আহসান হাবীব'এর ব্লগ
তুমি যদি(প্রিয়র জন্মদিনে)
তুমি যদি(প্রিয়র জন্মদিনে)
তুমি যদি দৃষ্টির আড়ালে থাক
সান্ধ প্রদীপ জ্বালব কাকে দেখতে
তবে তুমি যদি কাছে আস
আলো জ্বালানোর প্রয়োজন আছে কি?
তুমি যদি মেহেদী না লাগাতে
কি করে বুঝতাম
মেহেদী পাতা এত সৌন্দর্যের অধিকারী।
তুমি যদি......।।
এই পর্যন্ত লিখে রেখেছিলাম, আর সময় হয়ে উঠেনি কবিতাটা শেষ করার,শান্তর লেখা পড়ে জানলাম অল্প সময়ে অতি প্রিয় হয়ে উঠা প্রিয়র আজ জন্মদিন। গেষ্ট রুমে গেষ্ট বসিয়ে রেখে তাই লিখছি।
তোমার হাসি মাখা ছবিখানা না দেখলে
বুঝতেই পারতাম না
কলিজা ছেদ করা এমন হাসি কেউ
হাসতে পারে।
দাতের মাজনের অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি
বলছি তাদের
তোমার অনুমতি নিয়ে
তোমার ছবিটা ধার নিতে,
অবাধ্য ক-খানা চুল
কাউকে
এত মোহনীয় করতে পারে????
তোমার কপালে ছড়ানো
চুলগুলো
না দেখলে জানতেই পারতাম না।
তব গলে দোল খেলা মালা খানি
পদ্ম ডাটার এক পাশের ছালে ছিরে
আপনারা বলবেন কি?
ঈদের ছুটিতে খুলনা থেকে দিনাজপুর যাব। বি, আই, ডব্লিউ, টি, এ ঘাটের ইজারাদার, সিলেট থেকে জাহাজে করে আসা মোটা বালি আনলোড এবং কেরিং করে আমার নির্মাণ সাইটে পৌছানোর ঠিকাদার, আওয়ামীলীগ নেতা বাবুল সাহেবকে টিকিট সংগ্রহের জন্য বললাম। উনার বাবা রেলের একজন অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা, তাই উনার জন্য রেলের টিকিট সংগ্রহ করা দুধ ভাত খাবার মতই সহজ ব্যাপার।আগে ভাগে দিন তারিখ জানিয়ে দিলাম যেন উনার জন্য টিকিট পেতে সহজ হয়।
একদিন শুভক্ষন বা কুক্ষন যাই বলি না কেন, ফোন দিয়ে জানালেন স্যার, ঐ দিনের কোন টিকিট নেই।প্রথম শ্রেণী, বাথ, বাথ বাদ দেন শোভন শ্রেণী হলেও সমস্যা নেই।উনি জানালেন আমি মাস্টার সাবের সাথে উনার অফিসে বসে আছি,উনি যেহেতু দিতে পারছেন না, অন্য কোথাও টিকিট পাবার সম্ভাবনাও নেই।
ঠাকুরগাও এ ৩৬ ঘণ্টা (প্রথম পর্ব)
ঠাকুরগাও এ ৩৬ ঘণ্টা (প্রথম পর্ব)
চোখের সামনে নতুন মটর সাইকেলটা দেখে মধ্য বয়সে যেন শরীরে যৌবন
জোয়ারের ছলছল গতীটা বিদ্যুৎ গতিতে রূপান্তরিত হল। ছোট ভাইকে বললাম দে তো চাবিটা। আমি যে সকল মটর সাইকেলটা চালাতাম তার মধ্যে ইয়ামাহা ১০০, ছিডি-৮০ হোণ্ডা-১১০, এই ব্র্যান্ডগুলো আজ আর মার্কেটে পাওয়া যায় না। তবে এই ব্রান্ডের মটর সাইকেল গুলোর মধ্যে আমার প্রিয় ছিল, সি ডি-৮০, যার তেল খরচ ছিল খুবই কম, আর আমার শরীরের সাথে মানান সই, সর্বোপরি আমার মতে সৌখিন একটি বাহন।
