ভুলের ভাণ্ডার
এক.
‘ভুল’ বানানটি সঠিক বটে
লিখবেন না কেউ ভূল
তুল লিখেন টুল লিখেন
লিখবেন না বানান মুল।
‘মূল’; কিন্তু মুল নয়
রাখবেন মনে সবে
মুল যদি লিখে কেউ
ভুল জানবেন তবে।
‘কুল’ যদি বরই হয়
‘কূল’ নদীর পাড়
ভুল বানানে অভ্যস্ত
লজ্জা পাবে সবার।
‘তুলা’ লিখেন ‘কুলা’ লিখেন
লিখবেন না কেউ মূলা
‘মুলা’ বানান সঠিক তবে
লিখবেন না ফরমূলা।
ফরমূলা নয়, ‘ফরমুলা’
জেনো নিশ্চয়
ইংরেজি উচ্চারণে
(ূ) ঊ-কার নাহি হয়।
কারণ বারণ মরণ লিখেন
ধরণ লিখবেন না
ধরণ যেন ‘ধরন’ হয়
লিখতে ভুলবেন না।
‘গুণ’ লিখেন ঘুণ লিখেন
গুন লিখবেন না
গুণিতকের মর্মকথা
এতে পাবেন না।
‘কাঁটা’-‘বোঁটা’ সবই লিখেন
ফাঁটা লিখবেন না
ফ-এর ওপর চাঁদ বসালে
‘ফাটা’ হবে না।
‘হাসি’ লিখেন ‘কাশি’ লিখেন
হাস লিখবেন না
চাঁদ ছাড়া ‘হাঁসফাঁস’
কিছুই হবে না।
বাড়ি-গাড়ি সবই লিখেন
হাড়ি লিখবেন না
‘হাঁড়ি’র ওপর চাঁদের টিপ
দিতে ভুলবেন না।
আসন বাসন নয়নে
‘ন’ হবে নির্ভুল
প্রান ঘ্রান ত্রান লিখে
করবেন না তাই ভুল।
প্রাণ ঘ্রাণ ত্রাণ বানানে
লিখবেন মূর্ধন্য- (ণ)
এ নিয়মে লিখে যান
বর্ণ বর্ষণ আর কার্পণ্য।
অনুরোধে হবে ‘করুন’
অবস্থাতে ‘করুণ’
তোরণ বানিয়ে তারুণ্য
রাখতে হবে স্মরণ।
দুই.
টার্গেট যদি ঠিক থাকে লিখুন ‘লক্ষ্য’
তবেই হবেন আপনি বানানে দক্ষ
অ্যাটেনশন বোঝাতে লিখে যান ‘লক্ষ’
সম্পর্কের গভীরতায় লিখবেন ‘সখ্য’।
‘লক্ষ্য’ যদি লক্ষ হয়, ব্যাকারণে ভুল
এতেই দিতে হবে চরম মাশুল
নাব্যতা নয় ‘নাব্য’; লিখুন না ভেবে
বানানে পারদর্শিতা নিশ্চয়ই হবে।
নির্দিষ্ট ব্যক্তির তরে হবে ‘উদ্দেশ্য’
একই রকম দেখতে লিখুন ‘সদৃশ’
জনতার উদ্দেশ্যে নয়, হবে ‘উদ্দেশ’
সঠিক বানানে মেনে যান বশ্য।
‘সহযোগী’ দীর্ঘ ঈ-কার সঠিক বটে
সহযোগীতা বানানে বিপত্তি ঘটে
‘সহযোগিতা’ শুদ্ধ রূপ লিখ সবে
‘প্রতিযোগী’-‘প্রতিযোগিতা’ একই হবে।
চন্দ্রবিন্দু দিতে কেন দৌড়াও তুমি
‘দৌড়ে’ চাঁদ নেই ‘হেঁটে’ চলে অমি
চাঁদ যদি দিতে চাও একটু ‘দাঁড়াও’
পাহাড়টি ‘খাঁড়া’ অতি হাতটি বাড়াও।
‘কাচ’ কিন্তু কাঁচ নয়, লিখে যাও সবে
পাকাতে চাঁদ দিলে ‘কাঁচা’র কি হবে
কারো ডাকে নিশ্চয়ই দিও তবে ‘সাড়া’
তোমার যখন শুরু আমার যেন ‘সারা’।
গেন্ডারিয়া, ঢাকা : মে ১৭, ২০১৬ইং
মন্তব্য করুন