ইউজার লগইন

মিশু'এর ব্লগ

পাকিস্তানী সেনা অফিসারদের কন্ঠেই গণহত্যার সাক্ষ্য

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানী সেনা অফিসারদের বিভিন্ন সময়ের কথা বার্তায় উঠে এসেছে তাদের অপরাধের সত্যতার প্রমাণ, তারা কিভাবে পরিকল্পিতভাবে এই দেশে গণহত্যা চালিয়েছে সেসকল তথ্য।
হামিদুর রহমান কমিশনের কাছে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজ আহমেদ খান তার সাক্ষ্যতে বলে, "জেনারেল নিয়াজি ঠাকুরগাঁও এবং বগুড়াতে আমার ইউনিট পরিদর্শনে এসে আমাদের কাছে জানতে চান, আমরা কি পরিমাণ হিন্দু হত্যা করেছি। মে মাসে একটি লিখিত নির্দেশ আসে হিন্দুদের হত্যা করার জন্য। এই নির্দেশ ২৩ ব্রিগেড এর ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহ মালিক প্রেরণ করেছিলেন।"
ব্রিগেডিয়ার পাকিস্তানী অপর এক সেনা কর্মকর্তা তার এক বিবৃতিতে বলেছিলো, অফিসারদের খুশী করতে পাকিস্তানী সেনাসদস্যরা পাখির মতন গুলি করে বাঙ্গালীদের হত্যা করতো। সে আরো বলে ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জেনারেল গুল হোসেন তার কাছে প্রায় জানতে চাইতো সে কি পরিমাণ বাঙ্গালীকে গুলি করেছে।

গোপালপুরের গণহত্যা

shohid-sagor.jpg৫ই মে, ১৯৭১। নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গোপালপুর সদর। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে বাঙ্গালী নিধনের অংশ হিসেবে রাজশাহীতে অবস্থিত সেনা সদর দফতর থেকে স্থল পথ এবং আকাশপথ ব্যবহার করে সেনা পাঠানো হয় পাবনা, ঈশ্বরদী এবং নাটোরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে। আধুনিক অস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনী দখল করে নেয় বাঙ্গালীদের ঘাঁটি গোপালপুরের চিনিকল। প্রায় ২০০ চিনিকলের বাঙ্গালী কর্মচারীকে জড়ো করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে।

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার

The-Proclamation-Of-Independence copy.jpg

যে যন্ত্রটি দ্বারা ছাপানো হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
ছবিঃ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি ছাপানো হয় এই যন্ত্রটি দ্বারা।

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে গ্রেপ্তারের আগেই বঙ্গবন্ধু আওয়ামীলীগের ততকালীন নেতাদের আলাদা আলাদাভাবে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে যান। তিনি একাধিক পরিকল্পনা করেছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় পরবর্তীতে। একাধিক পরিকল্পনার কারণ ছিল, কোন একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে যাতে অন্যটি কাজে লাগানো যায়। বঙ্গবন্ধুর সেই নির্দেশনা অনুসারেই

লাশটি উপুর হয়ে পড়েছিল

"অন্যেরা যখন ১৬ই ডিসেম্বর সকালে ছাদে ছাদে পতাকা উড়ায়, গলা ছেড়ে জয় বাংলা ধ্বনিতে বাংলার আকাশ-বাতাস মুখরিত করে, আমি তখন ভাগারে ভাগারে আমার স্বামীর লাশের খোঁজে ব্যস্ত। দমকা হাওয়ায় হারিয়ে যাও সেই প্রিয় মুখটি আর একবার দেখার জন্য সহস্র বন্ধুকের গুলি বুক পেতে নিতে প্রস্তুত। সে সময় কত এলোপাতাড়ি গুলি চলছিলো, কত লোক ১৬ ডিসেম্বরেও গুলি খেয়েছে কিন্তু একটি গুলিও আমাকে স্পর্শ করেনি। আলীম হত্যার সাক্ষী হয়ে থাকবো বলেই হয়তো।"

স্বামী ডাঃ আলীম চৌধুরীর লাশটি এভাবেই খুঁজেছিলেন শ্যামলী চৌধুরী। সেই লাশটি তিনি পেয়েছিলেন ১৮ই ডিসেম্বর। একটি ইটের ভাটায় পড়েছিলো ডাঃ রাব্বি, আলিম চৌধুরী সহ আরো অনেকের লাশ। লাশটি উপুর হয়ে পড়েছিল।

