অঞ্জলী পেতেছি, জল দাও
অফিসে আসবার সময় মার ফোন এল। মা খুব উদ্বিগ্ন কন্ঠে জানাল ---শোন লাইজুর না হার্ট এ্যাটাক করেছে। খুব ভাল করেই চিনি তবুও জিজ্ঞাসা করলাম---কোন লাইজু?
---আরে ডাঃ লাইজ়ু।
---ও আচ্ছা।
---ওকে ইউনাইটেডে ভর্তি করেছে।
---ভাল তো।
---ভাল তো? কী বলছিস তুই? মিনুকে বলেছি গাড়ি নিয়ে আসতে। আমি হাসপাতালে যাব। লিপি খুব কান্না কাটি করছে। ---করাই তো স্বাভাবিক। ওর তো আর একটা বর নাই।
--- তোর কি হয়েছে? এভাবে কথা বলছিস কেন?
--- ডাঃ লাইজুর হার্ট এ্যাটাকের খবরে খুব কষ্ট পেয়েছি তাই এভাবে কথা বলছি। আমি অফিসে চলে এসেছি মা রাখি। ফোনটা কেটে দিলাম জো্র করেই।
কবে আমরা প্রথম হেঁটেছি সেই স্মৃতি আমাদের কারোরই মনে নেই। যেমন মনে নেই কবে প্রথম নিজ হাতে খেয়েছি বা কবে লজ্জা হয়েছে অন্যের সামনে কাপড় না খোলার। কিন্তু সেই সময়ের একটি স্মৃতি আমার মনে মাঝে মাঝেই ভেসে উঠে।
একটি উজ্জ্বল দিন। কি কারনে আমি যেন কাঁদছি। বকুল মামা এসে আমাকে কোলে করে নিয়ে গেল গেস্ট রুমে। যে ঘরে সে মাঝে মাঝে এসে থাকতো। সে তখন ডাক্তারী পড়তো। মাঝে মাঝে আমাদের বাসায় এসে দুই একদিন থাকতো আবার হোস্টেলে চলে যেতো। খুব আদর করতো আমাকে। খুব সম্ভবত আমি ঘুমিয়ে পরেছিলাম তার কাছে। আমি কি বিছানায় হিসু করেছিলাম? আমি যানি না। শুধু জানি এক সময় খুব ব্যথায় ঘুম ভেঙ্গে গেছে আমি আবার ও কাঁদছি সে আমাকে ঘুম পারাচ্ছে এবং আমাকে সে প্যান্ট পরিয়ে দিচ্ছে। আমি কাদঁছিলাম দেখে মার এক চাচাতো ভাই আমাদের বাসায় থাকতো। বাসার কাজ করতো আবার পড়াশুনাও করতো। এসে দেখে আমাকে কোলে তুলে নেয় আর মামার সাথে রাগ করে। বকুল মামার আর কোন স্মৃতি আমার কাছে নেই। বকুল মামার সাথেই পড়তো লাইজু। আমার খালাতো ভাই। সেই ছোট বেলায় সেও আসতো আমাদের বাসায়। তার হাতে প্রতি নিয়ত আমি নিগৃত হতাম। সেই সময় বুঝতাম না তবে সে আসলে আমার প্যান্ট খুলে আদর করতো এটা মনে আছে। ধীরে ধীরে সময় যায় আমি বড় হই। একসময় বুঝি প্যান্টে কাউকে হাত দিতে দেয়া যাবে না। লাইজু আমার সাথে যে কি আচরন করতো আমি জানি না শুধু এটুকু বুঝতাম পরে হিসু করতে খুব ব্যাথা পেতাম। মা প্রায়ই জনসন ভায়োলেটা লাগিয়ে দিতেন আর বলতেন বার বার নিষেধ করি চুলকাবে না, একদিন বললাম আমি তো চুলকাই নি লাইজু ভাই চুলকিয়ে দিয়েছে। মা লাইজু ভাই এর দিকে তাকিয়ে দিলেন হেসে। ভাইয়া হাসতে হাসতে মনে হয় বলেছিল----- আর কারও সামনে এই কথা বলিস না গাধা। ওদের হাসাহাসিতে আমি কিছুই প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। আমার কথা কেউ গুরুত্ব দেয়নি। এরপর একদিন একদিন করে সময় যায়। আমি বড় হই। নিজেকে সড়িয়ে রাখি ওদের কাছ থেকে ডাকলেও আর কাছে যেতাম না।
আমি তখন ক্লাশ টুতে পড়ি। আমাদের বাসায় এলেন আমার ছোট মামা। তাকে আমরা কমচাচা ডাকতাম। কমচাচা কারন তার নাম কামরুল আর বড় মামার ছেলেটা তাকে ডাকে কমচাচা তাই মামাও আমাদের আর মামা রইলেন না হয়ে গেলেন কমচাচা। সারাদিন ভার্সিটিতে থাকত আর মাঝে মাঝে সন্ধ্যের আমাদের পড়াত।। একদিন বন্ধুদের সাথে বাগানে খেলছিলাম। তখন পায়ে কাঁদা লেগে যায়। সবাই এই কাঁদা একজন আর একজনের গায়ে লাগাচ্ছিলাম। আমার পায়ের কাঁদা আমি কমচাচার গায়ে লাগাই। এই দৃশ্য দেখেন মা। সাথে সাথে ভীষন রেগে যান। কমচাচার কাছে মাপ চাইতে বলেন। আমার ইগোতে বাঁধে। আমি রাজি না। মা আরও ক্ষেপে যান। তারও ইগোতে লাগে। তিনি মেহেদি গাছের চিকন ডাল ভেঙ্গে আমাকে মারতে শুরু করেন। এক সময় মা ক্লান্ত হয়ে যান। কমচাচা তখন আমাকে কোলে করে নিয়ে যায় বাথরুমে। হাত মুখ ধুইয়ে দেয়। এর মাঝেই দেখি তার হাত বিচরন করছে আমার শরীরে। ততদিনে আমি চিনে গেছি পুরুষের হাত ও চোখ। আমি তার কাছ থেকে ছুটে বের হয়ে আসি। সামনে মা । রাগে তিনি তখনও কাঁপছেন।
সন্ধ্যায় পড়তে বসলাম। কমচাচা আমাকে আদর করে কোলে তুলে নিলেন। আমি নিচ থেকে চাপ অনুভব করছিলাম। তার কোল থেকে নামতে চাইলাম তিনি জোর করে আমাকে ধরে রাখলেন, আমাকে নামতে দিলেন না। সেই শুরু। কমচাচা আগে মাসে একদিন ও আমাদের পড়াতে বসাতেন কিনা তার ঠিক নেই সে কমচাচা প্রতিদিন সন্ধ্যার পড়াতে শুরু করলেন। তার ছুটি থাকলে তিনি সকাল বিকাল যখন খুশি তখন বই নিয়ে ডাকতেন। আমি মার ভয়ে কমচাচার সব আদেশ মেনে নিতাম। তবে তা শুধু হাত দিয়ে ধরা পর্যন্তই ছিল।
একদিন বারাবারি করে ফেললো কমচাচা। জোর করে মুখে তুলে দিলে আমি কামড়ে ধরি। প্রানপন শক্তিতে।
তার চিৎকারে আমি ছেড়ে দেই। কাজের বুয়া ও মা ছুটে আসেন। এবারে আমি একেবারে হিংস্র দৃষ্টিতে মার দিকে তাকিয়ে। কমচাচা বলে যাচ্ছেন ও পড়বেনা আমি বকেছি দেখে আমার পায়ে কামড় দিয়েছে। মা আমাকে ধরতে এলে বুয়া বাধা দেয়। আমি চিৎকার করে বলি ---আমি বাবাকে সব বলে দেব, বাবাকে সব বলে দেব। কমচাচা বললেন ---থাক আপা, আমি আজই হোস্টেলে চলে যাচ্ছি। আমি কিছু মনে করিনি।
মা রাগে গজগজ করতে করতে বলতে থাকলেন --একে বারে গুষ্ঠীর মত হয়েছে। হবে না, কোন বাঁশের ঝাড় দেখতে হবে না। গুষ্ঠীতে জংলী ছাড়া ভদ্রলোক কেউ আছে নাকি? এ মার কমন বকা। সারা জীবন দাদা বাড়ির লোকজনদের সম্পর্কে মার এই উক্তি। তার ভয় তার মেয়েও তার শ্বশুর কূলের লোকজনের মত জংলী হবে। এই শ্বশুর কূলের কেউ না কেউ তার মেয়েকে নির্যাতন করতে পারে কারন তারা গন্ড গ্রামের বাসিন্দা। এত সুন্দর মেয়ে তারা সচারাচর দেখে না। ওরাই তো এই ধরনের অপরাধ বেশী করে। তাদের কোন ন্যায় অন্যায় বোধ নেই। তাই দু’হাতে তাকে ওদের কাছ থেকে সরিয়ে রাখতেন। কে প্রম করে পালালো, কে কার সাথে কি করলো এইসব খবর নিত আর আমাকে সাবধান করে দিতেন ---গুষ্ঠির মত হলে মেরে ফেলব। আমি তোমাকে বুক দিয়ে আগলে রেখেছি তুমি আমার মত হবে।
বোকা মা তার শ্বশুর বাড়ির লোকদের অবিশ্বাস করলো অথচ আজও ওরাই আমাকে আগলে রেখেছে আর তার সভ্য অতিশিক্ষিত আত্মিয়রা প্রতিনিয়ত আমাকে নির্যাতন করে গেছে। সেই শৈশবে কিছুই বুঝিনি। ওরা আমাকে নিয়ে খেলেছে আমিও ওদের সাথে খেলেছি , যেদিন প্রতিবাদ করেছি সে দিনও বুঝে করিনি ঘৃনায় করেছি। কারন ওটা যে বর্জ্য নিষ্কাশনের অংগ।
আমাকে মানুষ করবার জন্য মার প্রানান্তকর চেষ্টা আমার চোখে মাকে করে তুলেছে ফ্রাংকেস্টাইন আর আমি আশ্রয় খুঁজতাম তাদের কাছে যারা প্রতিনিয়ত তাদের যৌনক্ষুধা মিটিয়েছে আমাকে দিয়ে। যত বড় হতে থাকলাম ততই শৈশবটা দূর্বিসহ হয়ে উঠছে। এই স্মৃতি আমাকে তাড়িয়ে ফেরে। একথা কাউকেই বলা যায় না।
