আহসান হাবীব'এর ব্লগ
বুয়েটের বাপ(পর্ব-৩)
আমরা যখন রুয়েটে ভর্তি হই তখন ছেলেদের জন্য ১নং (শহীদ শহিদুল ইসলাম) হল, ২নং (শহীদ আব্দুল হামিদ) হল, মেইন হোস্টেল( শহীদ লেঃ সেলিম) নামে তিনটি হল ছিল। মেয়েদের জন্য তখন কোন আলাদা হল ছিল না। মেয়েরা একটি শিক্ষক কোয়ার্টারে থাকত। আমরা যখন রুয়েটে ৮৫ সিরিজে ভর্তি হই তখন এটা ছিল রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১৯৮৬ সালে তা বি, আই, টি, রাজশাহী ( বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, রাজশাহী) এবং ২০০৩ সালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা রুয়েট নামে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়।
ছোট চাচা (পর্ব-২য়) নামটা এখনও ঠিক করতে পারিনি।
আব্বার ঘুম ভেংগেছে কিছুক্ষন আগে। চাচার চিৎকার শুনে হুড়মুড়িয়ে উঠে দরজা খুলে গেঁটের মুখে চাচাকে অজ্ঞান পড়ে থাকতে দেখে আব্বাও তত জোরে ভাইয়াকে ডাক দিলেন। এক চিৎকারে বাড়ির সকলে জেগে উঠলেন। চাচাকে ধরাধরি করে উঠানের চৌকিতে শুইয়ে চোখ মুখে পানির ঝাপ্টা দিতে লাগলেন। ইতিমধ্যে পাশের বাড়ীর সবাই এসে উপস্থিত হলেন। বড় চাচাও এসে হাজির হলেন। উনিও আলেম মানুষ। ছোট চাচার সাড়া শরীর কাঁদা পানিতে মাখামাখি, তাতে বড় চাচার মনে কেমন জানি সন্দেহ হল। বড় চাচা ছোট চাচার কানের কাছে মুখ নিয়ে আস্তে করে ডাকলেন শামছুল উঠ কি হয়েছে তোর। আর মা, বড় আপা দাদি বিরামহীন মাথায় পানি ঢেলে যেতে লাগলেন। এটাই যেন গ্রামাঞ্চলের চিকিৎসা। জর, হউক বা কেউ অজ্ঞান হউক মাথায় আচ্ছা করে পানি ঢাল নয়তো স্যালাইন দাও। যাক চাচার জ্ঞান ফিরতে তেমন সময় লাগলো না। বড় চাচা ও বাড়ীর সবার বার বার জেড়ার মুখেও ছোট চাচা একটি কথা বললেন না। বড় চাচা কিছু দোয়া দুরুদ পড়ে একটি তাবিজ গলায় পড়িয়ে দিয়ে উনাকে গোসল করানোর জন্য বড় ভাইয়াকে হুকুম দিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেন।
বুয়েটের বাপ(পর্ব-২)
বুয়েটের বাপের কাহানি বলার আগে চল দেখি আমাদের ফ্যামিলি গেট টুগেদারের কি হল। এক এক করে চঞ্চল, প্রিন্স, জহির, লেবু, মিজান (ঠাকুর মিজান), জামিল, আফজল মামু বউ বাচ্চাসহ আগে যারা ছিলাম তাদের সাথে এসে হাজির হল। আমার বাচ্চাদের পরদিন পরীক্ষা থাকায় মেরিট ব্যাচেলর হিসেবে উপস্থিত হলাম। না হয়ে উপায় ছিল না, কারন আমি যে হোষ্টের খাতায় নাম লিখিয়েছি। তবে এমন হতভাগা আমি শুধু একা না, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টর ইকবাল ও মুহিত কাকুর ভাতিজা শুভ কিবরিয়াও আমার মত একাকি এসে আমার মনবল বাড়িয়ে দিলেন। মাস্টর ইকবাল আমাকে সুযোগ পেলেই বাঁশ দিতে ছাড়েন না, তারপরও কেন জানি ও না আসলে আমার কাছে যে কোন গেট টুগেদার পানসে পানসে লাগে।
ফিরে এসো
সে ঢেউয়ের মত ভেসে গেছে
চাঁদের আলোর দেশে গেছে।
কবি গুরু তুমি কাকে
কি উদ্দেশ্যে লিখেছিলে জানিনে,
কিন্তু তুমিও যে ভেসে গেলে
চাঁদের আলোর দেশে গেলে
আর যে ফিরে এলে না।
আমি আমার অস্তিত্ব
আমার অনুভুতি
আমার কল্পনা
আমার সঙ্গীত
আমার নৃত্য
আমার উপন্যাস
আমার চিত্রাঙ্কন
আমার সকল শিক্ষা
আমার সকল দর্শন
নিয়ে তোমাকে খোঁজে ফিরি।
কোথা পাব তোমায়
শুধু বাতাসে
প্রতিধবনি শুনি
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালবাসি
কিন্তু কোথায় তুমি!
