আহসান হাবীব'এর ব্লগ
ডোম (পর্ব-১) সংগৃহীত
তিনি পেশায় একজন ডোম। মৃত মানুষের শরীর কেটে তার থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করাই তার কাজ। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে মৃতের মৃত্যুর কারন নির্ণয় করা হয়। খুবই গুরুত্ব পূর্ণ ও ভয়ের একটি কাজ। ভয়ের কাজ আমাদের কাছে হলেও যে এ কাজ করেন তার কাছে নাকি ভয় নয়, বরং আনন্দই লাগে।
তাকে একটি মফস্বল শহরে বদলী করা হল। তখনকার দিন মফস্বল শহর গুলো এত উন্নত ছিল না। শহরে বাসা ভাড়া পাওয়া বেশ কষ্ট সাধ্য ছিল। কারন মফস্বল শহরে তেমন দালান কোঠা গড়ে উঠেনি। ভাড়া নিতে হলে টিনশেড ঘর, তার উপর রান্না বান্না করা, থাকার জন্য খাট টাট হাবি জাবি কত কিই না লাগে। তাই এত ঝক্কি ঝামেলা ও খরচ বাচানোর জন্য তিনি শহর থেকে একটু দূরে একজন প্রভাবশালী কৃষকের বাড়িতে লজিং থাকার ব্যবস্থা করলেন। এ বাড়িটির খানিক দুরে ছিল একটি শ্বশানঘাট বা চিতাশাল। কিন্তু এদিকে তিনি তেমন কোন নজর দিলেন না।
মায়াকানন
ময়মনসিংহ জেলা। এ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদী। নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে হাজারও শহর বন্দর জনপথ যেমনটি সকল নদীর ক্ষেত্রেই ঘটে, কারন এক সময় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল নদী। নদী থেকে পাওয়া যায় কত রকমের মাছ যা তীরবর্তী জনপদের ভোজের রসনা মেটায়। নদীর উপর দিয়ে দুরন্ত বেগে ছুটে চলে ইঞ্জিন চালিত নৌকা, বড় বড় ব্যবসায়িক বজরা আরও চলে চিত্যবিনোদনের নিমিত্য নোকা বাইচ। আর এসব নদী নৌকা, মাঝি মল্লাকে নিয়ে কত হৃদয় জুড়ানো গান তৈরী হয়েছে তা কি লিখে শেষ করা যাবে। দৃষ্টির বাইরে চলে যাওয়া এ নদী দুইপাড়ের বাসিন্দাকে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা বিনে পয়সায় দিয়ে যায় নির্মল বাতাস যা শরীর ও মনকে নিষ্কলুষ করে পবিত্র করে তোলে। তাই বলে সকল মানুষ কি এ নিষ্কলুষতার ছোয়া পায়। না পায় না, যদি পেত তা হলে এমন কি কখনও হত।
মিষ্টি মধুর আলোর সূর্যের উদয় ঘটাবেই
বাড়ন্ত শরীরের কিশোর বা যুবক সন্তানের চলন্ত পথে তাকিয়ে বাবা মা বার বার থুতু ছিটান যেন বাবা মায়ের নজরও সন্তানের উপর না পড়ে বরং বার বার মনের অজান্তে অন্তর থেকেই দোয়া হতে থাকে হে সৃষ্টি কর্তা আমার সন্তানকে তুমি সকল বালা মশিবত থেকে রক্ষা কর। এই সন্তানের প্রতি কি যে ঐশ্বরিক মায়া,বিন্দু মাত্র কষ্ট পেলে, একটু হোচট খেলে সেটা সন্তান নয় যেন নিজের গায়ে বালকে নিজের অন্তরে লাগে। সন্তান তেমন লাগেনি বলে সান্তনা দিতে চাইলেও, বাবা মায়ের মন মানে না, তুমি এটা করতে গেলে কেন? নইলে তো তুমি এই ব্যথাটা পেতে না, হতো না। সন্তান কিছু হয়নি বললেও বাবা মায়ের মন কিছুতেই মানতে চায় না। আর যতই চেষ্টা করি আমার কি সাধ্য এ অনুভূতি লেখায় প্রকাশ করি। এ অনুভূতির ভাষা শুধু অনুভূতিতেই প্রকাশ করা যায়।
