আহসান হাবীব'এর ব্লগ
আমার কোন লজ্জা নাই
আমার কোন লজ্জা নাই//
আমি রাইড শেয়ার করি
মরি মরি
আমার কোন লজ্জা নাই
নিজের কামাই নিজেই করি
কারো ধার ধারি না তাই।
সারা পৃথিবীর রাজা আমি
আমার দুলদুল ডিসকভার ভাই
কেউ বা আবার টিবি এস চালায়
নিত্য নতুন ব্রান্ড যে চাই।
সিংহের মত ছুটিয়ে তড়ি
আল্লাহর নামটি স্বরন করি
ট্রাফিক আইন মেনে চালাই গাড়ী২
দূর্ঘটনার ঝুকি কমাই
আমার কোন লজ্জা নাই।
শত শত জোয়ান ছেলে
শত শত সুদর্শন ছেলে
মাষ্টার ডিগ্রি পাশ করে
রাইড শেয়ার করে চালায় জীবন
চাকরির ধান্দা ছেড়ে।
এটাও একটা সন্মানের কাজ
এটাও একটা বড় সেবা
দাড়ায় থেকে অস্থির হয়েও
বাসের দেখা নাহি পাই
আমার কোন লজ্জা নাই।
আমি রাইড শেয়ার করি
মরি মরি
আমার কোন লজ্জা নাই।।
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ
২৯ নভেম্বর ২০২০ খ্রীঃ
আমাদের এক ভাই আমার ইনবক্সে লিখেছিল
ভাই আমরা রাইড শেয়ার করি
আমাদের নিয়া কিছু লেখেন।
তুমি চাঁদ হতে যদি //
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
২৭ নভেম্বর ২০২০
তুমি চাঁদ হতে যদি
দিগংগনায় হারিয়ে যেতাম
হয়ে জনম জনমের সাথী
তুমি চাঁদ হতে যদি।
ওই যে বিশাল আকাশ নীলিমায় ছাাওয়া
তারই মাঝে মিলেমিশে একাকার মোরা
জীবনের গান গাওয়া।
এ গানের সুর রবে কতদিন
এ গানের সুর রবে কতদিন বল, বলনা,
সা রে গা মা পা
সা রে গা মা পা
থাকুক না জনম জনম অবধি।
তুমি চাঁদ হতে যদি।
আবেগের ভেলায় ভেসে
তারা নিহারিকার সাথে মিশে
আমরাও জ্বালাবো প্রনয়ের জোনাকি আলো
দাও না ছড়িয়ে এ আলো
দাও না ছড়িয়ে এ আলো, দাও, দাওনা
সা রে গা মা পা
সা রে গা মা পা
ছড়িয়ে দাও সপ্তাকাশ হতে মানবের পৃথিবী অবধি।
তুমি চাঁদ হতে যদি।
নিসংগতা
মানিকদী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট,ঢাকা
২৫/১১/২০২০ খ্রীঃ
নিসংগতা//
গতপরশু গিন্নি মেয়েকে সাথে করে দিনাজপুর গেছেন। আমরা বাপবেটা বাসায়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে অনলাইন ক্লাস প্লাস অনান্য বিষয় সহ আপন ভুবননিয়ে ব্যস্ত। খাবার টেবিলেও সময়মত পাই না। কাজেই একেবারে নিসংগ।
ওরা ট্রেন ধরার জন্য সন্ধা ৭টার (২৩/১১/২০২০) সময় বাসা থেকে বের হয়ে যাবার পর থেকে মনটা কেন যে এত খারাপ হলো বুঝতে পারছিলাম না।
