আহসান হাবীব'এর ব্লগ
আকাশ বাবুর রাগের কারনে (প্রথম পর্ব)
আকাশ বাবুর রাগের কারনে (প্রথম পর্ব)
বিকেলে আকাশ বাবু হঠাত ভীষন রেগে গেল। এমনই রেগে গেলেন, যে চিল্লাচিল্লি হাত পা ছুড়াছুড়ি করতে আরম্ভ করলেন। সামনে যাকে পাচ্ছেন তাকেই তুলোধুনো করছেন । তারই জেড়ে গাছপালা পত্রপল্লবের দোলাদুলি, শুকনা পাতা, ছেড়া কাগজের টুকড়া, পাকপাখালি, ঘড়ের বাইরের মানুষের আরম্ভ হল ছুটাছূটি। কোথায় গেলে আকাশ বাবুর এই সংহার মূর্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সুন্দরী মেয়ে সুবর্ণ এক্সপ্রেস তিনটার সময় ঢাকা থেকে চিটাগাং যাবার জন্য বের হয়েছিল। কিসের চিটাগাং যাওয়া, আকাশ বাবুর মেজাজ দেখে সেই যে পণ্ডিত মশাইয়ের দেশ ব্রাহ্মণ বাড়িয়ার ছোট পণ্ডিতের ঢেড়ায় আশ্রয় নিয়েছে, কখন বাবুর রাগ পড়বে আর কখন বের হবে, ভবিতব্যই জানেন।
আমি আকাশ যাব( দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব)
আমি আকাশ যাব
দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব
জোকটাকে ছাড়ানোর জন্য ধরছি তো পিছলে যাচ্ছে।শালার বেটা এত শক্ত করে কামড়ে ধরছে যেন ওর বাবার পৈতৃক সম্পত্তি, কিছুতেই ছাড়বে না। হাত দুটা মাটিতে ঘসে নিয়ে ধরলামতো বেটা কুপোকাত। হেচকা টানে জোকটাকে ছাড়ালাম,কিন্তু অনেক রক্ত ঝড়ছে। দেখে কান্না পেল। মনকে শক্ত করলাম। পেন্টটা দিয়ে রক্ত পড়ার জায়গাটা চেপে ধরলাম।
আবার হাটতে লাগলাম। রক্ত এখন ও ঝড়ছে। হঠাত ওয়াহাব ভাই, আমাদের বছর মারি কাজের ছেলেটার কথা মনে পড়ল। তাকে দেখেছি কোথাও কেটে গেলে দুর্বাঘাস চিবিয়ে কাটা জায়গায় লাগিয়ে দিত। এক সময় ভাল হয়ে যেত।
আমিও কিছু দুর্বাঘাস তুলে চিবিয়ে লাগিয়ে দিলাম।চিবানোর সময় কেমন যেন লাগছিল,মনে হচ্ছিল বমি করে দিব।
আমি আকাশ যাব
আমি আকাশ যাব
প্রথম পর্ব
ছোটবেলায় যখন দুর আকাশকে দেখতাম বাকা ও গোল হয়ে মাটির নিচে ঢুকে যাচ্ছে,ভাবতাম অই তো এক্টু দুরে গেলেই আকাশটাকে ছুতে পারব। আমার পিঠাপিঠি ছোট বোনটি যেদিন আমাদের ছেড়ে চলে গেল শুন্য আকাশে না ফেরার দেশে,আমার বুকের ভিতর যে দুটা কলিজা আছে, তা যে কত শত, হাজা্র, কোটি টুকরা হয়েছিল, কচি বুক তার হিসেব রাখতে পারেনি, তবে ওই বয়সেই আকাশের মালিককে প্রশ্ন করেছিলাম,কেন তুমি আমার খেলার সাথি ঝগড়ার পাখিকে আমার কাছ থেকে আকাশে নিয়ে গেলে। তোমার ওই আকাশে আমি আসব, আমাকে এক্টু তার সাথে দেখা করতে দিও।
আমি এখন চাটগায়ে (প্রথম পর্ব)
আমি এখন চাটগায়ে
