ছেনা এমনটা বুঝে আমরা চুপ থাকবোনা, এইটা মঞ্চকে বুঝতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে মঞ্চকে, কর্মসূচী দিতে হবে মঞ্চকে! একই সাথে আরেকটি পসিটিভ দিক হলো, জাগরণ মঞ্চ ব্যাপারটা সাথে সাথেই বুঝতে পেরে বিক্ষোবকারীদের জানিয়ে দিয়েছেন যে মঞ্চ কঠোর কর্মসূচী দেয়ার ব্যাপারেই আগাচ্ছে! যদি সরকার আমাদের দাবীগুলোকে এড়িয়ে যেতেই চান তাহলে আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা জাগরণ মঞ্চ থেকে আসবেই!

গণজাগরণ মঞ্চ আমাদের তৈরি, এই মঞ্চ আমাদের কথাই বলছে এবং বলবে! ৫ তারিখ যেই যুদ্ধ শুরু করেছি আমরা তা এবার শেষ করেই ছাড়বো!

এই লড়াই বাঁচার লড়াই, এই লড়াইয়ে জিততে হবে!

জয় বাংলা! জয় প্রজন্ম!

পোস্টটি ২৩ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

জ্যোতি's picture


গণজাগরণ মঞ্চের সাথে আমরা আছি, থাকবো পূর্ণ সমর্থন নিয়ে । কিন্তু যারা অনশনে বসলো আমরা তাদের পাশেও আছি, থাকবো । সবারই কি উচিত না তাদের পূর্ণ সমর্থন দেওয়া!!! দাবী তো একটাই ।

রন's picture


সমর্থন আছে। রুমী স্কোয়াড মঞ্চের কর্মসূচীর সাথে একমত থেকেই এই সম্পূরক কর্মসূচী টা দিয়েছে কারন আমাদের সবার দাবী আসলেই একটা!

টুটুল's picture


Rasel Pervez:

চুড়ান্ত সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর গণজাগরণ মঞ্চ থেকে কি ঘোষণা আসবে আজকে সেটা নিয়ে দুপুরে আলাপ করছিলাম কয়েকজন মিলে।

ইমরানের সরাসরি সরকার বিরোধী কোনো বক্তব্য দেওয়ার সাহস নেই, নিজের পদ এবং ইজ্জত বাঁচাতে এবং আওয়ামী লীগের একাংশের কাছে ব্রাত্য হয়ে যাওয়া ইমরান পরশু দিন একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলো গণজাগরণ মঞ্চের অগণতান্ত্রিকতার অবসান ঘটবে, এখন থেকে গণজাগরণ মঞ্চ এখানে উপস্থিত সংস্কৃতি গোষ্ঠীগুলোর সাথে আলোচনা করবে, তাদের মতামত এবং চাহিদা বিবেচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

আন্দোলনের প্রথম সপ্তাহে বিক্ষুব্ধ জনগণের অপ্রকাশিত ক্ষোভের প্রতিকার হিসেবে কাদের মোল্লার রায়ে সরকারী আঁতাতের সম্ভবনা খুঁজে পেয়েছিলো অনেকে, সেটা প্রতিরোধ করতে প্রতিবাদে রাস্তায় নামা জনগণদের নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাবার ঔদ্ধত্ব ইমরান এইচ সরকার এবং তার আশেপাশের মানুষেরা দেখিয়েছে,

দাবী নয় বরং জনগণ তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে এমন একটা ভ্রান্তি তাদের ছিলো, সে ভ্রান্তি থেকে তারা দেশব্যাপী মানুষদের বিভিন্ন রকম আহ্বান জানিয়েছে, একটা পর্যায় পর্যন্ত ব্যাপক জনসমর্থন তাদের ছিলো কিন্তু নিজেদের খুব দ্রুতই তারা অগ্রহনযোগ্য প্রমাণ করতে পেরেছিলো ফলে ফেব্রুয়ারীর ২২ তারিখ থেকেই গণজাগরণ মঞ্চ মৃতপ্রায়।