তাই
ফেরিওয়ালার মত,
এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম।
খুজে ফিরি,
যখনি নিজের দিকে তাকাই
কত নিঃস্ব
নিজের বলে কিছু নেই
সবই মেকি
সবই তোমার ।
খাটাশ মার্কা গলায়
“দিবস ও রজনী আমি যেন কার
আশায় আশায় থাকি।“
প্রেয়সীর মন ভুলাতে
এ গানটি যখন গাই
খাটাশ কন্ঠের কর্কশ স্বরটিই
নাকি তার কাছে অমৃত সম লেগেছিল
তাকে আপন করে পেয়েছিলুম
তাই,
তুমিই বল
কবি
তুমি ছাড়া কি আমার চলে
আমাদের চলে
চলে না
তাই তুমি আস
যেই বাতাসে চলে গিয়েছেল
সেই বাতাসেই ফিরে আস।
যেই চাঁদের আলোর
দেশে গিয়েছিলে
সেই চাদের আলোয় ভেলায় ভেসে
ফিরে এসো।।।
Safety First
My friend latiful Kabir
Safety first,
Be aware about safety
May you will not get the 2nd change in life.
Wear hard hat
Wear safety shoes
Wear sun glass
Wear boiler suite.
Use GFCI.
Use hand gloves
Use warning tape before excavation start.
Use mask.
Keep first Aids kit
Trained engineers and foreman as a first Aid Trainer.
Also trained to use fire extinguisher.
This is the common things to use and keep in construction site and same time has to keep the safety sign in every recommended and required place. Because language may not be understood the worker but sign must understand. May be you were pointed regarding this thing in my profile.
ছোট চাচা (প্রথম পর্ব) নামটা এখনও ঠিক করতে পারিনি।
ছোট চাচা (প্রথম পর্ব) নামটা এখনও ঠিক করতে পারিনি।
আমার ছোট চাচা অত্যন্ত পরহেজগার মানুষ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, কোরান পড়া ,তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া সহ যত রকমের ইবাদত করার সবই করেন। দিন বা রাতে কখন ঊনি নিদ্রা যেতেন তা শুধু তিনি ও আল্লাহ তায়লাই জানতেন। এগার কি বার বছর বয়সেই উনি পবিত্র কোরানে হাফেজ হলে একটি বিখ্যাত মাদ্রাসায় হাদিস বিশারত হবার জন্য দাদাজান ভৃর্তি করে দেন। ছোট চাচা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ও মেধাবী ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। অল্প বয়সেই উনি একজন পরহেজগার মানূষ হিসেবে অত্র এলাকায় বেশ সুনাম ও সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
কোরআন পোড়ানো
লাও আনযালনা হাযাল কোরআনা আলা জাবালিল লারাইতাহু খাশি’আম মুতাছাদ্দি আম মিন খাশইয়াতিল্লাহ, ওয়া তিলাকাল আমছালু নাদ্রিবুহা লিন্নাসি লা, আল্লাহুম ইয়াতাফাক্কারুন। (সুরা হাশর ,আয়াত-২১)
অর্থঃ আমি যদি এ কোরআন কে পাহাড়ের উপর নাজিল করতাম তবে নিশ্চয়ই তুমি দেখতে তা নত হয়ে আল্লাহর ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গিয়েছে। আমি এ সমস্ত দৃষ্টান্ত মানুষের জন্য উপস্থাপন করছি যেন তারা চিন্তা করে।