বকুল মামা ডাঃ শাহ্ আলম আজ পঞ্চাশ উর্ধ্ব, একটি মাত্র মেয়ের বাবা। একদিন বিকালে মামাতো বোনটাকে আমার বাসায় নিয়ে এলাম। বললাম --আয় মজা করি। তুই একমাত্র মেয়ে বলে একটু পর পর তোর বাবা মা তোকে ফোন করবে তার চেয়ে তুই ফোন অফ করে দে আমিও আমার ফোন অফ করে দেই দেখ কী মজা হয়। ও তো এক কথায় রাজি, কারন বাবা মার অতি সচেতনতা তার একে বারে অসহ্য। আমাদের ফোন অফ। রাত দশটায় মামাকে ফোন করলাম। উদ্বিগ্ন মামা কে বললাম ---আমাকে ছোট বেলায় যেভাবে আদর করেছিলে মনে পরে? ঠিক সেই ভাবে তোমার মেয়েকে আদর করা হচ্ছে। তোমার মেয়ে যেন কষ্ট না পায় তাই তাকে কাজ শেষে বলবো তুই তো এত্ত বড় হয়ে আদর পেলি আর তোর বাপ আমাকে সেই একেবারে পিচ্চিবেলায় আদর করেছে। ফোন অফ করে দিলাম। আধাঘন্টার মধ্যে মামা এসে হাজির। মামাকে দেখেতো তিন্নি ক্ষেপে গেল। --কেন এসেছ? যাও, যাও।
মামা পরিস্থিতি বুঝে গেলে মুহুর্তেই । আমি হাসি মুখে বললাম ---এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তিন্নি বস, মামা বসো কথা বলা শেষ করি। মামা আমার হাত চেপে ধরলেন --মাপ করে দে মা আমি তখন ছোট ছিলাম।
--আমার গেছে যে দিন তা কি ফিরবে? মামা আমার পায়ের কাছে মাটিতে বসে পরলেন।
--মাপ করে দে মা। তিন্নি অবাক চোখে চেয়ে রইল কিছুই বুঝল না। শুধু বুঝলো কোন এক অপরাধে পিতা তার ক্ষমা প্রার্থী। আমি পারিনি মেয়েটিকে তার বাবার অপরাধের কথা বলে মেয়েকে শাস্তি দিতে। ছোট বেলায় এই মেয়েটি যে নির্যাতিত হয়নি সেই নিশ্চয়তা কে দেবে?
কমচাচা ইঞ্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম এর দুই মেয়ে। ছোট মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধী। কমচাচা -মামী মেয়ের চিন্তায় অস্থীর। এখন তারা সামলাচ্ছেন। কিন্তু যখন তারা থাবেন না তখন কী হবে? কমচাচাকে একদিন বলেছি --তোমারা না থাকলে অসুবিধা নেই আমি তো থাকবো, তখন দেখবো তোমার মেয়েকে শিয়াল শকূন কী ভাবে খুবলে খায়। আল্লাকে প্রায়ই বলতাম আল্লা কম চাচাকে আমার মত সুন্দর একটা মেয়ে দিও কিন্তু বোকা মেয়ে দিও। কমচাচার সেই অসহায় চোখ দেখে বড় মায়া লেগেছিল। মামী বলেন-- কোন পাপে খোদা আমায় এমন শাস্তি দিলেন?
---তোমার হয়তো পাপ মেই মামী -মামার আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে দেখ?
লাইজু ভাই ডাঃ মশিউর রহমান খন্দকার এর দুই মেয়ে। দুটাই আমার খুব ভক্ত। আমার সাথে ছুটে চলে দৌড়ে যায় নির্যাতিত নারীর পাশে, নির্যাতিত শিশুদের পাশে, তাদের মনে সাহস জোগায়। সেই লাইজুকে শাস্তি দেবার আগেই হৃদযন্ত্র আর কাজ করতে পারছে না। তবে তাকেও আমি ছাড়বো না। মানসিক শাস্তি দিয়ে দিয়েই আমি তাকে ধ্বংস করব। এখন শুধু ঠিক করা যে পিতার অপরাধের শাস্তি সন্তানকে দেব কি না?
যত পরিনত বয়সের দিকে যাচ্ছি তত বেশি করে পরিষ্কার হচ্ছে তাদের ভাবনাগুলি।
মা আমাকে যতটা ভালবাসে ঠিক ততটাই আমার মন থেকে দূরে চলে গেছে। তার ভুলের জন্য। সবাই তার নিজ নিজ মার জন্য সব সময় উৎকন্ঠিত। দেখে খুব অবাক হই আমার ভেতরে সেই অনুভুতির কিছুই নেই। মার মৃত্যুর খবরও মনে হয় আমার মাঝে কোন রেখাপাত করবে না। পাশের বাসার কারও মৃত্যুর সংবাদের মত একটু কষ্ট দেবে হয়তো। মাকে ভালবাসতে না পারাটা বড় কষ্টের। কত একা আর কত বড় হতভাগা আমি ভাবলেই শিউরে উঠি।
মায়েরা ক্যানো এইসব ব্যপার গুলোতে এতো অবুঝ হন???
মায়ের বয়স এবং অভিজ্ঞতার অভাব । তার উপরে সামাজিক বা পারিবারিক শিক্ষা স্বামী ছাড়া শ্বশুর বাড়ির সবাই শত্রু বাপের বাড়ির মানুষের যেহেতু স্বার্থ কম তাই তারাই মিত্র। ধন্যবাদ।
চমৎকার একটা জায়গা ধরছেন। খুব জরুরী একটা বিষয়। শিশুদের এভাবে নিগৃহীত হতে হতে মানসিক আঘাতটা বেড়ে ওঠার জন্য অন্তরায় হয়ে দাড়ায়। অথচ আমরা একটু সচেতন হলেই এই নোংড়া লোকগুলোকে এড়াতে এবং প্রতিরোধ করতে পারি।
ধন্যবাদ
শিশু ছেলে হোক অথবা মেয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
এরকম সত্যি কথা লিখতে কয়জন পারে? অথচ আমাদের দেশে আমার মতে ৯০% মেয়ের ছোটবেলায় এরকম ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে । আমার এক মামাতো বোন, মাত্র ৪ বছর বয়স ছিল তখন তার । বাবা ছাড়া যেকোন ছেলে দেখলেই রেগে যেত, কিছুতেই তাকে সেইসব কাজিন বা মামা চাচা নানাদের সামনে আনা যেত না । ওদের বাসায় অনার্স ভর্তি হয়ে কিছুদিন ছিলাম । তখন সে আমাদের অন্যকোন কাজিন আসলে, ভয়ে আমার কোলের মধ্যে লুকাত । আপু, আপু বলে ভয়ে বেশী করে জড়িয়ে ধরত । কিন্তু আমি মামা বা মামিকে বলতে পারিনি ওর এই ভয়ের কথা, কি কারণে সে ভয় পায় । আমার ভীষণ লজ্জা লাগতো নিজের আত্মীয়দের ওই বিশ্রী চেহারা তুলে ধরতে । এখনো অনুশোচনা হয় ।
সাহস করে চরম সত্য কথা লিখেছেন আপু
সত্য সে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম সে করেনা বঞ্চনা।
প্রচন্ড কষ্ট পেলাম।
একদম পিঠাপিঠি আমার এক বড় বোনের এধরণের অভিজ্ঞতার কথা প্রথম শুনে প্রচন্ড বুক ধড়ফড় করছিলো। এমনকি অনেক অনেক পরে যখন তার অভিজ্ঞতাগুলো হঠাৎ হঠাৎ বিভিন্ন কারণে মনে পড়ে তখনও অসহায় এক ধুকপুকানি শুরু হয়। এই পোস্ট টি পড়ে ঠিক একইরকম অসহায়ত্ব চেপে ধরলো।
গল্প হলেই হয়তো কষ্ট একটু কম পেতাম। কিন্তু খুব জানি এটা গল্প নয়।
ট্যাগে আত্মজীবনী দেখেই কি না জানিনা, খুব কষ্ট লাগছে বোন।
আপনি সবসময় ভালো থাকুন। সবসময়।
খুব ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য। আপনি ও ভাল থাকুন সব সময়।
শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার পোস্টের কমেন্টগুলো দেখে, হয়তো পোস্টেও আরেকবার চোখ পড়ে আপনার কথা মনে করে, আমার খুব আপন বোনটার মুখ মনে করে এখনও একেবারে স্তব্ধ হিম হয়ে বসে আছি। অন্যদের অভিজ্ঞতাগুলোই মেনে নিতে শরীর অবশ হয়ে যায় যাচ্ছে এই এত বছর পরেও, আর যারা নিজেরাই এর শিকার তাদের অনুভূতি, মানসিক অবস্থা অনুভব করার মতো শক্তি আমার মনে হয়না স্রষ্টা কাউকে দিয়েছেন কোনরকম ঐশ্বরিক কিছু ছাড়া বোধহয় এর থেকে মুক্তি নেই আমাদের। কারণ হাজার হাজার পিশাচরূপী পুরুষ মানুষে বোঝাই আমাদের চারপাশ। একজন গেলে আরও দশজন এসে তাদের জায়গা দখল করছি!
