আহসান হাবীব'এর ব্লগ
তোমার জন্ম দিনে(সুফিয়া কামাল)
তোমার জন্ম দিনে কি দিব তোমে
উপহার
আজ তুমি সকল কিছুর উর্ধে
কোন কিছুর নেই দরকার।
তুমি তো নেবার মত কেউ নয়
দিয়ে গেছ জীবন ভর
ঘোর অন্ধকারে প্রদীপটি জ্বেলে
চলে গেলে আপন ঘর।
সে ঘরে আলো আছে কি না
জানি নাতো দয়াময়
সন্তানের দোয়া বৃথা নাহি যায়
দোয়া মাঙ্গি, মায়ের ঘরখানি কর আলোকময়।
টুটুল ভাই, লিনা আপু ও আহমদ মোস্তফা কামাল ভাই এর জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ’১৩ লাভ। (পর্ব-১)
আমরা বন্ধু ব্লগে সদস্য হবার জন্য যখন নিবন্ধন করি আমাকে বলা হয় আপনাকে কিছুদিন পর্যবেক্ষন করা হবে তারপর আপনার লেখা প্রকাশ করার মত হলে আপনাকে সদস্য করা হবে। তবে এতে হতাশ হবার কিছু নেই আপনি বিভিন্ন লেখকের লেখায় মন্তব্য করতে পারবেন। আমার/আপনার এক একটা মন্তব্যও অনেক মুল্যবান। এভাবে ব্লগকে মাতিয়ে রাখুন। একদিন হয়ত আপনার সদস্য হবার দ্বার উন্মোচন হবে। আমাকে খুব বেশীদিন অপেক্ষা করতে হয়নি কিছদিনের মধ্যেই আমি সদস্য পদ প্রাপ্তির সনদ পেয়ে যাই।
এর আগেও আমি ফেবুসহ কয়েকটি কয়েকটি সামাজিক মাধ্যমে লিখতাম। আমি প্রকৌশলীদের কয়েকটি সামাজিক মাধ্যমেও লিখি। তবে আমরা বন্ধু ব্লগে আসার পর আমার যা মনে হচ্ছে তা ছোট সময় আমার এক রশিক দুলাভাই এর একটি কথা মনে করিয়ে দেয়।
এই শালা ক্লাসে তোর রোল নম্বর কত রে?
এক।
তোর ক্লাসে ছাত্র কজন,
দুজন। ও আচ্ছা।
আর একজনকে একই প্রশ্ন করলে ,সে উত্তর দিল আমার ক্লাসে ছাত্র সংখ্যা ১৫০ আর আমার রোল ০৫। ও আচ্ছা।
“কিছিকো কইবো নাকো ,স্বপ্নে দেখিলে......।।"
দুটি গপ্ল বলি,
প্রথমে যে গল্পটি বলব তা অনেক ক বছর আগে ১০০বিখ্যাত ব্যক্তির জীবনী গ্রন্থের একটি কাহিনী তাই ঘটনায় বর্নিত বুজুর্গ গনের নাম মনে নেই। তবে কাহিনীটি পুড়োপুড়ি মনে আছে।
ঘটনাটি এরকম,
প্রত্যেক এলাকা বা সমাজে বখে যাওয়া এমন দু একজন ছেলেপেলে থাকে যারা উঠতি বয়সে এহেন খারাপ কাজ নেই যা করে না। ইরাকের বাগদাদে ঠিক এমনিই একটি ছেলে ছিল। সকলেই তাকে এড়িয়ে চলত। মেয়েদের তো কথাই নেই। একদিন তার কি মনে হলো সে আছরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে মসজিদে প্রবেশ করল। অজুখানায় প্রবেশ করে অজু করছিল। বলা বাহুল্য, অজুখানার কিছু অংশ উচু