৪৩ বছর পরেও কোমরের ব্যাথায় কষ্ট পান তিনি

"২২শে নভেম্বর দুপুরে হঠাৎ দেখি আমার বাবাকে সাথে করে এক জীপ সৈন্য এসেছে এবং আমাকে খোঁজ করছে। বুঝলাম আমার মুক্ত জীবনের আয়ু আর বেশি নেই। মাকে সালাম করে ওদের সাথে জীপে গিয়ে উঠলাম। জীপে উঠেই এক অসীম সাহস বুঝে এলো। মনের ভেতরে শুধু একটি মুখ ভেসে উঠেছে, তা মুজিবের। একটি মুখ মানুষকে এত শক্তি দিতে পারে তা আগে জানতাম না। মুজিব মানেই তো বাংলা মুখ।"

এরপর সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সালেহ মোস্তফা জামিলকে নিয়ে হাজির করা হয় তেজগাঁও ড্রাম ফ্যাক্টরির একটি তিনতলা বাড়ীতে। নীচ তলায় মেজর সালিকের অফিস এবং দোতলায় তাদের নির্যাতন কক্ষ। তিন তলায় রাখা হতো বন্দীদের। জামিল ভাইকে নিয়ে রাখা হলো এক রান্না ঘরে। সেখানে আগে থেকেই বন্দি ছিলো আরো পাঁচজন। তাদের মধ্যে একজন উনারই বড় ভাই, পাড়ার চায়ের দোকানের কালু, নিউমার্কেটের কাপড়ের ব্যবসায়ী একজন। বাকী দুইজনের একজন চাকমা এবং অন্যজন এক শিশু মুক্তিযোদ্ধা।

জাতিকে মেধাশুন্য করার ভয়ঙ্কর সেই মিশন..

rayerbajar.jpgআমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে রাজনীতি হিসেবে আখ্যা দেয়াকে কোনভাবেই সমর্থন করতে পারি না। একাত্তরের আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল দীর্ঘদিন যাবত বাঙ্গালীর আপন অস্তিত্ব এবং অধিকার আদায়ের আন্দোলনের চুড়ান্ত রূপ যার পিছনের কারিগরের ভূমিকায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু। বাঙ্গালী জাতির মুক্তিসংগ্রামের আন্দোলনকে রাজনৈতিক সীলটা মারার পিছনে জামায়াতীদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা কাজ করেছে। তারা সবসময় চেয়েছে আমাদের ইতিহাস বিকৃত করতে। আর এই বিকৃতির পিছনে কারণ একটিই, একাত্তরে নিজেদের কুকর্মের ইতিহাস লুকানোর অপচেষ্টা।

কিছুটা ভাবনার খোড়াক...

সোবাহান সাহেব, তার স্ত্রী, দুই কন্যা, অবিবাহিত এক শ্যালক, ভাড়াটিয়া বিপত্নীক ভদ্রলোক এবং তার দুই সন্তান, আর ঘরের দুজন কাজের লোক নিয়ে একটি পাগলাটে পরিবার। যে সমাজে ঘরে বিবাহযোগ্যতো দূরের কথা, কন্যা সন্তান থাকলে সে পরিবারের পুত্র সন্তানের বয়স যাই হোক আগে মেয়ের বিয়ে দিতে হবে তার পরেই ছেলের বিয়ে এবং কন্যা সন্তান মানেই যেন এক ধরণের দায়, এমন মতবাদের সমাজে বড় মেয়ে রেখে ছোট মেয়ের বিয়ে দেয়ার মত দৃষ্টান্ত স্থাপণ করে এই পরিবার তাও আবার নব্বইয়ের দশকে। এই সমাজে পুরুষদের যতই বয়স হোক না কেন বিয়ের বাজারে তারা সব সময়ই দামী। অপরদিকে মেয়েদের বয়স বিশ পার হলেই সমাজে তথা আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শুরু হয় কানা ঘুষা। কিন্তু এই পরিবার ব্যতিক্রম, তারা এমনটি ভাবেন না।

শহীদুল ইসলাম লালু

apu_0.jpg

আমাদের ঘরে ঘরে রাজনৈতিক নেতা প্রয়োজন একজন করে......

আমাদের ঘরে ঘরে রাজনৈতিক নেতা প্রয়োজন একজন করে......