ছোট ভাই বলল পারবেন তো চালাতে, না পারার কিছু আছে কি? না অনেক দিন চালান নি তো? আমি গেয়ার গুলো সব সামনে কি না জিজ্ঞেস করলাম। কারন ইদানিং কিছু মটর সাইকেলের গেয়ার প্রথমটা সামনে তো দ্বিতীয়টা পিছনে। ও বলল সব গেয়ার সামনে।
নিশি কেটে গেলে
নিশি কেটে গেলে
একজন প্রেমিকের ধ্যান জ্ঞান সবই তার প্রেমিকাকে ঘিরে।প্রেমিকার বিরহে সে হয়
কাতর, এ পৃথিবীর সকল কিছু তার কাছে হয় বর্ণহীন, গন্ধহীন। তেমনি একজন লেখক বা কবির প্রেম তার লেখার সাথে, সে যখন লিখতে পারে, তখন তার সব কিছুই পাওয়া হয়ে যায়।কোন কিছুর অপর্যাপ্ততা তাকে পীড়ন করে না। তাকে কষ্ট দেয় না। কিন্তু সে যদি কোন কারণে লিখতে না পারে, তবে গাড়ী বাড়ি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ তাকে না পারে মানষিক প্রশান্তি দিতে, না পারে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ কমাতে।
একজন লেখক দিনের পর দিন লিখতে না পারার কষ্টে, ক্ষত বিক্ষত।দিনকে দিন তার কোমল মনটা বিদ্রোহী হয়ে উঠে, নিয়মতান্ত্রিকতার সকল নিয়ম ভেংগে সে ছুটে যেতে চায়, দিগন্ত অবারিত উন্মুক্ত প্রান্তরে। নিরাপত্তার সকল গণ্ডি ভেংগে মিশে যেতে চায় প্রকৃতির সাথে। কি হবে দেখা যাবে।
আমি এখন খুলনায়(দ্বিতীয় পর্ব)
আমি এখন খুলনায়(দ্বিতীয় পর্ব)
ঘুম থেকে উঠে খুজতে গিয়ে দেখি একটি মোবাইলের চার্জার ও এয়ার ফোন ছেড়ে এসেছি। নিচে গিয়ে খোজাখুজির পর এয়ার ফোন পেলাম কিন্তু চার্জার পেলাম না। কিছু হালকা স্নেক্স ও সফট ড্রিংস নিয়ে রুমে ফিরলাম। খেতে খেতে আই, পি, এল এর খেলা দেখলাম। তারপর ডিসকভারি দেখা, বাসায় কথা বলা সেরে আবার, আমার প্রিয় ও ভীষণ ভালাবাসা নিদ্রামায়ের দরজায় কড়া নাড়তে লাগলাম। মনে হয় মা জননী খুব বেশী দেরী করেননি।তার ঘরে প্রবেশ করার পর কি যে মায়ার জালে সে বাঁধে বের না হওয়া পর্যন্ত কিছু মনে করতে পারি না। কেউ কেউ নাকি তার ঘরের মায়ায় এমনি জড়িয়ে যায় আর ফিরতেই পারে না।
আমি এখন খুলনায়
আমি এখন খুলনায়
আমি খুলনা এসেছি মে,৫, ২০১৪ খ্রীঃ আজ ১২দিন হয়ে গেল। এ কদিন কিছুই লেখা হয়নি। আবেগ মিশ্রিত গান কবিতা লেখা বাদই দিলাম শুধু আসার পর থেকে দিনলিপিগুলো লেখলেই একটা বিশাল লেখা হয়ে যেত, আর বড় বড় লেখকদের মত চাটনি সদেশ রস সংযোজন করতে পারলে তো সবিশেষ উপাদেয় কিছু পাঠকদের দিতে পারতাম।
আপনারা বলবেন কি???????
