উদ্দেশ্যহীন, শান্তিময় জীবন...
এই জীবনে লেখাপড়া করছি মাত্র কয়েক ক্লাস। বড় ভাই ১০ ক্লাস পড়ার পর হঠাৎ করে ঘোষনা দিলেন, তিনি আর ১১ ক্লাসে ভর্তি হবেন না। টেকনিকেলে পড়বেন। কী আর করা। বাবা মনের দুঃখ মনে চেপে ভাইয়াকে ভর্তি করে দিলেন টেকনিকেলে। তারপর বড়াপা। আমরা পিঠাপিঠি না হলেও পড়তাম এক ক্লাসে। ১২ ক্লাস পাশ করার পর বড়াপার বিয়ে হয়ে গেল। এবারো বাবা মনে কষ্ট পেলেন।
অবশেষে বাবা-মা মনের সব কষ্ট আমার উপর ফলানোর চেষ্টা শুরু করলেন। বাবা বরাবরই চাইতেন আমি ওকালতি পড়ি। আমার নাকী চাপার জোর ভাল। মা বললেন কাভী নেহি। আমার মেজো ছেলে হবে আর্মি অফিসার। মাকে খুশি করার জন্য আমাকে বিএমএ লং কোর্সে পরীক্ষা দিতে হল। কী করে যে কী হল জানিনা, একটা একটা করে পরীক্ষা দেই আর পাশ করে ফেলি। প্রতিবারই ভাবি, এইবার ফেল্টুস হব। কিন্তু কী কপাল আমার ! পরীক্ষার হলে বসলে সেইসব আর মনে থাকে না। এক্কেবারে আইএসএসবি বোর্ড পর্যন্ত চলে গেলাম। অবশেষে বোর্ড আমাকে বিদায় করে দিল। না, খালী হাতে নয়। ২৫০ টাকা দিয়েছিল। সেটাই জীবনে প্রথম রোজগার ছিল আমার। বিদায় নেবার সময় ক্যাপ্টেন সাহেব বললেন, আমি নাকী ওভার কোয়ালিফাইড ! ফলে বাদ পড়তে হল আমাকে। আমার গ্রুপের বাকী ৩ বন্ধুই টিকে গেল। ওরা এখন ফুল কর্ণেল। আফসুস !
তো জীবনে মাত্র কয়েক ক্লাস পড়তে যেয়ে মাশাল্লাহ আমি অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। ৫ ক্লাস পার হতেই প্রায় ৫টি স্কুল মাড়িয়েছি। শুধু স্কুল নয়, জেলাও। শুরুটা রাঙ্গামাটি, তারপর লক্ষীপুর। মাঝে ভেড়ামারা, চাঁদপুর হয়ে শেষ করলাম নারায়ণগঞ্জে এসে। বিশ্বাস করুন, এতে আমার কোনো দোষ ছিল না। আমার বাবা সরকারের চাকর ছিলেন। আজ এখানে তো কাল সেখানে...। উচ্চ বিদ্যালয়ে খুব বেশি পড়া হয়নি। মাত্র ৩ টিতে যাবার সুযোগ হয়েছে। চাঁদপুর, লক্ষীপুর আর নারায়ণগঞ্জে। মহা বিদ্যালয়ে পড়েছি ৩টিতে। নারায়ণগঞ্জ, লক্ষীপুর আর ফেনী। আর বিশ্ববিদ্যালয় ? মাত্র ২ টিতে। চট্টগ্রাম আর ঢাকায়।
এতগুলো বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় আর বিশ্ববিদ্যালয়ের লিস্টি দেখে যারা ভাবছেন- ছেলেটাতো মহা জ্ঞানী ! তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, জ্ঞানী হবার মত জ্ঞান আমার কোনো কালেই ছিল না। আজও নেই। আমি ভাই সাদা মাটা একজন মূখ্য-সূখ্য মানুষ। পড়তে হবে বলে কিংবা বাবার টাকায় ফ্রি পড়তে হয়েছে বলে পড়েছি। কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ছিল না। ভাই বোন মাশাল্লাহ হাফ ডজন ছিলাম। এর মধ্যে একজনকে অন্তত ডাক্তারতো হতেই হবে। নইলে যে বাবা-মার মান থাকে না। আমিও যখন হতাশ করলাম, তখন ছোট দুই ভাই বোনের উপর প্রেসারটা গিয়ে পড়লো। ওদের ২ জনকেই বাধ্যতামূলক বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়তে হল। অতিরিক্ত মেধা থাকা স্বত্বেও ২ জনের কেউই মেডিকেলে চান্স পেলো না। কী কপাল আমার বাবা-মায়ের ! বিজ্ঞান নিয়ে ইন্টা পাশ করে অবশেষে ছোট বোনটা এমএ করলো বাংলায়। আর ছোট ভাইটা ইংরেজিতে।
