ইউজার লগইন

আরাফাত শান্ত'এর ব্লগ

সবাই কেনো সবাই হয়ে যায়!

কি নিয়ে লিখবো ভেবে পাচ্ছি না। লেখা দরকার ছিলো অনেক কিছু কিন্তু ইচ্ছা করেনা এই সব দিনলিপির কচলাকচলির একই জিনিস লেখার মুড থাকেনা সব সময় তাও লিখে বেড়াচ্ছি। কতো কিছু ঘটে চোখের সামনে কত নিদারুন এক্সপিরিয়েন্সের ভেতর দিয়ে দিন যাপন,তা নিয়ে যদি গল্প লিখতে পারতাম তাহলে হতো একটা কিছু। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমি মোটেও গল্প লিখতে পারি না। চেষ্টাও করি নি কখনো। আসলে গল্প লেখার একটা ভঙ্গি আছে সেইটাই আমার আসে না। আমার যেটা আছে সেটা হলো উপন্যাস লেখার চেষ্টা করার ক্ষমতা তা নিয়ে বিশেষ ভাবি নাই। কারন সাহিত্য টাহিত্য আসলে এতো সহজে আসার জিনিস না। দীর্ঘজীবনের পড়াশুনা, জীবনকে নিয়ে ভাবার দৃষ্টি ও পর্যবেক্ষন করা ক্ষমতা থাকতে হয় এবং তা প্রকাশের স্বকীয় ভঙ্গি থাকতে হয় সব কিছু ছাপিয়ে আসলে একটা জন্মগত প্রতিভা থাকতে হয় আমার তা কিছুই নেই। নিজেরে খুব নালায়েক মনে হয় যে প্রতিভাও নাই পরিশ্রমও করতে পারিনা। খালি পড়তে পারি তাও আলসেমী লাগে আর আড্ডাবাজিতে অলস দিন কাটাতে পারি। এর ভেতরে বর্ণ আবার বলছে জলের গান ব্যান্ডের গান গুলা নিয়ে পোস্ট দিতে। এ্যালবামটাই এখনো কিনতে পারলাম না। টাকা পয়সার টানাটানি। লিখবো কি করে?

নববর্ষের নবধারায় প্রথম দিনে!

পোষ্ট দিতে ওতো বেশী ইচ্ছা করে না। কারন এবির প্রথম পাতাতেই আমার তিন খানা পোস্ট। এইটা দিলে হবে এক হালি। একটা ব্লগের প্রথম পেইজেই যদি কোনো ব্লগারের চারটা পোষ্ট থাকে সামহ্যোয়ার ইনের আমলে তার নাম দিছিলো ফ্লাডীং। এই ফ্লাডিংয়ের খুব চল ছিলো তখন। অনেক ছাগল প্রজাতির ব্লগারই এই কাজ করে ধরা খাইতো। এখন নাম বললে দেখবেন তারা একেকজন কতো বড়ো বড়ো শেঠ, ফেসবুকে কত শত লাইক কিন্তু তখন নিজের পোষ্ট প্রথম পাতায় রাখার জন্য তাদের রিপোস্ট ফ্লাডিং কত সহ্য করছি আমরা। শুরুর দিকে ব্লগে রেটিং সিস্টেম ছিলো। পাচে রেটিং আমরা দিয়া আসতাম ১ করে। তারপর আসলো মাইনাস সিস্টেম। মাইনাস সিস্টেমে ছিলো মজা। কে কত বড় ছাগল তার পরিচয় তাদের পোস্ট কতো মাইনাস খায়। জাফর ইকবালকে নিয়ে একটা বিদ্বেষী পোস্ট ছিলো সেই পোস্ট তখনি পাচশো ছয়শোর উপরে মাইনাস খেলো। এরকম পাতি ছাগলদের আরো অনেক কান্ড আছে। তখন সবার লক্ষ্য ছিলো ফাস্ট পাতায় পোস্ট রাখা। কিন্তু সামুতে এতো আজাইরা পোষ্ট লোকজন দিতো যে এক ঘন্টার ভেতরে প্রথম পাতায় পোস্ট নাই। তবে আমরাও ছিলাম এক কাঠি সরেস। ব্লগ খুলেই দশ পাতা অব্ধি পেইজ ভিজিট করে ব্লগ শুরু করতাম। একটু পরের দিকে যখন অনেক ব্লগ ছাড়া শুরু

দূরে থাকা মেঘ তুই দূরে দূরে থাক!