সরকার জামাত বিএনপি ঠেকানোর অভিলাষে গত ১ মাস এই গণজাগরণের লাশ ঠেলেছে, সে লাশের সৎকার হলে হতাশ জনগণ সরকারের প্রতি ক্ষোভ পুষে রেখেই নিজেদের ঘরে ফিরেযাবে, পরবর্তী কোনো আহ্বানে তারা আর মাঠে কিংবা রাজপথে আসবে না। এটুকু নিশ্চিত করতেই সম্ভবত সরকার তার সকল মেধা এবং গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানদের ব্যবহার করেছে। সরকার সফল ভাবে একটা গণজাগরণ সম্ভবনা হত্যা করতে পেরেছে।

কিন্তু মার্চের গত ৩ সপ্তাহে আন্দলনের লাশ ঠেলাঠেলির লড়াইয়ে ইমরান নিজেই আওয়ামী লীগের একাংশের কাছে অগ্রহনযোগ্য হয়ে যায়, ফলে তার পরিত্রান চাওয়ার কামনা কিংবা তার নিরাপত্তাহীনতার প্রকাশ এই গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠার ব্যক্ত প্রতিশ্রুতির ভেতরে ফুটে ওঠে। জনগণের প্রত্যাশা উপলব্ধি করতে না পারা কিংবা নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থে বৃহত্তর জনগণের সাথে প্রতারণা করার রাজনৈতিক প্রবনতা ইমরানের আছে, সেটুকু মাথায় রেখে আমরা আলোচনায় গণজাগরণ মঞ্চের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছিলাম।

উপস্থিত সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সমাবেশ শুরুর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলো তারা কঠোর কর্মসূচি বলতে ঘেরাও এর কর্মসূচিই বুঝছে, তারা শক্ত পদক্ষেপ হিসেবে মৌন প্রতিবাদী মিছিল, ক্ষোভের প্রকাশ হিসেবে প্রকাশ্য বিক্ষোভ চায় যেখানে তারা নিজেদের ক্ষোভের প্রকাশ উপলব্ধি করতে পারবে। ইমরান এইচ সরকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলের মতো একটা কর্মসূচি ঘোষনা করবে না কি আমরা স্মারক লিপি দিয়ে আসবো এমন ঘোষণা দিবে সেটার প্রতীক্ষায় থাকার সময় আমরা নিশ্চিত ছিলাম তারা স্মারকলিপি প্রেমপত্র ঘোষণার দিকেই যাবে।

মঞ্চের সামনে বীরাঙ্গনা, পেছনে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তারা স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত জানিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে গেলো তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। এখানে উপস্থিত মানুষেরা কেউই মুক্তিযোদ্ধাদের কিংবা বীরাঙ্গনাদের সামনে অশোভন ভাষা ব্যবহার করবে না।

ইমরান গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েও নিজের রাজনৈতিক দূবৃত্ত্বপনার বাইরে আসতে পারে নি। গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠা মানে গণের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো। আমরা অতি কঠোর ভাষায় ভর্ৎসনা করে প্রধানমন্ত্রীকে শক্ত বকুনি দিয়ে একটা স্মারকলিপি দিবো এমনটা আসলে ক্ষোভের স্পষ্ট প্রকাশ নয়।

গণতন্ত্র মানে গণদাবী গণআকাঙ্খাকে ধারণ করে তাদের সাথে চলা। বাচ্চুর বগলের গন্ধ শুঁকে হিতাহিত বাহ্যজ্ঞানশূণ্য হয়ে গণদাবীর বাইরে গিয়ে একটা ঘোষনা দিয়ে সেটার প্রতিবাদ কেনো হচ্ছে এমন হাহাকার অশোভন স্বৈরতান্ত্রিকতা।
আমি গণতান্ত্রিক গণজাগরণ মঞ্চ চাই, সমবেত দাবীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে তারা ৪ তারিখের কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনুক নইলে তারা অক্ষমতা মেনে নিয়ে জনগণের কাতারে নেমে আন্দোলনের সাথে থাকুক, এর চেয়ে বেশী কিছু দাবী করি না।