মন খারাপের তো কিচ্ছু নেই । তোমার তো ওদের প্রতি করুনা হওয়া উচিত। লজ্জিত, ঘৃণিত,ওরা তুমি তার শিকার হতে পার কিন্তু ওরা যে মানুষই নয় সেই বোধটাও ওদের নেই।
একটা ছোট্ট উদাহরন দেই। খুব নিরিহ প্রানী মশা তাকে সমূলে উৎপাটন সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি, তেমনি এই চরিত্রের লোক থাকবেই তাদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
মন খারাপ ভাবটা কাটাতে পারিনা আপু কেননা আমার সবসময় মনে হয় ওই সময় ওই সব মানুষের হাত থেকে যদি বোনটাকে রক্ষা করতে পারতাম! অথচ আমি ওর চেয়েও ছোট ছিলাম। কেন জানিনা নিজের অক্ষমতায় কষ্ট লাগে। আর খুব ভালো করেই জানি, আমার বন্ধুরা, আমার ভাই, মামা, চাচা এরাই এসব অমানুষের দলে! নিজে পুরুষ বলেই কিনা জানিনা এইসমস্ত মানুষরূপী অমানুষ সব পুরুষের প্রতিনিধি হয়ে অসহায়ত্বে হাস-ফাঁস করি। হাল ছেড়ে দিয়েছি আপু, ওই যে বললাম, একজন গেলে আরও দশজন এসে তার জায়গা দখল করছি। এমনকি আমার কষ্টটাও হয়তো স্বার্থপর টাইপ কষ্ট, নিজের খুব আপন কেউ আক্রান্ত হয়েছে তাই, তা না হলে হয়তো আর দশটা চোখে পড়েও পাস্ করে চলে যাওয়া টাইপই করতাম। কি জানি!
মন খারাপ না করে শোককে শক্তিতে পরিনত করুন। বোনকে আত্মনির্ভশীল দৃঢ়প্রিত্যয়ী মানুষ হিসাবে গড়ে তুলুন। পথ চলতে গেলে কুকুর ঘেউ ঘেউ করেই সেই কুকুরকে প্রতিহত করে পথ চলা শিখাতে হবে। মনে রাখতে হবে পৃথিবীটা শক্তের ভক্ত।
সারা শরীর অবশ হয়ে গেল।
বহিবারে দাও শক্তি----
অতি সতর্ক হতে হতেই বেশিরভাগ মায়েরা আসল জায়গাটা মিস করে করে যান! আবার অতি বিশ্বাসেই এমন বাজে মানুষগুলায় পাল্লায় পড়ে দুর্বিষহ হয়ে যায় বাচ্চাটার পুরো জীবন! সেটা মেয়ে কিবা ছেলে বাচ্চাই হোক না কেন, মেয়ে বলে নজর দেয়া হবে ছেলেটাকে দেখে রাখা হবে না, এই ভাবনাটাও ঠিক না। সুস্থভাবে বেড়ে ঊঠার জন্যে একটা শিশুকে সে ছেলে কি মেয়ে যাই হোক না কেন মা-বাবার সমান নজরদারী আর দেখভালের দরকার।
গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয়ে লিখছেন।
এই দেশে চাইল্ড এবিউজের দিক দিয়া একটা ছেলে শিশুর চেয়ে একটা মেয়ে শিশুর জীবন হান্ড্রেড টাইমস বিপদজনক।
দীর্ঘশ্বাঃস যেন আর ফিরে ফিরে না আসে।
ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন ভাই সব সময়।
ভয়ঙ্কর বিষয়
দাদা ভাই ইমো দেখে ভায় পাইছি।
"দীর্ঘশ্বাঃস যেন আর ফিরে ফিরে না আসে"
আপনার জন্য শুভকামনা।
আপনার জন্যও শুভকামনা।
পড়ে গা হিম হয়ে গেলো আমার ছোটবোনটার কথা ভেবে। সেও বোধহয় এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে যা আমরা জানিই না বা জানার চেষ্টাও করি নাই।
শিশু জন্মের পর পরই আমাদের বাবা মা দের সব দায়িত্বের সাথে এই ব্যপারেও সচেতন হতে হবে।বাবা মা কে জানতে হবে বাচ্চাটির জন্য কেউ নিরাপদ নয়।
খুব কষ্ট পেলাম 'দীর্ঘশ্বাঃস যেন আর ফিরে ফিরে না আসে'
সেচ্চায় নারীপুরুষের সম্পর্ক যতই অবৈধ হোক সেটা তাদের ব্যপার কিন্তু যখন বল প্রয়োগে হয় সেটা মেনে নেয়া যায় না আর যদি তা কোন শিশুর প্রতি হয় তবে তা মেনে নেয়া যায় না।
পড়ে পুরা স্তব্ধ হয়ে গেলাম। একটা মেয়ের জন্য, একটা মেয়ে শিশুর জন্য চারপাশটা এমনি নিজের ঘরের ভেতরটাও এত আচেনা কেন? নিষ্ঠুর কেন? রাস্তায় চলার সময় নীচের দিকে চেয়েই হাঁটি, কখনো কোন বাসের জানালায় /রিক্সা, গাড়ী,পথ চলা কোন পুরুষের দিকে চোখ পড়লে অনেক সময়েই সেই পুরুষ দৃষ্টি পড়ার এই এক মুহুর্ত সময়েও ইংগিতপূর্ন হাসি দেয় অথবা ইংগিতবহ কোন চাহনী থাকে দৃষ্টিতে। এত রাগ, ক্ষোভ হয় কিন্তু কিছুই করতে পারি না।
নিরাপদ শৈশব হোক, নিরাপদ জীবন হোক ছেলে/ মেয়ের ।
আপু আপনাকে স্যালুট।
মাথা তুলে হাঁটি। কেউ খারাপ দৃষ্টীতে তাকালে তার দিকে সরাসরি তাকিয়ে থাকি সামনে যেয়ে জিজ্ঞাসা করি কিছু বলবে??-- কল্পনা মন কতদূরে চলে যায়। শরৎবাবু একটা গল্প লেখ তুমি আমার দশা যাই হোক খাট করো না তোমার কল্পনা। -----------------ভাল থেক জয়িতা।
সারাজীবন অপেক্ষা করেছি, এরকম একটা দিন আসবে। কেউ আমার কথা গুলো লিখবে, সাহসের সাথে। আমার দূর্বিস হ বেদনার কথা, আমার শৈশবের প্রচণ্ড যন্ত্রণার কথা লিখবে।
তুমিই সেই প্রথম। তোমাকে রইল আমার সকল শ্রদ্ধা আর সমান সমবেদনা। তোমার যন্ত্রণা আমার চেয়ে কেউ বেশী বুঝবে না।
আমার সময়েও আমার মা সহ কেউ কখনই আমাকে বিশ্বাস করেনি।না আমার মা কোন পক্ষের বিদ্বেষী ছিলেন না। তনি ছিলেন প্রচণ্ড সরল। তার ভাই এমন করতে পারে, তার স্বামীর ভাই এমন করতে পারে, এটা তিনি কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারেননি।
দু/একজন যাকে বলেছি, সবাই বলেছে, এক তরফা কি কিছু হয়? কোন দোষ ছিলনা তোমার? সবার তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য কুড়াতে কুড়াতে, একটা বয়স পর্যন্ত শুধু নিজেকেই ঘ্ীণা করে কাটিয়েছি। আমি নিশ্চই অনেক পাপ করেছি, নইলে আমার সঙ্গে েমন হবে কেন?
