ইউজার লগইন

আমাদের গল্প গুলো

এমন সময়ে তোমার লিখা তো থাকত ই, প্রায় প্রতি দিন ই কিছু না কিছু লিখতে। আমরা আলোচনা করতাম। সরকার ভুল করছে টেস্ট না করে বা সঠিক পরিসংখ্যান না দিয়ে। এতে সরকার বিপদে পড়বে না পড়বে সাধারন মানুষ। তাঁরা অনির্দিষ্ট কাল ঘরে বসে থাকবে না, সরকারী নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলে ই মানুষ বের হয়ে যাবে। ঘরে রাখা যাবে না। যত নিয়ম কানুন ই শিখিয়ে দেন না কেন ২০-৩০% মানুষ এই নিয়ম মেনে চলবে না। যেহেতু তথ্য ই ভুল, মানুষ কনফিডেন্টলি বিপদে পড়বে। তুমি কিছু মেনে নিতে কিছু নতুন যোগ করতে। অনেক পরিসংখ্যান দিতে, যা আমি মনে রাখতে পারি না। আমরা শুধু ই কথা বলতাম। কিন্তু তুমি লিখতে। প্রতিটা লাইন কে আরও অনেক তথ্য সমৃধ্য করে কয়েক পাতা লিখে ফেলতে। এখন সাধারন অসুখ এ ও চিকিৎসা নেয়া যাবে না। এই কথা গুলো বলার মানুষ টা ও নাই। কথা গুলো মাথায় বন্দী হয়ে একটা চাল তৈরি করছে। গলার কাছে এসে আটকে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে গলায় কিছু লেগে আছে। বেশি আটকানো ভাব হলে চোখ বন্ধ করে নিজেকে স্থির করে নিঃশ্বাস নিয়ে পরীক্ষা করছি নিঃশ্বাস নিতে পারছি কি না। তখন ই খুব কান্না পাচ্ছে। কিন্তু কান্না বারণ। বাচ্চা রা আছে, মা আছে, লিজা আছে। সবাই নিজেকে ভিতরে আটকে রেখেছে। নিজেরা বের হয়ে আসলে যদি অক্ষমতা প্রকট হয়ে বের হয়ে আসে নিজের সামনে। তার সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা কারো নেই।

আমাদের বাসায় যেই বুলবুলি রা আসতো, তোমার আর আনন্দিতার। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল অব্ধি। খাবার খেত আমাদের বাসায়। কাল দেখি তারা খাবার মুখে নিয়ে উড়ে চলে যাচ্ছে। আনন্দিতা টেনে নিয়ে গেল ছাদে দেখার জন্য, কোথায় খাবার নিয়ে যাচ্ছে। এই কাজ টা তুমি ই করতে। জান তাদের তিনটে বাচ্চা হয়েছে। আমাদের দেখে খাবার মুখে নিয়ে ছাদের কার্নিশে বসে ছিল অনেকক্ষণ। আমরা একটু দূরে আসতে ই বাসায় ঢুকে গেল বাচ্চাদের খাবার দিতে। এই সময় গুলোতে আনন্দি তোমাকে ভাবে।

রাতে জিজ্ঞেস করে, মা দিনাজপুর থেকে আসার পর থেকে তোমার মন খারাপ কেন? আসলে ই কি তাই? হয়তোবা। সুস্থ, অসুস্থ, জীবিত বা মৃত যেভাবে ই হউক তুমি আমাদের সাথে ছিলে। কিন্তু দিনাজপুর এ আমি তোমাকে রেখে এসেছি।

তুমি আই সি উ তে ছিলে, বের হয়ে আসলে, আমি তোমার সাথে বিকেল থেকে ভোর পর্যন্ত পাশাপাশি পথ চলেছি, কোন শূন্যতা অনুভব করিনি। তোমার লিখা আর মেসেজ দেখতে ইচ্ছে করছে।

পোস্টটি ৬ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.