কোরান শরীফ, হারমোনিয়াম, গিটার, কোনটার উপরেই কোন আকর্ষন নাই। ফেবু, হোয়াটসঅ্যাপে কিছুটা গুতাগুতি করলেও ইউটিউবে সিরিয়াল দেখতেও মন চাচ্ছে না। এখন তো মোবাইল, পিসি বা ল্যাপটপের পাশাপাশি Smart 4k UHD TV গুলোতে ইউটিউব, গুগল এবং মেইল সবই ব্রাউজ করা যায়। তবু কিছুই করতে মন চাচ্ছে না।
আমার ভাবনাগুলোর কাউকেই যেন খুজে পাচ্ছি না। আমার এই নিসংগতার সুযোগে ওরাও যেন সুযোগ নিচ্ছে।
জীবন নদীর ওপারে
মানিকদী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা
২৩/১১/২০২০
জীবন নদীর ওপারে//
(প্রথম পর্ব)
দূরের গ্রামে সামায় পল্লী বধুদের তালে তালে চিঁড়া কুটার শব্দ শুনা যাচ্ছে। একটি ক্ষুদার্ত শিয়াল সাড়ারাত খাবার যোগার করতে না পারার ব্যর্থতায় হুকা হুয়া শব্দে তার করুন আর্তনাদ ব্যক্ত করছে।প্রতিবেশী বনমালী কাকা ভোর বেলায় বনেদী গুড়গুড়িতে সুর তুলে দম দিতে দিতে কাজের ছেলে অরুন মানীকে গরুগুলো গোয়াল থেকে বের করে চাষে যাবার জন্য তাগাদা দিচ্ছেন। উনার মুখ নিসৃত ধোঁয়ার কুন্ডলী আকাশ পানে উঠার সাথে তার তীব্র কাশির শন্দ যখন চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে তখন ইহা যে কখনো কখনো কারও সকালের নিদ্রা ভঙের কারণ হয় তা বলাই বাহুল্য।
"ভেবে বলুন তো? "
"ভেবে বলুন তো? "
কবে যে চুলগুলো সাদা হয়ে গেল
টেরই পেলাম না।
উপজাতি পাড়ার,
উরাও ও সাওতাল বন্ধুদের সাথে
হা-ডু-ডু খেলা চলছে
একগেম দুদিন হলো কোন দল হারে না।
খেলা চলছে।
এরই মাঝে
কবে যে চুলগুলো সাদা হয়ে গেল
টেরই পেলাম না।
খেলা নিয়া কাইচাল
দক্ষিণ পাড়ার পোলাদের মারতে হবে
কত জোগাড় যন্ত্র,
মাঝের ঢালী বাড়ির পোলারা কার পক্ষ নিবে
এর জন্য দেন দরবার চলছে
কোনই সুরাহাই হলো না।
এরই মাঝে
কবে যে চুলগুলো সাদা হয়ে গেল
টেরই পেলাম না।
সিংগিয়ার সাথে চন্ডিপুরের ফুটবল খেলা
খেলার মাঠ ছোট খোচাবাড়ি
খেলার দিনের জন্য সাজ সাজ রব
খেলা তো হবে
কিন্তু মারামারি যদি লেগে যায়
তাই
দুটোর প্রস্তুতিই চলছে সমান তালে।
দক্ষিনপাড়া উওরপাড়া,উপজাতি পাড়া
সবাই আজ এক।
নেই কোন মারামারি
নেই কোন রেষারেষি।
চন্ডিপুরেকে জিততে হবে।
গোলকিপার ৭ ফুট লম্বা রাব্বানের (মরহুমের নামটা আজ মনে নেই)
এ কোন হাসি রাশিরাশি
করোনার কারনে এবারের ঈদ নিরানন্দই কেটে গেল। ঈদের দিন বিকেল বেলা আমাদের সেনা ক্যাম্পের সামনে বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রকল্পের বিশাল ফাকা প্রান্তরে শত শত লোকের সমাগম হয়। প্রায় প্রতিদিনই হয়। করোনার কারনে ঘর বন্দি মানুষ যেন বিদ্রোহী হয়ে এখানে আসে ক্ষনিকের তরে হাস্যময় জীবনের খুজে।
