একটু হাসুন
গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়েছে ঢাকায়। ঢাকার বাইরের কথা আর জানতে
চাইনা। আমি তো এক্কেবারে কাবু। কিন্তু, এতসবের মধ্যেও ছোটবেলার একটা মজার
ঘটনা মনে পড়ছে। আপনারা প্লিজ, ঠোঁটে ভেস্লিন লাগিয়ে একটু হাসুন।
আমার মেজো মামী ভীষণ দজ্জাল বলে কুখ্যাত। আমরা তাঁকে পিছনে ডাকি- 'উলফত
আরা ঝঙ্কারি' বলে। আর মামা আর মামাত বোন আবার তেমনি নিরীহ। আমি তখন অনেক
ছোট, মামার বাসায় গেছি। মণিপুরী পাড়ার বাসাটা এক তলায়, ঢুকতেই গ্রীল দিয়ে
ঘেরা বারান্দা।
রাতে খাবার টেবিলে মামী গম্ভীর ভাবে জানালেন শীতকালেও নাকি ইলেক্ট্রিক বিল
আসছে অনেক, তাই সাশ্রয় করতে হবে। তার প্রথম ধাপ হিসাবে, প্রতি রাতে ফ্রিজ
থেকে সব বের করে বারান্দায় রাখতে হবে। এতে নাকি দু'টো ব্যাপার হবে ১। শাক
সব্জী ফ্রেশ বাতাস পাবে, আর ২।সেই সাথে বিল কম আসবে। খাবার পর মামাত বোন
আর মামা সমস্ত ফ্রিজ হাতিয়ে সব কিছু বারান্দায় রেখে এল। আমি অবশ্য ঘুমের
ভাণ করেছিলাম, যাতে এই কাজটা না করা লাগে।
পরদিন ভোরে উঠে আমি বারান্দায় গিয়ে হাঁ হয়ে গেলাম। কিচ্ছু নাই!! সব ভোঁ
ভাঁ!!! তালা ভাঙা...গ্রীল খোলা! পরে মামাত বোন বলেছিল ঐটা নাকি তাদের
মাসের বাজার ছিল।
"দেখছ, আম্মার জন্য আমাদের মাসের বাজারটা গেল!" কথাগুলো অবশ্য জননীর কান বাঁচিয়ে বলেছিল।
সেই বাজার গুলো কি পরে আপনাদের ফ্রিজে পাওয়া গিয়েছিলো? খেক খেক খেক ;)
কই না তো, আমি তো আপনার বাসায় দিয়ে এসেছিলাম। কেউ বলেনি?:O
আমার মামীরা চমৎকার মানুষ, রীতিমতো বন্ধু বলা যায়। আমি যখন ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম, বড়মামী বলে দিলো প্রেম করলে তাকে সবার আগে জানাতে হবে। সে আমাদের পার্কের হাওয়া থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্টের খাওয়া সব স্পন্সর করবে। আফসোস, জীবনে কিছুই হইলো না
তবে আমার মায়ের এক মামী ছিলেন আপনার মামীর ক্লোন। কাহিনী সেই শীতকালেরই। শীতের প্রথমার্ধে উনি ছেলেমেয়েদের উল্টো করে সোয়েটার পরাতেন, তারপর দ্বিতীয়ার্ধে সোজা করে। ধোয়ার ঝামেলা কমলো, সোয়েটারের আয়ুও বাড়লো
।
আরে নুশেরা আপা যে!!দারুণ লাগছে! আমার কি সৌভাগ্য যে আপনি আমার ব্লগে! একই সাথে উৎসাহিত ও আনন্দিত বোধ করছি।
অদিতিকে অন্য কোন নামে চিনি নাকি?
জ্বি আপা, অন্য নামে চেনেন।এখানে বলব না।
আহারে আমার লাজুকলতা
তোমারে হাতের কাছে পাইলে লাজুকতার প্রমাণ দিব...
ভাল কথা, আমার কালেকশনে বড়-ছোট অনেক লাঠি আছে।
ওরে খাইছে ... ডরাইছি
খিক খিক...
হাসলাম
অশেষ ধন্যবাদ।
'উলফত আরা ঝঙ্কারি'
এইটা মনে হয় অনেক পুরান দিনের কোন নাটকে কারো নাম ছিল। নামটা মামীকে দিছিল বড় মামার মেয়ে, আমাদের নূপুর আপা।
দাঁড়ান, ভেস্লিন খুঁজে পাচ্ছি না-খুঁজে আনি ...
ইমো হচ্ছে না কেন?
পেলেন?
হা হা ...
আগের ২ কমেন্টের শেষে তো একটা করে ইমো ঝুলাইছিলাম, আসে না কেন? rich-text editor থেকে ইমো দিলাম, কই গেল? কিভাবে দিতে হয় একটু বলেন তো, আমি নতুন আমদানী এখানে ...
কে কয় কারে!!! আমি গত রাতে এইখানে আমদানী হইছি।
'উলফত আরা ঝঙ্কারি' = উআঝ অদিতিরে স্বাগতম ;)
পয়লা দিনেই আমারে পচাইলেন? ইইই (কান্দন)
আরে পচাইলাম কৈ?