ইদানিং প্রত্যেকটা সকাল শুরু হয় অনেক ভোরে। আমার যদি ঘুম থেকে উঠার তাড়া থাকে সামান্য, তাহলে আমি অন্তত রাতেই দুই তিন বার জেগে উঠি, সময় দেখি আবার শুই আবার উঠি এভাবেই চলে। পাচটার দিকে উঠে পড়ি। উঠেই প্রথম কাজ মোবাইলে ফেসবুক স্টেটাস দেখা মাইনষের। এই অভ্যাসটা মোটেও সুবিধের না। চোখই ভালো মতো খুলি নাই তার ভিতরেই আমার অনেকের পলিটিক্যাল প্রপাগান্ডা ময় স্ট্যাটাস পড়তেছি কি একটা বিপদ আমাদের মতো লোকদের। আমার এক বন্ধু সেদিন বলছিলো যে আমরা প্রযুক্তি ব্যাবহারের সিস্টেমটা বুঝি না?

কাফন দিয়ে কেনা আমার পতাকার স্বরাজ!

শাহনাজ রহমাতুল্লাহর গান থেকে শিরোনামের লাইন টা নেয়া। এই গানের অরজিনাল ভার্সন আমি শুনি নাই। কনক চাপার একটা ভার্সন শুনছিলাম সেইটা ভালো লাগে নাই তবে মনে গেথে আছে শুধু সায়ানের গায়কীটাই। সেই সামুর আমলে ২০০৮ য়ের দিকে পোষ্টও দিছিলাম গানটা নিয়ে। এখন যখন অনেকের প্রিয় পোস্টের ভীড়ে সেই গানটার পোস্ট দেখি অবাক লাগে। তখন মনে হয় ব্লগিং করে এতোদিনের এই অযথা সময় নষ্ট পুরোটা কখনোই মাঠে মারা যায় নাই। তবে মাঠে মারা গেলো না গেলো না তা নিয়ে ভাবি না কখনো। আমি আমার সময়ে যা করার উচিত ছিলো তাই করার চেষ্টা করছি মাত্র। আমার সময়ে সব চেয়ে কম ছিলো মানুষের দেশপ্রেম, কাজের কাজ কিছু করতে না পারলেও নিজের বুকে তা ধারন করেছি। যে দেশে জন্মেছি তার জন্য অপরিসীম মায়া অনুভব করি এইটাই আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি। আর কিছুর দরকারও নাই। সকালে উঠে ফজর নামায পড়েই হাটতে বের হই সংগী হিসেবে একজন বা দুই জন ছাড়া কেউ নাই বলা যায় ইদানিং একা একাই হাটি। ভোরের নির্মল বাতাস যখন আমার গায়ে এসে বাধে তখন শুধু জাতীয় সংগীতের লাইনগুলাই মনে হয়। আল্লাহর কাছে ধন্যবাদ জানাই বারবার যে এমন একটা দেশে আমাকে জন্ম দিয়ে বাচিয়ে রেখোছো এতো দারুন ভাবে এতো ভালোবাসায়।

নিস্ফলা শ্রেষ্ঠ সময় অংশ দশ!

শরীরটা ভালো না মোটেও। ঠাণ্ডা জ্বরে সকাল থেকেই পুরো শরীর জুড়ে অসহ্য ব্যাথা। পাচটায় ঘুম থেকে উঠে নামায পড়লাম, দেখি ব্যাথায় নড়াচরায় দায়। কিভাবে হাটতে যাবো?

