ইউজার লগইন

অদিতি'এর ব্লগ

Ice-cream, you scream....

১)
পোস্ট উৎসর্গ
নাজ রহমান, আনিকা আলম
বিন্দু বিন্দু করে গড়ে তুলি সৃষ্টির মহাসমুদ্র।

কলিন ফার্থঃ সিনেমার রাজপুরুষ

১১ ডিসেম্বর ১৯৩৬ সালে রেডিওতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অষ্টম এডওয়ার্ড বলেছিলেন- "I have found it impossible to carry the heavy burden of responsibility and to discharge my duties as king as I would wish to do without the help and support of the woman I love." স্বেচ্ছায় তিনি সিংহাসনের লোভ কাটিয়ে চলে যান। পরের ভাই ষষ্ঠ জর্জ সিংহাসনে বসেন। সুদর্শন রমণীমোহন রাজা সরে গিয়ে আসেন তোতলা রাজা। স্পিচ থেরাপিস্টের সহায়তায় তিনি হয়ে ওঠেন বাগ্মী। কিংস স্পিচ ছবির জন্য রাজা ষষ্ঠ জর্জের ভূমিকায় অভিনয় করে অস্কার পেলেন কলিন ফার্থ।

সিনেমা পারাদিসো

movie

[আমরা বন্ধুর জন্য একটা অনুবাদ করছি। হাতের কাজগুলো শেষ করেই ওটা করে দেব- এমনই ভেবেছিলাম। কিন্তু তা আর হলনা। গতপরশু মেলায় টুটুল’দা-নাজ বৌদি, লিজা আপা, জয়িতাদের সঙ্গে দেখা হল। জেবু না থাকায় কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম। কথা প্রসঙ্গে এই লেখাটার কথা বলেছিলাম জয়িকে, ও শুনেই পুনঃপুনঃ কুপ্ররোচণা দিতে থাকে এটা এখানে দেবার জন্য। এক পর্যায়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করা শুরু করে। এটা আসলে মিছিমিছি একটা লেখা। খুবই বাজে। কেউ পড়ে যদি গালি দেন কিচ্ছু মনে করব না। আর মাসুমভাইকে ফুল রিকোয়েস্ট এটা না পড়ার জন্য।]

বিট্রিস পটারঃ ১৪৪তম জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছা

মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মেছিলেন বিট্রিস পটার ২৮ জুলাই, ১৮৬৬ সালে বৃটেনের কেন্সিংটনে। ছেলেবেলা কেটেছে তাঁর অসীম নিঃসঙ্গতায়। মা হেলেন বিট্রিস পটার আর বাবা রুপার্ট পটারের সামান্য মনযোগ পাননি বিট্রিস। তাঁকে পুরোপুরি দেখাশোনা করতেন নার্স মিসেস ম্যাকেঞ্জি। মা-বাবার সাথে তাঁর দেখা হত মাঝে মাঝে গুড নাইট বলার জন্য। বাইরে যাওয়া পড়ত মিসেস ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে পার্কে হাঁটতে যাবার সময়।এ ছাড়া তাঁর সমস্ত সময় কাটত বাড়ির ৩য় তলায়। নার্সের কাছে গল্প শুনতেন পরীদের। তাঁর কল্পরাজ্যের দুয়ার এরকম সময়েই খুলে যায়।

Young_Beatrix.jpg পনেরো বছরের বিট্রিস

পিটার দ্য র‌্যাবিট (শেষ পর্ব) -বিট্রিস পটার

পিটার অনেক হাঁপাচ্ছিল আর ভয়ে কাঁপছিল, তাই বিশ্রাম নেবার জন্য একটু বসল। ও বুঝতেই পারছিল না কোনদিক দিয়ে যাবে, আর ভিজে চুপচুপে হয়েছিল। এদিক ওদিক থুপ থুপ করে আস্তে আস্তে হাঁটাহাঁটি করে সে এদিক ওদিক দেখা শুরু করল। একটা দেয়ালের গায়ে দেখল একটা দরজা, কিন্তু তালা বন্ধ আর এটার নীচ দিক থেকে তার মত একটা মোটাসোটা খরগোশের যাবার কোন উপায়ই নেই। একটা ইঁদুর দরজার সামনে দিয়ে মটরশুঁটি আর সিম নিয়ে যাচ্ছিল বনের দিকে তার বাড়ির জন্য। পিটার তাকে দরজাটা কোনদিকে জিজ্ঞেস করল, কিন্তু ইঁদুরটার মুখে এত বড় মটরশুঁটি ছিল যে, সে বলতে পারলনা, শুধু মাথা নাড়ল। পিটার কাঁদতে লাগল। তারপর নিজেই বাগানের উলটা দিকে যাওয়া শুরু করল রাস্তা খুঁজতে, কিন্তু সে বারবার ধাঁধাঁয় পড়ে যাচ্ছিল। গিয়ে দাঁড়াল একটা পুকুরের কাছে, যেখান থেকে ম্যাগ্রেগর সাহেব তাঁর পানির ঝাঁঝরি ভরেন। একটা সাদা বেড়াল কতগুলো গোল্ডফিশের দিকে তাকিয়ে আছে স্থির হয়ে, মাঝে মাঝে লেজ নড়ছে তাইই বোঝা যাচ্ছে ওটা বেঁচে রয়েছে। পিটার ভাবল- থাক, ওর সাথে কথা না বলাই ভাল। কারণ বেড়ালরা কেমন হয় তার চাচাত ভাই বেঞ্জামিন বানির কাছে শুনেছে।

