সিনেমা পারাদিসো
[আমরা বন্ধুর জন্য একটা অনুবাদ করছি। হাতের কাজগুলো শেষ করেই ওটা করে দেব- এমনই ভেবেছিলাম। কিন্তু তা আর হলনা। গতপরশু মেলায় টুটুল’দা-নাজ বৌদি, লিজা আপা, জয়িতাদের সঙ্গে দেখা হল। জেবু না থাকায় কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম। কথা প্রসঙ্গে এই লেখাটার কথা বলেছিলাম জয়িকে, ও শুনেই পুনঃপুনঃ কুপ্ররোচণা দিতে থাকে এটা এখানে দেবার জন্য। এক পর্যায়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করা শুরু করে। এটা আসলে মিছিমিছি একটা লেখা। খুবই বাজে। কেউ পড়ে যদি গালি দেন কিচ্ছু মনে করব না। আর মাসুমভাইকে ফুল রিকোয়েস্ট এটা না পড়ার জন্য।]
কোন ছবিটা প্রথম দেখেছিলাম?- কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, মাথা কুটে মরে যাব কিন্তু নাম বলতে পারব না। আবছাভাবে মনে পড়ে তোপখানায় বাইসেন্টিনিয়াল হলে দেখেছিলাম উইজার্ড অফ অজ ছবিটি। এখনও মনে পড়ে ডরোথি তার পোষা কুকুরটাকে সঙ্গে নিয়ে গাইছে-Follow the Yellow Brick Road... আর হলুদ ইট বিছান রাস্তায় নেচে চলেছে। ক্যাম্পাসে থাকাকালীন সময়ে আবছা ভাবে মনে পড়ে কোন সিনেমার যে দৃশ্যটির কথা, কিছুটা বড় হবার পর পড়া রুশ কাহিনী রুসলান-ল্যুদমিলার সঙ্গে মিল পাই। আম্মা যেন কিভাবে ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সিনেমার টিকিট জোগাড় করত। আর সেভাবেই দেখেছিলাম গুপী গাইন বাঘা বাইন। আহা কি সুন্দর যে সব গান! সাউন্ড অফ মিউজিক দেখেছিলাম ঐ ছোটবেলাতেই। জুলি এ্যান্ড্রুজকে দেখতে তেমন পছন্দ হয়নি মনে আছে, কিন্তু জুলির গান তাঁর চেহারাকে ছাপিয়ে উঠেছিল।
ক্লাস সিক্স/সেভেনে উঠে দেখলাম হিচককের ছবি। ইনগ্রিড বার্গম্যান আর কেরি গ্রান্টকে অসম্ভব ভাল লেগে গিয়েছিল। নটরিয়াস ছবির কিছুটা ইরোটিক, কিছুটা রোমান্টিক চুম্বন দৃশ্য যার ভাল লাগবেনা, তার যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর হওয়া উচিত। ততদিনে উত্তম-সুচিত্রার প্রেমের ছবি দেখাও হয়ে গেছে আমাদের। সুচিত্রার শাড়ি বা উত্তমের সিগারেট ধরান, যাও বা ভাল লাগত। প্রেমের কথা ভাবলে কিছুতেই কিন্তু গান গেয়ে জড়িয়ে ধরার কথা ভাবতে পারতামনা। বরং ভাবতে ভাল লাগত কেউ আমাদের বলছে রায়ান ও'নিলের মত- love means never having to say you are sorry. Love story (হিন্দিটা না) দেখে মন খারাপ হয়নি বান্ধবী মহলে এমন কেউ ছিল না মনে হয়।
মারপিটের সিনামা আমার তেমন ভাল লাগেনা। যখন জেমস বন্ড দেখা শুরু করলাম, ততদিনে মাসুদ রানা আর জেমস বন্ড পড়া চলছে। প্রথম জেমস বন্ড দেখেছিলাম সম্ভবত দ্য স্পাই হু লাভড মি।খুবই বিরক্ত হয়েছিলাম বন্ডের যতটা না মারামারি তার চাইতে আসঙ্গলিপ্সায় আগ্রহ দেখে।ধ্যাৎ! পরে যখন ডঃ নো দেখার সুযোগ এল একটু ইতস্তত করেছিলাম। শ্যন কনারিকে দেখে কিন্তু ফিদা হয়ে গিয়েছিলাম। আরো পরে পিয়ার্স ব্রসন্যানকে দেখে ভাল লেগেছিল বন্ড হিসাবে।কিন্তু ব্রসন্যান রেমিংটন স্টিল হিসাবেই আমার কাছে এখনও পরিচিত। এ যুগের বন্ড হিসাবে ড্যনিয়েল ক্রেগ ভালই, চলে আরকি।আমার অত ভাল লাগেনা।