ফোনে বাবার কণ্ঠ শুনেই
মেয়ের ধৈর্যের সকল বাধ ভেংগে গেল।
প্রথমে ফোপানি
অতঃপর সজল কান্না।
না বাবা চোখে দেখতে পাচ্ছে না।
কিন্তু অন্তর চক্ষু
বাবার কলিজাটা ভেঙ্গে খান খান হবার জোগার।
সব সামলে নিয়ে প্রশ্ন!
কি হয়েছে বাবা
কাঁদছ কেন?
ট্রাফিক জ্যাম গাড়ীতে বসে আছি
পরীক্ষা আরম্ভ হয়ে গেছে।
কাঁদতে হবে না, তোমার ম্যাডামকে ফোন কর।
না হলে আবার পরের সিমিষ্টারে দিবে,
এবার যেন সাইক্লোন ......
না না...।
কি করে সহ্য করবে,
গত তিন চারদিন ধরে রাত জেগে
তিন বান্ধবী মিলে প্রজেক্ট প্রস্তুত করেছে।
শুধু ট্রাফিক জ্যামের জন্য পরীক্ষা ও
প্রজেক্ট জমা দিতে পারবে না।
আমি নিজেও কেমন যেন
অসহায় বোধ করছিলাম।
এদিক সেদিক পায়চারী করছিলাম
ওর মাকে দিলাম।
কিছুতেই স্বস্থি পাচ্ছিলাম না।
মিনিট ৪৫ পরে ফোন এল
বাবা পৌচেছি, পরীক্ষা
আরম্ভ হয়নি।
অনেকে এখনো পৌছতে পারেনি।
তুমি এসে দেখে যাও
তুমি এসে দেখে যাও
আজ আমি কি ভাবে বেচে আছি
তুমি যা চেয়েছিলে সে ভাবে
নাকি এর চেয়েও জৌলুস চেয়েছিলে।।
আজ সে হিসেব করে কষ্টই
শুধু বাড়ে।
তোমার না আমার?
তুমি তো সংসার নামক চাক্তিতে
মরিচ পিশা হয়ে ভুলেই গেছ
জীবনে সুখ দু:খ বলে কিছু আছে।
অথচ এই সুখের পিছনে ছুটতে
টর্ণেডো বেগে ছুটে বিয়ের পিড়িতে বসলে।
তোমার হবু স্বামী
শত বিঘা জমির মালিক
অনেক নাম ডাক
আচলে চাবির গোছা ঝুলিয়ে
এত বড় সাম্রাজ্যের মাল্কিন!
তার কি পিছন ফিরে দেখার সময় ছিল।
তব যাবার পথে চেয়ে চেয়ে দেখেছি
কেদেছি কি কাদিনি মনে নেই
তবে কচি বক্ষখানি বাশের বাতার মত
ফালি ফালি হয়েছিল তা ভূলিনি।
আজ এত বছর পর
রাজা রাজ্য রানী।
না বলতে পারছি না,
কষ্ট হয়।
কচি দুটি মন
কি চেয়েছিল
আর কি পেল।
এটাই হয়ত বা জীবন নামক
সমুদ্রের শতরঞ্জি খেলা।
এক চালের ভূলেই যার
রাজা হয় মাত।
মে,০৯,২০১৪ খ্রীঃ
খুলনা
সময় যে বহে যায় ( ২য় ও শেষ পর্ব)
সময় যে বহে যায় ( ২য় ও শেষ পর্ব)
হাজারও ভাবনা ভাবতে ভাবতে এক সময় মসজিদের শহর ঢাকা, আর আমার বাসা থেকে ২০০ মিটার দুরের মসজিদ থেকে মাইকের সাহায্যে মোয়াজ্জিনের কন্ঠকে বহুগুণ বৃদ্ধি করে আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার আরবী শব্দ উচ্চারনে আজান ভেসে আসতে লাগল। ঠিক এ সময় মন্দির প্যাগোডা হতেও কাসার ঘণ্টায় এবং প্রত্যেক ধর্মই যেহেতু প্রভাত প্রার্থনার জন্য আহবান জানান। তারাও নিশ্চয়ই আহবান জানাচ্ছে, কিন্তু আমার বাসস্থানের এ স্থান