এক্টা নাম্দিলাম
তাই নিকি? হেহে...চরি ভাইসাব ভুল বুজ্জিলাম। য়াসেন চা খাই

মজা লাগল।
হেহে...ধইন্য হৈলাম।
আমাগো এক মামী ছিলেন, তারে কইতাম কর্নেল মামী।
এই মামী মহা কিপটা- সবসময়। ছোটবেলা ঈদি সবাই যখন ৫০/১০০ টাকা দিত, মামী দিত
২/৫ টাকা। এরকম একটা সময় একদিন উনি আমাদের বাসায় এলেন সন্ধ্যায়, মেজাজ তার
তিরিক্ষি! ব্যাপার কি??? জানা গেল উনি রিকশাওলাকে ২০ টাকা ভেবে ৫০০ টাকা
দিয়ে ফেলেছেন। আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম।
ভাগ্যিস ভেসিলনের কথা আগেই বলেছিলেন তা না হলে পস্তাইতে হইতো। ধইন্যা মামীর কাহিনী শেয়ারের লাগি।
কাঙ্গালের ধন বক্ষিলায় খায়! বুঝলেন তো আপা।
আরেকজনের কিপ্টামির কথা আর কি কমু...ছুডুবেলা থিকাই নিজের চাইতে দুই সাইজ বড় কাপড়-চোপড় পইড়া আসতাছি
আহারে...
থ্যাঙ্কস আপা।
আমি অবশ্য একজনের কথা জানি যিনি নিজের বাচ্চাদের জুতো পায়ের থেকে তিন চার মাপ বড় কিনতেন, সামনের দিকে তুলো গুজে গুজে পরাতেন। উনার অবশ্য অর্থনৈতিক কারণ ছিল।
অদিতি আমাদের এখানে এখন মাইনাস পনর, তাই ঠোঁটে চ্যাপিষ্টিক মেখে হাসলাম।
ভালো থাকবেন
আপা কই থাকেন? স্ক্যান্ডিনেভিয়া? ১১ মাস সুইডেন থাকনের অভিঙ্গতা হইছিল (বাবারে!!)।
কী অবস্থা কেমন আছেন?
লগিন হয়ে ঝিমান কেন?
নতুন পোস্ট লিখছেন নাকি?
হাহাহাহা...এত্ত মজার কথা কই পান? হু লিখতেছি, এইটা পরে ব্লগে দিব।
অঃটঃ আপ্নেরে ভালা পাই।
কালকে থিকা লিখতেসেন এখনো তো পোস্ট আসলো না
নয়া পোস্ট দেন
আপা, লেখা দিছি।
অদিতি ইজ ঢিলা, আজকে লিখতে শুরু করলে নেক্সট ফোর্থ নাইটে লেখা পাওয়া যাইতে পারে
তুমি তো আমারে ডুবাইতেছ। যা চাও তাই দিমু, শুধু আমারে মাফ কইরা দেও।