আমি যাযাবর কিসিমের মানুষ। খাম খেয়ালি। স্থিরতা আমার মধ্যে কোনো কালেই ছিলনা। নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যও নেই। আমি ভাই আনন্দে থাকতে চাই। ঘুরতে চাই। আড্ডা দিতে চাই। চারটা ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে বর্তে থাকতে চাই। সঞ্চয় বলে কোনো জিনিস আমার জীবনে নাই। এই দেখুন না, আমার চেয়ে ৩ বছর বেশি বয়সি বড়াপার ব্যাংকের চাকরীর নাকী ২০/২২ বছর হয়ে গেছে। ৫/৭ বছর পরে নাকী অবসরে যাবেন ! অথচ আমি ? অফিসের অসভ্য এক সিনিয়রের সাথে বনিবনা হচ্ছেনা বলে চাকরী ছেড়ে দেবার চিন্তা করছি ! নতুন করে চাকরী খুঁজছি !
আমি বুঝিনা, এক জীবনে একজন মানুষের কত টাকার প্রয়োজন ? বাড়ি, গাড়ি এসব কি খুব জরুরি ? চুপি চুপি আপনাদের বলি। জীবনে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। বিভিন্ন সার্কেলে আমার অনেক বন্ধু আছে। ঘরে বৌ আর ২ ছেলে আছে। আমি আমার এই জীবনটা নিয়ে খুবই খুশি। আবার যদি জন্ম নেবার সুযোগ পেতাম, তাহলে আমি এই জীবনটাই বেছে নিতাম...
মেসবাহ ভাই এত সুন্দর একটা লিখা দিয়েছেন, খুব হিংসে হচ্ছে।
হিংসা ? আমারে ? তাও আবার লেখার জন্য...?
লজ্জিত হবার পাশাপাশি সম্মানিত বোধ করছি... 
ভাই খুবই লজ্জা পাচ্ছি কিন্তু। আপনি যে মানুষটা খুবই ভালো, সেটা জয়িতা আপুর কাছ থেকে শোনার আগে আমি নিজেও ধারণা করেছিলাম।
মেসবাহ ভাই, একটা বিড়াট কমেন্ট লিখছিলাম কিন্তু অটো ড্রাফট অপশনটা না থাকার কারনে গেল হারাইয়া।
যাওগ্গা, মনে হচ্ছে ঝাপ দেব দেব করে দিচ্ছেন না। আমারও একই অবস্থা। তয় ঝাপ আমরা দুইজনেই দিব এটা ঠিক। শুধু সময়ের ব্যাপার।
বড় কমেন্টটা পড়তে পরলাম না, আফসুস !
আংকেল দেখি সত্য কথা জানতেন।
ছেলে সম্পর্কে সত্যি কথাটা বাবা জানবে নাতো কে জানবে ?
আপনি ফেনী কলেজে পড়েছেন, কী ভালো যে লাগছে। ফেনী ছাড়ার পর থেকে এই হচ্ছে 'ফেনী' শব্দটা শুনলেই ভালোলাগায় মন ভরে যায়...ভাইয়া, আপনার কলেজ জীবন নিয়ে একটা স্মৃতিকথা লিখুননা!
ফেনী কলেজ নিয়ে একটা মজার কথা খুব মনে পড়ে। সম্ভবত হেলুদা (লাল দরজা) বলেছিলেন- হেনী কলেজের টিঁয়া লই, ছুদুর বুদুর ছইলতো ন...
আমিও বড় কমেন্ট কর্ছিলাম------আফসুস------