কথাটি ক্ষোভের নয়, বাস্তবতা বিবেচনায়। এই দেশে সবকিছুতে রাজনৈতিক মেরুকরণ এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে হয় চুপ চাপ সকল অত্যাচার সহ্য করে যেতে হবে নতুবা প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হতে হবে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে আজ একথা বলতে বাধ্য হলাম।

এলোমেলো কিছু ভাবনা

লম্বা একটা সময় কোন জাতিকে নিজেদের পায়ের তলে রাখতে পারলে সেই অঞ্চলের সবকিছুই বদলে দেয়া সম্ভব। যেমন ব্রিটিশরা বদলে দিয়েছে আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের চিন্তা ভাবনা, আচরণ। শুধু তাই নয়, ব্রিটিশরা ছেড়ে যাবার এত সময় পরেও এখনো আমাদের চিন্তা-ভাবনায় তাদের প্রতি আনুগত্যের ছাপ পাওয়া যায়। ব্রিটিশ শাসনামলে জাহাজে করে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিলেতে যেত সামর্থ্যবান পরিবারের সন্তানরা। সেই থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে একটা বড় অংশ মনে করে বিশ্বের আর যে কোন দেশের চেয়ে যুক্তরাজ্যেই সবচেয়ে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। দেশের বাহিরে যারা থাকেন, তাদের মধ্যে ইংল্যান্ডে থাকলেই তারা অনেক কিছু। বাকী সবদেশেই যারা থাকেন তারা সবাই শ্রমিক শ্রেণীর লোকজন। এই যে শ্রেণীভেদ মানসিকতা, এটাও আমরা ব্রিটিশদের কাছ থেকেই পেয়েছি। অবশ্য, তার আগে আরো বেশীই ছিল। এটা নিয়ে মতপার্থক্য আছে বেশ। অনেকের ধারণা, ব্রিটিশদের আগে যেই ধরণের শাসনব্যবস্থা ছিল আ

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তির উক্তি

বঙ্গবন্ধু

"শেখ মুজিব দৈহিকভাবেই মহাকায় ছিলেন, সাধারণ বাঙালির থেকে অনেক উচুঁতে ছিলো তার মাথাটি, সহজেই চোখে পড়তো তার উচ্চতা। একাত্তরে বাংলাদেশকে তিনিই আলোড়িত-বিস্ফোরিত করে চলেছিলেন, আর তার পাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে যাচ্ছিল তার সমকালীন এবং প্রাক্তন সকল বঙ্গীয় রাজনীতিবিদ।

জনগণকে ভুল পথেও নিয়ে যাওয়া যায়; হিটলার মুসোলিনির মতো একনায়কেরাও জনগণকে দাবানলে, প্লাবনে, অগ্নিগিরিতে পরিণত করেছিলো, যার পরিণতি হয়েছিলো ভয়াবহ। তারা জনগণকে উন্মাদ আর মগজহীন প্রাণীতে পরিণত করেছিলো। একাত্তরের মার্চে শেখ মুজিব সৃষ্টি করেছিলো শুভ দাবানল, শুভ প্লাবন, শুভ আগ্নেয়গিরি, নতুনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালি মুসলমানকে, যার ফলে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম।"
--হুমায়ুন আজাদ

একজন কারিগর

বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে হাজারো ইতিহাস। এক সাগর পরিমাণ রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার ইতিহাস। সবার নাম হয়তো লিখা নেই ইতিহাসের পাতায়, তবুও কি তাদের অবদান অস্বীকার করা যায়?

কারিগর

দেখছিলাম, টেলিফিল্ম "কারিগর"। আর্টফিল্ম বলে শুরুর দিকে বেশ ধীরগতির কারণে একটু বিরক্ত লাগছিলো। তবুও, ধৈর্য্য নিয়ে বসে থাকি মূল কাহিনীর অপেক্ষায়। মূলকাহিনী খুব বেশী কিছুনা আবার অনেক কিছু। একগ্রামে ছিলেন একজন "ওস্তাকার" যাকে সবাই "কারিগর" বলে ডাকতো। গ্রামের ছেলেদের খৎনা করানো ছিল তার পারিবারিক পেশা। তাই, বাচ্চা ছেলেরা তাকে দূর থেকে দেখলে ছুটে পালাতো ভয়ে, পরিবারের বয়স্করা দেখলে শ্রদ্ধা করতো আর খৎনা হয়ে গেছে এমন ছেলেরা দেখলে সালাম দিত।