আজ অনেক মানুষ আছেন, যারা সত্যি তোমার লেখা পড়ে ব্যাথিত। তাদের প্রতি রইল আমার সশ্রদ্ধ সম্মান।
তবে একটা কথা কি জান? তসলিমা যখন লেখা শুরু করলেন, তখন ভেবেছিলাম, অনেক মেয়ে মুখ খুলবে, মেয়েরা অন্যায়কে অন্যায় বলতে শিখবে, সমাজের একটা পরিবর্তন আসবে, অনেক পুরুষ বুঝতে শিখবে।
তসলিমার ভাষা অভিযুক্ত হল, যে ভাষায় তসলিমা কথা বলেছিলেন, সেটা আমরা গ্রহণ করতে পারলাম না। অথচ তার চেয়ে কত নোংরা ভাষা াকছার ব্যবহার করে পুরুষরা আজকাল কত ক্ীতিত্ব নেন।
তাতে অনেক সুশীল মানুষদেরও সায় থাকে, "তারা বলেন, না সমাজটা পাল্টাচ্ছে।" পুতুপুতু করার চেয়ে নোঙরা কথা বলে সবাই প্রতিবাদ করছে।" নোংরা কথা বার্তা বা উগ্র আচরণ বা কাউকে না মানার মধ্যে একটা জোস আছে।"
"কিন্তু তসলিমা কিন্তু তসলিমাই থেকে গেছেন, তার ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। এখনও সাধারণতঃ পুরুষরা তসলিমাকে নোঙরামীর ্উধাহরণ হিসেবেই ব্যবহার করেন।
তোমার এ যাত্রা অব্যহত থাক, তুমি অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত না হও, সেই কামনাই রইল।
তবে এমন দিন তোমার না আসুক যে, "একদিন মনে হবে, এই গভীর বেদনার কথাগুলো বলে, কি ভুলই না করেছি!"
বন্ধু এস আমার হাত ধর। মন খুলে লেখ। আর যেন আমাদের মত পরিস্থিতিতে আমাদের সন্তানদের পরতে না হয় সেই কাজ আমাদেরই করতে হবে। আমাদের দিন তো চলে গেছে আর তো হারাবার কিছু নেই বন্ধু।
ওরে ভয় নাই নাই স্নেহ মোহ বন্ধন
ওরে আশা নাই আশা শুধু মিছে ছলনা
ওরে ভাষা নাই নাই বৃথা বসে ক্রন্দন
ওরে গৃহ নাই নাই ফুল সেজ রচনা---
তবু,
"আছে শুধু পাখা
আছে মহানভ অঙ্গন"
তাই,
"ওরে বিহঙ্গ মোর, এখনই অন্ধ......"
এখনও সমুখে রয়েছে সুচির শর্বরী
ঘুমায় অরুন সুদূর অস্ত-অচলে।
বিশ্বজগৎ নিঃশ্বাস বায়ু সম্বরি
স্তব্ধ আসনে প্রহর গুনিছে বিরলে
সবে দেখা দিল অকূল তিমির সন্ত্রি
'দূর দিগন্তে ক্ষীন শশাংক বাঁকা।--
কিছু বলার ভাষা নাই।
অবশ্যই কিছু বলতে হবে। সবাইকে সচেতন হতে বলুন। আপনার সন্তানটিকে সাহায্য করুন।তাকে বিশ্বাস করুন।
আমার মেয়ে সাত বছর পার করেছে। আমরা সচেতন থাকছি। চেষ্টা করছি যাতে কোনো মালিন্য তাকে স্পর্শ না করে। আপনার লেখাটার পর বুঝতে পারছি আমাদের আরো অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। অনেক বেশি।
গুরুত্বের দিক থেকে ব্লগের অন্যতম সেরা লেখা।
ধন্যবাদ মাসুম ভাই। মার্কেটে নিয়ে গেলে অনেকেই সুইট বেবী বলে গাল টিপে দেয় কেউ একটা চুমু ও দেয়। সচেতন হন। অবশ্য মেয়ে আপনার এখন বড় হয়েছে বলতে পারবে ।
পড়তে পড়তে ভাবছিলাম কমেন্টে এটা লিখবো, ওটা লিখবো।
কিন্তু পড়া শেষ করে দেখি কিছু লিখতে পারছি না। স্যরি।
ধন্যবাদ।
আমি একটা কথা নিয়মিত বলি,
এবিউজ বিষয়টা এই দেশের প্রায় সকল নারীরেই সইতে শুরু করতে হয় শৈশব থেইকা...এইটা রিয়েলিটি। সেক্সুয়াল এবিউজের এই বিষয়টা কেবল আমাগো মতোন গরীব দেশের জিনিষ না, আমি অন্ততঃ পক্ষে তিনটা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ছবি দেখছি যেই ছবিগুলির গল্প তৈরী হইছে নারী শিশুরা কিভাবে তাদের বাপের হাতে প্রথম সেক্সুয়াল এবিউজের শিকার হইয়া উঠে তার উপর।
যতোদিন এই সোসাইটির নিয়ন্ত্রণ আর নীতিমালা তৈরী হইবো পুরুষতন্ত্রের গাঁথুনির উপরে ততোদিন পুরুষেরা নারীদের নগ্ন কইরাই দেখতে থাকবো। পুরুষতন্ত্র কেবল এবিউজের মতোন ভায়োলেন্ট প্রকাশে থাকে, তা নয়। আমাদের আচরনের ছোট ছোট ম্যানারিজমেও তার টিকে থাকা হয়। কোনো এক ব্লগে একবার একজন ব্লগার পাকিস্তানিগো প্রতি তার ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়া গালি দিলেন পাকিস্তানি খানকির বাচ্চা বইলা। এই গালিতে নারীর প্রতি অবমাননার বিষয়টা তারে ধরাইয়া দেওনের পরে সে নিজে একটা অবস্থান নিয়া অভিযোগকারী নারীর সাথে বিরক্তিকর কুতর্ক শুরু করলো। তবে আমি অবাক হইছিলাম সেই আলোচনায় বেশ কিছু নারী ব্লগার যখন সেই ব্লগারের চরিত্র কতোটা অপুরুষতান্ত্রিক সেইটা প্রমাণ করার প্রতিযোগিতায় নামলো। কিন্তু এমন কইরাই আমরা নারীর শরীর সম্পর্কীত বিষয় অচ্ছ্যুৎ ভাবতে থাকি। এইরম কথিত খানকিনামারে সযত্নে লালন করি আমরা পুরুষরা, আমাগো সমর্থক বা নিয়ন্ত্রণ বলয়ের নারীরা।
আমি সিউল কন্ত্রে তোউস মুভিতে দেখসিলাম শেষ পর্যন্ত মিল হয় বাবা-মেয়ের। বটমলাইন কিছুটা এইরকম- আমরা নিজেরা নিজেরা যদি সুখী হৈতে পারি, তাইলে দিন-দুনিয়ার বাপের কি?
তো ঐ মুভিটা সাময়িক মনবৈকল্য'র জন্ম দিসিলো। যেটা আমারে এই পোস্টও দিসে। সমাজে সবসময় একটা অন্ধকার অংশ রয়েই যায়। আলোর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে। সেটার বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও মনে হয় না খুব একটা লাভ হয়।
শিশুরা সেক্সুয়াল এবিউজের শিকার -- এ কাহিনী নিয়ে সিনেমা হল তারপর সেই শিশুটির মানসিক অবস্থা নিয়ে কি কোন সিনেমা হয়েছে। এই সিনেমা কি সমাজ কে সচেতন করার জন্যই নয়?
আমি আমার দেশেই দেখেছি নিম্নবৃত্ত ও উচ্চবিত্তদের মাঝে মেয়ে পিতার সন্তান গর্ভে ধারন করেছে। এই পিতারা সাধারনত হয় মায়ের ২য় স্বামী ।
নারীর শত্রু পুরুষ, নারীর শত্রু নারী, নারীর শত্রু তার আপন শরীর।
শিশুর শত্রু ----
----
এই পোস্টের অনেকের মন্তব্যের সঙ্গেই একমত। গৌতমদা'র সঙ্গে মনে হয় সবচে' বেশি একমত।
কিছু বলার নাই- এই কথাটা এত ভয়ানকভাবে মাথায় চেপে বসে নি আগে কখনো।
আছে অনেক কথা বলবার আছে। আকন্ঠ তৃষ্ণা আমার। অঞ্জলী পেতেছি, জল দাও।
আমিও শিরোনামের এই অর্থটির ব্যপারেই ভাবছিলাম।
May be I could have a big cold water jug for you dude. I really hope so..