যাই হোক, ভালো হৈছে যে আপনে আইএসএসবিতে ফেল করছিলেন, নাইলে আপনারে পাইতাম নাকি? কর্নেল মেযবাহ য়াযাদ তো দৌড়ানি দিতো----
...........আপনে বড় ভাই....
...আপনে হৈলেন গিয়া আইডল, আইডল---আমীন।
বাংলাদেশি আইডল তো ? তাইলে ঠিকাছে...
মেজবাহ ভাই, আপনার আর যাই হোক না হোক, পাহাড় কেনাটা যেন ঠিক থাকে। সেই পাহাড়ে জোনাক জ্বলা দেখার স্বপ্ন দেখতেছি এক জীবনে একটা পাহাড়ই যথেষ্ট
ভালো কথা মনে করেছেন। পাহাড় সম্পর্কিত আপডেট দেই : পাহাড় কেনা হয়ে গেছে। ১০০ ফুট গভীর খাবার পানির কুয়ার কাজ শেষ। ডিজাইনও প্রায় চুড়ান্ত। ২/৩ মাসের মধ্যে রিসোর্টের কাজ শুরু করার আশা করছি। রিসোর্টের সাথে রিলেটেড বন্ধুদের কালকেই ইফতার ছিল, ধানমন্ডিতে... সব দ্রুত আগাচ্ছে। রিসোর্টের ২/১ টি প্রাথমিক নামও পাওয়া গেছে। সোনা ঝিরি, চাঁদের পাহাড় ইত্যাদি... দোয়া রাইখেন
নিজেকে নিয়ে মেসবাহভাইর লেখা পোস্টগুলো পড়লেই বোঝা যায় দারুণ সুখী একজন মানুষ। জীবনকে ইতিবাচকভাবে দেখেন, সঙ্কটের মুহূর্তেও প্রাণখোলা হাসি ধরে রাখতে জানেন। সুখী হওয়ার ক্ষমতা সবার থাকে না, অসাধারণ এই গুণ যার আছে তিনি উত্তরোত্তর সুখী হবেন, সন্দেহ নেই।
অবনত শ্রদ্রা জানাই আপনার মন্তব্যের জন্য... খাইছে আমারে
নুশেরা, তুমি বুঝি এভাবেই চেনো ভাইয়াকে? আমার তো উনার নাম দেখলেও ভয় লাগে। ফোন করলে বিকট গলায় ধমক দেন। একদিন ফোন করার পর বকবকবক করে কী কী যেন বললেন, আমি ভাবলাম অন্য কেউ ফোন ধরেছে, বুক কাঁপতে লাগলো, ফট করে ফোন রেখে দিলাম। পরে উনি ফোন করে অপেক্ষাকৃত নরম গলায় (সেটাও ভয়ংকর)কথা বললেন। বাব্বাহ, ধমক ছাড়া কথা বলতে পারেননা যিনি তাকে নিয়ে তুমি ...। আসলে মেজবাহ ভাইয়া খুব ভালো। (এই মন্তব্য চোখে না পড়লেই হয়!)
আমার অমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়নি, কারণটা বোধগম্য। সিনিয়র সিটিজেনের জন্য বাড়তি খাতিরযত্ন আমাদের সামাজিকতার অঙ্গ। দোয়া করি তুমিও তাড়াতাড়ি বয়স্ক হও
মেসবাহ ভাইয়ের মতো অসাধারণ ভাল মানুষ উত্তরোত্তর সুখী হবেন, তাতে আর সন্দেহ কি?
শুধু ওস্তাদের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে রাখি, জীবনে কোন আঘাত না আসুক।
আমার বুঝি শরম লাগে না ?!
সুখী মানুষ খুঁজতে মানুষকে অনেক কষ্ট করতে হয়, আমরা খুব লাকি। আপনাকে পেয়ে গেছি কোন কষ্ট ছাড়াই।
অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে।
এক কাম কর, টিকেটের বিনিময়ে সুখী মানুষ দেখানোর একটা প্রজেক্ট হাতে নিতে পারিস। ধর আমারে যারা একবার দেখবো, তারাই ১০ টাকা কৈরা দিবো। আমার লগে কতা কৈলে ২০ টাকা আর ছবি তুললে ৩০ টাকা দিব। প্রতিদিন যা আয় হৈবো, তারমধ্যে তোর আধা, আমার আধা। ঈদের আগে খারাপ রোজগার হৈবো না...

