ইউজার লগইন

আরাফাত শান্ত'এর ব্লগ

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা, তানবীরা আপুর জন্য!

মন মেজাজ খুবই খারাপ। আর্জেন্টিনার হারে শরীর মন সব কেমন জানি কামড়াকামড়ির উপরে আছে। এতদিন পর ফাইনাল, কত আশা ভরসা, সব জাহান্নামে গেল। তার ভেতরে একটু আগে ফেসবুকে দেখলাম মিলন চৌধুরী নামের এক কলকাতার ছেলে আত্মহত্যা করেছে, ফেসবুকে ঘোষনা দিয়ে। বেচারার জন্য মনটা খারাপ। আমরা বাঙ্গালীদের আবেগ এত বেশী তাই এইসব হতেই পারে। এমনিতেই না চাইতে কত ভাবেই মরতে হয়, তারপর আবার খেলায় হারজিত লইয়া এত চিন্তা, যে মরিতে হবে নিজে নিজে। সবাই বলবে বেকুব মানুষ তাই মরেছে। আমি তেমন বলবো না। মানুষের মাঝে মাঝে এত আবেগ আসে নানান ঘটনায় তাতে এরকম ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু না। যখন শিশুকালে সালমান শাহ মারা গেল, জনকন্ঠ তখন পড়তাম, বাসায় রাখতো না, গন পেপার রুমে পড়তাম। পেপারে তখন দেখেছিলাম- বাংলাদেশের নানান স্থানের যুবক যুবতীরা আত্মহত্যা করছিলো এক উসিলায়। তখন ভাবছিলাম সামান্য মুভি স্টারের জন্য কেউ মরে নাকি!

বই বসন্ত!

ফেসবুকে আপনি যখন বইয়ের ছবি আপলোড দিবেন। দেখবেন কত পাঠক, কত বন্ধু বলছে-- ইশ, আমার যদি থাকতো। অনেক বুক রিডার গ্রুপে দেখি, লাইব্রেরীর ছবি দিলেই লোকজন আহ-উহ করে বলে উঠে, আহা আমি যদি যেতে পারতাম এই খানে। কিন্তু যায় কই মানুষ? আর পড়েই বা কই? চায়ের দোকান হাটে মাঠে ঘাটে অনেকের সাথেই তো আমাদের সামাজিকতা, হাতে বই দেখলেই প্রশ্ন। 'এখনো এই সব পড়োস? আর পড়ে কি হবে? এত জেনে জেনে জানোয়ার হবার মানে কি?' আর সত্যজিৎ রায় কি এক সিনেমা বানিয়েছিল- হীরক রাজার দেশে, তার ডায়লগ সবাই দেয়ঃ জানার কোনো শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই। সিনেমাতে তো পলাতক মাষ্টারও ছিল তার কথা কেউ মনে রাখে নাই। মনে রাখছে নরপিশাচ রাজার কথা। তাহলে ফেসবুকে এত ঢংয়ের মানে কি? সেই ঢংওয়ালা মানুষদের আবাস কোথায়?

উপোষের দিন রাত্রী, সিজন টু- এপিসোড টু!

শরীরটা ভালো লাগছে না। ইফতারের পর থেকেই কেমন জানি করছে। তাও ঘুম আসে না। ভোর না হলে ঘুম আসার কোনো সম্ভাবনাই নাই। খুবই খারাপ অভ্যাস এই দিনে ঘুমানোর। কিন্তু কি আর করা, করেই যাচ্ছি। ঘুম ছাড়াই শরীর কেমন জানি টানছে। এর কারন সম্ভবত গত দুই দিনের কম ঘুম আর ইফতারে অহেতুক বেশী খাবার। ইফতার যখন খাই তখন তো হুশ থাকে না। খালি গিলি আর পান করি। কিন্তু খাবারের পর বুঝি অযথাই এত জিনিস কিনে এনে খাওয়া। লোকজন বলে রাতে খাও না, ইফতার বেশী খাওয়া দোষের কিছু না। কিন্তু খাওয়ার পরে বোঝা যায় ঠেলা, হাঁটা যায় না মোটেও, শরীর ঝিমিয়ে আসে। শরীর খারাপ হবার আরো কারন থাকতে পারে গত দুই দিনই খুব হাইপারের ভেতরে ছিলাম ওয়ার্ল্ডকাপ নিয়ে। প্রথমটায় ব্রাজিলের ডিজাস্টার হারে প্রথমে উৎফুল্ল হলেও পরে খুবই মন খারাপ ফ্যানদের কথা ভেবে, আর সেকেন্ডদিন আর্জেন্টিনার প্যানাল্টিতে জয়। ভাগ্য ভালো রোমেরো সেভ করেছিল নয়তো তখন মনে হচ্ছিলো টেনশনে মরেই যাই

'কথা সামান্যই' নিয়ে সামান্য কথা!