বন্ধুগন, গতকাল বায়তুল মোকাররমে যে ভাবে কোরআন পোরানো হল, এ আয়াতটি পড়ার পর অন্তরাত্মা কি ভয়ে কেঁপে উঠবে না।
আমরা কি পাহাড়ের চেয়েও শক্ত ও নিস্প্রান হয়ে গেছি। আজ আমরা নিজেদের কোথায় নিয়ে গেছি। একটু ভাবুন।
এ আয়াতে আল্লাহ আমাদের ভাবতেই বলেছেন।
আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়াত দান করুণ।
আমিন।
৬/০৫/২০১৩
চিন্তক
বিষাদে ভরে গেল মন
কেন বন্ধু ছেড়ে যাবে বন্ধুকে
তাও সুর্য যখন মধ্য গগনে।
এখনও যে অর্ধ দিবস গত হতে বাকি।
তবে কি লেবু চিপা হয়েছে বেশি
রাজনীতি আমার তোমার কারও
নয় পেশা তবু এরই তরে
ক্ষুদ্র, নয়তো বিনে শ্বার্থে
কুকুর সম মুগুর,
পাই উপহার।
জানিনা যে দিয়েছে সে কতটুকু জিতলও
আর যে খেয়েছে সে কতটুকু হারলো।
সব ---কি আর সব মুগুর
সইতে পারে।
তাই বিনে বাক্যে প্রস্থানই শ্রেয়।
প্রস্থানেই কি পাবে শান্তি
বন্ধু
যে শান্তি তুমি চাও।
দেশ মাতার কাছে চাও না,
চাইতে হবে না আর কিছু
কিন্তু পারবে কি তবু সইতে
চিল শকুনের থাবা
যখন ঊড়বে দেশ মাতার বুকে।
এক্ষনে
কে হবে মেম্বার
কে বা গ্রাম সরকার
আমরা কি তার খবর লইতাম
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
আব্দুল করিমের গানটি খুব মনে পড়ছে।
তোমার অন্তরের খবর যে কিছুটা
আঁচ করতে পেরেছি।
দেশ, দেশ মাতা ও তার সন্তানরা
তোমার কাছে কত প্রিয়
তা যে আমি যে জেনেছি।
তাই তো বিস্বাদে ভরে গেছে মন।
০৩/০৫/২০১৩ইং
বিষন্ন বাঊন্ডুলে,
এ ধরার বুকে
কেঊ নয়
শুধু লাকি বা আনলাকি
দুঃখ যদি না থাকত
সুখ কি হত এত মধুময়
সুখ দুঃখ সবই যে আপেক্ষিক
সবই যে সময়ের সাথে সম্পর্কিত।
তুমি কি দেখনি
সাভারের ধ্বংস স্তূপ হতে উদ্ধার পাওয়া
সেই তরণটির ঊল্লাস
যেন সে বিশ্বজয়ী আলেকজান্ডার
বা তার চেয়েও বেশি কিছু
তার ঊল্লাসে ঊল্লসিত সাড়া জাতি
সাড়া পৃথিবী।
পরের দৃশ্যে সাহিনা
চাইনা তার পুনারাভিত্তি।
পকেটে লক্ষ টাকা সম দিনার
কোম্পানির দেয়া দামি গাড়ি
সাই সাই ঘুড়ে বেড়াই দল বেঁধে
কত দামি হোটেল,খাই,মজা করি।
একা হলেই চেপে ধরে নষ্টালজিয়া
সন্তানের কচি মুখ
প্রেয়সীর আদর, সুখ
ক্ষনিকে ক্ষত বিক্ষত হৃদয়
যেন ভিখিরি সম।
ছুটির দিনে পড়ন্ত বিকেলে
সমুদ্র তীরবর্তী অত্যাধুনিক পার্ক
একাকী বিষন্ন বাঊন্ডূলের
মত কত ঘুরে বেড়িয়েছি
আর সান বাঁধানো সমুদ্রতীরে বসে
পলকহীন দৃষ্টিতে,
তাকিয়েছে দৃষ্টির বাইরে।
আমার দৃষ্টি আমার কাছেই
ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে এসেছে ফিরে।
কপর্দক হীন হয়ে।।
আমি যখন কপর্দহীন
তখন নিভৃত স্বপ্নচারী।
যখন আমি বৃত্তশালী
দামী বাড়ি দামী গাড়ি,
প্রভাবশালী অনেকে বলে
তখন আমি ,
বিষণ্ণ বাঊন্ডুলে।
নিভৃত স্বপ্নচারী-২
পড়ন্ত বিকেল,
দিগন্তে প্রসারিত খোলা মাঠ