চিড়িয়াখানায় বনমানুষের খাঁচার পাশে সুখীমানুষের খাঁচা করা যায় কি না কর্তৃপক্ষরে জিজ্ঞাসা করা দরকার। সামনে দাঁড়ায় মুক্ত বয়ান চোঙ্গা হাতে বলবে, "আসেন আসেন সুখীমানুষ সুখীমানুষ... খাঁচার ভিতর কলা-বাদাম দিবেন না তয় আমারে দিতে পারেন..."
বাঁশ দিতে কেউ কাউরে ছাড়ে না রে... সবদিক মিলায়ে একবারেই দিলো!!!
;)]
পাব্লিক খুব খ্রাপ!!
[তয়, বুদ্ধি খারাপ না!!!
শাহবাগের মোড়ে ব্যবসা খুলি?? মানুষজন ঐখানে বেশি আছে...

জায়গা নির্বাচন খারাপ না, কবে থেইবা শুরু করতে চাও...?
ভ্রাম্যমান করলে ভাল হয় আজ শাহবাগ কাল মগবাজার এভাবে।দিয়ে সারাদেশব্যাপী।
মুক্তর তো মাইক আছেই।তাই সমস্যা হবে না।

এত জায়গা থাকতে মগবাজার ক্যান ?
মগবাজার গেলে সমস্যা কি?আর শাহবাগের কাছেই তো মগবাজার তাই কইছিলাম।
মগবাজারের কথা উঠলে মন খারাপ করলেন ক্যান বস??বুঝাইয়া বলেন।
জাতি জানতে চায়।
মগবাজার হৈলো এক্সক্লুসিভলি রায়হান ভাই আর উদরাজী ভাইয়ের জায়গা...
মগবাজারে উনারা একজন অন্যজনরে লুঙ্গি খুলে সালাম করার খায়েশ জানিয়েছেন...
মগবাজার অবশ্য নূপুর আর নজরুল দম্পতির বাসা...
মগবাজারে কেমনে যাইতে অয় সেইটা জয়িতা ভালো কৈতে পারবো...
তাতে আপনের কি?
আপনে মন ব্যাজার করেন ক্যান??
আমার তথা জাতির প্রশ্ন ওখানেই????
এইখানে আবার আমি কেন?মগবাজার কেমনে যায় এই বিষয়ে আপনি তো বর্ণণা দিছিলেন।
সেই মগবাজার... http://www.amrabondhu.com/aajad/1075
যাক আপনারে দেইখা ভরসা পাই। মনে হয় আমার কাছাকাছি ভাল মানুষ তাইলে আরও আছে।
হ, রতনে রতন চিনে ভাই সাহেব। জগতে ভাল মানুষের বড় অভাব, আফসুস !!
সবাই আপনারে ভাল কয় কিন্তু আমার আপনার ছবি দেখলে খুব ভয় হয়। মনে হয় এই সামনের কাউরে থাপ্পড় দিয়া ২/৪টা দাঁত ফেলায় দিবেন।এই কারনে আপনে আইএসএসবি ডিসকোলিফাইয়েড হয়েছেন।
তয় দেশে গেলে ল্যাবএইডের ক্যান্টিন আর ৫ নাম্বার যাওয়া লাগবেই লাগবে।
দুর না, আমি এরাম গম্ভীর কিসিমের মানুষ না। ছবি তোলার সময় এট্টু ভাব নেই মানে মুড নেই আর কী ! তয় এল্লাইগা আইএসএসবিতে ডাব্বা মারছি ? হৈতারে...
হ তাই মনে হয়।কারন আপনার তো দেখি ISO,FDA,TGA,KSA,MHRA সব সার্টিফিকেট আছে।
তয় ছবির মুড গুলা কিন্তু ভালোই আসে।
সহজ ভাষায় যে অনেক কঠিন ব্যাপার লেখা যায়। আপনার পোস্টটা পড়েই বুঝা যায়।
জানিনা কে কিভাবে নিয়েছে পোস্টটা আমার কাছে পেইনফুল মনে হলো, হাল্কা নিজের ভীতরেও ফিল করলাম।
পোস্টটা আমার কাছে পেইনফুল মনে হলো... কেনোরে ভাই, পেইনফুল মনে হৈলো ক্যান ?
যাই হোক, ভালো হৈছে যে আপনে আইএসএসবিতে ফেল করছিলেন, নাইলে আপনারে পাইতাম নাকি? আর আড্ডাইতাম কই? কে এমুন ফ্রি খাওয়াইত আমাদের?কে এত অত্যাচার সহ্য করত বলেন তো!
মেসবাহ ভাই এর কোন শত্রু ও বলবে যে, মেসবাহ ভাই খুব ভালো মানুষ।সৃষ্টিকর্তা আপনাকে নিরাশ কখনো করবেন না, এইটুকু জানি।
আমার সম্পর্কে বানিয়ে বানিয়ে ভালো কথা আর না বলার জন্য কী খাবি বল ? তাও দয়া কৈরা থাম...