তাইতো শিশু কিশোর যুবক যুবতী নব্য বিবাহিত যুগল সবাই যেন হাসি আনন্দে মেতে উঠে। ক্ষণিকে তারা ভুলে যায় করোনার সব করুণ স্মৃতি। আমি নিজেও কখনও সামিল হই, বা কখনও বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখি আর ভাবি।
এ কোন হাসি রাশিরাশি উছলে উথলে পড়ে
এই হাসিটাই লেগে থাকুক সবার জীবন ভরে।
বন্ধু সবার জীবন ভরে।
জীবন পথের যাত্রা সেতো নয়ত অনেক বড়
এই টুকরো টুকরো স্মৃতি গুলোই করবে তাকে বড়।
আলসেতে পিছন ফিরে দেখবে যখন তারে
এক জীবনকে রাঙিয়ে নিবে হাজার জীবনের ভীরে
যখন সায়ান্নেতে হিসেবের খাতা শূন্যে যাবে ভরে
ছলাৎ ছলাৎ হাসির স্মৃতি করবে পূরণ তারে
আমার ঘুম তো আসে না
আমার ঘুম তো আসে না দিনে রাতে স্বজনী গো
ব্যস্ত আছি পদ্মা ব্রীজের কাজে।
স্বজনী গো
একদিন দুইদিন করে বিরহ গেল জীবন জুড়ে
মিলনেরই সাধ নাহি মিটে।
আমার বিরহের অবসান হবে গো
বিরহের অবসান হবে
পদ্মা ব্রীজের সাঝে।
মাওয়া জাজিরার মাঝে ঘটক পাঠাই সকাল সাঝে
কত ঘটক আসিল আর গেল
শেখ হাসিনা এসে তাতে হাল ধরিল শক্ত হাতে
পদ্মা ব্রিজে তো করিয়াই ছাড়িবে।
আজি সব বিরহের অবসান হল গো
সব বিরহের অবসান হল
এই পদ্মা ব্রীজের মাঝে।৷l
আবুল হোসেন
তাং ২২/৯/২০১৮ খ্রীষ্টাব্দ
মধ্য পদ্মায় MBEC বার্জ থাকে (20 নং পিলার)
বউয়ের প্রয়োজন কখন বেশী, যৌবনে না বৃদ্ধ বয়সে
সাত/আট বছর আগের কথা। বাংলা নব বর্ষের প্রথম সন্ধা। বারান্দায় বসে আছি। অনেক ছেলেরা সামনের রাস্তা ও মাঠে পটকা ফুটাচ্ছে। হরেক রকম পটকা। এক একটা পটকা ফুটে আর সবাই সমস্বরে চিৎকার করে উঠে। চিৎকার তো নয় যেন কার গলার আওয়াজ কত বড় তার প্রতিযোগিতা চলছে। কখনো কখনো আবার একসাথে অনেক গুলো পটকা ফুটা এবং সম্মিলিত চিৎকারে যে উচ্চ শব্দ হচ্ছে এই শব্দ শক্তি যদি মেকানিক্যাল শক্তিতে রুপান্তরিত হত তবে আশপাশের আধাপাকা বাড়িঘর গুলোর চেহেরা অবিকৃত থাকত কিনা বলা যাচ্ছে না।
আমার ছেলে এবং যাদের চিনি তাদের কয়েকবার বল্লাম,অনেক হয়েছে এবার বন্ধ কর।
যাদের বললাম তারা ভয়ে হউক বা সন্মান করেই হউক,স্থান পরিবর্তন করল বটে তবে খেলায় ক্ষান্ত দিল না।
হ য ব র ল
মানুষের শরীর। কখন যে কি হয় বলা মুশকিল। কদিন আগে সকালে প্রজেক্টে গেলাম ভালই। দশটার দিকে কেন যেন ভাল লাগছিল না। কিন্তু সাড়ে দশটার দিকে পারচেজার ফোন দিল স্যার বিদ্যুৎ এর মেইন লাইনের কেবল টা কিনতে যাব, আপনার সময় হবে কি?