এতো সবই তোমার সকাল বেলার খিদে, সন্ধ্যে বেলায় যাবে হারিয়ে...

পোষ্ট লেখার কোনো ইচ্ছে নাই। প্রচন্ড গরমে কারেন্ট থাকে না তার ভেতরে বাসায় সিলিংর উপরে টিন দেয়া বলা যায় গরমে অতিষ্ট অবস্থা। লেখা সেইভ করে লেখা হয় না আর ইউপিএস নাই তাই পোস্ট লেখাটাকেও অযথা সময় নষ্ট মনে হয়। আর কি লাভ এইসব বোকা বোকা দিনলিপির পোষ্ট লিখে? যখন রাসেল ভাইরা জেলে ডাকাতের মামলা আসামীর মতো পুলিশের সাথে ফটোসেশন করা হয় তখন এইসব ব্লগ টগের কি মুল্য থাকতে পারে? তাও লিখছি কারন কিছুই তো করার নেই। কে ধর্ম বিশ্বাসী আর কে অবিশ্বাসী তা নিরুপন করে দিলো কিছু সারমেয় প্রানী আর তার ভিত্তিতে ডিবি ধরে আনলো তিন ব্লগারকে। কি এক দুর্বিষহ এক দেশে আছি? আমরা আজকে থেকে ব্লগার না সেই পাচ ছয় বছর ধরে ব্লগে দিন পার করতেছি। কিছু ধর্ম বিদ্বেষী পোষ্ট হয়তো দেখতাম তাতে খারাপ লাগতো। ফেসবুকে শত শত স্ট্যাটাস আছে তা নিয়ে কিন্তু সেই ব্লগারদের শত্রু ভাবি নাই কখনও। ভাবছি তার মতামত সে জানাচ্ছে। সে আমার ধর্মের সম্মান দিতে পারছে না সেইটা তার ব্যার্থতা। আমি কেনো তাকে শত্রু ভাববো?

আবারও বাড়ী থেকে ফিরে!

ফিরে এলাম এই শহরে। যে শহরে ২ কিলোমিটার রিক্সায় যেতে লাগে এক ঘন্টা সেই শহরেই। বাড়ী আমার কাছে খুব আপন কারন সেখানে বাবা মা থাকে আর এই নষ্ট শহরটাও আমার আপন কারন এখানেই আমার দিন যাপনের ভুবন। নিজের ভুবনে ফিরতে সবারই ভালো লাগে আমারও তাই। তবে এই শহরে ফেরার খুব একটা উচ্ছাস ধরা দেয় না মনে। কারন কারো কাছেই এই শহরটা আপন মনে হয় না এখন। স্রেফ প্রয়োজনেই টিস্যু পেপারের মতো ব্যাবহার করা। ইউস শেষে ফেলে দিয়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়া। আমি এমন দুই জন লোককে চিনি যারা দেশে অত্যন্ত সুখে ব্যাপক টাকা পয়সায় দিন কাটাচ্ছিলো অযথাই তারা পরবাসী। প্রবাস থেকে ফিরে তাদের কথা বারতা শুনলে মনে হয় তারা জন্ম থেকেই ইউরোপে। এই মানসিকতা আমার ভালো লাগে না। অনিশ্চয়তা নিরাপত্তাহীনতা কবে ছিলো না বাংলাদেশে?

ভেসে যায় আদরের নৌকো!