ঢাকাই বাংলা ছবি দেখেছি বেশ। বিখ্যাত বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না থেকে শুরু করে হুর এ আরব টাইপের অনেক ছবি দেখেছি। শর্বরীর রাজ দরবারের বাঈজী নাচ দেখে হাঁ হয়ে যেতাম। আগে যারা কত্থক নাচতেন, তাদের পোষাক একটু অন্যরকম হত- একটা আনারকলি কাটের কামিজ, জরি-চুমকি খচিত কোটী আর চোস্ত পাজামা। এহেন পোষাক দেখে একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সে বাঈজী নাচ নাচে কিনা। ওহ, এরপর আম্মার দেয়া চড় এখনও গালে জ্বালা ধরায়।পেশাগত কারণে খাইছি তোরে ধরণের অনেক ছবি দেখতে হয়েছে। এইসব ছবি যতনা যৌনউদ্দীপক তার চেয়ে বেশী যৌননিপীড়নমূলক। বলিউডের ইদানীংকার কিছু গান দেখলে শিহরিত হই! আইনকানুনে বাঁধা না থাকলে মনে হয় যে টুকরো দু’টি জড়িয়ে নাচাগানা হয়,তা উড়িয়ে দিত এরা।ভাল কথা আপনারা কেউ যদি সত্যিকারের বাঈজী নাচ দেখতে চান, তবে সত্যজিৎ রায়ের শতরঞ্জ কি খিলাড়ি ছবিতে একটি বাঈজী নাচ আছে সেটা দেখে নিতে পারেন।
আমার পছন্দের জুটি অপর্ণা-সৌমিত্র।ভারতীয় বাংলা ছবির মধ্যে পুরানো কমেডি ছবিগুলো দেখতে মজা লাগে। ডিডি বাংলায় কানন দেবীর যুবতী বয়সের ছবি দেখেছি। উদয়ের পথের মত ছবিও দেখেছি। জী সিনেমা বা স্টার গোল্ডে দেখেছি প্রচুর সাদা-কালো হিন্দি ছবি।
আপনাদের কি মনে আছে একদা কোন এক কার্টুন চ্যানেল রাত্রে টিএনটি চ্যানেল হয়ে যেত। ওখানে দেখেছিলাম প্রচুর পুরানো হলিউডি ছবি, এই মুহুর্তে মনে পড়ছে ওয়েস্ট সাইড স্টোরি, ক্যাসাব্লাঙ্কা, ভিক্টর/ভিক্টোরিয়া, ইস্ট অফ ঈডেন আর কি কি যেন সব ছবি। সত্যজিৎ রায়ের ছবির সবচাইতে ভাল লাগে সিরিয়াসনেসের ফাঁকে গুঁজে দেয়া কমিক রিলিফ। একবার চিন্তা করুন অরণ্যের দিনরাত্রি ছবিতে গায়ে সাবানমাখা রবি ঘোষের সাথে কাবেরী বসু-শর্মিলা ঠাকুরের দৃশ্যটি। আমার সবচাইতে পছন্দ জন অরণ্য ছবিটি।
আরেকটা ছবি আমার খুব প্রিয়,নাম-বেনহুর। ১৯৫৯ সালের এই ছবিটি আমি দেখেছি ১৮/১৯বার। এটা যখন প্রথম দেখি, বলাবাহুল্য আমার ভাল লেগেছিল রথের রেসের উত্তেজনাপুর্ণ দৃশ্যটা। পরে বইটা পড়ি আর ঘটনার পটভূমি বুঝতে পারি। এই ছবিটা এত ভাল লেগেছেছিল, তার আবেশ এখনও যায়নি।
নেও
হেহে ধন্যবাদ।
প্রায় এক যুগ আগে একটা পত্রিকায় আপনাকে নিয়ে লেখা একটা বাক্য এখনো মনে আছে আমার-
পুরা হুবহু মনে না থাকলেও কথাটা যদ্দুর মনে পড়ে বাক্যটা এইরকমই আছিলো
আমি ভাবছিলাম সিনেমা পারাদিসো নিয়া লেখছেন, পরে দেখি সেইটার নাম গন্ধও নাই। তবু ভালো লাগছে। অনেকগুলা প্রিয় সিনেমার কথা লিখছেন বলে।
এতো ফাঁকী না দিয়া আরেকটু বিস্তারিত লিখলেই তো পারেন। আপনার দেখা পছন্দের সিনেমাগুলো নিয়ে বা বিষয়ভিত্তিক সিনেমা নিয়ে সিরিজ করেন।
আমিও প্রথমে ভাবলাম সিনেমা পারাদিসো নিয়ে লিখছে।
নজরুল ভাই, কি কি বই কিনলেন এবার তার এক্টা লিস্ট দিবেন প্লিজ!