জায়গায় এবং কিছু অংশ নিচু জায়গায় অবস্থিত ছিল। সে উচু জায়গায় বসে অজু করছিল। এমন সময় তখনকার বিখ্যাত বুজুর্গ আধ্যাতিক সাধক(সম্ভবত হাসান বসরী রঃ) মসজিদে প্রবেশ করে নিচু জায়গায় অজু করতে বসলেন। উচু জায়গায় বসে যে ছেলেটি অজু করছিল তার ব্যাপারটা পছন্দনীয় হয়নি। সে ভাবল এত বড় বুজুর্গ নীচে অজু করবে আর আমি উচু জায়গায় বসে অজু করবো এটা হয়না, সে যথারীতি উচুস্থান থেকে নীচুস্থানে নেমে অজু করে নামাজ পড়ল। কয়েকদিন পড় ছেলেটি মারা গেল।
কেন মেঘ আসে হৃদয়ও আকাশে
আমি যখন বাইরাইন প্রবাসী তখন ওখানকার পরিবেশ,ধর্মীয় বিষয়ে (বিভিন্ন ধর্ম)পড়াশুনা, বড় ভাইয়ের মৃত্যু মানষিক ভাবে আমাকে ভীষণ দুর্বল করে তোলে। আমি নিয়মিত ধর্ম পালন ও পারলৌকিক বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করতে লাগলাম। এ ভাবনা চিন্তার মাত্রা এক সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে আমার মানষিক অশান্তির কারণ হয়ে দাড়ায়। আমার কাছে পৃথিবীর যাবতীয় বিষয় অতি তুচ্ছ মনে হতে লাগল। নিছক এ পৃথিবী, আর এর জন্য এত কষ্ট। তারপরও পরকালে যে শাস্তির বর্ননা দেয়া আছে সে সব চিন্তায় কিছুই ভাল লাগছিল না। আমি তখন আমাদের কোম্পানির ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ারিং হায়দ্রাবাদী বুজুর্গ খান সাহেবের সাথে কথা বলি। সময়টা ছিল এশার নামাজের পর। খান সাহেব কিছুক্ষন চুপ করে থেকে আমাকে নিয়ে আবার মসজিদে প্রবেশ করলেন। এটা কোম্পানির অফিসারদের থাকার জন্য বাসস্থান ও অফিস সংলগ্ন মসজিদ। তিনি আমাকে সুরা জুমার ১০ নম্বর আয়াত পড়তে দিলেন এবং ইংরেজীতে যে অর্থ লেখা আছে তা পড়তে বললেন।
৬২:১০ ফাইযা কুদিয়াতিছ্ ছালাতু ফান্তাশিরূ ফিল্ আর্দ্বি ওয়াব তাগূ মিন্ ফাদ্বলিল্লাহ।
অবকাশ যাপন কর
তিনিই সে আল্লাহ্
যিনি চিরঞ্জিব ও চিরস্থায়ী
যার ঘুমতো দুরে থাক তন্দ্রা ও
কখনো স্পর্শ করে না।
আকাশ ও জমিনে নেই কেহ
তাঁর সমকক্ষ
নেই কেহ সুপারীশ কারি তার
অনুমতি ব্যতিত।
জানা আছে তাঁর দৃষ্টির সামনে ও পিছনে।
কেহ পারে না বিন্দু মাত্র জ্ঞান অর্জন করতে
তাঁর অনুমতি ব্যতিত।
তাঁর সিংহাসন আকাশ ও জমিন বেষ্টন করে আছে
তাই সমস্ত কিছুর রক্ষনাবেক্ষন করা তাঁর পক্ষে
মোটেই কঠিন কিছু নয়।
তাইতো তিনি বলেন...