শিরোনামটা এমনিতেই দেয়া। কোনো বিশেষ তাত্‍পর্য নাই। অনেক কাল আগে বিষাক্ত মানুষ ওরফে মুরাদ ভাই চন্দ্রবিন্দুর গানটা লিরিক লিখে পোষ্ট দিয়েছিলো। আমি তখন কেবল চন্দ্রবিন্দু আর নচিকেতার সার্কাসটিক গান গুলোই শুনছি। এরকম অসাধারন গান শুনতে পেরে দারুন লাগছিলো। ব্লগ জিনিসটাই দারুন। অনেক দারুন কিছু কত সহজে নিজের কাজে মানিয়ে নেয়া যায়। মুরাদ ভাইয়ের সেই গানের পোষ্টগুলা কত অসাধারন ছিলো। আমি আউলাপু তামিম ইরফান তানজিলাপু গিয়ে বায়না করতাম এই গান চাই ঐ গান চাই প্লিজ পোষ্ট দেন। কিন্তু বায়না জিনিসটাই ভোগাস। উনি উনার পছন্দের নানা গান দিতো। আমরা সব শুনতাম। আমার এতো বৈচিত্রপুর্ন গানে ভালোবাসা তখন থেকেই শুরু হলো। তখন আমাদের যারা দেশে থাকি সবারই নেটের স্পিড যাচ্ছে তাই। রাশু ভাই আর রন্টী ভাইয়ের অবদানে পেলাম ইস্নিপস থেকে ডাউনলোডের উপায়। মোটামুটি লুফে নিলাম তা। আমার মনে আছে আমার পুরানা হার্ডডিস্কে তিন জিবি গানই ছিলো শুধু ইসন্পিসের লোড করা গান। সব হারিয়ে ফেলছি তা। সেদিন ফেসবুকে রাশেদ ভাই আর তার বউ ব্যাংককে হানিমূনের ছবি দেখে আমার মনে হলো এইতো সেদিনই একসাথে আমাদের কত ব্লগ আড্ডা কত বালিকা নিয়ে মশকরার দিনগুলো কাটলো। দিনগ

বাড়ী এলাম!

বাড়ীতে আসছি দুই আড়াই দিন হয়ে গেলো। আসার সময় প্ল্যান ছিলো বাড়ী থেকে প্রতিদিন পোষ্ট লিখবো। প্রতিদিনের দিন যাপন সাথে টিভি দেখা ও ঘুরে বেড়ানো নিয়ে ভালোই লেখা যাবে পোষ্ট। কিন্তু মানুষ ভাবে এক হয় আরেক। শুক্রবার দুপুরে বাড়ীতে আসার পর থেকে আমার মোবাইল দিয়ে লিখতেই ইচ্ছা করছে না। আর কীপ্যাড দিয়ে লিখলে এখন কেনো জানি না হাত ব্যাথা করে। এন্ড্রয়েড দিয়ে যে লিখবো সেরকম চার্জই থাকে না। আর কি নিয়ে লিখবো তা নিয়েও চিন্তা। কারন টিভি আজ বিকালেই একটু দেখার কপাল হলো। তার আগের দুইদিন তো ডিসের লাইনেই কারেন্ট ছিলো না। আমি বাড়ীতে আসলে সবসময় এমন হয়। হয় কারেন্ট থাকে না, নয়তো কারেন্ট থাকলে ডিস থাকে না। যে কারেন্ট আসে তা দিয়ে শুধু মোবাইলেই চার্জ দেয়া যায়। আর কিছুই করার উপায় নাই। আমাদের গ্রামে যাদের আত্মীয় ইতালি পার্টি তাদের সবারই দুইটা তিনটা করে ফ্রিজ। যেনো একটা নষ্ট হলে আরেকটা বেকাপ দেয়। আমাদের মরা ধরা ফ্রিজ যা বাইশ বছর ধরে পড়ে আছে। প্রতিবার বাড়ীতে আসলেই আম্মুর দুশ্চিন্তার কথা শুনি। আমি অবাক হই ফ্রীজটার জানের এতো জোর দেখে। কারন এতো ইলেক্ট্রিসিটি বিপর্যয়ে টিকে আছে কিভাবে?

সুইট বিষুদবার...

