দুধেল প্রহেলিকা
এখনি ঝড় তোলা রাতে জন্ম হয়ে গেলো দুধেল পুষ্করিণীর
টাকি মাছে মাখন রঙ বসলো চেপে
কই মাসের শ্বাস-প্রশ্বাস দুধেল উচ্ছ্বাস
চিংড়িগুলো একেক করে দেখে গেলো
শরীর জুড়ে ছোপ লাগলো দুধ আলতার
উঠোন মুড়ে রাঙা বৌয়ের বটি ঝরায় রক্তিম-রস জ্বালা
এমন সময় গোয়াল ঘরে গাভী ডাকলো জাবর কাটলো
ইচ্ছেগুলো দানা বেঁধে তুললো শূন্যে ঝড়।।
নিরব কুজ্ঝটিকা
অদৃশ্য হয়ে গেলে ছাপ এসে পড়ে মনের উপর
লঘু চালে সড়ক-বন্দর পার হতে হয়
কখন যে আমার ফিরতি পথের ট্রেনে যেতে হবে
কুয়াশা মোড়া রাত উদ্দেশ্য অজানার জন্ম দেয়
তখনই পাঁচিল ঘেরা ভূ-খন্ডে গুটি পায়ে
নেমে আসে চিরায়িত সে মানবী তার ক্ষীণ-কটি
তবে আঁধার লালিমায় শোনা যায় না কন্ঠ কূজন
সে নাকি জলের ঝর্ণাকে টেনে নিয়ে এসেছিল
অলিগলি পার হয়ে রাজপথের মধ্য মুকুটে।
ভাল লাগল। রাজপথের মধ্য মুকুটে ঝরনা লাইনটা পড়ে ঢাকার রাস্তার ঝরনাগুলি চোখে ভাসছে।
একটু বোঝায় ভুল হচ্ছে, টাকি হলোমাখন রংগা,আর বউ কাটছে মাছ। ভালই তো ছিল সুখময় আরম্ভ শেষে কেন এই বিষাদ।
আপনাকে ধন্যবাদ সামছা আকিদা জাহান। মনে হচ্ছে, আপনি অন্তর্নিহিত অনুভবটুকু বেশ ধরতে পেরেছেন প্রথম কবিতার। সুখময় আরম্ভটাকেই বিষাদ সৃষ্টির দায় নিতে হচ্ছে যে!
আপনার বোধের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
পড়লাম
আপনি নিয়মিত পাঠক, তানবীরা। নিয়মিত পাঠকের প্রতি রইলো অসংখ্য ভালবাসা
মন্তব্য করুন