এই প্রথম আমরা বন্ধু ব্লগে লিখছি।
লেখা টা পরেই মনে হল,কিছু একটা বলতেই হবে।
কিন্তু লিখতে বসে আর কিছুই মাথায় আসছেনা।কোনকালেই সান্তনা দিতে পারিনা।
শুধু বলি,
লেখাটা বুকের ভেতরে ভীষন একটা ধাক্কা দিয়ে গেল।
কেন যেন মনে হচ্ছিলো,
মনোজগতে সময় যেন হঠাৎ করেই স্থির হয়ে আছে।
দোয়া করি,
আপনার মনে যেন সদা শান্তি বিরাজ করে।
'দীর্ঘশ্বাঃস যেন আর ফিরে ফিরে না আসে'
ভাল থাকুন,অনেক ভাল..সবসময়।।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি কোন সান্তনা চাইতে পোস্ট দেই নি।
আমার লেখার কিছু যুক্তি আছে। যা যত কিছুই বলুক আমরা মেয়েরা কিছু না কিছু যৌন হয়রানির শিকার হই। এই হয়রানিটা কত ছোট বয়স থেকে আসতে পারে এবং কারা করতে পারে ও আর যেন একটি শিশুও এই পরিস্থিতিতে না পরে এটাই কাম্য।
আমি কখনই মাথা নিচু করি না, আমার অনেক কিছুই নেই তার জন্য দৈন্যতাও নেই।
সান্তনা দেওয়া আমার কমেন্টের উদ্দেশ্য ছিল না। লেখাটা পড়ে কতটা কষ্ট অনুভূতিতে নাড়া দিয়ে গিয়েছে,সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম।
মাঝে মাঝে একেকজনের মনের অন্ধকার ক্ষতে কথা দিয়ে আঙ্গুল বোলাতে ইচ্ছে করে,
ভাষার দূর্বলতায় বরাবরের মতই ব্যার্থ।
একটা কথা কী জানেন..আপু,
করুণা আর সহমর্মীতা কিন্তু কখনই এক নয়।
ভাল থাকুন, অনেক ভাল। সবসময়।
স্যালুট, রুনা।
There was no sound , he gave no cry
The careless stars looked on serene
The jungle’s sudden tragedy
Remained unheard unknown unseen.
ভাইরে আসলেও কিছু বলার নাই, এই লেখাটা পড়তে পড়তে বুকের ভিতর কষ্ট দলা পাকিয়ে উঠছিল। বার বার শুধু মাধূর্য্যর চেহারা ভাসছে আমার চোখে, শুধু এই মনে হচ্ছ যে আমি কি পারবো ওকে এসব থেকে প্রটেক্ট করতে? আমি কি ভাবে বুঝব কে আমার বন্ধু বেশী এত বড় শত্রু।
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। মনে করিয়ে দিলে যে আমাকে অনেক সজাগ হতে হবে, একটা মেয়ের মা হিসাবে.। এরকম অভিজ্ঞতা কম বেশী আমাদের সবারই আছে কিন্তু এভাবে কেউ লিখতে পারে না, এই রকম মনবলের মানুষকে স্যালুট দেওয়া ছাড়া আসলেও আমাদের আর কিছুই দেবার নাই।
কিচ্ছু বলতে হবে না শুধু হবেন একজন মা--বাঘিনী মা। বাঘিনী যেভাবে তার সন্তানদের রক্ষা করে বাঘের হাত থেকে ঠিক সেই ভাবে। পুরুষ যে দৃষ্টিতে নারীকে দেখে তা বদলাবেনা। বদলানো যাবে না । তাই নারীকেই সচেতন হতে হবে শক্তিশালী হতে হবে শারিরীক ও মানসিক দুই দিক থেকেই। সচেতন করতে হবে শিশুকে । শেখানে হবে পারস্পরিক সম্মান বোধ।
এ ধরনের লেখা অথবা ঘটনাগুলো যখন পড়ি, নিজের কাছেই নিজে ছোট হয়ে যাই ।
কবে যে আমাদের মানবিক উত্তরন'টা ঘটবে ....?? আদৌ কি ঘটবে .. ??
ভুক্তভোগী'দের প্রতি দুঃখিত বলেও কিছু হবেনা জানি , তারপরেও দুঃখিত
আরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। ..
মানসিকতার পরিবর্তন হবে না, পরিবর্তিত হতে হবে আমাদের। সন্তানকে রক্ষা করতে হবে সব দিক থেকেই।
ভুক্তভোগী'দের প্রতি দুঃখিত হবার কিছু নেই। এরা করুনা চায় না এরা তাদেরই করুনা করে। আজ সামনে আসুক দেখি কেউ --সামনে তারা নতজানু।
ছোটবেলার সেইসব যৌন বিষয়ক অনাকাংখিত অভিজ্ঞতা একেকটা শিশুর মনোজগতে বেশ উলোট-পালোট প্রভাব ফেলে। আমি এখন আত্মীয়ের মধ্যে থেকেই একটা বাচ্চা মেয়েকে দত্তক মতো নিয়েছি, অথচ তার বাবার হাতেই আমার প্রথম নিগ্রহণ। সেই লোকটা হয়তো ভেবেছে আমি সেই ঘটনা ভুলে গেছি, কিন্তু চার বছর বয়েসে ঘটলেও এইরকম একটা ব্যাপার ভুলে থাকা একদমই সম্ভব না। এর পরে আরো কতোজনের ছোঁক-ছোঁক হাত, লোভী চোখ কতোবার কুঁকড়ে দিয়েছে আমার ভেতরটা, আপনার মতো অতো এক্সট্রিম অভিজ্ঞতা হয়তো হয়নি, কিন্তু সেই অভিজ্ঞতার ফসল হিসেবে নিজের ব্যক্তিগত জীবন হাজারটা কমপ্লেক্সের ভেতর দিয়ে পার করেছি একটা সময়। নিজেকে অচ্ছূৎ মনে হয়েছে একটা বয়েস পর্যন্ত, স্বাভাবিক প্রণয়ের উত্তরেও গা শিউরে উঠেছে আশংকায়। আজকাল এই শিশুটা মাঝে মাঝে যখন আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখে, আমি মনে-প্রাণে দুয়া করি আর চেষ্টাও করি সাধ্যমতো, তার শৈশব যেন দু:স্বপ্নবাহী না হয়।...
আমার কিন্তু নিজেকে কখনই অচ্ছুৎ মনে হয়নি। আমার মাঝে যত বড় হয়েছি প্রতিশোধের আগুন জ্বলেছে ততই। আমি কখনই কোখাও যাবার জন্য কোন সহযাত্রী নেই নি বা নেই না। আমি একলাই চলি আমার আপন শক্তিতে। পাছে লোকের কথা পিছনেই ফেলেছি। আমার সন্তানদের ও মানুষ বানাতে চেষ্টা করছি। কখনই কাঁদি না অতিত নিয়ে। ভবিষ্যতের স্বপ্নবুনি। তবে প্রতিষোধ নেবার আকাংখাটা কিছুতেই কমে না।
আমরাই পারব প্রতিটি বাবা মা কে সচেতন করতে। প্রতিটি শিশুকে সচেতন করতে প্রতিটি নারী পুরুষকে সচেতন করতে। ধন্যবাদ।
পোষ্ট নিয়ে কিছু বলার মত মানসিক শক্তি আমার নেই।
নিজের একটা ছোট্ট মেয়ে আছে, তাকে সাবধানে রাখি। আড্ডায়-পার্টিতে অনেকে গল্প বা তাস খেলার সুবিধার্থে নিজের ছোট্ট সন্তানকে কোন ব্যাচলর কম বয়সী বন্ধু বা ভাইয়ের কাছে দিয়ে নিজে এনজয় করে, আমি সেটা করার সাহস পাই না, কারন কে ভালো কে খারাপ সেটা নিজের মেয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতার বদলে পরীক্ষা করার সাহস আমার নেই।
আপনার এই পোষ্ট পড়ে লাভ হলো যেটা তা হলো আরও সাবধান হলাম। ছোট্ট প্রায় চার বছরের মেয়ে আমার, তাও তার মা আমি মিলে কাল আর আজ মিলে তার মাথায় ঢুকিয়ে দিচ্ছি "কেউ অমন করলে", "ওভাবে টাচ করলে" যেন আমাদের সাথে সাথে জানায়।
ভাস্করদা'র কথাটা খুব সত্যিই মনে হয়, "প্রত্যেক পুরুষই একজন পোটেনশিয়াল রেপিস্ট"......।
আমরা অধিকাংশই সরাসরি না করতে পারলেও মুখ-চোখ দিয়ে এব্যুজটা ঠিকই করে যাচ্ছি।
আমার ছেলে মেয়েদের আমি কথা বলতে শিখবার সাথে সাথেই শিখিয়েছি এবং কোন সমস্যাতেই সরাসরি জিজ্ঞাসা করেছি সাবলীল ভাবে। বাচ্চার কথা প্রান দিয়েই বিশ্বাস করেছি।
পড়লাম বলার চাইতে পড়তে বাধ্য হইলাম বলা ভালো। আর-
প্রত্যেক পুরুষই একজন পোটেনশিয়াল রেপিস্ট...