একে তো শরীর ভাল লাগছে না,তার উপর সকাল থেকে সার্টেল স্টাইলে বৃষ্টি হচ্ছে। যখন হচ্ছে অনেকটা সাপে নেউলের যুদ্ধের মত। এই বৃষ্টির জন্য প্রজেক্টের কাজ প্রায় বন্ধ।তবু কেন যেন বৃষ্টিটা আমি এবার ভীষন উপভোগ করছি।
আমার মনে হয় স্থান কাল পাত্রভেদে মানুষের অনুভুতিও ভিন হয়।এই যে বৃষ্টিটা এত ভাল লাগছে তার কারন আমার বর্তমান অবস্থান। চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভুমি।এই শহরকে যত দেখছি সৃষ্টি কর্তার অপরূপ সৃষ্টি কৌশলে মুগ্ধ হয়ে প্রতি ক্ষণে সিজদা করছি।
পাহাড়ে উঠার সাধ
কবে কেন যে পাহাড়ে উঠার সাধ হয়েছিল
মনে করতে পারছি না।
পাহাড় সে তো বইয়ে পড়েছি
বাস্তবে কখনো দেখিনি।
আমাদের যেখানে বাস, তাতে
আমার সাধ্যের পরিসীমায় কোথাও
পাহাড় নেই।
তাই
চাইলেই তো আর পাহাড়ে উঠা যায় না।
মনের আকুলতা, ব্যকুলতা
নদী বা সাগরের ঢেউ হয়ে
মনের তীরে আছড়ে পড়ে,
সেজন্যই কিনা জানিনা
প্রায়ই স্বপ্নে পাহাড়ে উঠতে থাকি।
কিন্তু খাড়া পাহাড়ে উঠা সেকি
আমার সাধ্যি।
প্রায়শই প্রারম্ভেই ইতি টানতে হয়।
কিন্তু মনে যাকে সাধন করার
বাসনা জেগেছে
সহসাই হাল ছাড়া কি ঠিক।
আমিও হাল ছাড়িনি।।
পুরষ্কার হিসেবে একদিন
পাহাড় চুড়ায় উঠেই গেলাম।
মনের আবেগ মাপার যন্ত্র
সে কি কেউ আবিস্কার করেছে,
জানিনা,
তবে কারও না কারও আবিস্কার করা উচিত ছিল।
আমার মনের এখন যে অবস্থা
তা প্রায় নিয়ন্ত্রনের বাইরে।
ক্ষনিকে হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ
বা অন্য কিছু ঘটে যেতে পারে,
যা আমি জানিনা।
আমার মহানায়ক
প্রত্যেক মানুষের জীবনে তার কিশোর যৌবন কালে প্রিয় সিনেমার নায়ক, রাষ্ট্রপ্রধান,শিক্ষক থাকেন। আমি কিশোর ও যৌবন বললাম এ জন্যই যে এই সময়কার ভাললাগা বা ভালবাসাই প্রকৃত ভাললাগা ও ভালবাসা। তার পরে যা হয় তা অনেকটা শঙ্কর জাতীয়। এটা আমার মতামত। অনেকে আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন।
আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এলেন, ঠাকুরগাও এর সাসালা পেয়ালা খাল খনন করতে। আমরা সালন্দর হাইস্কুলসহ সকল স্কুলের ছেলেমেয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা দল বেঁধে গেলাম সেই খাল খনন অনুষ্ঠানে।
আমরা যখন পৌছলাম তখন উনি অনুষ্ঠানে উপবিষ্ট, খাল খনন এর উপর একজন শিল্পী গান গাচ্ছিলেন। এই প্রথম প্রেসিডেন্ট জিয়াকে সামনা সামনি দেখি।
কোথা হে মহাকাল
তোমার সৃষ্টি তোমারে পুজিতে সেজদায় পড়িছে লুটি
রক্তের বন্যায় প্রাণ বায়ু উবে যায় দেহ হয় কুটিকুটি।।
দেহ কোথা দেহ কোথা এ যে রক্ত মাংসের পুটলি
বাঘ ভাল্লুক নয়রে হতভাগা, ভাইয়ের পাপ মেটাতে
ভাই মেরেছে ভাইকে ছড়রা গুলি।।
মানব সৃষ্টি করেছ তুমি তব ইবাদতের আশে
তব দুনিয়ায় জায়গা নাহি তার সাগরে সাগরে ভাসে।
অনিদ্রা অনাহার দিন যায় মাস যায় সাগরে চলে ফেরাফেরি
যেমন বেড়াল ঈদুর ধরিছে মারব তো জানি, খানিক খেলা করি।।
