আমরা কেমন আছি !
লিখতে ভালো লাগছে না। মনটা বিক্ষিপ্ত। কত কিছু ভাবনায় আসে। সময়, সুযোগ আর ইচ্ছের সমন্বয় ঘটছে না। কী যে করি ?
চারদিকে কেমন একটা থমথমে ভাব। প্রাণচাঞ্চল্য নেই কোথাও। কেমন মরা মরা। আকাশটাও কেমন জানি গোমরামুখো হয়ে আছে।
চারদিকে কেমন একটা তাল-লয়-সুর কাটা অবস্থা। দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন আদালত। যে কোনো সময় ঝুলে যাবে তারা। দেশের অবস্থা নাকী অস্থিতিশীল। আম জনতা বলে। মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিবিদরা বলছেন- ভিন্ন কথা। টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে আর সংবাদপত্রে তাদের কথা শুনে মনে হয়, দেশের কোথাও কোনো সমস্যা নেই। সবাই নিরাপদে, নিশ্চিন্তে, দুধ-ভাত খাচ্ছে প্রতিদিন।
ধরে নিলাম তাদের কথাই ঠিক।
তাহলে বাপু, এই যে বিদেশি মানুষজনের ওপর হামলা হচ্ছে/মারা পড়ছে- এটা কেনো ? একজন ব্লগার বা মুক্তমনা লেখক/চিন্তকের হত্যারও কোনো কিনারা হয়নি কেনো ? বিদেশিদের আহত/নিহত হবার পরে জামায়াত-শিবির-বিএনপির লোকজনকে ধরা হচ্ছে, এরাই কি আসল অপরাধী ? নাকি, আইওয়াশ। একজন নিরপরাধ মানুষও অন্যায়ভাবে সাজা খাটুক বা ধরা পড়ুক, এটা আমরা চাই না। কোনো দেশের আইনও সেটা সমর্থন করে না।
দেশের পরিস্থিতি যদি আপনাদের ভাষায় ঠিক থাকে তাহলে, ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো 'সাময়িকভাবে' বন্ধ কেনো ? এসব বন্ধ রাখলেই কি আর কোনো সন্ত্রাস বা বিশৃঙখলা হবে না বলে মনে করেন ?
চোখ বন্ধ রাখলেই কী আর প্রলয় বন্ধ হবে ?
আসল জায়গায় হাত দিন। সবাইকে তার তার দায়িত্ব পালন করতে দিন। কড়া নজরদারীর মধ্যে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিন।
কেবল গলাবাজি করলে হবে না। একের অপরাধে অন্যকে ফাঁসিয়ে না দিয়ে সঠিক তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের ধরুন। আপনরা জনপ্রতিনিধি। নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়া আপনাদের কাজ।
দয়া করে যার যার দায়িত্বটা সে সে পালন করুন। সঠিকভাবে। বিশ্বস্ততার সাথে।
গলা বেইচা খাওন যাগো অভ্যাস... তাগোর কাছে এইসব বইলা কোন লাভ নাই
আমিতো কাউরে কিছু কই নাই।
নিজের লগে নিজে এট্টু কতা কইলাম...
একমত।
ধন্যবাদ বৈদেশি
সহমত প্রকাশ কইরা গেলাম।
মন্তব্য করুন