এবার আমি তক্কে তক্কে ছিলাম, যেসব বইয়ের স্টক শেষ পর্যায়ে, সেই আশির দশক বা তারো আগে প্রকাশিত বই, দাম কম কিন্তু অসাধারণ, যেগুলা এরপরে আর পাওয়া নাও যাইতে পারে, সেসব বই খুঁজে খুঁজে কিনসি

গরীব মানুষ, বেশি কিনতারি নাই
দেখি মেলাটা শেষ হোক, লিস্ট একটা দিমুনে
তাই? তাই না? সাউথ ইস্ট ব্যাঙ্কে কে যেন কি আনতে গেছে সেইটা বইলা পুর্বানীতে খাওয়ার একটা তাল তু্ইলা সিল দিমুনি
দেন না, না করছে কে?
নজরুল ভাই, আপনার কাছে বই এর লিস্ট চাইলাম। গরীবের কথায় কান দিতাছেন না।
দিলাম তো
http://www.amrabondhu.com/nazrul/264
Page not found
The requested page could not be found.
নজরুল ভাই জানের মায়া আছে রে ভাই। অভয় পাইলে দিতাম
কারে কি কন?ভুল জায়গায় ভুল কমেন্ট।
দুইজনে মিলে কি কি বই কিনলেন হিসাব চাই। তারপর বোঝা যাবে কে আমির আর কে ফকির।
চেষ্টা করব। তবে আজকাল সিনেমা তেমন দেখা হয়না।
আজকেই দিলাম, তবে বেশ ফাঁকিবাজি পোস্ট। কলিন ফার্থকে নিয়ে চটজলদী কিছু লিখতে ইচ্ছা করল।
আরো বিশাল ক্যানভাসে লিখেন। সিনেমার গল্প শুনি। তাহলে না-দেখা গুলো দেখে নেবার সুযোগ মিলবে। মুভিখোরদেরকে হিংসা।
আমিও তাই বললাম একটু আগে অদিতিকে। এসব লেখা থেকে বাদ পড়া মুভির নাম নিয়ে দেখার চেষ্টা করতে পারি। অদিতি হইলো বিরাট ব্যস্ত মানুষ।
জয়ি, ১৯নং মন্তব্যঃ বদামি কর না? মাইর খাবা।
সিনেমা নিয়ে অনেক আগে লিখতাম। এখন অনেকের ভাল ভাল পোস্ট দেখে লিখতে ইচ্ছা করে না।
আমি তো খুব বেশি মুভি দেখি নাই। ব্লগে আসার পর সবার গল্প পড়ে পড়ে মুভি বাছাই করে কিছু দেখার চেষ্টা করি। একেকটা দেখি আর মনে হয় পেছনের জীবনটা বৃথাই মুভি না দেইখাই কাটালাম। গান-বই-সিনেমা এই তিনের মাঝে হারিয়ে যাবার আর বুঁদ হয়ে থাকবার কোন তুলনাই আসলে নেই।
আর আড্ডা?
একা থাকবার সময়ে সেই তিন, আর বন্ধু মানেইতো আড্ডা
লীনা'পা (মন্তব্য ২২)- আপনার সঙ্গে একমত আপা।
অদিতি কবির এর কাছ থেকে এসব গল্পও চাই
চাই চাই করে মাথা ধরিয়ে দিলাম না তো!