আমি যাকে খুশি রাজ্য দান করি
যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা হরণ করি।
যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান করি
যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি করি
আমার হাতেই রয়েছে সকল ক্ষমতা
আমি সমস্ত কিছুর উপার ক্ষমতাবান।
আমি দিনকে রাতের ভিতর আর
রাতকে দিনের ভিতর প্রবেশ করাই।
আমি মৃত হতে জীবিতকে বের করে আনি
আর জীবিতকে করি মৃত।
আমি দুই নদী ও সমুদ্রকে পাশাপাশি
প্রবাহিত করি
কিন্তু কেউ কারও সীমা করে না অতিক্রম
তাই তো তোমরা পাও নদীর সুপেয় পানি
যখন সাগরের পানিকে পাও লবণাক্ত।
আমি সপ্ত আকাশকে স্তরে স্তরে স্থাপন করেছি
সর্বনিম্ন আকাশকে করেছি প্রদীপমালা দ্বারা
সুসজ্জিত।
আমি চন্দ্র সূর্য গ্রহ নক্ষত্রকে
শাশ্বত স্বপন ভাই ও অনামিকা
স্বপন ভাইয়া, এটাই মনে হয়, আপনার লেখা প্রথম কোন পোষ্ট পড়ছি। প্রথম দিনেই এত কষ্টে ভরা পোষ্ট উপহার দিলেন!
নিবে কি তোমাদের সাথে
আরাফাত প্রতি বছর বক্ষে ধারন করে
লাখ লাখ একত্ব বাদীকে লাব্বায়িক লাব্বায়িক ধ্বনিসহ
কি পেয়েছে না পেয়েছে যার হিসেব সে করবে
ফিরে আসে অন্তরে বিশ্বাস ধারন করে।
কেউ মানি বা না মানি এতো সত্য
যেমন আমি আস্তিক আমি নাস্তিক আমি মানুষ সত্য।
মোদের শান্ত শিষ্ট আরাফাত, সাগর সম বক্ষ নিয়ে
সকলের দুঃখে দুঃখি সকলের সুখে সুখি।
প্রতিদিন সবাইকে সচল রাখে
রোজ নামচা বা লিখে দিনলিপি।
অকিঞ্চন তব আস্ফালন কেন হবে বৃথা?
তব আস্ফালন অকিঞ্চন নয়, পাহারসম
তাই সজল নয়ন নিভৃত স্বপ্নচারীর
পিতৃবিরহে মম অন্তর ফালি ফালি হয় হেথা।
টুটুলের চোখ ধাঁধানো হিরন্ময় অবয়ব
শওকত মাসুমের নিচ্ছিদ্র, চিন্তক লেখা সব,
তানবীরা আপু , জেবিন, রন্টি , বিষন্ন বাউন্ডুলে
আজ পেলাম ফিরে আসা পুরাতন অমিত মানুষ
আমরা একটি পরিবার একটি বাগান ভরা ফলে ফুলে
আমরা হেথা উপভোগ করি সর্বদা ফাগুন পৌষ।
টোকাই, মন খারাপ ভেবেছ তুমি গিয়েছ টুটে
নারে বন্ধু না, তবে শান্তর সাথে ঢাকার অলি গলি কে বেড়াবে ছুটে।
আরও কতজন আছে মুই না জান সবার নাম ঠিকানা
নিজ গুনে তাই করিবেন এই অধমক ক্ষমা।
আমরা সবাই সাধারন, সবাই বাংগালী, বাঁচি মাছে ভাতে।
বুয়েটের বাপ(পর্ব-শেষ )
সকল দিনে যেমন ঝক ঝকে সূর্য কিরন থাকে না বা সব রাত্রি যেমন পূর্নিমার আলোয় ভাসিয়ে নেয় না তেমনি সকল প্রেমের উপাখ্যানও সফলতা লাভ করে না। আবার কারও হয়তবা হতে হতেও হয় না। সকল ফুলে ফল হয়না, সকল গাছেও ফল ধরে না। যাক এ নিয়ে কত বিরহের গান কবিতা গল্প আছে আমার আর এ বিষয়ে কিছু না বললেও সবাই জানি,
