কলিন ফার্থঃ সিনেমার রাজপুরুষ
১১ ডিসেম্বর ১৯৩৬ সালে রেডিওতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অষ্টম এডওয়ার্ড বলেছিলেন- "I have found it impossible to carry the heavy burden of responsibility and to discharge my duties as king as I would wish to do without the help and support of the woman I love." স্বেচ্ছায় তিনি সিংহাসনের লোভ কাটিয়ে চলে যান। পরের ভাই ষষ্ঠ জর্জ সিংহাসনে বসেন। সুদর্শন রমণীমোহন রাজা সরে গিয়ে আসেন তোতলা রাজা। স্পিচ থেরাপিস্টের সহায়তায় তিনি হয়ে ওঠেন বাগ্মী। কিংস স্পিচ ছবির জন্য রাজা ষষ্ঠ জর্জের ভূমিকায় অভিনয় করে অস্কার পেলেন কলিন ফার্থ।
১৯৮৪ সালে একটি টিভি সিরিজে অভিনয় করে তাঁর অভিনেতা জীবন শুরু হয়। একই বছরে রূপালী পর্দায় অভিষেক ঘটে another country ছবিতে অভিনয় করে। ১৯৯৫ সালে বিবিসির এডাপশন প্রাইড এ্যন্ড প্রিজুডিস মিনি সিরিজে মিঃ ডার্সির ভূমিকায় অভিনয় করে আকাশ স্পর্শ করেন। তাঁকে নিয়ে হইচই পড়ে যায়। এ থেকে একটা প্রমাণিত হয় টিভিতে অভিনয় করেও আলোচিত হওয়া যায়, ক্লাসিক কাহিনীর আবেদন চিরকালের।
অভিনয় জীবনে অসংখ্য ক্লাসিকাল কাহিনী থেকে নেয়া চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। শেক্সপিয়ার থেকে শুরু করে রোমান যোদ্ধা সন ভূমিকাতেই তিনি সমানভাবে অসাধারণ।ফার্থ সম্ভবত একমাত্র অভিনেতা যিনি সমান তালে ছোট ও বড় পর্দায় অভিনয় করে চলেছেন, কখনও পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করতে দ্বিধা করেননি। তিনি শুধু মাত্র অভিনেতাই নন, আদিবাসী অধিকারে সোচ্চার এবং অক্সফামের ন্যায্য বাণিজ্যের সমর্থক। কলিন ফার্থ বিয়ে করেছেন ইতালীয় ফিল্ম পরিচালক প্রযোজক লিভিয়া জিগুলিকে।
ফার্থের বেশ কয়েকটি ছবি আছে আমার প্রিয়। সেগুলো হল-
A Month in the Country- ১৯২০ সালে একজন চিত্রশিল্পী আর একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ গ্রামে যান একটি গির্জা আর কবরের মেরামতির কাজে। গ্রাম এবং নায়ক সবার মধ্যেই যুদ্ধের দগদগে স্মৃতি বিরাজমান। ফার্থের সাথে আছেন কেনেথ ব্রানা এবং নাতাশা রিচার্ডসন।
The hour of the pig- ১৫শ শতকে মানুষের মত পশুপাখিরও বিচার হত। ফার্থ সেই পশুপাখির উকিল। তাঁর মক্কেল একটি শুকর। কাহিনী যত এগোতে থাকে, বোঝা যায় যে এটি কোন মামুলী কেস নয়।সপরিবারে দেখার মত ফিল্ম এটা নয়।
Girl with a Pearl Earring- ডাচ চিত্রশিল্পী য়োহানেস ভ্যার্মেরকে নিয়ে ফিল্ম। ফার্থ ভ্যার্মের চরিত্রে অভিনয় করেছে। হলিউডের নতুন যুগের সেনসেশন স্কার্লেট য়োহান্সন আছেন তাঁর সাথে। ভাল না লেগে উপায় নেই।
love actually- ২ ঘন্টার মধ্যে ৮টি জুটিকে ফুটেজ দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়।কলিন ফার্থ একজন লেখকের চরিত্রে আছেন। মজা লাগবে দেখে।
এই লোকের আ সিঙ্গেল ম্যান দেইখা আমি চরম ফিদা খাইছিলাম গতো বছর...তারপর তার নামে আরো বেশ কিছু সিনেমাও দেইখা ফেলছি...সেইসব ছবি ঘটনায় মাজুল হইলেও তার অভিনয় অনেক জোস!
@ ভাস্কর'দাঃ আমার সিঙ্গেল ম্যান ভাল লাগেনাই।
যেগুলার নাম নিছো এক্টাও দেখি নাই, তবে এর সিনেমা দেখেছি, প্রাইড এ্যন্ড প্রিজুডিসে দেখে পয়লা লাগছে এই লোক এমন আধা চাবাইয়া কথা বলে কেন! পরে বুঝছি ব্রিটিশদের মতোই তো বলবে নয়তো কি... একসময় দেখলাম অভিনয়ও পছন্দ করে ফেলছি... লাগে যে অনেক কথা না বলেও চোখমুখের ভঙ্গি দিয়ে ফুটায়ে তোলে...
@ জেবুঃ দেইখা ফেল। শেষটা মজা পাবা।
আমি এটা ভাবছিলাম জেবীন কিন্তু লিখবো বলে সাহস করি নাই। সবাই আমার আমাকে ক্ষেতু ভাববে। তুমি চরম সাহসীনি।
সিনেমাগুলা দেখি নাই।
দেখার আগ্রহ জাগলো।
দেখ, দেরী কিসের। আর মেলায় যাই নাই নানান ঝামেলায় পড়ে।
বইমেলায় যেয়ো বিকালে।
অনেক অনেক

এর মানে কি উদরাজী ভাই?
নাম নাই'র সবগুলো প্রেডিকশন মিলে গেল, আমার মিললো মোটে একটা। ধুরো...এইজন্যই একাডেমী এ্যওয়ার্ডটা ভাল্লাগে না...
কালকে নাম নাই এর পোস্ট পড়তে পড়তে আপ্নার কথা ভাবতেছিলাম
... এরম ধরা খাইলেন ক্যান? 
"নাম নাই"য়ের প্রেডিকশন এরম মিল দেইখা অভিভুত
... উনি কি হাত ও দেখতে পারেন?
আমার মতে ওর বেস্ট কাজ
হলো 'দ্য কিংস স্পীচ', দেখছেন?
মন্তব্য করুন