আমরা সহজে সব কিছু ভুলে যাই।
দিন দশেক ব্লগ ফেবু REOSA, BITRAJ বা কোথাও কোন লেখা পোষ্ট করেছি মনে পড়ছে না। মনে হচ্ছিল কতদিন লেখি না। কি করে লেখি লোভ যদি কারও ভিতর প্রবেশ করে লেখা লেখির মানসিকতা তার থাকে কি করে? আমারও হয়েছে তাই। অর্থের লোভ সামলানো সত্যি কঠিন? আর এ লোভ আমাকে মাঝে মাঝে পেয়ে বসে। পরিচিত সার্কেলে বড় কোন টেন্ডার দিতে হলেই ডাক পড়ে, অফিস শেষে এবং ছুটির দিনে, লেখালেখির সময়টা অতিরিক্ত টাকা উপার্জনের পথে ব্যয় করে ফেলি। অবশ্য এড়িয়ে যাওয়াও সম্ভব হয় না। শত কোটি টাকার টেন্ডার দিতে যারা ডাকেন তাদের এড়িয়ে যাওয়াও আমার দৃষ্টিতে বেয়াদবি। এ সপ্তাহ এমনি অতিরিক্ত ব্যস্ততা বাদেও অফিসে কাজের ও মানষিক চাপ দুটোই বেশী ছিল। তাই তো আমার বন্ধুরা, আমার ভাবনাগুলো, আমার লেখালেখির উপকরণ গুলো আমার ছেরাবেরা অবস্থা দেখে আমাকে করুনা করে আমার কাছ থেকে দুরে সরে গেছে। ক্লান্ত শ্রান্ত শরীরে কিছু সময়ের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রবেশ করে প্রিয় লেখক ব্লগারদের লেখার শিরোনাম পড়ে আড়মোড়া ভেঙ্গে লেখার চেষ্টা করলেও লেখার মত কাওকে আর খুঁজে পাই না।
চ তুমি কত ভাগ্যবান(শেষ পর্ব)
চ তুমি কত ভাগ্যবান(শেষ পর্ব)
চ তুমি কত ভাগ্যবান দ্বিতীয় পর্ব পড়ে একজন আমাকে THANX দিয়েছেন বিনিময়ে আমি উনাকে Thanks দিয়েছি। কারন একমাত্র উনিই আমার মত নির্বোধের নির্বুদ্ধিতার স্বরূপটা উন্মোচন করে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়েছেন,নির্বোধেরাই কেবল মান্যগণ্য ব্যক্তিদের সমালোচনা করতে পারে। তা পবিত্র মহান সংসদে দাঁড়িয়ে তাঁরা যা খুশি বলবেন যাহা খুশি করবেন তাতে তোমার মত নির্বোধের কি? হউক তা মাননীয় স্পিকারকে লক্ষ্য করিয়া বলা, মাইক দে?
এই সে মহান সংসদ এর অভ্যন্তরে যারা প্রবেশ করবেন তাঁরা প্রত্যেকে প্রত্যেকটি এলাকার এক একজন আদর্শ মানুষ।আদর্শ ব্যক্তিগনকে পছন্দ করে পবিত্র সংসদে পাঠানো হয় যাতে তাদের সংস্পর্শে পবিত্র সংসদ আরও পবিত্র হয়ে উঠে। তারা রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের সন্তানদের জন্য কল্যাণকর আইন করবেন। রাষ্ট্রের সন্তানেরা তাদের কাছ হতে আদর্শ মানুষের মত জীবন যাপন করার দীক্ষা পাবেন।শিশুকালে বাবা মা, স্কুল, কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে আমরা শিখি। তারপর কার কাছ থেকে শিখব?,
চ তুমি কত ভাগ্যবান(পর্ব-2)