পথ হারা পাখি কেঁদে ফিরে একা
আমার জীবন শুধু আধারে ঢাকা।(নজরুল)
অথবা
কাঁদালে তুমি মোরে ভালবাসারই ঘায়ে
কাঁদালে তুমি মোরে।
নিবিরও বেদনাতে পুলকও লাগে গায়ে।
কাঁদালে তুমি মোরে।(রবি)
চিঠিও নাই ঠিকানাও নাই
কোথাই খুজি তারে
জীবন যৌবন কেড়ে নিয়ে
ভিখারী করিল মোরে।
সে যে ভিখারী করিল মোরে।
আমার কল কল ছল ছল ডল ডল যৌবনে
কিসের বান মারিল সে যে বুঝতে নারি ক্ষণে
কিসের ব্যথা কিসের জ্বালা বুজিতে না পারি
ডাক্তার বৈদ্যের সাধ্য কি যে আমায় ভাল করে।
জীবন যৌবন কেড়ে নিয়ে
ভিখারী করিল মোরে।
পড়ার টেবিল কাটার বাগান ঢুকতে গেলেই হানে,
যাকে যায় না ধরা যায় না ছোয়া সেই আমাকে টানে।
কোথায় যাব কি করিব বুঝতে নাহি পারি।
অকালে বুঝি যায় যে জীবন ভালবেসে তোমারে
জীবন যৌবন কেড়ে নিয়ে
পরীক্ষার নাই শেষ( শনিবার থেকে জুনাঈদের পরীক্ষা। ও আপনাদের সকলের দোয়া চেয়েছে)
পরীক্ষার হল
নেই কোলাহল
কাগজের খসখস
কলমের ঠকঠক
মনের আছে বল
পরীক্ষার হল।
কারো হাত খাতায়
কারো হাত মাথায়
কারো লেখা ভালো
কারো লেখা মন্দ
কারও লেখা ধীরে
কারো লেখা জোরে
তবু লিখতেই হবে
লেখা নেই বন্দ।
টিচারের তেজ
খাতার পেজ
পরীক্ষার হলে নাই
কোনো কিছুর শেষ
ঘণ্টা যখন পড়ে যায়
সবার লেখা থেমে যায়
খাতায় তো থাকবেই ভুলের লেশ
জীবনে তো নাই পরীক্ষার শেষ
১৩/০৬/২০১৩ খ্রীঃ
আমি আস্তিক আমি নাস্তিক আমি মানুষ
আমরা বন্ধু ,তোমার জন্য
আজ আমি ধন্য আজ আমি গর্বিত
তব সদস্য পদ লাভে আমি নই বিজিত।
আজ আমি জয়ী, আমি ত্রিকাল দর্শী
মম কন্ঠ আজ ছায়ানট আমি উর্বশী।
আমি আস্তিক আমি নাস্তিক আমি মানুষ
করি না কারো কিছুতে আঘাত, নই তো অমানুষ
আমি নেচে যাই গেয়ে যাই ছুঁটে চলি দূর্বার
দীপ্ত কন্ঠে সিনা টান করে বলি, আমি ব্লগার।
আমি সব্যসাচী আমি ভার্সেটাইল আমি অমিত বিশ্বাস
আমি টোকাই আমি শান্ত আমি অকিঞ্চনের বৃথা আস।
আমি তানবীরা, আমি রাসেল জেলের শেকল ভাঙ্গার গান।
আমি চিন্তক,কুহেলিকা,ও হাজরাও নিভৃত স্বপ্নচারীর প্রাণ।
আমি আজান দিয়ে নামাজ পরি, মন্দিরে বাজাই ঘণ্টা
গীর্জা প্যাগোডা যথারিতি যাই বৌদ্ধ হলে বলনা কোনটা।
আমি মানি না কোন কিছু দেশের বিপক্ষে যদি যায়।
আমি দূর্বার আমি করি চুরমার আমি ডরি না কোন কিছুতে যদিও মৃত্যু এসে যায়।