আব্দুল মোনেম লিঃ,কন্সট্রাকশন কোম্পানি গুলোর মাধ্যে এই মহুর্তে আমার মনে হয় সবচেয়ে বড় কোম্পানি। এই কোম্পানিতে যোগ্যতা সম্পন্ন চাকরি হলে খুশি হবারই কথা আমিও খুশী।আমি একটু বেশীই খুশী, কারন সৌম্য চেহেরার আমার যে বস(ডাইরেক্টার, আক্তারুজ্জামান বাবু)তিনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাজুয়েট ডিগ্রী অর্জন করেছেন, আমিও সে প্রতিষ্ঠান থেকেই গ্রজুয়েশন করেছি।একে তো সৌম্য চেহেরা। তদুপরি অমায়িক ব্যবহার, আমাকে এতটুকুই মোহাবিষ্ট করল যা আর একবার ছাত্রবস্থায় হয়েছিলাম, বর্তমানে জেলবাসি জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জনাব ফকরুল ইসলাম আলমগীর স্যারকে কলেজে দেখে।
ধরি নানান বেশ
আকাশে বেড়াই পাতালে বেড়াই
ধরি নানান বেশ
কোথাও যে আর মন টিকে না
ফিরে আপন দেশ
সে যে আমার জন্মভুমি
আমার বাংলাদেশ।
কোথাও যে হায় অতি শীতল
ঠান্ডায় জমে যাই
কোথাও তৃষ্ণায় ছাতি ফাটে
পানি ও না পাইরে মনা
পানি ও না পাই।
কোলার কিংবা হিটার ছাড়া
নিদ্রার হয় যে ক্লেশ।
ধরি নানান বেশ।
আব্দুল করিম লালন শাহী
রবি নজরুলের সুরে
পাখপাখালি ও জীবন হাওয়া
গুন গুন গান ধরে রে মনা
গুন গুন গান ধরে
আবার গোসল খানায় সুরে মাতাল
গোসল হয়না শেষ।
ধরি নানান বেশ।
ভাইয়ে ভাইয়ে বোনে ভাইয়ে
কাধে কাধ মিলাইয়া
যুদ্ধ করি জীবন দিছে
দেশেরও লাগিয়া
হায়রে দেশেরও লাগিয়া।
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টান
সকলে গায় একই গান।
সবার প্রিয় সবার সেরা
একটাই আছে দেশ।
সে যে আমার মাতৃভূমি
আমার বাংলাদেশ।
ধরি নানান বেশ।
ডিসেম্বর, ৩০,২০১৪খ্রীঃ
উত্তরা, ঢাকা।
ভ্রান্তি নাহি ঘোচে
ভ্রান্তি নাহি ঘোচে
হায়রে অবুজ হৃদয় ভ্রান্তি কিছুতেই ঘোচে না। এ ধরার সকল যুক্তি তর্ক পিছনে ফেলে যার যা কাম্য তার আগমনের পথে তৃষার্ত চাতক সম শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু যে না আসার সেকি কখনও ফিরে আসে??
এই যেমন আমি, মধ্য রাতের কিছু আগে দরজা জানালা বন্ধ করে, ভিতর এবং বাহিরের নিকষ কালো আন্ধকারকে আরো অন্ধকার করার চেষ্টা করছি। অক্ষি নেত্রযুগলকে চেপে ধরে তার মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে নিলাম।
মাঝে নাঝেই আমি এই অন্ধকার বিলাস করি।এই বিলাসীতার মাঝে আরও একটি জিনিস অনুধাবন করার চেষ্টা করি। তা হল, কবরের অন্ধকার। আচ্ছা কবরের অন্ধকার কি এর চেয়েও বেশী। তা হলে এই আমি মাঝে মাঝে অন্ধকার বিলাস করে যে সুখ পাই। সেখানেও কি এমন সুখ পাব??
দয়াল চাইলে লইব জোড়া
মুরশিদ চাইলে লইব জোড়া
এমন দয়াল কে আছে??