নতুন পোস্ট কই
চা পান করে তাগরা হয়ে নয়াপোস্ট লিখুন
দিছি আপা। আশরাফ দেখলাম আপ্নের এই ডিপি নিয়া আপত্তি দিছেন। আপনি আবার তার কথা শুইনা বদলাইয়েন না।
*আশরাফ ভাই
নেক্সট ফোর্থ নাইট কপে শেষ হপে?
প্রতুদা এইটা মনে হয় ভদ্রলোকের এককথা স্টাইল
প্রতিদিনই নেক্সট ফোর্থনাইট শুরু হয়
আইজ, একটু আগে।
আইজ, একটু আগে।
হইছে তো
শুধু শাকসব্জি খাইছে তাই বল নাই... অদিতিরে ট্রলি ভইরা মাছমাংস দেয়া হোক.........
চা দিলাম তো আপু


এত্ত কিছু??? জোস...
থেংকু আপা, চিকন সরি চিকেন খাইয়া বল পাইছি।
আপনি চিকন চিকেন কই পাইলেন আপ্নারে তো দিলাম চা,লালপানি আর কেক
সবই খাইছি...
ধুরো অদিতি আর হাসতে বলে না...
ঠিক আছে আমিই বলি
আমার বড়মামী একবার আমাকে নিয়ে মার্কেটে গেলো, সেই ৮৩/৮৪ সালের কথা, তখন কোন আইসক্রিম সবে আসছে। আমরা দুইটা নিয়ে দোকানের সামনে দাঁড়ায় দাঁড়ায় খাইলাম। মামী প্রথম খাইছে কোন আইসক্রিম, খুব সাবধানে আইসক্রিমটুকু খেয়ে দোকানীকে কোনটা ফেরত দিয়ে দিলো। ছোকরা বলে, আপা এইটাও তো খায়, আচ্ছা খালি খালি কেম্নে খাইবেন নেন আরেকটু আইসক্রিম দিয়া দেই
আমাদের ভার্সিটি ছিলো শহর থেকে অনেক দূরে। বেশী গরমের সময় বাসে করে ফিরলে আমরা আট বান্ধবী শহরের একটা হাইফাই দোকানে আইসক্রিম খাইতে নামতাম। আমরা খাইতাম সবচেয়ে সস্তা আইটেম সিঙ্গেল-কোন। তখন দাম ছিলো ২৫টাকা। আর হা কইরা চায়া থাকতাম ৩০০-৬০০ রেঞ্জের টুটিফ্রুটির পোস্টার সাইজ ছবিগুলির দিকে। একদিন বড়মামার কাছে আফসোস কইরা বলছি, মামা আমারে সাথে সাথে নিয়া গেলো ঐ দোকানে। দিলো টুটিফ্রুটি। ও আল্লা, ঐটা যে কী বিশাল সাইজের, অর্ধেকও শেষ করতে পারি না। মামা ছাড়ে না। বলে, "খাবি না মানে, টুটিফ্রুটি চাটিপুটি লুটিপুটি খাবি!"
মামীর বাসায় গেছি, আমারে খাইতে দিছে স্প্রেড চক্লেট আর রুটি। আমার অতি
পছন্দের! রুটিতে লাগিয়ে কি খেয়াল হল,স্প্রেড চক্লেটের কৌটাটা ঘুরিয়ে দেখি
এক্সপাইরি ডেট ১ বছর আগে পার হয়ে গেছে! মামীর যুক্তি হল উনি তো ১ সপ্তাহ
হল খুলেছেন, তাই কিছু হবেনা, কৌটাত আটকানোই ছিল!!!
এই মামী মহা কিপটা- সবসময়। ছোটবেলা ঈদি সবাই যখন ৫০/১০০ টাকা দিত, মামী দিত
২/৫ টাকা। এরকম একটা সময় একদিন উনি আমাদের বাসায় এলেন সন্ধ্যায়, মেজাজ তার
তিরিক্ষি! ব্যাপার কি??? জানা গেল উনি রিকশাওলাকে ২০ টাকা ভেবে ৫০০ টাকা
দিয়ে ফেলেছেন। আমরা অনেক খুশি হইছিলাম।
একটু না অনেক হাসলাম
ঘটনার সময় আমার হাসি যদি দেখতেন!
আপনি একটার পর একটা পোস্ট লুকিয়ে ফেলছেন, ঘটনা কি?
অ-দি-তি!!!!!!!!!!!! (চিৎকার)

কোথায় তুমি??????????
নতুন লেখা দাও না, আবার পুরনো লেখা লুকাচ্ছো
মন্তব্য করুন