অদিতি ভীষণ সুইট একটা মেয়ে। আপনি তার মাথার ভিতর চাই চাই বলে বাদ্য বাজাইতে থাকেন।
লীনা'পা, জয়ি (২৬,২৯)- না আপা মাথা খারাপ হয়নাই। দেখি আপনার আবদার কিভাবে পূরণ করতে পারি। জয়ি, পয়লা সুইট বইলা আপারে কুমতলব দেও না? মাইর আছে কপালে।
বাসা থেকে বের হওয়ার আগে দাবাং অর্ধেক দেখে এলাম। ভাল একশান। ছবিটা দেখেছেন।
উদরাজী ভাই (মন্তব্য ২৯)- এই ছবির নাম দাবাং না হয়ে হওয়া উচিৎ ছিল ডাবাহুঁকা। না দেখিনাই। তবে মুন্নীর নাচানাচি দেখেছি।
বেশিরভাগেরই শন কনারি পছন্দের জেমসবন্ড আমার কিন্তু পিয়ার্স ব্রসনেন, তবে রেমিংটন স্টিলেই তারে বেশি ভাল্লাগছে...
সাউন্ড অফ মিউজিকের গান গুলো শুনেছিলাম জুলি এ্যান্ড্রুজ'ই গেয়েছিলেন... দারুন পছন্দ, এরপরে "প্রিন্সেস ডাইরী" মুভিতেও এই মহিলা দাদী হিসেবে ছিলেন... এতবছর পরেও সৌন্দর্য্য যেন আরো বেড়েছে!!
সিনেমা নিয়া আমার বুঝবুদ্ধি অনেক কম... তাই আর কিছু নাই কই...
জেবু (৩১নং)- বইমেলায় দেখা হইল না। অবশ্যই Victor/ Victoria ফিল্মটা দেখবা। জুলির আরো একটা ভাল ছবি। কিছু কইবা না ক্যান? কও না।
আমি যখন আগের দিনের, মানে নানি দাদির আমলের কথা চিন্তা করি, তখন সাদা কালো সিনেমার মত দৃশ্য চোখে ভাসে । মনে হয় ওই সময় সত্যি সত্যি রোদ ছিল ঘোলাটে । লোকজন ছিল সবাই শুকনা আর অদ্ভুত ।
জানি এইসবই মাথার ভিতর বসত করা সিনেমার পোকাদের কাজ ।
আপনি যখন সিনেমার খাঁটি দর্শক আপ্নারেই তাইলে জিগাই, একটা বাংলা সিনেমা দেখছিলাম টু'তে পড়ার সময় । নায়িকা একটা বাচ্চাদের স্কুল বা আশ্রমের টিচার । ওইদিকে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব, মনয় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ । নায়িকা বাচ্চাদের পালাতে হেল্প করে । কোন এক বাচ্চা রান্নাঘর (?) এর দেয়াল খুড়ে পালায় । শেষে সবাই মনে হয় বাঁচেনা । একদম শেষে উত্তমকুমার আসে সৈন্য বা কিছু নিয়ে । ছবিটা ১৯৯৩ তে দেখছিলাম । মনে দাগ বসিয়ে গেছিল । নাম জানিনা । ফলে আর দেখার সুযোগ হয়নি । আপনি কি বলতে পারবেন ছবিটার নাম?
এরকম কিছু ছবির নাম ভুলে গেছি কিন্তু গল্প হয়তো ভুলিনি । আবার দেখতে মন চায় । আপনার ছবি দেখার তালিকা মনেহয় অনেক উন্নত । লিস্ট দেন ।
ছবিটার নাম মনে হ্য় ''সিস্টার''।
আমার খুব প্রিয় একটা ছবি।প্রথমবার ডিডি-৭ এ দেখেছিলাম।সিনেমা শেষে বাথরুমে অনেকক্ষন কেদেঁছিলাম।
লিজা'পা (৩৩নং)- উত্তর কি পেলেন?