তাই আমি আনন্দে আজ গেয়ে যাই,
মোর ঘূম ঘোরে এলে মনোহর
নমঃ নমঃ নমঃ নমঃ
শ্রাবন ও মেঘে নাচে নটবর
রম ঝম ছম ছম রম ঝম,
আ, আ...... (নজরুল)
২৯ জ্যৈষ্ঠ,১৪২০
১২/০৬/২০১৩ খ্রীঃ
দুই মাথা ওয়ালা পাখি
আমার ছেলে গতকাল আমাকে একটা গল্প নেট থেকে খুজে দেবার জন্য বলল, কারন গল্পটা ওর বইতে নেই কিন্তু সিলেবাসে আছে। গল্পটা লিখতে হবে ইংরেজীতে। আমি বাংলায় গল্পটা জানি কিন্তু ইংরেজীতে লিখতে হবে তাই ভাবলাম দেখি নেটে সার্জ করে যদি পাওয়া যায়, তবে প্রিন্ট করে দিলেই হবে। কিন্তু অনেক সার্চ করেও গল্পটা পেলাম না। কিন্তু একটা গল্প পেয়েছি যা আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না। আর ছেলের গল্পটা আমাকেই লেখে দিতে হবে। সেটাও সবার সাথে একদিনের জন্য শেয়ার করব যদি কোন সংশোধন থাকে বিনা সংকোচে করে দিবেন। আমি ইংরেজীতে লেখা কোন পোষ্ট ব্লগে দিতে চাই না। তবু একদিনের জন্য দিব, কারন আমি, আমরা বন্ধু একটি পরিবার এখানে ছোট বড় কিছু নেই। কিন্তু ছেলের স্কুলের স্যারদের কাছে ভুল ধরা খেতে আমার পাহাড়সম আপত্তি আছে।
গল্পটা হল
দুই মাথা ওয়ালা পাখি।
শাদ্দাদের ভূস্বর্গ এবং আরাফাত শান্তর রোদে পুড়া (পর্ব-২)
ইরাম আদ জাতিরই একটি গোত্রের নাম।তাদের রাজত্ব ছিল। তারা বড় বড় ইমারতরাজি নির্মাণ করত। সেসব ইমারতের জান্নাতসম বৈশিষ্ঠ হচ্ছে – তারা তাতে ও অর্ধেক স্বর্ণ আর অর্ধেক রৌপ্যর গাছ বানিয়ে সবুজ যমররদের পাতা সেসব গাছে লাগাত। এসব গাছের ডালপালা সমূহ ছিল লাল ইয়াকুদ পাথরের। রকমারি ফলফলারি এসব গাছে লাগানো হয়েছিল। শাদ্দাদের কল্পিত জান্নাতের মেঝে মাটির পরিবর্তে মেশক আম্বর ও জাফরান দ্বারা ভরে দেওয়া হয়। এর প্রাঙ্গণে নুড়ি পাথরের পরিবর্তে মতি ও অন্যান্য পাথর বিছিয়ে দেয়া হয়। এতে দুধ, মদ্য ও মধুর নহর প্রবাহিত করা হয়। সে তার কল্পিত ভূস্বর্গের দরজায় চার চারটি বিস্তৃত মাঠ তৈরী করে। সে মাঠে ফল ফলারির গাছ লাগান হয়। প্রতিটি মাঠে স্বর্ণ রৌপ্যের নির্মিত লাখ লাখ কুরসী পাতা হয়। প্রতি কুরসীতে হাজার দস্তরখান ও প্রতি দস্তরখানে রকমারি নে,মত রাখা ছিল।
যদি লিখতে চাও
যদি লিখতে চাও লিখো,
উদয়াস্ত রবির বিচ্ছুরিত তৃনসম রবির কথা,
তাকে ছুঁতে গেলে জ্বলে যাব
তাই বেশী চাওয়ার আশা বৃথা।
নয়ত লেখো ঝাকড়া চুলের বাবরি দোলানো
বিদ্রোহী কবির বিদ্রোহের কথা,