প্রত্যেকটি নবজাতক শিশু জন্ম গ্রহণ কালে কান্না করতে থাকে।আমার দৃষ্টিতে সেটা কান্না নয়, আমি আমার একটি কবিতায় লিখেছিলাম, সে তখন চিৎকার করে বলতে থাকে আমি মানুষ, আমি মানুষ। কিন্তু আমরা তার ভাষা বুজতে পারি না। তাই আমরা যে যার ধর্মে জন্ম গ্রহণ করি,প্রকারান্তরে সে সেই ধর্মের অনুসারী হই। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া। এই নবজাতক শিশুটি যে ঘরে যে বাবা মা বড় ভাইবোনের সাথে থাকে তাদের কাছ থেকেই সে সকল প্রাথমিক শিক্ষা পেয়ে থাকে। তারপর যখন সে শিক্ষাঙ্গনে যায় তার শিক্ষক, শিক্ষিকার কাছ থেকে বিদ্যাশিক্ষার পাশাপাশি পরিবেশ ও পারিপাশ্বিকতার শিক্ষা লাভ করে। নিজ দেশে বা দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সময় সহপাঠীর কাছ থেকেও একে অপরের মাঝে পরিবেশ ও পারিপাশ্বিকতার আদান প্রদানে বিশ্বপরিবেশ বিষয়ে ধারনা জন্মে। দেশ ও দেশের বাইরে কাজ করতে গেলেও কিছুটা ধারনা হয়। তবে আমরা যে যত আধুনিক বা উদার মানসিকতার হই না কেন? রক্ষনশীলতা রক্ষনশীলতাই, এটা আলো ও আঁধারের মত।
ভুতের বাড়ি
ভুতের বাড়ি
(জুনাঈদ মাসুদ হোসাইন)
আমার বাড়ি সিসিমপুরে
ভূতের বাড়ির কাছে
রাতের বেলায় আমায় দেখে
ভূতরা সব, খিলখিলিয়ে হাসে
রাতে যখন টয়লেটে যাই
ভূতের হাসি শুনতে পাই
আমি যখন খাবার খাই
ভূতের কাশি শুনতে পাই।
আমি যখন ঘুমাতে যাই
ভূতের কথা শুনতে পাই
ভূতরা বলে, আহারে
আরামে ঘুমাচ্ছিস ভাই
আয় তুই আমাদের কাছে
ঘাড় মটকে খাই ।
আমার ঘাড় মটকাতে চাস শুনে পেল হাসি।
আমি মানুষ সৃষ্টির সেরা একটু দাঁড়া আসি।
মহান রবের নামটি নিয়ে গেলাম যখন তেড়ে
ভুতেরা সব পালিয়ে গেল সকল কিছু ছেড়ে।
চ তুমি কত ভাগ্যবান(প্রথম পর্ব)
তখন ক্লাস সেভেন/এইটে পড়ি। রাত এগারটার আগে ঘুমুতে যাওয়া হতো খুব কমই। পড়াশুনার জন্য রাত জাগা তা বলা যাবে না, ফিফটি ফিফটি বলা যাবে। তখন বিনোদনের মাধ্যম রেডিও, প্রতিদিন রাত দশটায় কোন না কোন কেন্দ্র থেকে অনুরোধের আসর হতো। আমাদের ঠাকুর গাও থেকে আকাশবানী কলকাতা খুব সুন্দর শোনা যেত। বুধবারে আকাশবাণী থেকে হতো আধুনিক গানের অনুরোধের আসর।
ওগো বৃষ্টি তুমি চোখের পাতায় ছুয়ো না,
অথবা তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তারা
চুপি চুপি ঘাড় আজা
তুমিও মিথ্যে বলতে পার বুঝিনি কখনও
এমন মিথ্যে বলায় দুঃখ নেই আরও বল আরও
বিষন্ন বাউন্ডুলে তুমি আবোল তাবোল-১৬ লিখে
সকাল সকাল মনটাই দিলে ভরে।
তোমার লেখার রূপ রস গন্ধে
আমরা বন্ধু আছি সতেজতায় ভরে।
তুমি এত লেখ, এত ভাল লেখ
তবু বল কিছু লেখ নাই
একি ব্লগের প্রতি ভালবাসা
নাকি মনুষ্য স্বভাব চাই-চাই-আরও চাই।
চুপি-চুপি ঘাড় আজা-ঘাড় আজা
এ দো গানা নেহী শুনা কাভি