সমুখে তাকাই,রৌদ্রকর রৌদ্রহীন হয়ে
কোথায় যেন হাঁড়িয়ে যাচ্ছে।
অথবা শরতের শেষ বিকেল
মেঘহীন ঊত্তরাকাশে তাকিয়ে
ঊদ্ধত শিরে দন্ডায়মান হিমালয়ে
ধাক্কা খাওয়া শ্বেত শুভ্র মেঘ
দেখতাম,
আর হাজারও রকম ভাবনা
মস্তিষ্কে কিলবিল, কিলবিল করত
কিন্তু বর্ণের চ্ছটায় কখনও তা
স্থান পায়নি কাগজে।
কিন্তু মনটা যে হতো নিস্কুলুষ
সেই সে শ্বেত শুভ্র মেঘের মত।
যেদিন থেকে শহুরে মানুষ
সুঊচ্চ দালান কোঠার ভীরে
হাঁড়িয়ে ফেলেছি সব।
তাই এত টাকা কড়ির মাঝেও
মনটা হয়না কখনোও
শ্বেত শুভ্র নিস্কুলুষ।
হে নিভৃত স্বপ্নচারী
তোমার প্রোফাইল
আমাকে ফিরিয়ে দিল
দুরন্ত সে কৌশোরের স্মৃতি।
আমি কয়টা তোমাকে লিখি
আমার তা সাধ্যের বাহিরে।
তোমাকে কি দিব বিনিময়
তাও তো জানি না।
তাও দিলাম মুল্যহীন,
অমুল্য ভাললাগার মুল্যটুকু
উপহার।
আর চাইলাম,
বলনা কি দেখছ সুদুরে,
ঐ দিগন্তে।
০২/০৫/২০১৩ইং
শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা তো শুধু আস্তিক নাস্তিকের প্রধান মন্ত্রী নন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী। সবাই তার কাছে সমান। আর কে আস্তিক কে নাস্তিক সে তো শুধু আল্লাই জানেন। কেঊ কি কারও অন্তর ছেদন করে দেখেছেন কে আস্তিক বা কে নাস্তিক। কেঊ নাস্তিক হলে আল্লাহ তায়ালাই তাকে শাস্তি দিবেন।
আল্লাহ তো তার রহমত হতে কাঊকে বঞ্চিত করেন না।আমি আপনি বঞ্চিত করার কে? তাই যদি হত তবে চীন, জাপান ও সাড়া পৃথিবীতে যে সকল নাস্তিক আছে তাদেরকে তো আল্লাহ সহসাই শেষ করতে পারেন।
ওয়াসিয়া কুরশিয়ুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়া ঊদুহু হিফজুহুমা অয়া হুয়াল আলিয়্যূল আযীম। (আয়াতুল কুরসীর অংশ বিশেষ)
অর্থঃ তাঁর সিংহাসন আকাশ ও জমীনকে বেষ্টন করে আছে, সাড়া পৃথিবীর সব কিছু সংরক্ষণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনি সর্বোচ্চ ও সর্বাপেক্ষা মহান।
৩০/০৪/২০১৩ইং
নীল শিয়ালের কাহিনী
আমরা সকলেই নীল শিয়ালের কাহিনী জানি। আমার বন্ধু লতু কানাডা প্রবাসী যার সাথে গতকাল অফিসের ফাঁকেও বলতে গেলে অর্ধ দিন ফেবুতে গেজাইছি। সাথে বরাবরের মত চাটনি হিসেবে নর্থ সাঊথ বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষক আমাদের সবার প্রিয় বন্ধু ইকবাল। সত্যি কথা হলও কোন মজাদার আড্ডার সূভ সুচনাটা সকল সময় ইকবালুর রহমান রোকনেই করে থাকে। কালও তাই হয়েছিল। ওর চাটনি সদৃশ পিনচিং ফেবালুচনাকে মধুময় করে তোলেছিল যা বাসায় ফিরে কম্পিঊটার খোলার পড়ও রেশ পেয়েছি। বাকি জীবনটা যেন আল্লাহ তায়ালা এভাবেই কাটিয়ে নেন তাই কামনা করি।
