পিটার দ্য র্যাবিট- বিট্রিস পটার
এককালে ছিল চার খরগোশ- ফ্লপসি মপসি তুলোর-লেজ আর পিটার। মায়ের সাথে তারা থাকত নদীর চরায়, একটা মস্ত ফার গাছের কোটরে। এক সকালে মা খরগোশ তাদের ডেকে বললেন-সোনামণিরা, তোমরা সামনের রাস্তার বড় মাঠে খেলতে যেতে পার, কিন্তু ম্যাগ্রেগর সাহেবের বাগানে যেওনা যেন। তোমাদের বাবার একটা দুর্ঘটনার হয়েছিল ওখানে আর ম্যগ্রেগর গিন্নী তাঁকে পিঠেতে পুরে দিয়েছিলেন। এখন দৌড়ে যাও, কিন্তু দুষ্টুমি করনা। আমি একটু বাইরে যাচ্ছি।
মা খরগোশ তার ছাতা আর ঝুড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন বনের পথ ধরে রুটির দোকানে, কিনলেন পাউরুটি আর কিশমিশ দেয়া রুটি। ফ্লপসি মপসি আর তুলার-লেজ লক্ষী তাই, ওরা গেল জাম পাড়তে। আর দুষ্টু পিটার ছুটে গেল ম্যগ্রেগর সাহেবের বাগানে, বেড়ার তলা দিয়ে বহু কষ্টে চেপেচুপে! সেখানে খেল একটু লেটুশ, একটু বরবটি, তারপর খেল মূলা। তারপর, একটু খারাপ লাগছিল বলে ধনে পাতা খেয়ে নিল। আর কুমড়া মাচার কাছে এসেই কার সাথে দেখা হয়ে গেল জান? আর কার সাথে, ম্যাগ্রেগর সাহেব!
ম্যাগ্রেগর সাহেব তখন হামা দিয়ে বাঁধাকপির চারা পুঁতে দিচ্ছিলেন, কিন্তু পিটারকে দেখেই লাফিয়ে উঠে পিছু নিলেন আঁচড়া নেড়ে চেঁচিয়ে- থাম চোর! পিটার তো ভীষণ ভয় পেয়ে গেল আর সারা বাগানে দৌড়াদৌড়ি করতে লাগল। সে ভুলেই গিয়েছিল বাগানের দরজাটা কোথায় সেটা। তার একটা জুতো হারাল বাঁধাকপির ক্ষেতে, অন্যটা আলুর ক্ষেতে। ওগুলো হারিয়ে সে চার পায়ে ছুটতে লাগল। যদি ওর জ্যাকেটের বড় বোতামগুলো গুজবেরী ক্ষেতের জালে আটকে না যেত, তাহলে হয়ত ও এতক্ষণে পালিয়েই যেতে পারত। একটা প্রায় নতুন নীল রংয়ের পিতলের বোতামওয়ালা জ্যাকেট ওটা।
হাল ছেড়ে দিয়ে পিটার খুব কাঁদতে লাগল। কতগুলো চড়াই পাখি তার কান্না শুনে উড়ে এল আর তাকে জাল থেকে ছাড়িয়ে দিল।ম্যগ্রেগর সাহেব এবার তাকে একটা ধামা দিয়ে ধরতে এল, কিন্তু পিটার ঠিক সময়ে বেঁকেচুরে বের হয়ে গেল জ্যাকেটটা ফেলেই।দৌড়ে যন্ত্রপাতি রাখার জায়গাটাতে পানি দেবার ঝাঁঝরির মধ্যে ঢুকে গেল। যদি ওটাতে পানি না থাকত, লুকানোর জন্য খুবই ভাল হত। ম্যাগ্রেগর সাহেব বুঝতে পেরেছিলেন পিটার এই যন্ত্র রাখার জায়গাটাতেই কোথাও লুকিয়ে আছে, হয়ত ফুলের টবের নীচেই কোথাও। তিনি সাবধানে সবকিছু উলটে দেখতে লাগলেন। হঠাৎ পিটার “হ্যাঁচ্চো!” করে উঠল। সাথে সাথেই ম্যাগ্রেগর সাহেব তাকে তাড়া করে পা দিয়ে ধরতে চেষ্টা করল। পিটার জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ল তিনটা টব উলটে। জানালাটা তো ম্যাগ্রেগর সাহেবের জন্য অনেক ছোট ছিল, তাই তিনি আবার কাজে মন দিলেন।
অনুবাদঃ অদিতি
(আগামী কিস্তিতে সমাপ্য)
পড়া শুরু করলাম আপু
কেমন লাগল আপি?
আমিও শুরু করলাম...আগামী কিস্তি কালকের মধ্যে চাই
দিছি।
অদিতি, আপনি আমায় আমার ছেলেবেলায় ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। আমার আব্বু খুব চাইতেন যেনো আমরা খুব বই পড়ি। ছোটবেলায় আমাদের রুশদেশের উপকথা, সিন্দাবাদ, আলিবাবা সহ নানা বই কিনে দিতেন। সেখানে ঠিক আপনার মতো করে অনুবাদ করা থাকতো গল্প গুলো।
লাইক করলাম প্রচন্ডভাবে।
কি মধুর সব দিন ছিল।
এইটা হোক অনুবাদ ব্লগ...
আহা কত কি পড়তে পারছি ...
ধন্যবাদ অদিতি
ধন্যবাদ দাদা।
চলুক চলুক ।
লাইক্স দিস লাইক্স দিস
গিভিং থ্যাংক্স গিভিং থ্যাংক্স
বাহ বাহ...
আপু, আপনি দেখি শিশুতোষ অনুবাদের প্রকল্প হাতে নিছেন মনে হয়!!! আগামী বই মেলায় এইরকম গল্প সংকলন পাব নাকি??
অনুবাদ চমৎকার।
দেখা যাক
এই পর্বটা কালকে সবার আগে আমি পড়েছি এবং লাইক করেছি। হু হু
ধন্যবাদ। আপনার লেখা কিন্তু অনেক ভাল হয়।
বাহহহ। মজা পাইলাম। ছবিগুলো দেওয়ায় মজা অনেক বাড়লো।
মাসুম ভাই, আপনি আমার ব্লগে? আমি সম্মানিত!
বাহ! মজার... ছবি দেয়ায় গল্পটা আরো আকর্ষনীয় হয়ে গেছে...
দেখছো, মুক্ত কি বলছে?... আমি আশা না, আবদার করছি... অমন যেন পাই...
দেখা যাক।
মন্তব্য করুন