কুছ বাত নেহী, পড়কে দিল ভর গিয়া আভি।
দুঃখের সারথি বন্ধুদের চেনালে তুমি
নতুন অবয়বে।
হায়েনার দল যতই বড় হউক,
মানুষ মনুষ্যত্ব সর্বদাই রবে।
আমি গ্রীন, আমি নতুন তাই ভেবেছিনু
কেউ কাউকে নাহি চেনে।
আমরা বন্ধুর বন্ধুত্বের গভীরতা অনেক
যদিও টোকাই ননসেন্স হাবীব এল এক্ষনে।
তুমি জানালে কত আপু ভাইয়্যার কথা
কে আছে কোথায় বা কি করে।
সাঈদ ভাইয়ের বিলাসী শেষ, তানবীরা (আপু) সিসিমপুরে।
০১/০৭/২০১৩
কেন মেঘ আসে হৃদয়ও আকাশে( পর্ব-২)
ভাই সাপের খেলা, দেখবেন আসেন, আছে গোখড়া, পদ্মিনী, শঙ্খিনী, দারাজ, আরও অনেক অনেক সাপ। এই সব বিষধর, কাল নাগিনীর সাথে খেলা করবে আমার কাল নাগিনী, আমার সঙ্গিনী, আমার পিয়ারি, কমলা বেগম। তাই আসেন, সময় গেলে আর দেখতে পারবেন না। সুযোগ হেলায় হারাবেন না। সকাল ১০টা কি সাড়ে ১০টা, বাজারের বাঁশের হাট বসার ফাঁকা জায়গায় সাপের খেলা দেখানোর জন্য সাপুড়ে মিয়া/বিবির(বদি ও কমলা) দল সাপ খেলা দেখানোর জন্য হাক ডাক ছাড়ছে। ইতিমধ্যে লোকজনের ভীড় অনেক জমে উঠছে। কাজলের বোন ঢাকা থেকে এসেছে। সব বোন গুলো অপরূপ সুন্দরী এবং ভাল জায়গায় বিয়ে হয়ছে। বংশীয় পরিবার। এক ভাগ্নিকে সাথে করে মাছ, মাংসসহ অনেক বাজার করে মোটর সাইকেলে বাসায় ফিরছিল। কোলাহল ও গোলাকৃতির জটলা দেখে, কাজল ভোঁ ভোঁ করে চলা মোটর সাইকেল খানা গ্যাচ করে ব্রেক করে অকুস্থলে থামাল। যারা অকুস্থলে উপস্থিত তাদের সকলেরই প্রায় পরিচিত , তাই সন্মান বা ভয় যাই বলেন, অনেকে সরে গিয়ে জায়গা করে দিল। মটর সাইকেলে বসেই দেখল,সাপুরে স্বভাব সুলভ বগর বগড় করে যাচ্ছে।
ও সাপের খেলা।
আচ্ছা আইতাছি।
জেবীন আপুর বন্ধুর কবিতার বই" মুড়ি"
আফনের বন্ধু আবু বরকতের জন্মদিন
আফনের মাজেজায় চিনিনু তিনাক যিনি ছিল অচিন।
আফনের বন্ধু তাই মোরও বন্ধু,
কি দিব উপহার বল
সুদুর হিমালয় হতে তুলে আনা নাম জান কিছু ফুল
টেকনাফের ঝর্না হতে এক ঘটি জল।
আর কি দিব বল।
আমরা বন্ধু, আমরা শক্তি আমরাই সবার বল।
তোমার বন্ধুর,
কবিতার বইখানি প্রকাশিত নাম দিয়েছেন মুড়ি
তারুন্যে ভরা অবভব খানি, ঠোটে আঁটা বিড়ি।
তোমার লেখায়,
বন্ধু পরিবারের সকল অনুভুতি তুলেছ মুড়ি মুড়ি
কেমন বন্ধন বল, কেহ কাকেও ছাড়িতে না পারি।
কেহ কাউকে নাহি চিনি ব্লগের পাতার বাহিরে
তবু যেন মনে হয় চিনি তোমায় হাজার বছর ধরে।
যা শিখিনি ক্লাসে, যা শিখিনি মাঠে শিখেছি তা হেথায়।
এমনিই এক পাঠ্য শালা বিনে পয়সায় শিখায়।
বই না কিনেও বই পড়ার সাধ মিটে হেথা।
শান্ত টুটুল, টোকাই তানবীরা বলছি সবার কথা।
যখন তুমি আমি বুড়া বুড়ি হাতে নিব বই “মুড়ি”
নাতি নাতনি বলবে দাদু কবিতা কেন মুড়ি।
আমারও কথা, বক্কর ভাই, নাম কেন দিলে মুড়ি।