ইচ্ছা ছিল এই মাসে নেট আরো কয়েকদিন পরে নেবো। কিন্তু সিনেমার নায়িকাদের মতোই 'আমার মন মানে না'। তাই অল্প টাকার মান্থলি প্যাকেজ নিলাম। ৫০০ টাকায় সাড়ে তিন জিবি। এক কালে ১ জিবি দিয়েও ১ মাস চালিয়েছি। সেইসব গল্প ব্লগে এখনো ঝুলছে দিনলিপির মোড়কে। এখন ৩০ জিবি না হলে ভালোই লাগে না। ত্রিশ জিবি কিনতে টাকা লাগে ১২০০। সিনেমা দেখা যায় ১৫-২০ টা। সিরিয়াল নামানো যায় পাঁচ ছয় সিজন, সেখানে সাড়ে তিন জিবি তো সাগরের বুকে না হলেও পুকুরে মাঝে ১ গ্লাস পানি, সেটাও বেশি দামে। তবুও মাঝে মাঝে ১ গ্লাস পানিতেই গলা শুকিয়ে যাওয়া ঠেকাতে হয়। এই যেমন আজ নিয়ে ১ মাস তো দূরে থাক অন্তত ১ সপ্তাহের জন্য ঠেকালাম। তার আগেই হয়তো শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু কয়েকটা দিন তো হাহুতাশ কাটবে। ভালো জায়গায় একা একা ইফতারী করতেই এখন লেগে যায় ৫০০ টাকা! তা দিয়ে পাওয়া সাড়ে তিন জিবি ডাটা সামান্যই।

ফেরদৌসী মজুমদারের 'মনে পড়ে'

সাহিত্য প্রকাশ থেকে বইটা কিনেছিলাম এই মেলায়। জমানো ছিল, অন্য বইয়ের ভীড়ে পড়া হয় নাই। উল্টিয়ে পাতা রেখে দিতাম। কি মনে হলো একদিন নিয়ে পড়তে বসলাম। চিকন বই, পড়তে সময় লাগলো মাত্র দুই ঘন্টা পনেরো মিনিট। তাঁর ভেতরে ফ্যামেলি ছবি দিয়ে ঠাসা অনেক পাতা। এই বই লেখার প্রথম প্ল্যান আসে লেখকের মাথায় ২০০৩ সালের প্রথম আলোয় ঈদসংখ্যায় কিশোর বেলার স্মৃতিকথা লেখার মাধ্যমে। সেই এক লেখা পড়েই তারা জীবিত যত ভাইবোন আছে ঈদ পূর্ণমিলনীর আড্ডায় হেসে কুটিকুটি। তাঁর ভাইবোনরা আরো নতুন নতুন গল্প করছিলো যা উনার লেখার সময় মনে ছিল না। তারপর ত্রপা মজুমদারের অনুপ্রেরনায় তিনি লিখতে বসেন। এবং লিখে ফেলেন এই বইটা। এইটা কোনো আত্মজীবনী না, সিরিয়াস কোনো লেখালেখিও না, এটা একজন সরকারী কর্মকর্তার বিখ্যাত মেয়ের ও তাঁর স্বনামে বিখ্যাত সব ভাইবোনের ফেলে আসা জীবনের হাসি আনন্দের স্মৃতিকথা। ডক্টর ইউনুস বইটার ফ্ল্যাপ লিখেছেন যত্ন করে। দামও খুব কম,

উপোষের দিন রাত্রী, সিজন টু- এপিসোড ওয়ান!