শিরোনাম ভুল হইছে।
এইটা হবে সিনেমা পারাদিসো-১।
পরের টা ছাড়েন।
আমিও আপনার মতো সব ধরণের ছবিই দেখি। বেনহার প্রথম দেখছিলাম মধুমিতায়। তবে এটা স্বীকার করতে বাধ্য যে, বিটিভেকে যতই গালি দেই, ভাল ভাল ছবি দেখা কিছুটা হলেও শিখিয়েছে বিটিভি। দেখার চোখ তৈরি করে দিয়েছে। সেই বিটিভি কোথায় হারিয়ে গেলো।
আর মাসুমভাইকে ফুল রিকোয়েস্ট এটা না পড়ার জন্য।
আমার ফুল কৈ? দেন।
মাসুম ভাই(৩৬, ৩৭ নং)- ধুর, আপ্নের মত লিখতে পারিনা, তাই লজ্জা লাগে। আর ফুল? দিব্যপ্রকাশে আপনার এক পিস বইর বিনিময়ে টাকা দিয়ে আসছি, কিনে নিয়েন।
সেইম হিয়ার! এখনো প্রিন্সেস ডায়রিতে তার সংলাপের সময় ঝিম মেরে শুনি। এতো মিষ্টি করে কথা বলে কী করে মানুষ!
খুব স্মৃতিকাতর করলো পোস্টটা, রায়ান ও'নিল থেকে শর্বরী সবাই।
একটু অন্যরকম স্মৃতি শেয়ার করি। শর্বরী অভিনীত(?) ৬০-৭০দশকের ছবিও আমরা দেখেছি। সেই শর্বরী ৯৩ সালে নিজের জন্মদিনের কার্ড করেছিলেন, ভাষাটা ছিলো এরকম: বিশিষ্ট চলচ্চিত্রাভিনেত্রী শর্বরীর ২৫ তম জন্মদিনে আপনি সবান্ধবে নিমন্ত্রিত...
আমার এক মামা উনার হার্নিয়া অপারেশন করেছিলো, সেই সূত্রে মামার পাওয়া নিমন্ত্রণপত্রটি স্বচোক্ষে দেখার সুযোগ হয়েছিলো
নুশেরা'পা(৩৯নং মন্তব্য)ঃ ছায়াছন্দতে আম্মা-খালারা শর্বরীর হট (!) গান দেখতে দিত না। লুকিয়ে দেখতাম। আর ছোটবালার বান্ধবী মমির বাসায় চিত্রালী রাখা হত, তাই স্কুল ছুটির পর আমরা কয়েকজন ওর বাসায় যেতাম। সেখানে দেখেছিলাম শর্বরী ১৬তম জন্মদিন পালন করেছেন!
জেসন বর্ন ভালো লাগে। জেমস বন্ড পেইন। ড্যানিয়েল ক্রেগ টেরিফিক।
সবচে' ভাল্লাগে লিওনার্দোকে। কম থেকে বেশি পছন্দের ক্রম হচ্ছে; দ্য বীচ, গ্যাঙ্গস্ অভ নিউইয়র্ক, টাইটানিক, এভিয়েটর, ডিপারটেড, ব্লাড ডায়মন্ড, ক্যাচ মী ইফ য়ু ক্যান এবং ইনসেপশন। লাস্টেরটা এত ভালো লাগে যে এইটা নিয়ে কোনো সমালোচনা সহ্য করতে পারি না। ইনসেপশন এবার অস্কার পাবেই।
নায়িকা চেঞ্জ হয় সবসময়। যখন যারে ভাল্লাগে তখন তার সঙ্গে...
আরেকটা জিনিস হইলো এ্যনিম। জাপানী, হলিউডি সবকিছু ভালো পাই। মাঝে মাঝে কিছু কিছু পেইন এ্যনিমও দেখা পড়ে। সেগুলোর নাম এখন মনে আসতেছে না, আসলে আপনারে জানায়ে যাবো। ঐগুলো থেকে শুধু সাবধান থাইকেন। আপনে আছেন কেমন অদিতি আপু?
সিনেমা পারাদিসো'র কথা নাই। শিরোনামে যার কথা বলা হইসে, সেই নাই; তার মানে পোস্ট এখনো শেষ হয় নাই? সাধু সাধু।
ইনসেপশন এবার অস্কার পাবেই
কয় কি!