এই কথাটার বিপক্ষে দাঁড়ানোর কোনো যোগ্যতা বা সৎসাহস আমার নাই।
একবার বাসে করে কোথাও যাচ্ছি। সেটা আমার গ্রামে থাকার সময়। ততদিনে আমি সংসার শুরু করে দিয়েছি। গ্রামাঞ্চলের লোকাল বাসে চড়েছি। সিট নাই। দাঁড়িয়ে আছি। মহিলা সিটে এক নানা অথবা দাদা। বয়স সত্তুরের উর্ধে। নাতনীর যৌনাঙ্গে নানা ভাবে হাতের কারুকার্যে খেলছিলেন, যে বাচ্চাটি কেবল দাঁড়াতে শিখেছে হয়তো। মুখে স্পষ্ট কথা ফোটেনি। বৃদ্ধর হাতের স্পর্শে সে খিল খিল করে হেসে উঠছিলো বার বার। দৃশ্যটা অনেকেই দেখছিলো। এমনকি বাচ্চাটির মা'ও। কিন্তু কারো কোনো প্রতিক্রিয়া ছিলো না। কেবল ভাঙচূর শুরু হয়েছিলো আমার ভেতর।
মনে পড়লো আমিও তো এমনই বদমাশ শ্রেণীর বলেই গণ্য হব। কারণ আমার ১৫/১৬ বৎসর বয়সে ৪ বা সাড়ে ৪ একটি মেয়ে শিশু আমার এই ধরণের অত্যাচার বেশ পছন্দ করতো মনে হতো। সে এসেই আমার পিঠে তার শরীর ঘষ্টাতে আরম্ভ করতো। এটা মনে হতেই নিজকে খুবই পাপী আর নিচু কাতারের মানুষ বলে মনে হচ্ছিলো। স্ত্রীর কাছে আমার কৃতকর্মের কথা বলছিলাম। কিন্তু মনের পাপ বোধ থেকে মুক্ত হতে পারি নাই। এই মেয়ে শিশুটি এখন বড় হয়েছে, আমার পাপ স্বীকারের জন্য তাকে অনেক খুঁজেছি, আজও খুঁজছি। দেখা হলে মেয়েটিকে একটিবার বলতাম শুধু- আমি অনেক অন্যায় করেছি তোর সঙ্গে। হয়তো তুই বুঝিস নাই, বা আমিও বুঝতে পারি নাই।
আরেকটি ব্যাখ্যাতীত ব্যাপার- আমি তখন অনার্সের ২য় বর্ষের ছাত্র। টেবিলে বসে একটা কবিতার কাঠামো সাজানো নিয়ে শব্দের কাটাকুটি খেলছিলাম, তখনই এক ভাতিজি ক্লাস নাইন বা টেনের ছাত্রী- কাকা কি করেন? বলে ঝুঁকে পড়লো টেবিলের ওপর। কিছুক্ষণ পর টের পাই আমার কনুইতে তার বুকের চাপ। তখনই সম্পর্কের দিকটা ভেবে আমার শরীরটা কেমন রি-রি করে উঠেছিলো। তারপর দীর্ঘকাল নিজেকে বেশ অশূচি মনে হতো। পাপ এ ঘটনার কথাও স্ত্রীর কাছে গোপন করি নাই।
আমার মনে হয় কথাগুলো বলতে না পারলে আমার পাপবোধ আমাকে শেষ করে দিতে পারতো হয়তো। যে কারণে বিয়ের আগে পাপ স্খালনের উদ্দেশ্যে এক সময় দিগম্বর হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এই বুড়ো বয়সেও নিজেকে এখনও নিষ্পাপ ভাবতে পারি না।
কেউ একজন সত্য স্বীকার করলেন । ধন্যবাদ জুলি্যান ভাই ।
ধন্যবাদ নয় লিজা করুনা কর কারন পাপ তাকে আজও তাড়া করে ফিরছে। সে করুনা প্রার্থী।
দিলে বড্ড শান্তি পাইলাম গো করুণাময়ী। আমার জীবনে আপনি ৩য় নারী যিনি আমাকে করুণার অমৃত রসে পুনুরুজ্জীবীত করলেন। ধন্য আমার পুরুষ জন্ম!
দেশের জনসংখ্যা নিয়ে সম্প্রতি বিদেশি কয়েকটি সংস্থার দেয়া তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছে সরকার। পঞ্চম আদমশুমারি-২০১১-এর প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ৭ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার এবং মহিলা ৭ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার পুরুষের ভেতর কেবল আমি একজনকে করুণা করলেন, যা ডা.লাইজুর জন্য আরো বেশি প্রয়োজনীয় ছিলো।
এই আধমকে যখন করুণা করলেনই - আমি লাইজুদের জন্যও আরো খানিকটা করুণা প্রত্যাশা করি।
আপনার জন্য শুধুই করুনা হচ্ছে।
আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ।
নারী হিসেবে এসব অভিজ্ঞতা পার হয়েই আজকের বয়সে উত্তরণ।
আমি শুধু জানি নিজেকে নিজেরই রক্ষা করতে হবে। সেটা জীবনের প্রতি পদক্ষেপে পালন করা আমার ই দায়িত্ব। কার মানসিকতা পরিবর্তন হবে, আমার সাথে ভালো আচরণ করবে তার থোড়াই কেয়ার আমি করি। কোন খানকা আমাকে কি বললো তাতেও আমি পেচ্ছাপই করেছি সারাজীবন। ক্লাস ৯ থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত এক লোক স্কুলের পথে অনুসরণ করেছে। বাসায় জানাইনি। আমার আম্মু আব্বু দুজনই চাকুরী করে, দুশ্চিন্তায় দেখা যাবে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিবে, একদিন সুযোগমতো আরো কয়েক বান্ধবী নিয়ে দিয়েছি ডলা।
শুক্রাবাদ যেতে হতো ইন্টারমিডিয়েটের পর, তখন লোকাল বাসের যুগ, শুক্রাবাদ থেকে উঠে মীরপুর ১২ নম্বর আসা এক যুদ্ধ ছিল বই খাতা নিয়ে। বাসে উঠেছি, ২ বার ৩বার পাশের লোক গায়ে হাত দিলো, আমি কোন চিতকার করিনি, খুব ছুরির ভক্ত ছিলাম, ভীড়ের মধ্যে নিজের প্যান্টের পকেট থেকে অটো গিয়ারের ছুরিটা ধরে লোকটার কোমরের কোণায় ধরে কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম একদম জায়গায় ঢুকিয়ে দেব, কোনদিন আর করা লাগবে দাঁড়ানোর যন্ত্রণায় এমন করছিস সেটাও আর হবে না, পরের স্টপেজে বাস থামতে ঐ লোক লাফিয়ে নেমে চলে গেছে। আমি আমাকে কেউ কিছু বলছে সেজন্য কান্না রাজপুত্র এসে আমাকে উদ্ধার করবে সেই আশায় থাকবে এগুলোকে রীতিমতো ঘৃণা করি।
মার্কেটে গিয়েছি মোবাইলে ছবি তুলেছে, ধীর পায়ে ছেলের কাছে হেঁটে গিয়ে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফ্লোরে আছড়ে ফেলে ভেঙ্গে দিয়ে আবার নিজের কেনাকাটা করতে ঢুকে গিয়েছি।
অনেকে অনেক ব্যাখ্যা দেয়- ছেলেদের যোন চাহিদার ব্যাপারটাই আলাদা, ওদের সেক্স উঠলে বাছ বিচার থাকে না, তখন তখন প্রশমিত না হলে ওদের সমস্যা হয়, মেয়েরা উত্তেজক কাপড় পরে, ডিশে আজকাল কি দেখায়, কম্পিউটার নেট আসার পর পর্ণের দৌরাত্ম্যে এই অবস্থা, ধর্মীয় অনুশাসন ই পারে এসব ঠেকাতে, মেয়েরা পর্দা করলে যৌন হয়রানি কমবে...ইত্যাকার অনেক ব্যাখ্যা বয়ান শুনি। আর মনে মনে কই খানকা মাগ খানকা মাগই থাকবে যদি শাস্তি না পায়। আমি তাই আমার মতো করে সবসময় দোষীকে শাস্তি দিয়েছি। ব্লগেও আমি অনেককে গালি দেই দিয়েছি, কারণ মেয়েদের মুখ থেকে গালি শুনলে আমাদের পুং ইগো খুব আহত হয় এটা আমার অভিজ্ঞতা। আমার মেয়েকেও আমি এভাবেই গড়ে তুলব। আমার বাসার লোকজন আমার এই ডাকাতেপনা নিয়ে সব সময় ই বিচলিত ছিল। এখন আমার জামাইও বিচলিত। কারও উদ্বিগ্নতা আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না। সুতরাং, নিজেকে রক্ষা নিজেই করতে হবে। আর শিশুকে রক্ষা করতে হবে মা বাবার। যে মা বাবা তা পারে না তাদের সেজন্য সন্তানের কাছে ক্ষমা প্রার্থী হওয়া উচিত। আমি বাচ্চাদের সব সময় বিশ্বাস করি। কারণ তারা মিছে খুব কম বলে।
আমার পথা চলা আমারই। মীরপুর১১ থেকে আজিমপুর যেতাম বাসে। কতদিন বাসেব হেলপারের কলার ধরে দাঁড়িয়ে সহপাঠীদের বাসে তুলেছি। যারা সহযাত্রী তাদের সাময়ীক অসুবিধার জন্য কখনই বিব্রত না হয়ে আমার সাথে যাদের যেতে অসুবিধা হচ্ছে তাদের পরের স্টপেজে নেমে যেতে বলেছি। নিজেকে রক্ষা নিজেই করেছি।
আমার পোস্টে উদ্দ্যেশ্য বাবা-মাকে সচেতন করা আর শিশুদের বিশ্বাস করা।
বাবা- মা কে জানতে হবে তো তার সন্তান নিগৃহিত হচ্ছে তারপর তো ক্ষমা চাইবেন। সন্তান বাবা মাকে ক্ষমা করলেই কী স্মৃতি মুছে যাবে?
