আল্ কোরান
হাসনাবাদ
১৫/১২/২০২০
আল্ কোরান//
হে অনন্ত কালের দূরন্ত পথিক,
একটু শুনো
কোথা তুমি যাও, কোথা হতেই বা এসেছ তুমি
খানিক ফিরে চাও
জীবন নদীর অবিদিত পারাবারে, এপারে বা ওপারে
কে তব সহযাত্রী, ভেবেছ কি, জেনেছ কি, জানিতে কি চাও।
একটু শুনো,খানিক ফিরে চাও।
হে মহাকালের দুরন্ত পান্থ হে,
তব উদাহরণ, তব মিশাল তুমি এ ভবে
দেখেছ কি, দেখিতে কি চাও।
তব চলার নেই তো অন্ত, শীত গ্রীষ্ম কিংবা বসন্ত
তুমি চল, তুমি ছুটে চল, ফিরে নাহি চাও।
সে যেমন বলে,
চন্দ্র সূর্য, গ্রহ নক্ষত্র, তারা বা নিহারিকার দলে
আপন কক্ষপথে চলে।
কেহ কারো স্থান না করি দখল, চলার গতিও হয় না বিকল।
সে চলে, সে বলে
কে সে? কে বলে? কে সে, কে চলে??
অনন্ত কালের অনন্ত গতিতে চলে।
সে যে জীবন্ত, নয় জড় গ্রন্থ, চাও কি উদাহরন
চাও কি প্রমাণ।
সে যে আল্লাহর বাণী, পারাবারের সহযাত্রী
আল্ কোরান। আল্ কোরান।
সুবেহ-সাদিকের কত আগে, দলে দলে ঘুম থেকে জেগে
কচি কচি মানব সন্তান, যেন রনাংগনে হয়ে আগুয়ান
পড়ে, আল্ কোরান, পড়ে, আল্ কোরান।
তাদের কন্ঠ নিসৃত আল কোরানের বাণী
তরুলতা, প্রাণীকুল শুনি।
গাহে সাথে, বাহির হইয়া পথে, গাহে সৃষ্টি কর্তা
তুমি মহান, তুমি মহান।
এ যে মহা গ্রন্থ, আল্লাহর বাণী
আল্ কোরান, আল্ কোরান।
শুনিয়া আল কোরানের বাণী, শয়তানের হয় পেরেশানি
হইয়া দিশহারা, যেন কুকুর করিছে তারা
ছুটে চলে সে, ছুটে চলে।
হয়ে জ্ঞান হারা হয়ে অজ্ঞান।
শুনিয়া আল্লাহর বানী আল্ কোরান
আল্ কোরান, আল্ কোরান।
হেন কালে মসজিদে মসজিদে মোয়াজ্জিন তারস্বরে
আজানের ধ্বনিতে জানায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে
আল্লাহু আকআার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান
আজানের ধ্বনি শুনি, বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড খানি
চকিতে বৈচিত্র আনি নিম্নস্বরে গাহে
আল্লাহু আকবার,আল্লাহু আকবার
আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান।
সে যে আল্লাহর বাণী, আল কোরান আল কোরান।
আজানের সাথে সাথে, সাড়া দুনিয়াতে উঠে সাজ সাজ রব।
কেউ বা জরুরত সাাড়ে কেউ বা অজু করে
এ যে আমলের যুদ্ধের কলরব।
একই ক্ষণে একই স্থানে দাড়াইয়া সাড়ি সাড়ি
কাধে কাধ মিলাইয়া, ছোট বড় তফাত না করিয়া
ধনী-গরিবে তফাত না করিয়া
মোয়াজ্জিন আকামত দেয়, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার উচ্চারি।
মহান সৃষ্টি কর্তার দরবারে, দন্ডায়মান সকাতরে
বিনয়ের সাথে ইমাম উচ্চারে,সকল স্তুতি তব তরে
তুমি রহমান তুমি রহিম, তুমি মহান
এ যে আল্লাহর বাণী, আল্ কোরান, আল্ কোরান।
নামাজ সমাপ্ত হলে, বেরিয়ে দলে দলে
কচি কিশোর ছেলের দল।
আবার পড়িতে বসে নিবিষ্ট চিত্তে পড়ে নয়ত কোন ছল।
পৃথিবীর অভ্যন্তরে, ঘুর্নায়মান প্রক্রিয়ার তরে
কোথায় দিন বা কোথাও রাত্রি রহে।
সাড়া পৃথিবী জুরে, শিশু কিশোর বা নুহ্যমান বয়সের ভারে
পড়ে কোরান, দেয় আজান,পাঞ্জেগানা পড়ে।
তাই তো বলি ক্ষনিকের তরে, কোরান পড়া যায় না অবসরে।
তাই তো হে পথিক,
অবিদিত পথ জানিতে সঠিক।
আল্ কোরানকে কর সহযাত্রী
জীবন্ত এ গ্রন্থ, হবে না যার অন্ত
দিবে পারাবারের দিশা,কাটাইবে অমানিশা
হউক যত অন্ধকার রাত্রি।।
মন্তব্য করুন