বৃহস্পতিবার এরশাদ পরবর্তী শহুরে মধ্যবিত্তদের জন্য খুব আনন্দে দিন। ডিজুস রেডিও ফুর্তি তার নাম দিছে ফুর্তি দিবস । তবে আমি বুঝি না এতো ফুর্তি কই থেকে আসে? আর শুক্রবার যাদের দিকেই তাকাই দেখি সেই ছুটির সময় কই? সবাই ব্যাস্ত। এই একদিনেই ফ্যামিলী নিয়ে বের হইছে, বন্ধুদের সাথে দেখা করতে যাইতেছে, দাওয়াত খাচ্ছে, কত কাজ। এগুলারে কি ফুর্তি বলা যায়। ফুর্তি বলা যায় তাকেই যে ফুর্তিতে থাকে। নিজের মতো খাওয়া আনন্দ ঘুরাঘুরি করে বেড়ায়, কোনও টেনশন বা ভাবনা নাই। সেরকম আনন্দ কোথায় পাওয়া যায়!

বাংলাদেশের শিক্ষা সমসাময়িক ভাবনাঃ একটি জরুরী ভাবনার বই!

ছোটবেলা থেকেই শুনে আসা শিক্ষা নাকি জাতির মেরুদন্ড। তখনো আমি মেরুদন্ড মানে কি জিনিস তা জানতাম না। ভাইয়া প্রথমে চিনিয়ে ছিলো মেরুদন্ড মানে পিঠে যে হাড়ের উপর দিয়ে সোজা রাখে। আমার কাছে তখনও শিক্ষা কেনোইবা এতো গুরুত্বপুর্ন?

অমঙ্গলের মঙ্গলবার সাথে মামা কে নিয়ে কিছু কথা

আমার জন্মবার মঙ্গল বারে। সেই থেকে মঙ্গলবারটা আমার প্রিয়। যদিও মুরুব্বীরা বলে গেছে যে বার হিসেবে মঙ্গল ওতো শুভ নয়। ছোটবেলা থেকে সেই অশুভ ভাব আর কাজ কারবার করতে করতে যখন বড় হচ্ছি তখন থেকেই আম্মুর মনে ছিলো খুব শক্ত ধারনা ছিলো অশুভ কিছু আছে আমার সাথে তাই নেয়ামুল কোরান দেখে অনেক দোয়াই আমার জন্য করতেন। আমার এইসব নিয়ে কোনো ভাবনা ছিলো না। বার তো বারই। সব দিনই আল্লাহর। তবে এই ব্যাপারে আবীরের ছিলো দারুন এক্সপিরিয়েন্স। কোন এক বড় হুজুর তার মাকে বলছে আপনার ছেলের জ্বীনের সমস্যা আছে। তাই সেই আমলেই ১০-১৫ হাজার টাকা খরচা করে তাবিজ পানি পড়ার আয়োজন চলে। কোমড়ে গলায় বিশাল বিশাল তাবিজ কবজ বাধা এখনো। আমার এই সব তাবিজ কবজে মোটেও বিশ্বাস নাই, করিও না কোনোদিন। কামরুলের এক বন্ধু ছিলো সোহেল নাম তার। সেই ছেলেটাকে নাকি কে তাবিজ করছে অনেক রোগে শোকে ভুগবে তারপর মরবে। তাই নাকি সে ছোটোকাল থেকেই রোগে শোকে ভুগে এসএসসি এক্সামের আগেই মারা গেলো। আমার এই সবে তেমন কিছু যায় আসে না কারন তাবিজে যদি কাজই হতো তবে ইরাক আফগানিস্তান ফিলিস্তিনে এতো লোক মরতো না। এমেরিকাকে তাবিজ করে তাদের মেরিন সেনাদেরকে প্রতিবন্ধী বানিয়ে রাখতো পীর আউল

বোরিং মানডে

বোরিং কেনো লিখলাম জানি না। ভালোই তো গেলো দিনটা। তবে বোরিং কেনো?

সুপার সানডে!