মেজাজ খারাপ। কি এক হিন্দি চুলের খেলা হলো। ধারনা ছিল ফরাসী জার্মানদের এক অতুলনীয় ম্যাচ দেখবো। তা আর হলো কই? ম্যাড়মেড়ে এক খেলা। রাগ উঠে গেল নিজের উপরে। আশা ছিল ফরাসীরা গোলটা অন্তত শোধ করবে। তাও হলো না। প্ল্যান ছিল আয়োজন করে শান্ত ভাইয়ের বাসায় খেলা দেখবো। জার্মান ফরাসীদের খেলা দেখে আর থাকতেই ইচ্ছা করছে না, এসে পড়লাম বাসায়। দেখি ব্রাজিলের খেলাটা কেমন হয়? রাত তো এমনিতেও জাগি, ওমনিতেও জাগি। কি খেলে কলম্বিয়ার সাথে! আমি চাই ব্রাজিল আজকেও জিতুক। কারন এত এত ব্রাজিল ফ্যান বাংলাদেশে, তাঁদের মাটিতেই আবার হচ্ছে ওয়ার্ল্ডকাপ সুতরাং আমি আশাবাদী ব্রাজিলের কাপ জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে। মনে প্রানে চাই লাতিন আমেরিকান এক ফাইনাল হোক। দেখা যাক কি হয়!

ব্রেইনলেস, কাট-পেষ্ট হিন্দি সিনেমা দেখা!

রোজা রমজানের দিন যদিও সিনেমা টিনেমা নিয়ে লেখা ঠিক না, তাও লেখতে বসলাম। কারন এই অলস দুপুরে আর তেমন কিছু করার নেই। বসে বসে বই পড়া ছাড়া, রোজা রেখে দিনে বই পড়ায় কনসেন্ট্রেশন পাই না। তাই হয় টিভি নয়তো নেট এইটুকুই ভরসা, আম্মু ফোনে জিগেষ করে কোরআন পড়ি কিনা, বলি পড়বো কিন্তু পড়া আর হয় না। আসলে কেমন জানি দূরের দূরের লাগে এইসব সিরিয়াস ইবাদত বন্দেগী। আমার আম্মু অবশ্য আমাকে ছোটবেলা থেকেই ব্যাপক চেষ্টা করছে, হুজুর বানানোর। হলাম আর কই?

দিনগুলোর তাই নাম ছিল না!

কবীর আসলো অনেক দিন পর। কোন কবীর? চায়ের দোকানদার দেলোয়ারের ভাই কবীর। ছেলে ভালো, চিনতাম আগে ভালো মতোই। এগারো সালের দিকে কিছুদিন উনি বেকার ছিল, তখন দেলোয়ারের চায়ের দোকানে বসতো। বয়সে আমাদের সমানই হবে, বিয়ে করেছে দুটো। যেকোনো চ্যানেলে আমি এখন কি করবো টাইপ মানসিক রোগ বিষয়ক অনুষ্ঠান হলে সে অবধারিত প্রশ্ন করতো, আমার দুই বঊ, এক সাথে দুই রুমের বাসা নিয়ে থাকে আমি এখন কি করবো?

শাখা সরকারী গণগ্রন্থাগার

আমার বাসার সামনে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের পাশেই যে একটা পাবলিক লাইব্রেরীর ব্রাঞ্চ আছে তা আমি জানি মেলাদিন ধরে। যাওয়া হয় না রাজনীতির পরিবেশ ওখানে। নানকের লোকজন ওখানে বসে থাকে, নিজেদের ব্যাবসায়িক দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তাই ওমুখো আমি হই না সচরাচর, রাস্তা পার হয়ে বাসার দিকে এসে পড়ি। সেই কমিউনিটি সেন্টারে একবার দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম,পুলক জোর করে নিয়ে গিয়ে ছিল। দেখি ছাত্রলীগের ছেলের দল বাপের জন্মের খাওয়া খেয়েই চলছে, থামাথামি নাই। কমিউনিটি সেন্টারটা মাইর খাওয়ার একটা বড় কারন হলো সেটাই। বিয়ে শাদী অনুষ্ঠান যাই হোক ৩০-৪০ জন ছাত্রলীগ যুবলীগের এক দল গিয়ে বাপের ঘরের খানা খেয়ে আসবে বাধ্যতামুলক। এই দুর্মুল্যের বাজারে এক সরকারী কমিউনিটি সেন্টার নিয়ে- কে আর ত্রিশ জনকে মাগনা খাওয়াতে চায়। তাই ঘুরে ফিরে এই সেন্টারটা পড়েই থাকে। ঈদ কিংবা বৈশাখী মেলার আগে পাকিস্তানী লন আর ইন্ডিয়ান থ্রিপিচ বেচে ভাড়া নিয়ে।

আজ খেলা শেষ, আর জমছে না!

