হামিদ ফয়সল'এর ব্লগ
তোমার 'ঈদের' অপেক্ষায় থাকে কিছু মানুষ....তুমি কি জানো বন্ধু??
বেতনের টাকা হাতে পেয়েই উৎ্ফুল্ল শা্হেদ পা বাড়ালো শপিংয়ের জন্য।
বাসা থেকে বের হয়ে তিন রাস্তার মাথায় এসে দাড়ালো।
রিকসার কোনো খবর নেই।
অনেক্ষন অপেক্ষার পর দূরে একটা রিকসা দেখে ইশারা করলো।
কাছে আসতেই দেখল বয়স্ক চালক।
শাহেদ বললো: চাচা আপনি পারবেননা। লাগবেনা চলে যান।
বৃদ্ধ চালক খুব মন খারাপ করে বললো: বাজান আমি বুড়া দেইখা আপনারা যদি আমার রিকশায় কেউ না উঠেন তাইলে আমি প্যাট চালামু ক্যমনে
কথাটা শাহেদের অন্তরে গিয়ে লাগলো………………. ইফতারির সময় ও ঘনিয়ে আসছে।ভাড়া ঠিক না করেই উঠে পড়লো শাহেদ।
চলতে শুরু করল……..রিকশার চাকা ঘুরছে, সাথে সাথে শাহেদের মাথায় ও বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা ঘুরপাক খাচেছ। কার জন্য কী কেনা যায়। বরাবরের চেয়ে একটু আলাদা হতে হবে এবার। ঈদের শপিং - একটু চমক থাকা চাই। ইত্যাদি ইত্যাদি ………..
রিকশা এগিয়ে চললো
গোধূলির আলো ছড়িয়ে ধীরে ধীরে আকাশের আডালে চলে যাচেছ দিনের সূর্য।আগত সন্ধ্যার মগ্নতায় নীরব হবে যাচেছ দিগন্ত বিস্তারী প্রকৃতি।
সুন্দরের অপার দিগন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের পথে……………………..
হামিদ ফয়সল
সুরেলা কন্ঠে উকরা চিং গাইছে……
উত্তন পেগে মেগে মেগে, মেগলা দেবাত তলে
ম পরাণান যেদ মাগে তারা লগে লগে
অনুষ্ঠানের আয়োজক সুরেশ ত্রিপুরাকে জিগ্ঞেস করলাম গানের অর্থ
-উড়ছে পাখি মেঘে মঘে, মেঘলা আকাশের নিচে।
আমার মনও চাইছে যেতে তাদের সাথে সাথে.....
বাহ কী চমৎকার!এই মুহুর্তে মন যা চাইছে ঠিক সে কথারই প্রতিধ্ধনি যেন এই গান জুড়ে।
সত্যিই অপুর্ব কম্পোজিশন। হৃদয়ে টান মারে। গানের তালে তালে জুম নাচের মুদ্রায় একদল উপজাতীয় তরূণী কাঁপিয়ে তুলছে ট্যুরিস্টদের সৌন্দর্য পিয়াসী মন। অনুষ্ঠান এগিয়ে যায় পাহাড়িয়া গানের ছন্দে ছন্দে। আমাদের ক্রুজ বোট ও এগিয়ে যায় কাপ্তাই হ্রদের নীলাভ জল রাশি কেটে কেটে শুভলংয়ের পথে। উপজাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (রাংগামাটি) বৈচিত্রপূর্ণ পরিবেশনায় আমাদের ক্রুজ বোটের ডেক মূহুর্তেই পরিণত হল একটুকরো পাহাড়ি গ্রামে। মন্ত্রমুগ্ধ আমরা সবাই।
………………অত:পর সবাই লুংগিকে আরো উপরে তুলিয়া ধরিতে উদ্যত হইল
(মোবাস্বির ভাই এবং তাসবীর ভাই এর মত দুইজন গুণী মানুষের বিরল গবেষনার ফসল হল অনুসন্ধানী এই লেখাটি । তাই প্রথমেই তাদেরকে জানাই অসীম কৃতগ্ঞতা)
সহকর্মীরা প্রায়ই নাফিজকে নিয়ে ঠাট্টা, বিদ্রুপ করে।
কারন নাফিজ ‘লুংগি পরে। তাদের মতে নাফিজের এই লুংগি পরিধানের কারনে দেশ অতলে ডুবে যাচ্ছে। হ্যাঁ এটা হয়ত আংশিক সত্য যে দেশ ডুবে যাচ্ছে। কিন্তু তা যে নাফিজের লুংগি পরার কারনেই হচ্ছে, এটা সে কোনভাবেই মানতে রাজী নয়।
বরং বর্তমান প্রেক্ষাপটে লুংগির বহুবিধ অন্তর্নিহীত তাৎপর্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে নাফিজ আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বেশী সংকল্পবদ্ধ।
অগত্যা একদিন লুংগি নিয়ে কুৎসা রটনাকারীদের সবাইকে নাফিজ ডাকলো।
- বললো ‘আপনাদের অনেকের মনে হয়ত গোপন কৌতুহল আছে আমার পরনের বস্তু খানা নিয়ে? হয়ত আপনাদের জানতে ইচ্ছে করে, কী এমন জাদুকরী বৈশিষ্টের কারনে টিটকারী, নাকসিটকানোকে উপেক্ষা করে ঐ বিশেষ বস্তুখানা আমি পরিয়া চলেছি’?
ঐ বিশেষ বস্তুটি অন্যকিছু নয়—বহুল পরিচিত‘লুংগি’।