শহীদ বুদ্ধিজীবিদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি - পর্ব এক

জহির রায়হান

জহির রায়হান

বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং লেখক জহির রায়হান ১৯শে আগষ্ট ১৯৩৫ সালে ফেনী জেলার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫০ সালে আমিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন যেখান থেকে তিনি পরবর্তীতে আই এস সি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী অর্জন করেন।

প্রথম জীবনে তিনি কমিউনিস্টদের আন্দোলনের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। পরবর্তীতে যখন কমিউনিস্টদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয় তিনি তখন আত্মগোপনে চলে যাওয়া নেতাদের বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করতেন। মজার তথ্য হলো তার নামের শেষাংশ "রায়হান" আত্মগোপনে যাওয়া নেতাদের দেয়া। জহির রায়হানের প্রকৃত নাম জহিরুল্লাহ।

এইম ইন লাইফ - শিবির

হাইস্কুলের পাঠ চুকিয়েছে। এবার কলেজে ভর্তি হবার পালা। দরিদ্র বাবা-মা এর স্বপ্ন ছেলে শহরের কোন কলেজে পড়বে, একদিন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে বাবা-মা এর নাম উজ্জ্বল করবে, সাথে পরিবারে আসবে স্বচ্ছলতা। ঘরে আছে ছোট দু'টি বোন। তাদের বিয়ের বয়স হতে হতে নিজ পায়ে দাঁড়াবে তাদের ভাই। ধুমধাম করে বিয়ে দিবে।

ভর্তি হলো শহরের একটি কলেজে। যাবার সময় মা তার অনেক দিনের জমানো কিছু টাকা হাতে গুজে দিয়ে বলে, "যা বাপ, আমারে কিছু দিতে হইবো না, আমার মাইয়া দুইডারে চাইলেই হইবো।" বাবা আশ পাশের গ্রামের ধনী পরিবারগুলোর জমিতে দিনমজুরের কাজ করেন। প্রতিদিন তার মজুরী থেকে কিছু টাকা উঠিয়ে রাখেন ছেলের মাসিক খরচের সাথে দু'টো টাকা যদি বেশি দেয়া যায় ছেলেটা খুশী হবে।

ছেলেটি শহরে এসে গ্রামের কথা খুব মনে পড়ে। সবসময় মনে হয় সে নিজে যদি কিছু করতে পারতো, যদি একটা টিউশনি পেতো তবে তার বাবার কাছ থেকে প্রতিমাসে টাকা নিতে হতো না। সে টাকায় তার পরিবার আরেকটু সচ্ছলভাবে চলতে পারতো। সহপাঠীদের সাহায্য চায় এ ব্যাপারে।

দালাল আইন এবং দালালবান্ধব সামরিক শাসক

৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ছোট দেশটি পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নিতে সাগর পরিমান রক্ত দিতে হয়েছে। আর সেই স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী একটি শ্রেণী সেসময় দেশব্যাপী চালিয়েছে গণহত্যা, গণ ধর্ষন, রাহাজানি, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে আগুন দেয়া, লুট এবং মানবতা বিরোধী আরো অনেক কাজ। তারা ভেবেছিলো এসব করে দেশকে স্বাধীন হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবে, আর আমরা আজীবন অধিকারবঞ্চিত পরাধীন জাতি হয়েই থাকবো।

এই যে একটি শ্রেণী ধর্মের দোহায় দিয়ে পাকিস্তানীদের দালালীতে লিপ্ত ছিলো গোটা নয়টি মাস, তাদের শাস্তির জন্যই ১৯৭২ সালে ১০ই জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরেই উদ্যেগ নিয়েছিলেন বলেই মাত্র ১৪দিনের মাথায় ২৪শে জানুয়ারী "দ্যা বাংলাদেশ কোলাবোরেটরস অর্ডার ১৯৭২" বা "দালাল আইন আদেশ" শিরোনামে আইন প্রনোয়ন করা হয়। নতুন দেশ, নতুন সবকিছু, তাই এই আইনটি চুড়ান্ত হতে আরো তিন দফা সংশোধন করা হয় যথাক্রমে ঐ বছরেরই ৬ই ফেব্রুয়ারী, ১লা জুন এবং ২৯শে আগষ্ট।

জানা যাক, এই দালাল আইনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীঃ
১৭ই মার্চ, ১৯৭২ঃ শহীদ পরিবারের সদস্যরা পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে ঢাকায় মিছিল বের করে।