পিটার দ্য র‌্যাবিট- বিট্রিস পটার

এককালে ছিল চার খরগোশ- ফ্লপসি মপসি তুলোর-লেজ আর পিটার। মায়ের সাথে তারা থাকত নদীর চরায়, একটা মস্ত ফার গাছের কোটরে। এক সকালে মা খরগোশ তাদের ডেকে বললেন-সোনামণিরা, তোমরা সামনের রাস্তার বড় মাঠে খেলতে যেতে পার, কিন্তু ম্যাগ্রেগর সাহেবের বাগানে যেওনা যেন। তোমাদের বাবার একটা দুর্ঘটনার হয়েছিল ওখানে আর ম্যগ্রেগর গিন্নী তাঁকে পিঠেতে পুরে দিয়েছিলেন। এখন দৌড়ে যাও, কিন্তু দুষ্টুমি করনা। আমি একটু বাইরে যাচ্ছি।
peter11.jpg

মা খরগোশ তার ছাতা আর ঝুড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন বনের পথ ধরে রুটির দোকানে, কিনলেন পাউরুটি আর কিশমিশ দেয়া রুটি। ফ্লপসি মপসি আর তুলার-লেজ লক্ষী তাই, ওরা গেল জাম পাড়তে। আর দুষ্টু পিটার ছুটে গেল ম্যগ্রেগর সাহেবের বাগানে, বেড়ার তলা দিয়ে বহু কষ্টে চেপেচুপে! সেখানে খেল একটু লেটুশ, একটু বরবটি, তারপর খেল মূলা। তারপর, একটু খারাপ লাগছিল বলে ধনে পাতা খেয়ে নিল। আর কুমড়া মাচার কাছে এসেই কার সাথে দেখা হয়ে গেল জান? আর কার সাথে, ম্যাগ্রেগর সাহেব!

কোলিয়া সিনিৎসিনের ডাইরী সম্পর্কিত নানা প্রসঙ্গ

আমরা বন্ধুতে আসার পর কয়েকটা হাবিজাবি পোস্ট দেবার পর ভাবছিলাম কি করা যায়। বুঝতেই পারছিলাম হয় আমাকে লেখা বন্ধ করতে হবে , নাহলে এমন কিছু দিতে হবে যা সত্যি সত্যি পাঠ্য। এরকম সময়ে ভাস্কর’দা, নজরুল, টুটুল’দা, জেবু (আপনাদের জেবীন), জয়িতা আপা সহ অনেক এবি সদস্যের সঙ্গে দেখা হয় বইমেলায়। ঝাড়ী খাই নজরুলের কাছে অনুবাদ না দেবার জন্য। বাসায় এসে অনেক্ষণ নেট ঘাঁটলাম কি অনুবাদ দেয়া যায় সেটা বের করার জন্য। আমি খুঁজছিলাম সহজ কিছু, কারণ এর আগে সম্পূর্ণ গল্প-টল্প অনুবাদের অভিজ্ঞতা আমার ছিলনা। অনেক ভেবেচিন্তে কোলিয়া সিনিৎসিনের ডাইরী নির্বাচন করি। শুরু করি অনুবাদ।

মা দিবস ইবুক - লেখা আহবান

মা - ছোট্ট শিশুর প্রথম ভালবাসা। নিরাপত্তা আর মমতায় গড়া সেই কোল, সেই উষ্ণতার পরশে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে চায় মন। বড় হয়ে ওঠার সাথে সাথে মা'কে ঘিরে জমা হয় ভালবাসা, অভিমান আর দুষ্টুমির শত শত গল্প। সঙ্কটকালে কেবলই মনে হয় যদি সব কিছু ছেড়ে মা'র স্নেহমাখা কোলে মুখ লুকাতে পারতাম, তবে পৃথিবীর কোন কষ্টই আমাকে স্পর্ষ করতে পারতোনা। দৃশ্বত মা কারও কাছে থাকেন, কারও বা দূরে - কিন্তু মা আছেন সবার হৃদয়ে - সব সময়।

কোলিয়া সিনিৎসিনের ডাইরী (পর্ব ৩)

কোলিয়া সিনিৎসিনের ডাইরী (পর্ব ২)
কোলিয়া সিনিৎসিনের ডাইরী (পর্ব ১)

জুন ৬
আমি সারাদিন সবাইকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় মৌমাছি পাওয়া যাবে, কেউই কিছু বলতে পারল না। সকাল্বেলা মনটা খারাপ লাগছিল। বাড়ী ফিরে দেখি আলিওশা কাকুকে।
“কি হয়েছে খোকা,” বললেন উনি “মন খারাপ কেন?”

একটু হাসুন

গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়েছে ঢাকায়। ঢাকার বাইরের কথা আর জানতে
চাইনা। আমি তো এক্কেবারে কাবু। কিন্তু, এতসবের মধ্যেও ছোটবেলার একটা মজার
ঘটনা মনে পড়ছে। আপনারা প্লিজ, ঠোঁটে ভেস্লিন লাগিয়ে একটু হাসুন।