ঠিকই কয়। চাইলে বাজি ধর্তারেন।
ভিসুয়ল ইফেক্টস-এ পাইতে পারে। মিউযিক, সাউন্ড এইসবেও পাইতে পারে। আর কোনটাতে চান্স নাই।
বেস্ট পিকচার, স্ক্রীনপ্লে আর সিনেমাটোগ্রাফি, আপনার তিনটার সঙ্গে এই তিনটাও যোগ করেন।
লিখতে চাইসিলাম আটটাই পাবে। কিন্তু লিখলাম না। তাইলে আমারে ছবিটার প্রতি আলাদা রকম বায়াসড্ বলতে পারেন। তয় ঘটনা কিন্তু মিথ্যা না, আমরা ইউটোপিয়ান সমাজের মানুষ তো
সিনেমাটোগ্রাফিটা বলতে পারতেছিনা (ব্ল্যাক সোয়ান আছে), তবে পিকচার আর স্ক্রিনপ্লে কিংস্ স্পিচ নিবে। আপনে কান্নাকাটির জন্য রেডি থাকেন।
মনে করেন ঐ প্রজাপতিটা আমি, আর মাইয়াটা আপ্নে।
তাতে কি ইনসেপশন অস্কার পাইয়া যাইব?
আপনের নতুন লেখা কই?
কি জানি।
মীর, নাম নাই (মন্তব্য ৪২-৪৮)ঃ ইনসেপশন না? হাহাহাহাআহাহা
মীর (৪০ নং মন্তব্য)- ক্যাপ্রিওর এভিয়েটর ছাড়া অন্য কোন ছবি ভাল লাগেনি তেমন। আপনি টোটাল এক্লিপ্স ছবিটা দেখতে পারেন।উনি এখানে ফরাসী কবি Arthur Rimbaud-র চরিত্রে আছেন।
বিটিভিতে মুভি অফ দ্য উইকে আমার ছোটবেলার সব হলিউডি মুভি দেখা। হলে নিত না বাপমা, তবে আমার মনে হয় আশির দশকে ইংরেজি ছবি দেখাইতোনা হলে, নাকি? সাউন্ড অফ মিউজিক দেখছি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি, জুলি এ্যান্ড্রুজরে কিন্তু আমার দেখতেও সুন্দর লাগে, চমকওয়ালা চেহারা না, কিন্তু একটা স্কুলপালানি মেয়ে মেয়ে ভাব, বুড়া হইয়া তো আরো সুন্দর হইছে...আর মহিলার কথা বলা আর গান গাওয়া যে কি ভাল! ক্যাথরিন হেপবার্নরে বরং আমার জীবনেও সুন্দর লাগেনাই কোন এক কারনে, মানুষ এই কথা শুনলেই তাইড়া আসে, তাই মনের দুঃখে কাউরে কইতেও পারিনা। উইযার্ড অফ ওয-ও মনে হয় মুভি অফ দ্য উইকে দেখছিলাম...মান্চকিনরা ছিল আমার সবথেকে পছন্দের :)।
নাম নাই (মন্তব্য ৫৩)ঃ ঐ বয়সে সবাই চেহারার কথাই আগে ভাবে। কাগজে যখন পড়লাম উনি আর গান গাইতে পারবেন না, খুব মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বিটিভি এককালে সত্যি ভাল ছবি দেখাত- শুনলে এখন রূপকথা মনে হয়। লাস্ট তাতে দেখেছিলাম অন দ্য ওয়াটারফ্রন্ট ছবিটা।
ব্লগের শিরোনামটা দেখে মনে করেছি সিনেমা পারাদিসো ছবির রিভিউ

ভাল হইছে লেখাটা, সিনেমার ওপর আরও ব্লগ চাই অদিতি, আর অনুবাদ
~স্বপ্নজয়~ (মন্তব্য ৫৫)ঃ না, সিনেমা জগতটা প্যারাডাইজের মত। তাই ঐ নাম দিলাম। অনুবাদ দিব।
আমার পছন্দের জুটি অপর্ণা-সৌমিত্র
আমারো তাই। আমিও মাসুম ভাইয়ের সাথে একমত। আরো আসুক এমন পোষ্ট আপনার থেকে।
অঃটঃ ভালো আছেন?
তাতা'পা (মন্তব্য ৫৭)ঃ দেখা যাক আরো লিখি কিনা। জ্বি আপা, ভাল আছি। আর আপনি?
পড়েই গেলাম। বলার তেমন কিছু নেই। কারণ কোন এক কারণে আমি সিনেমা খুব একটা দেখিই না
নাজ বৌদি(মন্তব্য ৫৯)ঃ আমারো আজকাল কালেভদ্রে দেখা হয়। আপনি আমার পোস্টে এসেছেন তাই আমি পরম আহ্লাদিত।
মন্তব্য করুন