একদিন হয়তো এরকম এক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবো, বলতে পারবো, "আরেকবার জন্মালে এরকম জন্মই চাই।" আজ বলতে পারছি না
আজকো বলে ফেলুন না কেনো... জীবনতো একটাই। দিন চলে যায়।
কিশোরের গানটা মনে পড়ছে: একদিন আরো গেলো, থামানো আর গেলোনা...
আমিও বুঝিনা, এক জীবনে একজন মানুষের কত টাকার প্রয়োজন ? মানুষ খালি টেকা টেকা করে কেন ??
কর্নেল য়াযাদ নামডা খারাপ হইত না কিন্তু
কর্নেল য়াযাদ নামডা খারাপ হইত না কিন্তু ...
আমারো তাই মনে অয়
মুক্ত কি এখন ভাইয়ের জামা নিয়া টানাটানি করবা নাকি?
মুক্ত নাহয় জামা ধৈরা টান দিতে চায়, তুমি বিলাইতো মনে লয়- পেন্ট ধৈরা টান দিবা !!
দুস্ট পোলার যে জামা গায়ে দিয়া আইছে... ঐটা পরলে তো ভালৈত...
মেসবাহ ভাই আইএসএসবিতে টিকলে আমি খুশি হইতাম...
তাইলে ক্যান্টনমেন্টে ঢুইকা মাগনা খাইয়া মিলিটারী পুলিশের রুমাল হাত মুছতাম...এই লোক আর্মি হইলেও এইরমই থাকতো নিশ্চিত...
দুর ক্যান যে আর্মিতে টিকলাম না...

তাইলে আপনেগো মতন কিঠু মাইনসেরে প্যাঁদানী দিতে পারতাম
কিঠু = কিছু
আপনে প্যাদানি দিতেন এইটা ভাবীরে কইলেও বিশ্বাস করবো না...আপনে আর্মিতে গেলে আমাগো প্রত্যেক সপ্তাহে সেনাকুঞ্জে হাকুল্লা খাওনের প্রোগ্রাম হইতো...
। ধুরো মিয়া!
পাম দিয়া লাভ নাই, আইজকা কৈলাম কিছুই খাওয়ামু না
এক জীবনে মানুষের খুব বেশী দরকার নেই আসলে ।
আমাদের চাওয়া বেশী, সেই তুলনায় পাওয়া হয়না বলে, হা-পিত্যেশ করে জীবন শেষ ।
অথচ, লোক দেখানো সমাজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে না গিয়ে নিজের মতন চললেই জীবনটা অনেক সহজ হয় ।
আপনাকে স্যালুট য়াযাদ ভাই । খুব কম মানুষই পারে, জীবনকে সহজভাবে সাজাতে ।
ওয়ালাইকুম আসসালাম...
এক জীবনে মানুষের খুব বেশী দরকার নেই আসলে । এইটাই আসল কথা।
এই জন্য আপনারে আমি সম্মান ও পছন্দ করি।
আমি আবার কী কললাম ?
(আপনারে একটা কথা কৈ। ইদানীং আপনে লেখেন্না, তারপরে হঠাৎ হঠাৎ ২/৪ টা কমেন্টস করেন। ছোট কৈরা। অনেক সময় শুধু ইমো দিয়া...। ঘটনা কী ? আপনে ইরাম আইলসা হৈছেন ক্যান ?)
আপনেগো ফেমিলিতে দেখি দক্ষতা প্রাতিভা উপচায়া পড়ে !
আপনের ওভার দক্ষতা দেইখা আর্মি থিকা বাদ দেয়, আপনের ভাই বোনদের ওভার দক্ষতার জন্য মেডিকেল থিকা বাদ দেয়।
আমারে ও বাদ দেয় তবে তফাৎ হইল আমার যোগ্যতা নাই বইলা।
ভালোই পেচ্ছাপেচির মুডে আছেন মনে লয়...