নয়ত তার ললাটে জ্বলা রুদ্র ভগবানের কথা।
তুমি লিখো অনিদার, কেঊ কথা না রাখার ব্যথার কথা
আবার পাওয়ার আনন্দে পাপ না করার অঙ্গীকারের কথা।
তুমি লিখো দ্বিজেন্দ্রলালের
ওমা তোমার চরণ দু’টি বক্ষে আমার ধরি।
এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।
তুমি লিখো হুমায়ুন ত্রয়ের হুরমত উপাখ্যান
লালনের লালিত হৃদয় বিদীর্ণ সকল গান
অথবা আব্দুল করিমের অসংখ্য গানের সাথে
স্মৃতিকাতরতার সুন্দর দিনগুলোর কথা।
তুমি লিখ, তোমার লাডলা লাডলির চলন ক্ষনে
পিছ থেকে দেখা তোমার মনের অনুভুতির কথা।
তুমি লিখো পদ্মা মেঘনা যমুনার কথা
তুমি লিখো হিমালয় হতে বঙ্গোপসাগর তক
সকল প্রকৃতির কথা।
লিখো রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমাদের বিরক্তকারি
হাজারও বিকলাঙ্গ ভিক্ষুকের কথা।
তুমি লিখ নিশাচর সেই রমণীর কথা
যাকে আমারা ঘৃনা করি
কিন্তু রবির অন্তর্ধানে তাকেই খুঁজে ফিরি।
তুমি লিখো রানা প্লাজা, স্পেকট্রাম, বেনিন ও পিলখানায়
শাদ্দাদের ভূস্বর্গ এবং আরাফাত শান্তর রোদে পুড়া (পর্ব-১)
শান্ত ভাই সকালে ব্লগে ঢুকে আপনার লেখা “দেখো মা পুড়ছি আমি রোদ্দুরে” পড়ে মনটা এতই বিষন্ন হয়ে গেল যে আপনার লেখায় কোন মন্তব্য করব সেই ধৈর্য টুকুও ছিল না। কোন কারনে যদি বাবা ও পিঠাপিঠি বড় ভাইয়ের কথা মনে পড়ে তবে আমি আজও সকল শক্তি হাড়িয়ে ফেলি। বাবা ১৯৮২ সালে আর ভাইটি ২০০০ সালে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ভাইটি আমার পিঠাপঠি হওয়াতে তার সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি, আমার লেখাপড়া আরাম আয়েস সকল কিছুর ব্যবস্থা ও দেখাশুনা করত ও। তাই এ বয়সেও আমি যখন একা থাকি ওর জন্য কত রাত কাঁদি হিসেবে নেই। ভাইটি চলে যাবার আগে বাবার জন্য অহর্নিশি কেঁদেছি। আপনি হয়ত ভাবছেন আপনার গল্পের সাথে আমার এ স্মৃতি কাতরতার কারন কি?
শিশুরাই দেশ গড়ার কল।
শিশুরাই দেশ গড়ার কল।
বিঃ দ্রঃ (এই কবিতাটি আমার নয়। আমার ছেলে জোনাঈদের লেখা দ্বিতীয় কবিতা )
দিন আসে দিন যায়
আমার চিন্তা বাড়ে ভাই,
স্যারের প্রশ্নের শেষ নাই
আমাদের পড়া বাড়ে ভাই।
রাতের আকাশে তারা অশেষ,
ছাত্রদের নাই সিলেবাসের শেষ।
বাবাক শুধাই তোমরাও এত পড়তে
বাবা বলল,সে কি আর বলতে
আকাশের যেমন অন্ত নাই
পড়ার তেমন শেষ নাই।
পড়াশুনাই হল আসল বল
আজকের শিশুরাই দেশ গড়ার কল।
০৭/০৬/২০১৩ইং