সরকারের গরিমসির স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই আমরা।

কি বুঝলা Smile

জ্যোতি's picture


একমত

রন's picture


ইমরান ভাইয়ের অবস্থানে না দাড়ায়ে অনেক কিছুই আসলে বলা যায়, যা শুনতে ভাল লাগে অনেকের কাছে তবে আমি মনে করি, ওই অবস্থানটা এতটা সহজ নয়, চাইলেই অনেক কিছু ইমরান ভাই নিজেও করতে পারেন না বইলাই আমার মনে হয়! যার লেখাটা কোট করেছেন তার কি মনে হয়না যে উভয় দিক থেকেই মঞ্চ তথা ইমরান ভাই প্রেসারে আছেন? আমার তো মনে হয় অবশ্যই আছেন!

কর্মসূচী কে ছোট করে না দেখে চলুন ৩১ মার্চ ও ৪ এপ্রিলের মিছিলে! ১৭ লক্ষ স্বাক্ষর গণজাগরণ মঞ্চ সংগ্রহ করেছে, ১৭ হাজার মানুষ যদি আগামী দুই কর্মসূচীতে উপস্থিত হন, মিছিল করি আমার তো মনে হয়না সরকার আমাদের দাবী গুলো এড়িয়ে যেতে পারবেন! কঠোর কর্মসূচী শুধু চাইলেই হয়না, তা পালনের দিক টাও খেয়াল রাখা উচিৎ!

এ টি এম কাদের's picture


বেশি কিছু বুঝিনি । মনে হচ্ছে শাহাবাগে ভাংগনের আগুন লাগি লাগি করছে । আন্দোলনের মূল ইস্যুকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া হলে, তা হবে দেশ ও জাতির প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা । এটা হওয়া উচিৎ না ।

রন's picture


কিছু মতবিরোধ হচ্ছে হয়তো! আশা করি খুব দ্রুত তা মিটে যাবে, আন্দোলনের বৃহৎ স্বার্থে! শাহবাগে এক হয়েই সবাইকে লড়াই করতে হবে!

জ্যোতি's picture


ইমরান গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েও নিজের রাজনৈতিক দূবৃত্ত্বপনার বাইরে আসতে পারে নি। গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠা মানে গণের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো। আমরা অতি কঠোর ভাষায় ভর্ৎসনা করে প্রধানমন্ত্রীকে শক্ত বকুনি দিয়ে একটা স্মারকলিপি দিবো এমনটা আসলে ক্ষোভের স্পষ্ট প্রকাশ নয়।

রন's picture


ইমরান ভাইকে নিয়ে যা বলা হয়েছে লেখায়, তার কোনই ভিত্তি আমি দেখিনা! আমাদের কর্মসূচী গুলোও কিন্তু ধীরে ধীরে কঠোর হচ্ছে, সামনে আরো হবে! কাল খুব স্পষ্ট ভাবেই ইমরান ভাই সরকারের সমালোচনা করেছেন যা কাউকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার খুব একটা প্রয়োজন নাই। কেউ যদি ওই বক্তব্য গুলো এড়িয়ে যান, সেইটা অব্যশই দুঃখজনক!

১০

টুটুল's picture


রনি... আগের স্মারক লিপের আপডের কি?

১১

টুটুল's picture


স্মারক লিপের = স্মারকলিপি'র

১২

রন's picture


কোনই আপডেট নাই Sad

১৩

আরাফাত শান্ত's picture


জনতার সংগ্রাম চলবেই

১৪

তানবীরা's picture


এই লড়াই বাঁচার লড়াই, এই লড়াইয়ে জিততে হবে!

জয় বাংলা! জয় প্রজন্ম!

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

রন's picture

নিজের সম্পর্কে

কি কমু?