আমার এক ক্লাসমেট ছিল, আমার সাথে নামের মিল। ওর মেইন নাম আরাফাত, আমার নাম আলী আরাফাত জাকারিয়া। খুলনাতেও এক সাথে ক্লাস করেছি, চট্টগ্রামেও তাই। বন্ধু ছিলাম না তেমন, দেখা হলে কথা হতো। আমরা যখন টেন্ডুলকার বনাম লারা কে সেরা তা নিয়ে ঝগড়া করতাম, তখন তাঁরা কলোনীর কোন গাছের পেয়ারা চুরি করা যায় তা নিয়ে ওয়ার্কআউট করতো। ইন্টারের পর সেই ছেলে বাপের টাকার জোরে নরম্যাল সিম্যান হিসেবে জয়েন মার্চেন্ট শীপে। আস্তে আস্তে নানান লম্বা সফর দিয়ে দিয়ে টাকা পয়সা ভালোই কামায়, পদোন্নতি হয়, ট্রেনিং করে জাপান থেকে। তাঁর বাবাও বড়লোক, নেভীর মিশনে কুয়েতে গিয়ে চিটাগাংয়ে এক তিনতলা বাড়ী করেছে। বোন একটার বিয়ে হয়ে গিয়েছে নেভীর এক অফিসারের সাথে। যাই হোক সেইসব জিনিস আলোচনায় আসবে না। আলোচনায় আসবে সে কঠিন দূঃসাহসিক মুডে পালিয়ে বিয়ে করেছিল বছর ছয়েক আগে। তাঁর মা শত চেষ্টা করেছে, সিনেমার কায়দায় ছেলেকে লোক পাঠিয়ে পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া কর

Don't Cry For Me Argentina!

শিরোনাম দেখে কেউ অবাক হবেন না। আমার জন্য আর্জেন্টিনা তো দূরে থাক নিজ দেশ কিংবা শহরেই কান্নাকাটির লোক নগন্য। এইটা অতি বিখ্যাত এক ব্রডওয়ে মিউজিক্যালের গান। ১৯৭৬ সালে 'ইভিটা' নামের এই মিউজিক্যালটা মুলত নির্মাণ হয়েছিল আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জুয়ান পেরন এর সেকেন্ড ওয়াইফ বিখ্যাত রাজনীতিবিদ ইভা পেরনের জীবনের উপর। ইভা পেরনের প্রেম- ভালোবাসা, রাজনীতি- সমাজসেবা, আকস্মিক ডেথ সর্বোপরি তাঁর জীবনের ট্রাজেডী উপর ভর করে এই মিউজিক্যালটা বানানো । ব্যাপক ভাবে পুরস্কৃত ও বানিজ্যিক ভাবে হিট এই প্রোডাকশন। ম্যাডোনার একটা সিনেমাও আছে একই মিউজিক্যালের উপর ৯৬ সালে। এই গানটাও অসম্ভব জনপ্রিয়। প্রায় দুই ডজন নানান সময়ের বিখ্যাত শিল্পী এই গানটা কাভার করেছে। আমি এই গানটা প্রথম শুনি ইউটিউবে কারেন কার্পেন্টার্সের কন্ঠে। তবে আমার সব চেয়ে ভালো লাগে জোয়ান বায়েজেরটা। এই গানটা শুনলে এক ধরনের বিষাদে আচ্ছন্ন হতে হয়।

তারকাঁটা ওরফে হিন্দি ভাষায় চুল কাটা!

শিরোনামটা সরাসরি লিখতে পারলে আরো ভালো হতো। কিন্তু এক শীর্ষস্থানীয় ব্লগের ফ্রন্ট পেইজে একটা পোষ্ট অশ্লীল নামে ঝুলবে, ব্যাপারটা ভালো দেখায় না। তাই একি কথা একটু অন্যভাবে বললাম। আরো বেশী কিছু বলা উচিত। কারন এই সিনেমার প্রিমিয়ার থেকেই আমার মেজাজ খারাপ। আর সেই মেজাজ খারাপের কারনেই ছবিটা এত শর্ট নোটিসে দেখতে গেলাম। মেজাজ খারাপ করার কারন এর প্রিমিয়ার নিয়ে। এর প্রিমিয়ারে এক সাংবাদিক গিয়ে তাঁর পত্রিকায় সিনেমাটার এক রিভিউয়ে হালকা সমালোচনা করেছিল। এই সামান্য সমালোচনাই আমাদের মান্যবর সিনেমার পরিচালক ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরা সইতে পারেন নাই। ব্যাক্তি আক্রমনের চুড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েছে ফেসবুকে। বলা হয়েছে, প্রিমিয়ারের ফ্রি টিকেটে পেয়ে চ্যাটাং চ্যাটাং কথা ঝাড়ে সাংবাদিকেরা, নিজেরা কয়টা নাটক বানাইছে,সেই সাংবাদিকের লেখা গান নেয় নাই তাই তাঁর এত রাগ। হাবিজাবি কত কথা দেখলাম ফেসবুকে। আমি ডিমের গন্ধ শুনলেই বুঝবো যে ডিম প

