উপোষের দিন রাত্রী, সিজন টু- এপিসোড ওয়ান!
মেজাজ খারাপ। কি এক হিন্দি চুলের খেলা হলো। ধারনা ছিল ফরাসী জার্মানদের এক অতুলনীয় ম্যাচ দেখবো। তা আর হলো কই? ম্যাড়মেড়ে এক খেলা। রাগ উঠে গেল নিজের উপরে। আশা ছিল ফরাসীরা গোলটা অন্তত শোধ করবে। তাও হলো না। প্ল্যান ছিল আয়োজন করে শান্ত ভাইয়ের বাসায় খেলা দেখবো। জার্মান ফরাসীদের খেলা দেখে আর থাকতেই ইচ্ছা করছে না, এসে পড়লাম বাসায়। দেখি ব্রাজিলের খেলাটা কেমন হয়? রাত তো এমনিতেও জাগি, ওমনিতেও জাগি। কি খেলে কলম্বিয়ার সাথে! আমি চাই ব্রাজিল আজকেও জিতুক। কারন এত এত ব্রাজিল ফ্যান বাংলাদেশে, তাঁদের মাটিতেই আবার হচ্ছে ওয়ার্ল্ডকাপ সুতরাং আমি আশাবাদী ব্রাজিলের কাপ জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে। মনে প্রানে চাই লাতিন আমেরিকান এক ফাইনাল হোক। দেখা যাক কি হয়!
রোজার দিনগুলো যাচ্ছে উত্তাপহীন। আমার যেহেতু তেমন বাইরে কাজ থাকে না, তাই সময় কেটে যায় ভালোই ও আরামেই। সারারাত জাগি, ভোর ছয়টায় ঘুমাতে যাই। একটায় উঠি। পত্রিকা পড়ি পিসিতে, নামায পড়ি ঘরে, বসে বসে ফেসবুকে সময় কাটাই। করার মতো তেমন কিছু খুজে পাই না। আর আমার জন্য লোকজন বের হয়ে আসবে আড্ডা মারবো তাতেও ভালো লাগে না। সাড়ে পাঁচটায় বের হই, হাটি মানুষের ইফতারী কেনা দেখতে ও নিজের জন্য কিনতে। ইফতারীর কথা আসলেই টিভি চ্যানেল গুলো চকবাজার আর বেইলীরোডের মনোহর সব ছবি দেখায়। আসলে ইফতারী হাটে মাঠে যত যাই বিক্রি হোক আর যেখানেই যত মানুষের ভীড় হোক, খাবার দাবারের মান অতি জঘন্য। আমি মোহাম্মদপুর শ্যামলীর কিছু ভালো ইফতারী বানায় বলে রেপুটেশন আছে এমন জায়গার ইফতারী গত দুই তিন দিন কিনে দেখলাম, ভালো লাগে না। টেষ্ট নাই। কাল যখন এক বন্ধুর বাসায় ইফতারী করছিলাম দেখলাম বাসার খাবারের কি টেষ্ট। এত টাকা দিয়ে ইফতারী কিনেও সেই টেষ্ট নাই। বাইরের ইফতারী ভালো মুলত গ্রীল ট্রিল কিংবা বিরিয়ানী কিনলে, যা বাসায় বানানো কষ্টকর। কিন্তু ইফতারীতে ওই জিনিস আমার মুখে রুচে না। তবুও নিয়তি যখন বাইরের ইফতারি তখন কি আর আছে করার বেশী বেশী করেই কিনি। বেশী করে খাই। রোজা রেখে চিকন হওয়া তো দূরে থাক, ভুঁড়ি শুধু বাড়ছে। মেজাজ খারাপ হয় মানুষের ইফতারী কেনার প্রতিযোগীতা দেখে। এত অপচয় এত শোঅফ কিভাবে পারে আল্লাহর মুমিন বান্দারা? আমি তাই ইবাদতের শো ডাউনেও নাই, খাবার দাবারের শোডাউনেও নাই। নামায পড়ি রোযা রাখি, সিনেমা দেখি, বই পড়ি, টিভি দেখি, ইফতারী সেহরীতে যা পাই তাই গিলি চলে যায় উপোষ থাকার দিন।
সন্ধ্যার পরে জমে উঠে চায়ের দোকানের আড্ডা। আমার মতো চা খোরেরা চা খায়, সিগারেট যারা খায় তারা দুটোই নিয়ে বসে জমে উঠে তর্ক। তবে কাজের কিছু না। স্রেফ টাইমপাস। আমার সব সময় ভালো লাগে না। তখন চুপচাপ বসে থাকি মানুষের কথা শুনি। নিজের কথা ভাবি। আর যেদিন মুড ভালো থাকে সেদিন আমার কথাই সবাই শুনে। কাল যেমন মুড ভালো ছিল। বন্ধুর বাসায় দারুন আড্ডা মারলাম, টিভি দেখলাম, বই ধার আনলাম ও ফেরত দিলাম আর খিঁচকে ইফতারী খেলাম। ওরকম সুখের দিন সব আসে না। তাও বাড়ীতে এত আগে আগে যেতে ভালো লাগে না। আরো কিছুদিন থাকি তারপর দেখা যাবে। মামা একদিন ছিল, তেমন কথাই হলো না। আমাকে বাড়ি নিয়ে যাবার জন্য খুব চেষ্টা করলো আমি গেলাম না। চারদিন তিনদিনের জন্য বাড়ী যাওয়ার মানে নাই। বাড়ী যাওয়া মানেই আমার কাছে দুই তিন সপ্তাহ আরাম আয়েশে থাকার আয়োজন। যাই হোক দিন যাচ্ছে, রোজার নামে উপোষ থাকছি, মানুষের সংযমহীনতা সাথে নিজের অসংযম মনোভাব সব ফিল করছি, নিজের পশুত্ব নিজের ভেতরেই বিদ্যমান। এইভাবেই দিন চলে যায়!
শিরোনাম টা দারুন হইছে। সিরিজ চলুক। শুভকামনা।
থ্যাঙ্কস এ লট, বর্ণ।
সুখে থাকো, অনেক অনেক শুভকামনা!
রোজই মুড ভালো থাকুক। রোজা,ইফতার সবই ভালো চলুক।
বাড়ীতে কিছুদিন পরেই যাও। এত আগে গেলে হিংসা লাগবে আমার। তবে এই আরামের দিন তোমারো থাকবে না আর বেশীদিন
ট্রেনের অগ্রীম টিকিট বেচার আগেই চলে যাবো!
স্প্লিটসভিলা- সীজন সেভেন- এপিসোড ওয়ান দেখতে ভাল

ওইসব বেগানা আওয়ারা নারীদের গেমশো দেখি না!
মন্তব্য করুন