থেকে তা আমার কর্ণ গোচর হচ্ছে না। তা হোক বা না হোক, আমার বা পৃথিবীর প্রতিটি প্রানীর জীবন থেকে আরও একটি সুন্দর দিন ও সুন্দর রাত বিয়োগ হয়ে গেল। তা প্রার্থনার আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা প্রভুর দানের কৃতজ্ঞতা জানাই বা না জানাই।
তাপিত হৃদয়
তাপিত হৃদয়
তাপিত হৃদয় দেহ মন প্রাণ,
যেদিকে তাকাই ধুঁ ধুঁ মাঠ চিরে খান খান।
প্রকৃতির দান এক বিন্দু বারির
দেখা নেই বহুদিন
জানিনা বিধাতা, মহান দাতা
কবে দানিবে সে সুদিন।
পাখ পাখালি জনমন করিছে কলরব
নিদ্রাহীন রজনী, কর্মহীন অলস সব
কবে
বরিষিবে বারি শীতল হবে ভুতল
প্রাণীকুল ফিরে পাবে প্রাণ
অবনী জলে ছলছল ।
বৈশাখ,০৫,১৪২১
সিরাজগঞ্জ
আবেগ
আবেগ
এত আবেগ ঢেল না
আমি ডুবে যাব,
সেই সে ভয়ে
নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়
আমার আবেগের সীমানা থেকে।
কিন্তু পেরেছে কি?
আর একজন
চায় শুধু চায়...।
ঢালো আবেগ
আরো ঢাল
আবেগে
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাও
ডুবিয়ে দাও
দিগন্ত প্রসারিত দু বাহু ভরে
তত টুকু আবেগ দাও
যা সমুদ্রের থেকেও গভীর
যে সমুদ্রে আমি সন্তরণ করব
কখনও ডুবে যাব।
আকাশের থেকে উঁচু
যেখানে আমি মনঃ হাওয়াই জাহাজে উড়ে বেড়াব।
ঝরনার চেয়েও স্বচ্ছ
যেথায় হংস হংসী হয়ে জলকেলি করব
নিঃশ্বাসের চেয়েও প্রিয়।
সেই সে তপ্ত নিশ্বাসে
আপন মনে তাপিত হব
যাপিত হব
হিমালয়ের চেয়েও শক্ত।
যাতে দুজনা দুজনাকে
এমননি ভাবে বেঁধে নিব
জনম জনমতক হব না...।
বৈশাখ,০৩,১৪২১
সিরাজগঞ্জ
শুভ নববর্ষ ১৪২১
শুভ নববর্ষ ১৪২১
গত সাতদিন থেকে বিরতিহীন অঝোর বৃষ্টি, আজ সন্ধায় থামবে। এমন ডাহা মিথ্যা কথা কেউ বলে, আজ বৈশাখের প্রথম দিন বৃষ্টি কোথায়? আর সাতদিন ধরে বৃষ্টি কেউ দেখলো না কোন মিডিয়াতে খবর নেই আর আপনি বলছেন, তবে মিথ্যা নয়ত কি?
আবার আবহাওয়াবিদ কবে হলেন যে বললেন আজ সন্ধ্যায় থামবে। আবহাওয়াবিদ কেন, জ্যোতিষিকেও হার মানানোর মত কথা।
ফেবু/ব্লগের বন্ধুরা,প্রকৃতি তাঁর আপন মহিমায় উজ্জল, বৃষ্টি তো দুরের কথা, বাহিরে তাপ ভিতরে গরমে সকল প্রানীকুলের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। শুধু আমার আংগিনা বাদে।
কেন?
কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টের কমিশনিং চলছে। বিশাল বিশাল তিনটি কুলিং টাওয়ার ৫০ ফুট উপর থেকে বিশাল ফেনের মাধ্যমে ঠান্ডা হওয়া পানি প্লাস্টিকের তৈরী কৃত্রিম মৌচাকের ভিতর দিয়ে বেস মেন্টেন্টে পড়ে টাপুর টুপুর শব্দে এক অসাধারন সুর লহরী তৈরী করেছে।
বহ্নি জ্বালা(পর্ব-২)
আমার ছেলেমেয়ের জন্য আমার অনেক দুঃখ হয় বিশেষ করে ছেলের জন্য। আমি যে নির্মল আনন্দ গুলো করেছি আমার ছেলে তা ভাবতেও পারে না। আমার ছেলে এখন অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে, ঠিক একই বয়সে ফাগুন চৈত্র মাসে নিজ হাতে বানানো ঘূড়ি উড়িয়ে কি যে মজা পেতাম কিভাবে ব্যাখ্যা করব। উড়ানোর মজা এক, বানানোর মজা আরেক। আজ যখন মনে হয় ভাবি এত কষ্ট করতে হত, একটা ঘুড়ি বানানোর জন্য?
সে সময় মেলায় ঘুড়ি পাওয়া যেত। তা কিনেও আনতাম, তবে সে সব ঘুড়ি ছিল ছোট ও পাতলা কাগজের, কদিনেই ছিড়ে যেত। তাই ঘুড়ি বানানোর জন্য বাঁশের ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে শুকাতে দিতাম। বাতা করার উপযোগী হলে তা থেকে উপর নিচের ধনুকের মত দুটি শলাকা এবং মাঝের জন্য আর একটি শলাকা বের করে নিতাম। ঘুড়ির লেজ বানানোর জন্য আরও একটি শলাকা লাগত। সুতার সাহায্যে বেঁধে ঘুড়ির কাঠামো তৈরীর পর কাগজ দিয়ে তার ছাউনি তৈরী করা হত।
পচাশি বছরের যুবক যাবেদ আলী (প্রথম পর্ব)
আশি বা পচাশি বছরের যুবক। নাম যাবেদ আলী। আমার ড্রেইনেজ কন্ট্রাকটর। প্রথম যে দিন আমি তাকে দেখি রিতিমত আবাক হয়েছিলাম। লম্বায় প্রায় ছয় ফুটের কাছাকাছি, কাশ ফুলের মত দাড়ি গোফ ও মাথার চুল শরীরের রংগের সাথে মিলেমিশে একাকার। তদুপরি সাদা পাঞ্জাবি আরব্য উপন্যাসের জ্বিনের বাদশাহদের কথা মনে করিয়ে দেয়। পচাশি বছরের জাবেদ আলীকে ক্ষনিকে আমি ১৫ থেকে বিশ বছর বয়সের এক যুবকের প্রতিচ্ছবিতে দেখতে লাগলাম। আল্লাহ্ তায়ালা সকল মানুষকে সুন্দর অবয়বে তৈরী করেছেন। তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই জাবেদ আলীর যৌবনের দ্যুতি চলন্ত পথের সাথিদের বা অন্দর বাহির বা কোন আড়াল থেকে দেখা দৃষ্টিকে কি এলো মেলো করে দিত না। কেউ কি মহান সৃষ্টি কর্তার এই মহান সৃষ্টি দেখে বলত না
“তোমার সৃষ্টি পানে যদি চাওয়া হয় চোখ সুন্দর হয়।
তোমার নামে যদি গান গাওয়া হয় গান সুন্দর হয়।“
সময় যে বহে যায়
এখন রাত ২টা। ঢাকা শহরের এই এলাকাটা এমনিতে দিনের বেলাতেও তেমন কোলাহল মুক্ত থাকে। প্রাইভেট কার, সি,এন,জি, টেক্সিক্যাপ, রিক্সা ও পথচারীর চলাচল ছাড়া মাঝে মাঝে ফেরিওয়ালার হাকডাক শুনা যায়। আর এখন গভীর রাত, রাস্তার বৈদ্যুতিক আলো ও কাছে দুরের নির্মাণাধীন ইমারতের নিরাপত্তা বাতিগুলো রাতের নিকস কালো আধারের কিয়দংশ দুর করলেও বাকি জায়গাগুলোর অন্ধকার দুর করার কাজটি মহান সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে আজন্ম থেকে যে চাঁদ মামা করে আসছিলেন, আজও তিনি তাই করছেন।