ইউজার লগইন

সূর্যের শ্বশুর বাড়ি যাত্রা

হাসনাবাদ
১৩/১২/২০২০

সূর্যেরখ শ্বশুর বাড়ি যাত্রা//

বাসে চড়ি শ্বশুর বাড়ি
যাচ্ছে সুর্য নতুন বউটা সাথে করি
ভালমন্দ খাইছে ঠাসি, জবাই দিয়া পালা খাসি
আহা কি যে চর্বি ছিল গায়ে,পালছে কালাই/ভুষি ফল খাওয়ায়ে।
খাসির সাথে মাছ তো ছিলই, ধরছিল মাছ ভইরা খালই।
শাক সবজি আর ভর্তা ভাজি, কি যে মজা হইছিল আজি।
চাটনি পাঠাইছে খালা শ্বাশুড়ি, মামা শ্বশুরের মিষ্টির হাড়ি।
গৌড়গোপালের দধির টেষ্ট, যে যাই বলুক আমি বলি বেষ্ট।
একে একে সকল খাবার তপন দাদা করলো সাবাড়।
এখন খাবে না খাবে কখন, নতুন বিয়ে শাদি করল যখন।
শক্ত সামর্থ্যবান তাগড়া ছেলে শক্তি কি হয় নাহি খেলে।
নাইট কোচটা এবার ছাড়ল বাহে , কি মজা হাওয়া ধীর বহে।
নতুন বাসটার সিটগুলা মজার কিরে, বাসটা এবার ছাড়লো জোরে।
খাবার গুলা সব পেটের ভিতর, হুমড়ি খেয়ে পড়ে একে অন্যের উপর।
বাসটা যখন চলে জোরে নাগরদোলা আরো বাড়ে
সংগীত সুরে সবাই অস্থির, হিশি মামা হলো হাজির
হিশি মামা কয় কানে কানে, বড় মামাও আসলো ক্ষণে।
বাস চলে পাহাড়ি রাস্তা ধরে,হেথায় মাঝে মাঝে ডাকাত পরে।
রাস্তা ঢালু আঁকাবাকা, ডাকাত মামা পাইলে একা
আদর দিব,খাতির করব,পকেটটাকেও করব ফাঁকা।
বাস চলে তাই সাড়ি সাড়ি,ডাকাত মামার সাথে যেন আড়ি।
এমন যখন অবস্থা চলে, বড় মামা হাজির ঘটনাস্হলে।
বড় মামা কয় হিশি মামারে, শরীরটা যেন গেছে ফুলে।
পেটের ভিতর আর কতক্ষণ থাকি,চল ঘুরে আসি বাইরে থাকি।
হিশি মামা কয় বড় মামারে, চল তবে দৌড়াই জোরে।
দৌড়া দৌড়ি যেই শুরু, সূর্যের পেট ডাকে গুরু গুরু।
সূর্য কয় বউয়ের কানে কানে,কি করে কওতো এক্ষণে।
বউ কয় ডাক সুপারভাইজাররে, সে বিনে আর উপায় কিরে।
মন দিয়া শুনে সকল কাহিনী, সুপারভাইজার দিল
মস্ত বাণী।
এখানে বাস থামানো বিপদ বেশী,সূর্য দিল জোরছে কাশি।
কাশির চাপে ছোট হিশি, মারলো ঘুশি জোরছে ঠুশি।
তপন কহে সুপারভাইজাররে, বাস থামান বাচান আমারে।
বাস থামানো সম্ভব নহে, সুপারভাইজার রেগে কহে।
তপন কয় অবস্থা ভাল না, আমি আর সামলাইতে পারব না।
সুপারভাইজার কয় পরে দেখা যাবে, ডাকাত থেকে বাঁচি আগে।
মামাদ্বয়ের জোশের চোটে,তপনের প্রকৃতির ডাক তুঙ্গে উঠে।
শরীরের সব জোর খাটায়ে চেষ্টা করে কেমনে রাখবে আটকায়ে।
উঁচানিচা রাস্তার জেরে বাসটা ঝাকুনি দিলো আরো জোরে।
সূর্য দাদার সাধ্য কি আর হাগামুতাক পারেনা ঠেকাবার,
ফস ফস করি খানিক শব্দ হলো, বউ জিগায় তোমার কি হলো??

পোস্টটি ৪ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

আহসান হাবীব's picture

নিজের সম্পর্কে

তোমার সৃষ্টি তোমারে পুজিতে সেজদায় পড়িছে লুটি
রক্তের বন্যায় প্রাণ বায়ু উবে যায় দেহ হয় কুটিকুটি।।
দেহ কোথা দেহ কোথা এ যে রক্ত মাংসের পুটলি
বাঘ ভাল্লুক নয়রে হতভাগা, ভাইয়ের পাপ মেটাতে
ভাই মেরেছে ভাইকে ছড়রা গুলি।।
মানব সৃষ্টি করেছ তুমি তব ইবাদতের আশে
তব দুনিয়ায় জায়গা নাহি তার সাগরে সাগরে ভাসে।
অনিদ্রা অনাহার দিন যায় মাস যায় সাগরে চলে ফেরাফেরি
যেমন বেড়াল ঈদুর ধরিছে মারব তো জানি, খানিক খেলা করি।।
যেথায় যার জোড় বেশী সেথায় সে ধর্ম বড়
হয় মান, নয়ত দেখেছ দা ছুড়ি তলোয়ার জাহান্নামের পথ ধর।
কেউ গনিমতের মাল, কেউ রাজ্যহীনা এই কি অপরাধ
স্বামী সন্তান সমুখে ইজ্জত নেয় লুটে, লুটেরা অট্টহাসিতে উন্মাদ।
তব সৃষ্টির সেরা জীবে এই যে হানাহানি চলিবে কতকাল।
কে ধরিবে হাল হানিবে সে বান হয়ে মহাকাল।।