অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা, তানবীরা আপুর জন্য!
মন মেজাজ খুবই খারাপ। আর্জেন্টিনার হারে শরীর মন সব কেমন জানি কামড়াকামড়ির উপরে আছে। এতদিন পর ফাইনাল, কত আশা ভরসা, সব জাহান্নামে গেল। তার ভেতরে একটু আগে ফেসবুকে দেখলাম মিলন চৌধুরী নামের এক কলকাতার ছেলে আত্মহত্যা করেছে, ফেসবুকে ঘোষনা দিয়ে। বেচারার জন্য মনটা খারাপ। আমরা বাঙ্গালীদের আবেগ এত বেশী তাই এইসব হতেই পারে। এমনিতেই না চাইতে কত ভাবেই মরতে হয়, তারপর আবার খেলায় হারজিত লইয়া এত চিন্তা, যে মরিতে হবে নিজে নিজে। সবাই বলবে বেকুব মানুষ তাই মরেছে। আমি তেমন বলবো না। মানুষের মাঝে মাঝে এত আবেগ আসে নানান ঘটনায় তাতে এরকম ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু না। যখন শিশুকালে সালমান শাহ মারা গেল, জনকন্ঠ তখন পড়তাম, বাসায় রাখতো না, গন পেপার রুমে পড়তাম। পেপারে তখন দেখেছিলাম- বাংলাদেশের নানান স্থানের যুবক যুবতীরা আত্মহত্যা করছিলো এক উসিলায়। তখন ভাবছিলাম সামান্য মুভি স্টারের জন্য কেউ মরে নাকি! এখন অবশ্য মনে হয় ইসলামে আত্মহত্যা নিষেধ না থাকলে দেশে অনেক মানুষ মরতো। কতজনেরই তো মনে হয় কত সময়ে-- এর চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো। কিন্তু তেমন মরছে আর কই?
আমি বাঁচার পক্ষে। এই দুনিয়ায় যত দিন বেশী থাকা যায়, ঢাকা শহরের মতো নরকেও আমার বেঁচে থাকাতেই সুখ। আর এই বেঁচে থাকার জন্যতো বন্ধুর দরকার। রিয়েল লাইফ ফ্রেন্ড তো অনেক আছেই। সবার সাথে মেশাই হয় না। কিন্তু ভার্চুয়াল লাইফের ফ্রেন্ড আসলেই সংখ্যায় কম। সেই কম সংখ্যার ভেতরে বেশীর ভাগে আমার বড়ভাই কিংবা বড়বোনরা। সেরকম এক খুব কাছের বোন হলো গিয়ে তানবীরা আপু। উনাকে নিয়ে আগেও লিখছি, এখনও লিখি আশা করি ফিউচারেও লিখবো। খুব বেশী না মিশলেও উনাকে আমি অত্যন্ত ভালো পাই। উনিও আমাকে ভালো পান। শুধু আমাকেই না এই ব্লগের সব কিছুকেই উনি ভালো পান। তাই সবার পোষ্টে দেখবেন উনার কমেন্ট ঝলমল করছে। আমার আরেক কাছের ব্লগ বন্ধু বলেছিল, উনার স্পোর্টিং মনোভাব তাঁর খুব পছন্দের। সব কিছুকেই তিনি ইতিবাচক ভাবে গ্রহন করেন। আমিও তাই মনে করি। নয়তো আমার মতো শান্তকে উনি যে পরিমান স্নেহ করেন তা বিষ্ময়কর। রাত বিরাতে যখনই উনাকে নক দেই ফেসবুকে, তখন উনি শত গেঞ্জামেও রিপ্লাই দেন। মন মেজাজ ভালো না থাকলেও ডিটেইলসে সব খোজ খবর নেন। আমার ব্লগ এখনো লেখতে পারার বড় ইন্সপিরেশন হয়তো তিনি। কারন কেউ তো কমেন্ট করে না, আমি শিউর থাকি কেউ পড়ুক না পড়ুক তানবীরা আপু কমেন্ট করবেই। আর উনার লেখা পড়তেও তো সেরকম আনন্দ। যেদিন তানবীরা আপু পোষ্ট দেয় তখন মুগ্ধ হই খুব। কারন মুগ্ধ করার মতো যারা লিখতো তারা একে একে সবাই এই ব্লগ থেকে লেখা প্রত্যাহার করেছে বা ছেড়ে দিয়েছে লেখা। তাই তানবীরা আপুই শেষ ভরসা। আশা করি তিনি সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে এই আলোর মশাল অব্যাহত রাখবেন। আমি জানি উনি খুব ব্যস্ত মানুষ, সময় পান একেবারেই কম, তার ভিতরেও উনি যেভাবে ব্লগে সময় দেন, তা পুরোনো এবিওয়ালাদের কাছে শিক্ষণীয় ব্যাপার হয়ে থাকতে পারে। এই ব্লগ চলে গেলে আমাদের কারোরই তেমন কোনো লস হবে না, কিন্তু যেতে দিবো কেন? এককালে যেখানে সারাদিন রাত আড্ডা মেরেছি, এখন তার পেছনে সামান্য সময় দিতে পারি না, এ কেমন মানসিকতা? হয়তো ব্লগে ভালো লেখা আসে না, লোকজনও নাই, তাও ফেসবুকে যারা একটিভ থাকেন তারা সপ্তাহে দু একবার লগইন করে, দু তিনটা কমেন্ট করে, ব্লগটাকে বাঁচিয়ে রাখলে খুব একটা সময় নষ্ট হবে না বলে আমার মনে হয়।