রবিবার আমার খুব প্রিয়। কারন আগে যখন বাসায় থাকতাম রবি বারে ভালো মন্দ হিন্দি বাংলা সিনেমা টিভিতে দেখে দুপুর রাত কাটতো। চ্যানেল চেঞ্জের উপরে থেকে সব ছবিই টুকটাক দেখা যেতো। অখাদ্য হিন্দী ছবির এতো স্টার এতো ডিরেক্টর প্রডিউসারের নাম আমার সেই সুত্রেই জানা। আর সেই জানার আগ্রহে উস্কে দিছে পুলক। পুলক আর আমি এতো বেশি হিন্দি-তামিল-তেলেগু- বাংলা সিনেমা নিয়ে খোজ খবর রাখছি তা যেখানেই বলতাম সবাই অবাক হতো। তাই রবিবার ছিলো একান্তই টিভি দেখার দিন। টিভিতে কত আজাইরা মুভি যে হজম করছি একেকটা শনি রবিবার তা ভাবলে এখন চিন্তায় পড়ে যাই। কত আজাইরা ছিলাম আগে কত ছেলে মানুষ। আমার এই সারাদিন সারারাত টিভি দেখায় সব চাইতে বিরক্ত ছিলো আম্মু। বলতো আল্লাহর ওয়াস্তে আর কতো দেখবি তুই, সুলতানা তো ফেইল। এখন প্রশ্ন করবেন সুলতানা কে? সুলতানা আন্টি হলো আমাদের পাশের বাসায় থাকতো চিটাগাংয়ে। দিন রাতে ২৪ ঘন্টাই উনি টিভিতে হয় হিন্দি সিনেমা নয়তো সিরিয়াল দেখতো। যাই করুক বাসায় হোক রান্না নয়তো ঘুম সব সময় উচ্চ সাউন্ডে টিভি অন। আমার তখন ইন্টারমিডিয়েট এক্সাম তখন আমার পড়তে আর কতো ভালো লাগে!

স্যাটডে স্যাটারডে!

পোষ্টটা লেখার মোটেও নিয়ত ছিলো না। তাও সাড়ে নয়টায় কিছু অংশ অনিচ্ছাতেই লিখছিলাম। কিন্তু কারেন্ট চলে গেলো মনে মনে শুকুরাল হামদুলিল্লাহ জানালাম। যাক পোস্টটা আর লিখতে হলো না। ঘন্টা খানেক পর কারেন্ট আসলো, ভাত খেলাম দেখি ফেসবুকে সময় কাটে না তাই লিখেই ফেলি। আর যাই লিখি তাই দেখি মানুষ পড়ে এ বড়ই আজব জায়গা ব্লগ। তার সাথে এবিতে পোষ্ট দেয় না কেউ। খালি আমি এই মশার কামড়, কারেন্ট যাওয়ার ঝক্কি, স্লো পিসির তান্ডবের ভিতরেও লিখে যাচ্ছি। ল্যাপটপের আশা এখনো ছাড়ি নাই কিন্তু সবাই আমার সাথে সহমত জানালো কিন্তু চেষ্টা তদবির করলো না। আপসোসের জিন্দেগী। কি আর করা এই জন্যই মুরুব্বীরা বলেছেন নিজের বুদ্ধিতে ফকির হওয়া ভালো। বুয়ার রান্না আজ অতি জঘন্য হইছে। তেল লবনের সাগরে তিনি ভাসিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আল্লাহর কি কুদরত তাও পেট উপচিয়ে খেলাম। মুরুব্বীরা এই জন্য আরো বলে খিদে লাগলে নাকি বাঘে ধান খায়। তবে বাঘ কখনো সত্যি ধান খায় কিনা তা আমার জানা নাই। তবে খিদের জ্বালায় অস্থির মন আমার এখন সব খায়। আমার ব্লগের ভাইয়েরা ও ভগ্নীরা সব সময় বলে আমার যত্ন নিজের রাখতে। কিন্তু এই রান্না খায়া আর কোন যত্ন কাজে দিবে?