রশিক আমার মন বান্ধিয়া পিঞ্জর বানাইছে।
অভাব থাকলে হয়না রে ভাব
অভাব থাকলে হয়না রে ভাব
কে বলেছে ভাই
মনে মন মজিলে
হায়রে
অভাব কিছু নাই
রে মনা
অভাব কিছু নাই
একি ছাদের নিচে থাকে
কথা বার্তা নাই
কাড়ি কাড়ি টাকা আছে
ভাবটাই শুধু নাই
রে মনা
ভাবটাই শুধু নাই
ভোলা মন, মনরে আমার………
আবার ভাবের মানূষ খুজতে রে ভাই
সাত সমুদ্দুর পার হয়ে যাই
অভাই কিছু নাইরে
মনা
অভাব কিছু নাই
রাজ প্রাসাদে থাকে হায়রে
খেতে পারে না
হাতের কাছে হাজার খাবার
ডাক্তারের মানা
ভোলা মন, মনরে আমার………
আবার কাচা লংকা ঢলেও ওভাই
পেট পুড়ে ভাই খাই
অভাব কিছ নাই।
ডিসেম্বর, ১৮,২০১৪খ্রীঃ
উত্তরা ঢাকা,
রোগ শোকে পাপ ঝরে পড়ে
রোগ শোকে পাপ ঝরে পড়ে
নভেম্বরের চার তারিখ থেকে পিঠের ব্যথায় ভূগছি। খুলনায় একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে ছিলাম। উনি দেখে ইসিজি করে বলেছিলেন, তেমন কোন সমষ্যা নেই। ওজন বেড়ে গেছে। এখন যে ওজন তা হার্ট এ সমস্যা সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট। আমি সাধারণত ওজন মাপি না। ছোট খাট সমস্যা হলেও ডাক্তারের কাছে যাই না। তাই উনি যে ওজনটা বললেন, তা এর আগে যখন মেপেছিলাম তার চেয়ে আট কেজি বেশী। শুনে রীতিমত আতকে উঠলাম। উনি খাবার কমাতে এবং প্রতিদিন কম পক্ষে একঘণ্টা হাঁটতে বললেন।
নামটা না হয় শেষেই জানাব (প্রথম পর্ব)
নামটা না হয় শেষেই জানাব (প্রথম পর্ব)
গত তিন দিন থেকে পিঠের ডান পাশে ব্যথা।খুব বেশী না হলেও মাঝে মাঝে এক্টু অসহ্য লাগে। মেজাজও কেমন জানি এক্টু খিট খিটে হয়ে গেছে। যখন তখন যাকে তাকে বকা দিচ্ছি। আর রাতে শুলে নানান রকম দুশ্চিন্তা মস্তিষ্কে ভীর করে।
এ ব্যাথাটা আমার আরও একবার হয়েছিল। অত দুশ্চিন্তা হয়নি। তখন আমার স্ত্রীর এক সময়ের কলিক,এখন অনেক গুলো বড় বড় ডিগ্রী নিয়ে নাম করা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। আমার স্ত্রীকে যে কত শ্রদ্ধা করেন,তা লেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমার স্ত্রী ফোন করে দিলে আমি এক বিকেলে ক্লিনিকে উনার সাথে দেখা করতে যাই। আমার স্ত্রীর পিড়াপিড়িতে ডায়াবেটিস থেকে আরম্ভ করে যত রকম টেষ্ট করতে হয় সবই করা হল। তেমনন কোন সমষ্যা নেই। খাবার অনিয়ম ও ভাজা পোড়া খেয়ে গ্যাস বাধিয়েছি তারই জন্য এ ব্যাথা।
হৃদয়ের জানালা
হৃদয়ের জানালা
আমার সেল ফোনটা
তোমাকে ডাকলে,
তুমি রিসিভ করো
রিসিভ করে শধু হ্যালো বলো
বলবে তো??
আর কিছু না দিলেও চলবে
শুধু বলো হ্যালো।
বলত তুমি
কলিজা এফোঁড়, ওফোঁড় করা
এমন মধু কন্ঠ
তুমি কোথা পেলে??
তুমি কি বসন্ত বাতাসের
শিনি শিনি শব্দ শুনেছ
তা হলে মনে করত
হৃদয়ে প্রবাহিত রক্তের মত আপন
যা না বইলে প্রাণী নামক
কোন প্রাণের অস্তিত্বই থাকে না
তেমন কোন আপন জনের
বিরহের কান্না
হৃদয়কে কেমন ব্যাথিত করে তোলে!!
