ভন্ড ভালবাসা ২
ভন্ড ভালবাসা ২য় খন্ড
কযেকদিন আগে এটার প্রথম পর্ব লিখেছিলাম শেষ কি সেটা বাকি ছিল।আজ সেটা লিখছি ।মানুষের মন যদি ভাল থাকে দুনিয়া রঙ্গীন মনে হয় সব ভাল লাগে আর যদি কেউ তার মন ভাঙ্গে তাহলে সে জীবিত লাশ ছাড়া আর কিছুই না।
১ম পর্বটি শেষ করছিলাম ছেলেটির কি হবে? কিন্তু আবার আদনান এর ভালবাসা ফিরে আসে। যথারিতি তাদের এফবিতে,মোবাইলে কথা হয়। দুজন দুজনকে এত বেশি ভালবাসে মনে হয় দুনিয়াতে তাদের মত ভালবাসা আর নাই।যদিও সে জানে আগে তার সাথে কি হয়েছিল কিন্তু সত্যি তাকে ভালবেসেছিল বলে আবার নুতন করে স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে চায়।আবার কয়েকদিন ভাল চলছিলো কিন্তু আবার আদনানের মনে হল কেমন যেন। তাই সে মেয়েটির এফবি আইডিতে ঢুকে।মেয়েটি সবার সাথে কেমন যেন কথা বলতো। কেউ যদি জিঞ্জেস করতো তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে মেয়েটি বলতো না নাই। কেন নাই ? বলতো সময় কোথায় পড়াশুনা অনেক বেশি। তারপর অাদনান মেয়েটিকে কিছু বলে না। আস্তে আস্তে কেমন যেন হয়ে যায়।আদনান অসুস্থ হয়ে পরে।মেয়েটি জানতো আদনান অসুস্থ । তারপরও কেমন যেন তার আচরন ছিল। আদনান বুঝতে পারে আবার কি যেন হলো। সে এবার অন্য পথ অবলম্বন করলো। সে চিন্তা করলো মেয়েটির কোন আত্মীয় যারা আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করবে। যেই কথা সেই কাজ। মেয়েটির এক ভাইয়ের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে এবং ফোন করে।তারপর পরিচয় দেয় আদনানের। মেয়েটির কথা জিঞ্জেস করতেই সে বলে আমাদের পরিবারে যদি বাচাল থাকে সে একজন। মানে বুঝতে না পেরে সে জিঞ্জেস করে কেন? তার ভাই বলে ও এমনই। আদনান বলে তাহলে আমার সাথে এমন কেন করবে? তার ভাই বলে ফেইসবুক আর ফোনে প্রেম কখনো বিশ্বাস করবেন না। আর হয়তো আপনার সাথে মজা করছে। আর মেয়েটির স্বামী এবং মেয়ে আছে।আদনান জিঞ্জেস করে ও নাকি মেডিকেলে পড়ে?কিন্তু তার ভাই বলে না শুধু এস,এস,সি পাশ করছে।আদনান শুনে তো হতবাক। কিন্তু সে বুঝতে পারছে মনে হয় তাই।পরে যখন মেয়েটিকে সব বললো তখন সে বলে আমি আমার ভাইকে যা বলতে বলছি তাই বলছে।আর আদনানকে পরীক্ষা করে দেখলো সে সত্যি ভালবাসে কি না।তার স্বামী নাকি তাকে ভালবাসে না খারাপ আচরন করে।আরো অনেক কিছু।আদনান মেযেটির কথা শুনে আরো বেশি ভালবাসতে শুরু করলো কারন মেয়েটি ভালবাসার আশায় আদনানকে ভালবাসছিল।এসবের কারনে আদনানের ভালবাসা আরো বেশি বেড়ে যায়।আদনান চিন্তা করে আমার ভালবাসার মানুষ যেমনই হোক আমি তাকে ভালবাসি। আর বিশ্বাস করে সব কথা।কিছুদিন পরে একটা নম্বর থেকে মিস কল আসে আদনান চিনতো মেয়েটি বলছিল এটা ওর এক দুঃসম্পর্কের ভাই।আদানান ভাবলো কেন কল দিল? তাই সে ফোন করলো ওই নম্বরে।প্রথমেই সে জিঞ্জেস করলো কে আপনি? আদনান বলে আপনি আমাকে মিস দিলেন আর এখন বলে কে? তার পর বললো আমি আপনি যার সাথে কথা বলেন তার স্বামী। আমার নাম নাইম। আদনান বলে আপনি তো ওর ভাই এখন বলেন স্বামী মানে কি? সে বলে আসলেই ও আমার স্ত্রী। আর ওর নাম ইশরাত জাহান ইশা, ফেইসবুকে নাম দেয়া আছে নুশরাত জাহান।ওর বাবা এবং মায়ের নাম সব বললো। সব ঠিক বলছে কিন্তু ওর নাম আর ওর বাবার নাম ভুল ছিল। আদনান ভাবে এক বছর যার সাথ সম্পর্ক তার নামটাও মিথ্যে ছিল?না জানি আর কি আছে ভাগ্যে। আর আদনান সেই লোকটিকে কিভাবে অবিশ্বাস করে।নাইম বলে আমি পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ পরি, রোজা থাকি।এর কথা গুলো মিথ্যে হতে পারে? আদনান সবার কথা সহজে বিশ্বাস করে এটাই সমস্যা। না জানি কি সমস্যা আবার হয়।আদনান মেয়েটিকে প্রশ্ন করলে আবার সে বলে ওর ভাই সব মিথ্যা বলছে। আদনান আসলেই পাগল হয়ে যাবে। এইরকম যার সাথে হবে সবাই পাগল হবে। আসলে সৎ থাকাটা খুব কঠিন।
চলবে………………
আত্মজীবনীমূলক লেখায় অনেকেই নিজের প্রতি অন্যায় রকমের বায়াসড্ থাকে। আপনার লেখাটা পড়ে সেরকম মনে হয়েছে বলছি না, তবে সবকিছুর পেছনে আপনারও সায় ছিল কিনা সেটা ভেবে দেখার পরামর্শ দিচ্ছি।
আর, সামটাইম উই উইন, সামটাইম উই লার্ন। তাই বলবো, এক জায়গায় আটকে না থেকে মুভ অন করার যথার্থ সময়টা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালান। আগের লেখাটার সঙ্গে এই লেখাটার সময়ের পার্থক্য অনেক। এই দীর্ঘ সময় পরও এক জায়গায় আটকে আছেন দেখে অবাক হলাম।
মন্তব্য করুন