কাজের কথায় আসি আবার। তানবীরা আপুর জন্মদিন। মনেই ছিল না। মনে থাকতো যদি নোকিয়া সেটটা চালাতাম এখনো। সেই সেটে রিমাইন্ডার দেয়া ছিল। সেই সেট চালাইনা ছয় মাস ধরে। সেই সেট থাকলে এই পোষ্ট কালই লিখে ফেলতে পারতাম। তানবীরা আপুর জন্মদিন নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে তিনি অত্যন্ত চালাক তাই ফেসবুক থেকে তার জন্মদিন গোপন করা। যেন কাছের মানুষ বাদে আর কেউ না জানে। থ্যাঙ্কস সামিয়া দোস্ত। তুই ছিলি বলেই জানতে পারলাম, আজ আপুর বার্থডে। দেশে থাকলে যে আদর আপ্যয়ন করতেন বাসায় দাওয়াত দিয়ে। গতবার না জেনে গিয়েছিলাম তাতেই কেক কোক খেয়ে অস্থির। তা নিয়ে লিখেছিলামও ব্লগে। উনি সামনেই আসবেন দেশে। আশাকরি এবারো দারুন আড্ডা হবে। এক তানবীরা আপুর কল্যানে তার দুই বোন সুমি আপু আর সামিয়াও আমার আপন মানুষ। সামিয়ার সাথে তো দোস্ত বন্ধুর সম্পর্ক। তবে সব কিছুরই মুল তানবীরা আপু। আল্লাহ উনাকে, মেঘ, দুলাভাই সবাইকে ভালো রাখুক। আনন্দে কাটুক সময়। এমনই থাকুক সারাজীবন। আশা করি তিনি তার লেখা অব্যাহত রাখবেন, প্রতি বইমেলায় ১ টা করে বই আসুক। তার লিখন প্রতিভা আরো বিকশিত হোক, আমার নামে আরো বই উৎসর্গ হোক। জয় বাংলা, আপু তুমি এগিয়ে চলো। আমরা আছি তোমার সাথে!
শুভ জন্মদিন।
পৃথিবীর সকল সুখ, তানবীরা'পুর হোক!
কিছু বরণেরও হোক
প্রিয় ক্যাপ্টেন। জন্মদিনতো চলে গেছে, তাতে কী ! সবদিনই হোক জন্মদিনের মত আননন্দময়। জীবন মঙ্গলময় হোক। ভালো থেকো প্রিয় মানুষদের নিয়ে। শুভ জন্মদিন।
ধন্যবাদ দাদাভাই
শুভ জন্মদিন সখী। তোমার ফেইসবুক ওয়াল আমাকে কিছু লেখার অনুমতি দিল না,তাই শান্তর পোস্টে তোমাকে অভিনন্দন।
প্রিয় সখী, ফেসবুক ওয়াল সবার জন্যই বনধ। সবাই নিজের মনে করে আমার ওয়ালে এটা ওটা লিখে, শেয়ার করে তাই। তুমি ছবি কিংবা সট্যাটাসে লিখে দাও তোমার কবিতা কাম ভালবাসা
শুভ জন্মদিন আপু
এই ব্লগের সাথে আমার প্রথম পরিচয় তানবীরা আপুর লেখার মধ্য দিয়েই। মাঝে মাঝে উনার লেখা পড়ে অসম্ভব মুগ্ধ হই। কালকে শান্ত ভাইয়ের ফেসবুকে শেয়ার দেয়া পোষ্টে দেখলাম উনি ট্যাগ দেয়া এবং উনার জন্মদিন!! তারপর অবশ্য ইনবক্স করেছিলাম।
যাক,
উনাকে অসম্ভব ভাল লাগে। সুখে থাকুক, ভাল থাকুক, আনন্দে থাকুক উনি। সুন্দর আর শুভ হোক আগামীর দিনগুলোও ।
ধন্যবাদ ফেসবুকে ও ব্লগের বুকে
জন্মদিনের শুভেচ্ছা তানবীরা আপু
শুভ জন্মদিন.
ধন্যবাদ
শুভ জন্মদিন.
শান্তকে ধন্যবাদ এরকম একটি অমূল্য উপহার দেয়ার জন্য
হ্যাপি বার্থডে প্রিয় তানবীরা আপু।
তানবীরাপুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন নিরন্তর!
শান্ত মিয়াকেও ধন্যবাদ। আছ কিরাম?
মন্তব্য করুন