আমি যে তব বিরহে কাদছি
তুমি কি শুনতে পাও না??
জানালা খোল, বাতাসে কান পাত
কি, শুনতে পাচ্ছ কি?
তাও শুনতে পাও না।।
খোলা বারান্দায়, বা নির্জন প্রান্তরে
বাতাসে কান পাত
এবার শুনতে পাচ্ছ কি?
কি করে পাবে?
হৃদয়ের জানালা যে
রেখেছ বন্ধ করে ।
বন্ধ করে...।
অক্টোবর,০১,২০১৪খ্রীঃ
খুলনা,
নিশি কেটে গেলে(দ্বিতীয় পর্ব)
নিশি কেটে গেলে(দ্বিতীয় পর্ব)
কবির অবচেতন মন সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগলেও পরিবেশ পরিস্থিতির সকল কিছু কবি চরম ভাবে উপভোগ করছিল। সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টির সকল স্তরে সকল স্থানে তার সৃষ্টির জন্য উপভোগ্য উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছেন। শুধু উপভোগ্য মানসিকতায় তাকে উপভোগ করতে হয় এই যা।
সহসা কিছুর একটা ছোয়া যেন কবিকে আনন্দ উপভোগের শেষ স্পর্শটুকু দিল। স্বর্গ মর্ত আকাশ পাতাল বুঝি না, কোথা থেকে অবর্ণনীয় অকল্পনীয় মহীমাময় সমীরণ কবিকে ছুয়ে গেল। এ যেন আজিকার বিভারবির সকল উত্তম উপহারের সেরা উপহার।
এবার কবি ক্ষনিকে অন্তর চক্ষু দিয়ে ছুটে গেলে কবির কবি মহাকবি্র দ্বার প্রান্তে। কি বলছে কবির কবি মহাকবি এমন অনুভুতিতে,
আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে?
বসন্তের বাতাস টুকুর মত
সে যে ছুয়ে গেল নুয়ে গেল রে
ফুল ফুটিয়ে গেল শত শত
সে চলে গেল বলে না
সে কোথায় গেল ফিরে এল না
সে যেতে যেতে চেয়ে গেল
কি যেন গেয়ে গেল
তুমি যদি(প্রিয়র জন্মদিনে)
তুমি যদি(প্রিয়র জন্মদিনে)
তুমি যদি দৃষ্টির আড়ালে থাক
সান্ধ প্রদীপ জ্বালব কাকে দেখতে
তবে তুমি যদি কাছে আস
আলো জ্বালানোর প্রয়োজন আছে কি?
তুমি যদি মেহেদী না লাগাতে
কি করে বুঝতাম
মেহেদী পাতা এত সৌন্দর্যের অধিকারী।
তুমি যদি......।।
এই পর্যন্ত লিখে রেখেছিলাম, আর সময় হয়ে উঠেনি কবিতাটা শেষ করার,শান্তর লেখা পড়ে জানলাম অল্প সময়ে অতি প্রিয় হয়ে উঠা প্রিয়র আজ জন্মদিন। গেষ্ট রুমে গেষ্ট বসিয়ে রেখে তাই লিখছি।
তোমার হাসি মাখা ছবিখানা না দেখলে
বুঝতেই পারতাম না
কলিজা ছেদ করা এমন হাসি কেউ
হাসতে পারে।
দাতের মাজনের অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি
বলছি তাদের
তোমার অনুমতি নিয়ে
তোমার ছবিটা ধার নিতে,
অবাধ্য ক-খানা চুল
কাউকে
এত মোহনীয় করতে পারে????
তোমার কপালে ছড়ানো
চুলগুলো
না দেখলে জানতেই পারতাম না।
তব গলে দোল খেলা মালা খানি
পদ্ম ডাটার এক পাশের ছালে ছিরে
আপনারা বলবেন কি?