কারে ধরুম বুঝতাছিনা। আপাতত টার্গেট ২ জন। নুশেরা, য়াযাদ। যারেই বাগে পাই।

ধরেন বস। পেচ্ছাপেচ্ছির জন্য সেই সকাল থেকে বসে আছি।
বস, ঈমানে কইতেছি ব্লগ দুনিয়ায় একজনরেই ডরাই, তার নাম হাসান রায়হান। নতুন কইরা আতঙ্ক বাড়ায়েন্না। আহ্হারে, অচিন্দা কত্তো ভালো লুক ছিলেন, যেমন মোচ তেমন চশমা
(
কেন ডরান??????হের মোচ কি সেই আলিফ লায়লার দৈত্যর মতো???????
বোঝেন্নাই ভাই। মোচ ও চশমাযুক্ত অচিন্দা ছিলেন আম্রার আপ্নালুক। হাসান রায়হানরে ভু্ই পাই
নুশেরা কি জানেন, অচিন্দা ভাবীর শরীর খারাপ যাচ্ছে ইদানীং... না টেনশিত হবার কারন নাই। এই খারাপ ভালো খবরের আগের খারাপ স্টেজ (যদিও অচিন্দা জানাইতে মানা করছে। হের নাকী শরম লাগে। আপনি হেরেবারঅ পান দেইখা আপনেরে জানাইলাম। কেইরে কৈয়েন্না আবার...)

হেরেবারঅ = হেরে বালা, কেইরে = কেউরে
অচিন্দা ডরাইছে, লগ আউট করছে...
ওরেরেরেরেরেরেরে

মেসবাহ ভাই আর টুটুলরে দেইখা তো দেখি রায়হান ভাইও পরিশ্রম বাড়াইয়া দিছিল।
আপাতত রেস্টে আছি। রায়হান ভাই ফিল্ডে...
কিন্তু হাসান ভাই নিজেই ধরা খাওয়ার ভয়ে পলাইছে।

৫১ নং মন্তব্য খেয়াল কৈরা দেখেন, রায়হান ভাই কী কৈছে- কারে ধরুম বুঝতাছিনা। আপাতত টার্গেট ২ জন। নুশেরা, য়াযাদ। যারেই বাগে পাই।
যেই আমি পেচ্ছাপেছির প্রস্তুতি লৈলাম, সেই লেজ তুইলা পলাইলো আমগো অচিন্দা ওরফে হাসান রায়হান ভাই। এক্কেবারে লগ আউট...

অচিন্দার নীচের কমেন্ট দেইখা দিলে শান্তি আসলো। মানীর মান আল্লায় রাখছে দেখা যায়
ইয়াযিদ্রে আজকা ছাইরা দিলাম। অফিসে বড় ভগবান আসছিল। তা ছাড়া বৈকালে নিকেতনে বিরাট ইফতার পার্টি আছে। বিস্তর খানাপিনা হবে। সেই খুশিতে পেচ্ছাপেচ্ছি করলামনা আজকা।
এই এক ভালো গুন অচিন্দার। যখনই দেখবো পারবোনা (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি পেচ্ছাপেছিতে আমার সাথে পেরে উঠেন্না), তখনই খুব জরুরি একটা কাজের বাহানায় গেম ছেড়ে মাঠের বাইরে... যাউগ্গা, মাফ কৈরা দিলাম
খাইছে একটু চা বিড়ি খাইতে গেছিলাম। এর মধ্যে দেখি আমিই পেচ্ছাপেচ্ছিতে পইড়া গেছি।
রোজার মইধ্যে বলে চা-বিড়ি খাইতে গেছে !! আবার কয়, নিকেতনে আইজকা বিরাট ইফতার পার্টি আছে...
কোন্টা যে সইত্য আর কোন্টা যে মিথ্যা...