আপনার পরিবার আপনার ডাকাতেপনা আচরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন কিন্তু যারা উদ্বিগ্ন তারা আপনার মত নয়। আপনার সন্তান আপনার মত না হয়ে শান্তও হতে পারে, যাদি সে প্রতিবাদ করতে না পারে?
এক মন্তব্যের জবাবে লিখেছি আজ আসুক দেখি সামনে কেউ। এই আজটা কিন্তু শুরু হয়েছে সেই ৭/৮ থেকেই।
আপনার মন্তব্য খুব ভাল লাগলো। আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমাকে আকৃষ্ট করেছে।ভাল থাকুন বন্ধু।
শিউরে উঠেছি আপু!
আমি আমার সন্তান নিয়ে ভাবছি আমাদের সন্তানদের নিয়ে ভাবছি।
লেখাটা পড়লাম - শরীরের লোম খাড়া হয়ে গেছে - যদি লেখার পুরাটা সত্যি হয় তাহলে বোঝতে হবে কিছুকিছু মানুষের এখনও মানুষ হয়ে উঠা হয়নি - এখনও অনেক বাকি আছে -
লিখিত কমচাচা মামা কি আপনার আপন ছোট মামা?
লেখায় উল্লেখিত বয়সটা কি পুরাপুরি ঠিক আছে ?এটা জিজ্ঞেস করার কারন এত ছোট বাচ্চার সাথে কেউ এমন করবে সেটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে?
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় এটি নতুন কিছু নয়। কিন্তু সবাই সৎ সাহস নিয়ে বলতে পারেনা। নিজের কাছে লুকিয়ে রাখে।
আমার এক বান্ধবীর কাছেই শুনেছি কিভাবে তারই শিক্ষক তাকে নিগৃহিত করত। সে পড়তে চাইত না, তারপরও বাবা-মা জোর করে পড়তে পাঠাতো। আর নরপশু সুযোগ নিতো।
আমারো ছোট্ট বোন আছে। সতর্ক আছি। এখন আরো সতর্ক হবো। আপনার লেখাটি খুবই ভালো লেগেছে। ফেসবুকে শেয়ার করলাম।
কি জানি হয়তো সমাজই এমন । যদি দোষ হয় তবে তা সমাজেরই। ধন্যবাদ।
১০০% একমত।
সরকার ইভটিজিং বন্ধের জন্য আইন করসে কিন্তু যখন দেখি ছেলেদের শুধু চোখই একটা মেয়েকে রেপ করার জন্য যথেষ্ট তখন নিজেকে খুব অসহায় লাগে। নোংরা চাহনিটা যখন বুঝতে পারি তখন নিজেই নিজের ভিতরে কুকড়ে যাই। আরেকদিন খুব খারাপ একটা ঘটনা দেখলাম, প্রচন্ড ভয় পাইসি। ঘটনাটা দেখার পর থেকে নিজের আর বোন দুইটার জন্য খুব নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেসিলাম আমি। ধন্যবাদ আপু এরকম ঘটনাগুলোকে তুলে ধরার জন্য। আপনার লেখা সবসময়ই সাহসী। ব্যতিক্রমী বিষয়বস্তুর জন্য আমার আপনার লেখা বরাবরই খুব বেশি ভাল লাগে। লেখাটা প্রিয়তে নিলাম। আপনি সবসময় ভাল থাকবেন, সুন্দর থাকবেন।
ভাল থাক প্রিয়।
আমি পুরাটা লেখা কোট করতে চাইনি। কিভাবে যেন লিখলাম পুরাটাই কোট হয়ে গেল। আসলে আমি একবার কোট করে লিখার পর আর নরম্যালি লিখতে প্রিনা।
থাক না একটু লজ্জা পান।
আমি দেশে গেলে আমার মেয়েকে নিয়ে কিরকম টেনশনে থাকি কাউকে ভাষায় বলতে পারি না।
হ্যাটস অফ আকিদা যা লিখেছ, আমরা সবাই জানি।
http://www.sachalayatan.com/tanbira/17425
আমার একটা লেখা আছে এখানে অনেক আগের।
ভালো থেকো অনেক
ঘুরে এলাম দেখে এলাম। তুমিও ভাল থেকো সব সময়।
লেখাটা গত ৩ দিনে বেশ কবার পড়া হলেও ভ্রমন ও কাজের ব্যস্ততায় ইচ্ছে করেই কোনো মন্তব্য করা হয়নি। সবার মন্তব্য পড়লাম।
ছোট্ট বেলা থেকেই চারপাশে অপরাধ-অপরাধী-আইন-পুলিশের মাঝে বড় হওয়ায় আশে পাশে ঘটে যাওয়া এমন অনেক কুৎসিত অপরাধ দেখে এসেছি যে তাতে খারাপ লাগলেও তেন একটা অবাক হই না। পরিবার ও সমাজে এমন অনেক কিছুই ঘটে যে যা বিশ্বাস হতে চাইবে না অনেকেরই। হয়তো ভয়ে - হয়তো চক্ষু লজ্জ্বায় অনেকেই কিছু বলতে পারে না, চেপে যায়। যারা চেপে যেতে পারে না তাদেরকেই অন্যরা দোষ দেয়। শুধু মা'দের দোষ কেনো দেবো ! পিতারা কোথায় থাকে? মেয়ে শিশু নির্যাতনে পরিবারে এমন সব মানুষের কাছ থেকে আসে যে কেউ তা বিশ্বাসই করতে চাইবে না। আমি এমনই ৩/৪ টা ঘটনা জানি যেখানে মেয়ে তার পিতা দ্বারা আক্রান্ত ! ছেলে শিশুরাও এই সব নোংরা নির্যাতন থেকে রক্ষা পায় না। আমি কিন্তু কাউকে বিশ্বাস করি না, এক মাত্র নিজেকে ছাড়া। সব সময় সতর্ক থাকি, সে যেই হোক না কেনো।
শুধু সতর্ক থাকলেই হবে না, প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আসতে হবে, এ ব্যপারে পিতা-মাতাকেই ভূমিকা নিতে হবে শক্ত।
ধন্যবাদ ভাই। কর্মজীবনে এসে অনেক ঘটনা আমাকে আর অবাক করে না , মাঝে মাঝে ভাবি আমার হয়তো অবাক হবার ক্ষমতাই আর নেই কিন্তু তার পরও অনেক ঘটনা সারা রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।
পিতারা কোথায় থাকে?-- আপনার এই প্রশ্নের জবাবে আমি আমার ব্যাক্তিগত উত্তর দেই যা অন্যের জন্য প্রযোজ্য নয়।বাবা ডাক্তার হবার কারনে তাকে বেশীর ভাগ সময় বাইরেই কাটাতে হত। দিন রাত যখন তখন। আমার ছেলেবেলার জীবনটাই ছিল মা ঘেরা। বাবার চরম আদর বা সাপর্ট বুঝলাম বড় হবার পর যখন আমাদের দরকার একজন আইডলের এবং পথ নির্নয় করার জন্য পথপ্রদর্শকের। বাবার স্মৃতি ক্লাশ ফাইভের আগে খুব বেশী খুঁজে পাই না।তবে এটা ঠিক বাবাকে যখন পেলাম তখন থেকে তৈরি হয়ে আজকের এই আমি।
জল চেয়ো না, ঝরাও আগুন। পুড়ে ছাই হই।
জল চেয়ো না, ঝরাও আগুন। পুড়ে ছাই হই। ---ছাই নয় চাই খাঁটি সোনা , হব কষ্টিপাথর।
পড়লাম।
অবশ হয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ।
আমার ৫ বছরের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বুকটা ধক করে উঠল।
ভয় পাবার কিছু নেই সাবধান হন সচেতন হন।
ধিক্কার দিই তাদের
আপনার প্রতিটা বক্তব্যে সহমত।
আসুন আমাদের সমাজকে নিয়ে আমরা ভাল থাকি। আমি ভাল থাকলেই হল এই ভাবনা থেকেই আমরা আমাদের চারপাশ ধ্বংস করে ফেলছি।
অনেকদিন ব্লগে আসিনা।এজন্য এই লেখাটি পড়া হয়নি সময়মতো।
এই সাহসী লেখার জন্য নতমস্তক শ্রদ্ধা জানাই ।
আমি হয়ত অনেকটাই ভাগ্যবান ছিলাম এই কারনে যে আমার মা এসব ব্যাপারে খুবই সতর্ক ছিলেন।এবং খুব ছেলেবেলা থেকেই মায়ের জন্য আমার মধ্যে একটা সচেতনতা তৈরি হয়ে গিয়েছিল।তারপরও কোন বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি যে হইনি এমন নয় কিন্তু সেসব মোকাবেলা করার মতো শক্তি এবং সাহস অর্জন করে ফেলেছিলাম শৈশবেই।
শুধু মেয়েরা নয় ছেলে শিশুরাও এধরনের নিপীড়নের শিকার হয়ে থাকে অহরহঃ ।
সব মা-বাবার মাঝে সচেতনতা তৈরি হোক।সবার সন্তান নিরাপদ থাক।আমাদের চারপাশের মানুষগুলোর মাঝে এই সচেতনতা তৈরি করার দায়িত্ব আমাদেরই।
অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপা। আপনার কথা অনেক শুনেছি আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে খুব ভাল লাগলো। আপনার মত কারও মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। যেখানে আমি কিছু কথা বলব।
আমার পোস্ট পড়ে আনেকেই আমাকে সহনাভুতি জানাচ্ছে। আমি পোস্টটি সহনাভূতি পাবার জন্য লিখিনি আমি সচেতন করবার জন্যই লিখেছি। আমার এই স্মৃতি খুব ছোটবেলার যা আমার মাঝে একটা দাগ কেটেছে। আমি চাইনা এই ধরনের সমস্যা অন্য কারও মাঝে থাকুক। সচেতনতাই রক্ষা করবে শিশুদের ।
যখন এই ধরনের ক্যাসগুলি আমাদের হাতে আসে আমরা খুব অসহায় হয়ে যাই তখন আমার মাঝে অতিত এসে ঘুরে যায় । মার উপর অভিমান জন্ম নেয় ।আপমানের প্রতিশোধের আগুন বুকে জ্বলে উঠে। কিন্তু তা আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়। করন অপমানিত যখন হয়েছি তখন তো বুঝিই নি যে তা অপমান বা আমার হাসির আড়ালে তাদের যৌন ক্ষুধা তারা মেটাচ্ছে। যাই হোক প্রতিটি সন্তান ভাল থাক আমি যে ভাবে আমার সন্তানদের রক্ষা করেছি সেভাবে রক্ষা করুক প্রতিটি মা তার সন্তানকে।
জিলিয়ান সিদ্দিকীর মন্তব্য গুলি আপা আপনি পড়ুন।
তিনি পাপ করেন আর তার স্ত্রির কাছে এসে মাপ চান আবার করেন। সবাই তো তার স্ত্রী না যে বাধ্য হয়ে মেনে নেবে। যাকে পাপ তাড়া করে তাকে করুনা ছারা আর কি বা করতে পারি। বেচারা সাধু সাজতে যেয়ে তার চেহারাটা সম্পূর্ন প্রকাশ করে ফেলেছেন।
আমাদের মেয়েদের এরকম নির্যাতনের কথা শুনে এসেছি কেবল ভাসা ভাসা ভাবে; কখনো সরাসরি শুনিনি বা দেখিনি। আজ শুনে শিউরে উঠলাম। নিজের ছোটবোনের কথা মনে পড়ল; সে এখন বড়-ভয় হচ্ছে তাকেও হয়ত এরকম কোন কিছুর মধ্য দিয়ে আসতে হয়েছে কিনা কে নিশ্চয়তা দেবে! বুঝলাম, আমাকে/আমাদেরকে সচেতন হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। আমার মেয়ে, আমার ছেলে-তাদেরকে দেখে রাখার দায়িত্ব আমাদেরি। ভবিষ্যতে যখন বাবা হব, মনে রাখবো আপনার মত আরো অনেকের অভিজ্ঞতার কথা, মনে রাখবো আমার নিজের ছোটবেলার কথা; আমার সন্তানকে একটা সময় পর্যন্ত আগলে রাখতে হবে আমাকেই।
সেই ছোটবেলায় নানাবাড়িতে গেলে, বড় মামা'র সঙ্গে ঘুমাতে হত। কয়েকবারের স্মৃতি মনে পড়ছে, শোয়ার পর মামা আমাকে ঘুরিয়ে দিয়ে তার কাজ করত। আর আমার পশ্চাতদ্বারে কিছুক্ষন পর কিছু তরলের অস্তিত্ব টের পেতাম। আর পরদিন সকালে টের পেতাম পিছনে যথেষ্ট ব্যথা। তখন আসলে বুঝিনি, কাউকে এসব বলিও নি; যদিও পরে বুঝেছিলাম মামা আসলে কী করছিলেন কিন্তু হয়ত সময়ের ছাপের কারনেই কিনা কে জানে এটা নিয়ে তেমন কোন দূঃখবোধ, রাগ হয় নি পরে। এসব বিষয়ে সচেতনতার অভাব বা এসব নিয়ে প্রকাশ্যে কথা/আলোচনা নেই তেমন একটা, এটা একটা কারন হতে পারে। কিন্তু আজকে আপনার লেখা পরে আমার নিজের ভিতর ঘৃনা আর ক্রোধ দানা বেধে উঠছে।
আমাদের মেয়ে, ছেলে যে শিশুই হোক না কেন, দু জনেই হতে পারে নির্যাতনের স্বীকার। লক্ষ্য রাখতে হবে তাদের প্রতি, তাদের আশেপাশের মানুষজনের প্রতি।
ভালো থাকবেন আপু। ভালো থাকুক আপনার ছেলে-মেয়েরাও।
অনেক দিন পর ব্লগে এসেই আপনার মন্তব্য চোখে পরলো। ভালো লাগলো বিবর্ন। সচেতন আমাদেরই হতে হবে। অতীত আমাদের শিক্ষাদেই ঐ ভুল আর না করবার জন্যই। তা আমাদের গ্রহন করতেই হবে। ধন্যবাদ।
আপু,এই ব্লগে না লিখলেও প্রায়ই আমি এখানে পড়তে আসি। আপনার লেখাটা পড়ে কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে ছিলাম...।কম-বেশী প্রায় মেয়েকে ছোটবেলায় এসব ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় এবং পরবর্তীতে সে মেয়েটা বড় হলেও ঐসব ঘটনার রেশ কেটে যায় মন...। এসব ক্ষেত্র পরিবার বিশেষ করে মা-কে লক্ষ্য রাখতে হয়। আমাদের সামনের বাসায় ছোট মেয়ে ঐশ্বী আমার চোখের সামনেই বড় হয়ে স্কুলে যেতে দেখছি। বাবা-মা ২ জনই জব করে বলে বাসার কেয়ারটেকার দায়িত্ব দিলো যাতে মেয়েটারে স্হুল থেকে আনা-নেওয়া করে। দুনিয়াতে কিছু কিছু লোক থাকে না যাদের দেখলেই মনে বদমাইসি চোখ মুখ দিয়ে ঠিকরে বের হচ্ছে ,কেয়ারটেকার টা এমন। ভেবেই পেলাম না তার বাবা-মা এই বদমাইশটারে কে চিনতে পারলো না। যাইহোক কয়েকদিন পরে শুনি কেয়ারটেকাট সেই বাসায় নেই। ঐশ্বীর মাকে বলে লোকটা নাকি লুচ্চা টাইপের।সেই তো বুঝলি সেটা আগে বুঝলে কি হত.....ঠিক সময়ে বুঝলে ফাউল লোকের কাছে মেয়ের দায়িত্ব দিত না। আমি মনে করি একজন মা তার লাইফে ও শৈশবটা পার করে এসেছে সেহেতু সে তার মেয়ের কোন সমস্যা হবার আগেই বুঝবে। নিজেকে মেয়ের অবস্হানে রেখে বুঝবে....।আমরা মেয়েদেরকে নিরাপদ শৈশব দিতে না পারি তাহলে এটার আতংক থেকে তাদেরকে সহজে বের করা যাবে না
প্রত্যেক পুরুষই একজন পোটেনশিয়াল রেপিস্ট সবচেয়ে চরম সত্য কথাটা বলার জন্য ভাইদের ধন্যবাদ (মন্তব্যে ভাইদের দেখলাম কথাটাতে সহমত প্রকাশ করতে)
আমি আপনার কষ্ট বুঝতে পারছি।আমার মা একজন মানসিক বিকারগ্রস্থ; সমাজের চোখে সুস্থ স্বাভাবিক মহিলা। তিনি তার নিজ স্বার্থে আমার জীবন নষ্ট করেছেন।অত্যন্ত সচেতনভাবেই করেছেন।তার মৃত্যু আমার আকাংক্ষিত!
তার পরেও বলব- আপনি নিজেকে কষ্ট দিবেন না।ক্ষমা করে দেয়া খুব কঠিন জানি।ক্ষমা না করতে পারলে অন্তত ভুলে থাকার চেষ্টা করুন।তার নিজেরও সেই বোধ নেই যে ক্ষতি তিনি করেছেন।আপনি বৃথা নিজেকে কষ্ট দিচ্ছেন।
যারা এমন অন্যায় করে এবং এমন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়, তাদের বোধ কোনদিন হয় না! আপনি ভাগ্যবান যে নিজের চোখে তাদের দুর্ভোগ দেখতে পারছেন!
যদি সম্ভব হয়, নিজের মনের শান্তির জন্য তাদের ক্ষমা করে দিন।
ভাল থাকবেন।
কিছু বলার ভাষা পাচ্ছি না। এরকম নিগৃহ এখনও আমাদের আশেপাশে থাকা অনেক নিস্পাপ শিশুদের ওপর চলছে।
সচেতনতা বেড়েছে কিনা বুঝি না তবে আমাদের এই বিষয়ে যত সতর্ক হওয়া যায় আমাদের ছেলে মেয়ের জন্য এটা ততই মঙ্গল। নৈতিক অবক্ষয় আমাদের যেন সর্বাগ্রে গিলে খাচ্ছে।
এই লেখাটা যতবার মনে পড়ে,
কিছুই খুঁজে পাই না আর..বলার মত..
মন্তব্য করুন