ঈদের ছুটিতে খুলনা থেকে দিনাজপুর যাব। বি, আই, ডব্লিউ, টি, এ ঘাটের ইজারাদার, সিলেট থেকে জাহাজে করে আসা মোটা বালি আনলোড এবং কেরিং করে আমার নির্মাণ সাইটে পৌছানোর ঠিকাদার, আওয়ামীলীগ নেতা বাবুল সাহেবকে টিকিট সংগ্রহের জন্য বললাম। উনার বাবা রেলের একজন অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা, তাই উনার জন্য রেলের টিকিট সংগ্রহ করা দুধ ভাত খাবার মতই সহজ ব্যাপার।আগে ভাগে দিন তারিখ জানিয়ে দিলাম যেন উনার জন্য টিকিট পেতে সহজ হয়।
একদিন শুভক্ষন বা কুক্ষন যাই বলি না কেন, ফোন দিয়ে জানালেন স্যার, ঐ দিনের কোন টিকিট নেই।প্রথম শ্রেণী, বাথ, বাথ বাদ দেন শোভন শ্রেণী হলেও সমস্যা নেই।উনি জানালেন আমি মাস্টার সাবের সাথে উনার অফিসে বসে আছি,উনি যেহেতু দিতে পারছেন না, অন্য কোথাও টিকিট পাবার সম্ভাবনাও নেই।
ঠাকুরগাও এ ৩৬ ঘণ্টা (প্রথম পর্ব)
ঠাকুরগাও এ ৩৬ ঘণ্টা (প্রথম পর্ব)
চোখের সামনে নতুন মটর সাইকেলটা দেখে মধ্য বয়সে যেন শরীরে যৌবন
জোয়ারের ছলছল গতীটা বিদ্যুৎ গতিতে রূপান্তরিত হল। ছোট ভাইকে বললাম দে তো চাবিটা। আমি যে সকল মটর সাইকেলটা চালাতাম তার মধ্যে ইয়ামাহা ১০০, ছিডি-৮০ হোণ্ডা-১১০, এই ব্র্যান্ডগুলো আজ আর মার্কেটে পাওয়া যায় না। তবে এই ব্রান্ডের মটর সাইকেল গুলোর মধ্যে আমার প্রিয় ছিল, সি ডি-৮০, যার তেল খরচ ছিল খুবই কম, আর আমার শরীরের সাথে মানান সই, সর্বোপরি আমার মতে সৌখিন একটি বাহন।
ছোট ভাই বলল পারবেন তো চালাতে, না পারার কিছু আছে কি? না অনেক দিন চালান নি তো? আমি গেয়ার গুলো সব সামনে কি না জিজ্ঞেস করলাম। কারন ইদানিং কিছু মটর সাইকেলের গেয়ার প্রথমটা সামনে তো দ্বিতীয়টা পিছনে। ও বলল সব গেয়ার সামনে।
নিশি কেটে গেলে
নিশি কেটে গেলে
একজন প্রেমিকের ধ্যান জ্ঞান সবই তার প্রেমিকাকে ঘিরে।প্রেমিকার বিরহে সে হয়
কাতর, এ পৃথিবীর সকল কিছু তার কাছে হয় বর্ণহীন, গন্ধহীন। তেমনি একজন লেখক বা কবির প্রেম তার লেখার সাথে, সে যখন লিখতে পারে, তখন তার সব কিছুই পাওয়া হয়ে যায়।কোন কিছুর অপর্যাপ্ততা তাকে পীড়ন করে না। তাকে কষ্ট দেয় না। কিন্তু সে যদি কোন কারণে লিখতে না পারে, তবে গাড়ী বাড়ি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ তাকে না পারে মানষিক প্রশান্তি দিতে, না পারে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ কমাতে।
একজন লেখক দিনের পর দিন লিখতে না পারার কষ্টে, ক্ষত বিক্ষত।দিনকে দিন তার কোমল মনটা বিদ্রোহী হয়ে উঠে, নিয়মতান্ত্রিকতার সকল নিয়ম ভেংগে সে ছুটে যেতে চায়, দিগন্ত অবারিত উন্মুক্ত প্রান্তরে। নিরাপত্তার সকল গণ্ডি ভেংগে মিশে যেতে চায় প্রকৃতির সাথে। কি হবে দেখা যাবে।