আহা! একটা শান্তিময় লেখা পড়ে, মনটা শান্তিতে ভরে গেল। অল্পতে খুশি হওয়া মানুষ দেখলে রিতীমত শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছা করে। আজকাল এরকম মানুষ পাওয়াই যায় না।
যুগ যুগ এমন শান্তি নিয়ে জিয় হে গুরু।
ও, আমিতো পেচ্ছাপেচ্ছি খুঁজতাছিলাম কয়দিন ধৈরা----
এডা পাইলাম---
দেখুম!!
আর দেখবা কী ? রায়হান ভাই হাল ছাইড়া দিছে দেখনা...
আজকা ছাড়ছি।
পরে কিন্তুক ছাড়ুম্না।
আইচ্ছা মনে থাকবো...
রায়হান ভাইরে আগে আমি কখনো এমন পিছাইয়া যাইতে দেখিনাই---
ঘটনার মাঝে রহস্য আছে একটা, হুমম!!
মনে হয় রায়হান ভাইয়ের মাথা ঘুরায়তেছে সাথে বমি বমি লাগতেছে।

রাসেল, ভুল করছো ছোট ভাই। তুমি যে উপসর্গের কথা কৈতাছো- তা রায়হান ভাইয়ের না, ভাবীর
। রায়হান ভাই পিছলাইয়া যাওনের কাহিনী ভিন্ন
)
। মনে হয় ডরাইছে...

ভুল হইছে বস।আমি তো মনে করছি এই রকম দুইজনেরই হয়।তা যাক ঘটনা খুলে বলেন।বুঝায় বলেন রায়হান ভাইয়ের পালানোর কারন।
জাতি জানতে চায়????????????
অচিন্দা'কে অগ্রিমতম শুভেচ্ছা। ভাইগো কাছে ডিটেইল জানতে চাই, মানে কেক্কুক কবে খাবো-টাবো আর কি..
অচিন্দা'কে অগ্রিমতম শুভেচ্ছা।
অচিন্দা, আপনে কৈ ?
ঐদিন অচিন্দার পিচ্চি মেয়েটার একটা ছবি দেখলাম ফেসুবকের একটা গ্রুপে। উরে ছবি রে ভাই। ঐরকম ছবি একটা তুলতে পারলে নিজেরে ফটোগ্রাফার হিশেবে ঘোষণা দিয়ালামু।
হ, অচিন্দা'র মেয়েটা অনেক কিউট। রিমঝিম নাম। এবারেরটা ছেলে হলেই ষোল কলা পূর্ণ হয়। একটি ছেলে আর একটি মেয়ে। সুখী পরিবার
।
এর মানে মেসবাহ ভাই একটা মেয়েও চান। দুই ভাইয়ের তাহলে একটা পিচ্চি বোন পাওয়ার চান্স আছে।
ভালো পেচ্ছাপেচ্ছি।
জীবনের উদ্দেশ্য কি?
জীবন মানে কি মেজবা ভাই ?
জীবন মানে ?

আবার যদি জন্ম নেবার সুযোগ পেতাম, তাহলে আমি এই জীবনটাই বেছে নিতাম...
টাকা নাই
সুখ নাই
পাই নাই
খাই নাই
বৌ নাই
এইসব হাউকাউ বাদ দিয়া- যা আছে তাই নিয়া, চারপাশের সবতেরে মিল্যা হাসি মুখে ২ বেলা পেট পুইরা খাওন আর রাইতে পরান ভইরা ঘুমানোর নামই হৈলো- জীবন ।
এইটা মানুর জন্য
এই তাইলে সেই ওভার কোয়ালিফাইডের কাহিনী

"টাকা নাই
সুখ নাই
পাই নাই
খাই নাই
বৌ নাই
এইসব হাউকাউ বাদ দিয়া- যা আছে তাই নিয়া, চারপাশের সবতেরে মিল্যা হাসি মুখে ২ বেলা পেট পুইরা খাওন আর রাইতে পরান ভইরা ঘুমানোর নামই হৈলো- জীবন ।" জীবনের সংজ্ঞা পছন্দ হলো ।
খুবই ভাল লাগলো । মেসবাহর লেখা আর তা উপলক্ষে যত মন্তব্য সবই হৃদয়গ্রাহী ।
আপনাকেও ধন্যবাদ
অনেক দিন পর একজন সুখী মানুষের দেখা মিলল।
শান্তিময় হোক আপনার আগামী দিনগুলো।
অনেকদিন পর মন্তব্য করার জন্য আপনেরেও ধন্যবাদ
মন্তব্য করুন