প্রথম পরিচয়েই দিলাম একখান ছোট্ট প্রশ্ন ছুড়ি।
৩০/০৬/২০১৩
টুটুল ভাই, লিনা আপু ও আহমদ মোস্তফা কামাল ভাই এর জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ’১৩ লাভ। (শেষ পর্ব)
কথায় কথা বাড়ে। আহমদ মোস্তফা কামাল ভাইয়ের পুরস্কার লাভ, আমার বউডার বদলীর অর্ডার দুটি খবর ঘণ্টা দুইয়েকের ব্যবধানে আসে। প্রথম খবরটি দিল টুটুল ভাইয়া, সাথে লীনা আপুর দীর্ঘ রিভিউ আমাকে এই লেখার রসদ ও বাল্যস্মৃতি রোমন্থনের উপহার হিসেবে এনে দেয়। যার সাথে যুক্ত হয় প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসংগিক অনেক কিছু। আমার বধূটি এতদিন আমার কাছ থেকে দুরে থাকায় প্রিয় বন্ধুদের প্রিয় পিঞ্চিং আমাকে কি পরিমাণ আদর আপ্যায়ন করছে তার কিছুটা ধারনা হয়ত দিতে পেরেছি। এটাই ছিল আমার প্রথম পর্বে প্রতিশ্রুত গল্প বলার বিষয়। কিন্তু প্রথম পর্বে অনেক মন্তব্য পেয়েছি যার উত্তর আমি দিয়েছি কিন্তু শাশ্বত স্বপন ভাইয়ের একটি প্রশ্ন ছিল, ভাবিকে আপনি অনেক ভালবাসেন? তার উত্তরটা এখানে দেবার চেষ্টা করছি। প্রশ্নটা অতি ছোট হলেও আমার কাছে তার গুরুত্ব অনেক। মন্তব্যের ঘরে দিলে হয়ত তা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে থাকবে না।
টুটুল ভাই, লিনা আপু ও আহমদ মোস্তফা কামাল ভাই এর জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ’১৩ লাভ। (পর্ব-২)
আমার লেখার প্রথম সমজদার হইলো আমার ক্লাসের বন্ধুরা। ছাত্র জীবনে যা লেখতাম তা কিছু বন্ধুর মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন কমন ই-মেইলের কল্যাণে সাড়া দুনিয়াতে রুয়েটের সকল বন্ধু, বড় ও ছোট ভাইয়েরা ছাড়াও আরও কয়েকটি গ্রুপ মেইল ও ব্লগের বন্ধুরা পড়ে।আমি বাহরাইনে অবস্থান কালীন কিছু লেখা ইংরেজীতে লিখি। তার কারন দুটি, প্রথমত তখন সেখানে কি বোর্ডে বাংলা ফন্ট না থাকা এবং আমি বাংলা টাইপে পারদর্শী না হওয়া, দ্বিতীয়ত ইউ এস নেভীর ভিতর আরবী ও ইংরেজী ছাড়া অন্য ভাষায় লেখা নিষিদ্ধ হওয়া। যদিও হিন্দি বাংলাসহ যে কোন ভাষায় কথা বলা যেত। আমার রুমমেট ও একই কম্পানির সহকর্মীদের মাধ্যমে কিছুটা পরিচিতি পেলে, আমার ইন্ডিয়ান, ফিলিপিনো, পাকিস্তানি, বাহরাইনই কলিগ ও কয়েকজন আমেরিকান বন্ধু আমার লেখা পড়ত। আর লেখায় উৎসাহ দেবার জন্য ছিল বাংলাদেশ স্কুলের সন্মানিত সভাপতি ও আল আহলী ব্যাংকে কর্মরত জনাব শাফখাত আনোয়ার, ভাবি আর আমার বাংগালী সহকর্মীরা। দুই তিনটা অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা আবৃতি করার পর একটা পরিচিতি চলে আসে। অন্য দেশের অবস্থা জানিনা তবে বাহরাইনে ১৬ই ডিসেম্বর, ২৬সে মার্চ, ২১ সে ফেব্রুয়ারী ঈদে মিলাদুন্নবী, শবে