যেথায় যার জোড় বেশী সেথায় সে ধর্ম বড়
হয় মান, নয়ত দেখেছ দা ছুড়ি তলোয়ার জাহান্নামের পথ ধর।
কেউ গনিমতের মাল, কেউ রাজ্যহীনা এই কি অপরাধ
স্বামী সন্তান সমুখে ইজ্জত নেয় লুটে, লুটেরা অট্টহাসিতে উন্মাদ।
ডিজিটাল পোলাপাইন
ফুল সে যার বাগানেই ফুটুক না কেন,সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল ভাল লাগার,এর প্রতি ভালবাসা আমার মনে হয় সৃষ্টি কর্তার থেকেই ঐশী দান হিসেবে প্রদত্ত। কি ফুল নাম জানি বা না জানি সেটা বড় কথা না। তার রুপ ও গন্ধ চক্ষুস্মান তো বটেই একজন অন্ধকেও আকর্ষন করে।
আমার পাশের ফ্লাটের ভাড়াটে। দিন দশেক হল উঠেছেন। ভদ্রলোক, ভদ্রমহিলা আর দুটি ছোট্ট ফুটফুটে ছেলেসহ এই হিন্দু পরিবারটি এসেছেন চিটাগাং থেকে। ভদ্রমহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ভদ্রলোক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।
আমি গত তিন বছর এই ফ্লাটে আছি কিন্তু এই বিল্ডিংয়ের কোন ফ্লাটের কারো সাথে পরিচয় হয় নি।তবে আমার বউ বাচ্চাদের সবাই চেনে।শুধু চেনেই না। খাবার দাবার ও প্রয়োজনে নিত্য ব্যবহার্য অনেক কিছুই রিতিমত আদান প্রদান হয়।
চোখের নয় মনের হ্যালুসিনে’শন (দ্বিতীয় পর্ব )
চোখের নয় মনের হ্যালুসিনে’শন (দ্বিতীয় পর্ব )
রিক্সা চলছে, এই এলাকার রিক্সা ওয়ালারা প্রায় সকলেই বিহার থেকে আগত।কেন কি জন্য তারা নিজ দেশ জন্মভুমি ছেড়ে বাংলাদেশে এসেছিল তা আমার থেকে আপনারা সকলেই ভাল জানেন। আমি রাজনীতিবিদ নই তবুও মাঝে মাঝে আমি ভাবি এই পৃথিবীটা যত না তছনছ হয়েছে বেঁচে থাকার অবলম্বনের জন্য (অন্ন, বস্ত্র,বাসস্থান) তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি তছনছ হয়েছি ধর্মীয় কারনে।
যে এলাকায় যে ধর্মের অনুসারী বেশী সেখানে সেই ধর্মই বড় বা সঠিক বলে মনে করে নিজ নিজ ধর্মের অনুসারীরা। আর চলে নিজের ধর্মে ধর্মান্তরিত করার নিলজ্জ বেহায়া ও বেআইনি জোড় জবরদস্তি। কিন্তু আপনার ধর্ম আপনার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে। ধর্মের এই সার্বজনীন শ্বাশত বানী সেখানে কেউ মানে না। আধুনিক সভ্য জগতে কোথায় এর পরিসমাপ্তি ঘটবে আমার তো মনে হয় তা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
চোখের নয় মনের হ্যালুসিনে’শন (প্রথম পর্ব)
চোখের নয় মনের হ্যালুসিনে’শন (প্রথম পর্ব)
সেটা ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি। কি কারনে যে বি, আ, টি রাজশাহী ( বর্তমান রুয়েট) বন্ধ হয়েছিল মনে নেই। আমি তখন শেষ বর্ষের ছাত্র।
ঠাকুরগাও যাবার শেষ স্টেশন সৈয়দপুর রেল স্টেশনে যখন নামলাম রাত তখন সাড়ে দশটা। এত রাতে ঠাকুরগাও যাবার কোন বাস তো দুরের কথা ট্রাক ওয়ালারাও নিতে চাইবে না। তাই কি করব ভাবতে লাগলাম। শুধু যে এখনই ভাবছি তা নয়, যখন বুঝতে পারলাম আজ অনেক রাত হবে তখন থেকেই ভেবে চলেছি, সৈয়দপুর নামার পরে কোথায় থাকব?