গতকাল ফেবুতে লতুর সঙগৃহীত পোষ্টে আমি কড়া কমেন্টস করেছিলাম আর ভাবছিলাম এই বুজি লতু তাঁর লম্বা লম্বা হাত নিয়ে আমার উপর ঝাপায় পড়ল। অনেক রাত জেগেও ছিলাম। কিন্তু না ও এলো না। মনটা বিস্বাদে ভরে গেল। কি আর করি বিষন্ন মন নিয়েই ঘুমুতে গেলাম। মনটা বিষণ্ণ হলেও অনেক খুশি হয়েছি। ইকবালই আমাকে শিখিয়ে ছিল তুই লিখে যা, অনেক সময় অনেক বাজে মন্তব্য আসবে। কখনও রাগবি না। রাগলে লিখতে পারবি না। লতুর এ গুনের গভীরতা আজও জানিনা। তবে তা অনেক ...।
টিকটিকি, তেলেপোকা ও মশার ঊপদ্রপ
কিছুদিন থেকে আমার শোভার ঘরে টিকটিকির উপস্থিতি লক্ষ্য করছি। প্রথম প্রথম এটাকে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম মনে করেই তেমন গুরুত্ব দেইনি।কিন্তু দিনকে দিন তাদের অত্যাচার যেন বেড়েই চলছে। প্রথম দিকে সৃষ্টি কর্তার সৃষ্ট এমন সুন্দর প্রানীটির প্রতি আমার ভাল লাগা ও মায়া মমতার কোন কমতি ছিল বলে মনে করতে পারি না। আস্তে আস্তে তারা তাদের বংশ বৃদ্ধি করছে এটাও আমার নজর এড়ায় নি। আমি ভাবলাম তাতে আর এমন কি? প্রথম প্রথম তারা আমার ঘরের জানালা, ভেন্টিলেটর বা বাথরুমের বিড়াল ঘরে তাদের অবস্থান সীমাবদ্ধ রাখত । কালক্রমে মশারি, ওয়ার ড্রপ, বক্স টিভি স্ট্যান্ড, আলমারি এবং তাতে রক্ষিত কাপড় চোপর সর্বত্র অবাধ বিচরণ করতে আরম্ভ করল। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে টিকটিকির সাথে কিছু তেলাপোকার ঊপস্থিতি আমাকে একটু ভাবিয়ে তুলল। এরা আমার দামি দামি কাপড় চোপড় কাটতে কাগল, এমন কি ব্রিফ কেশে রাখা আমার কিছু স্পেশাল কাপড় যা কিনা বিদেশ থেকে আনা হয়েছিল তাও বাদ দেয়নি। আমার কেন জানি মনে হতে লাগল আল্লাহ ওদের আমাদের মত করে সৃষ্টি করেনি, আমাদের যা অবশ্য প্রয়োজনীয় তাই আমাদের ভোগ বিলাশ মনে করে মেনে নিতে পারছে না।
নিভৃত স্বপ্নচারী।
আমারও ছিল মনে
কেমনে ব্যাটা পেরেছে সেটা জানতে।
না নিভৃতস্বপ্নচারী আমি তোমাকে নয় আমার নিজকেই নিজে গালি দিচ্ছি। কেন আমি তোমার আগে এ প্রিয় নামটি আমার করে নিতে পারিনি। স্বপ্ন দেখতে যে আমিও ভালবাসি। তাই তো কবি গুরু যে বাণীতে জুতা আবিস্কার শেষ করেছিলেন। একি বানীর শুভ সুচনায় আমি আমার প্রিয় নামটি আবিস্কার করলাম।
কিন্তু এর অধিকার যে এখন শুধু তোমার। “আমরা বন্ধুর” রেজেষ্ট্রি অফিসে ডিজিটাল যুগে ডিজিটহীন মূল্যে তুমি যে তা নিজের করে নিয়েছ। কিন্তু তোমার সাথে আমার একটু পার্থক্য আছে, তা হল তুমি নিভৃতে স্বপ্ন দেখ, আমি নিভৃতে ও জেগে জেগেও স্বপ্ন দেখি। জেগে জেগে যা দেখি,বাস্তবে তা সফল হওয়া সম্ভব নয় তাই নিভৃতে ঘুমের ঘোরে তা পূরন করতে চাই।
কত রকমের স্বপ্ন, ছোট স্বপ্ন, বড় স্বপ্ন, লাল নীল,বা সাত রংগা স্বপ্ন। মুঠো মুঠো বা দুই হাত ১৮০ ডিগ্রী প্রসারিত অর্থাৎ দিগন্ত বিস্তৃত স্বপ্ন। একি তুমি হাসছ যে, আমার কথা শুনে, হাসবেই তো এভাবে কেঊ স্নপ্ন দেখে নাকি। কেঊ দেখে কি না জানিনা, তবে আমি দেখি না। আমি দেখি একটার পর একটা স্বপ্ন।