"কথাই হয় না"

'কথাই হয় না' আমাদের আড্ডার খুব জনপ্রিয় একটা লাইন। যার কথাই পছন্দ হয় না, তাঁর ব্যাপারে সোজাসুজি মন্তব্য, 'আপনার তো কথাই হয় না'। এর আবার যুতসই একটা উত্তরও আমি দেই। ঠিক বলছেন, কথা খালি আপনাদেরই হয়,আপনারাই বরের বাপ আবার আপনারাই কনের বাপ। তবে মেইন লাইনটা যুতের না। কারন কথা কি হওয়ার জিনিস, কথা তো বলার জিনিস। আড্ডায় যার যা মনে আসে তাই তো বলে দেয়। এখানে হওয়া না হওয়া কি? সবই তো দিন শেষে অর্থহীন কথকতা। তাও এত পপুলার লাইন এইসব যুক্তির ধার ধারে না, কাউকে ব্যর্থ প্রমান করতে একটা লাইনই যথেষ্ট, 'ধুর মিয়া তোমার তো কথাই হয় না'। এই লাইনের পারফেক্ট এস্তেমাল করেছিল আমার এক বন্ধু। তাঁর সাথে ঢাকা ভার্সিটির টিচারের কি নিয়ে ঝগড়া হচ্ছিলো নীলক্ষেতে, সে ঠাস করে বলে বসলো আপনি কিসের শিক্ষক, ছেলেমেয়েদের কি পড়াবেন, আপনার তো কথাই হয় না। শিক্ষক মহোদয় নির্বাক হয়ে বিদায় নিলো।

অনন্য অপুর পাঁচালী!

কিছু লেখার জন্য মন উশখুশ করছে। যুতসই একটা স্ট্যাটাস ফেসবুক দিতে পারলেও শান্তি লাগতো। তাও মাথায় আসছে না। বসে বসে মুনতাসীর মামুনের ঢাকা স্মৃতি-১ পড়ছিলাম। ভালো লাগছিল না। তাই নোটবুক নিয়ে বসলাম। সেই ঘুরে ফিরে ফেসবুক। ফেসবুক যে বোরিং লাগে আজকাল। কি করবো বুঝে উঠি না। অবিরাম লাইক দেই মানুষের নানান পোষ্টে তাতেই মানুষ খুশী। যখন যারে মন চায় ব্লক মারি আর আনফ্রেন্ড করি, তাতেও থ্রিল পাই না। মজা পাই এখন এক বন্ধুর সাথে আলাপ করতে দিনের বেলা তো তাঁর অফিস। রাতে সেও ব্যাস্ত আমিও, তাই কথা হয় কম। আর কিছু খোজ খবর নিতে হয় নানান বন্ধুদের, তা রুটিন বেসিসে করে যাই। নেটে ডাটা নাই, গ্রামীনের সিমকে ওয়াইফাই বানিয়ে চালাই নাই তাতে সিনেমা দেখা তো দূরে থাক, প্রিয় ইউটিউবে গান দেখি না কতদিন! ভাত খেলাম জোর করে, মুখে রুচি নাই। মামা বাসায় নাই, গিয়েছি মামীদের বাসায়। বিশ্রী রকমের একা লাগে আজকাল।

জীবন আসলে বাঁধা পাকস্থলীতে!

আমার এক বন্ধু জন্মসুত্রে হিন্দু, বাস্তবে নাস্তিক সে চান্স পেলেই এক ডায়লগ দেয়-- খাওয়ার কোনো ধর্ম নেই। আমি কথাটা শুনে হাসি। খাওয়ার ধর্ম নাই কিন্তু আমরা পালন করি না করি, কিছুটা হলেও ধর্ম আচারের প্রতি বিশস্ততা আছে সবার। তাই আমার পক্ষে সব কিছুতে ধর্মের বিপক্ষে যাওয়া সম্ভব না। আর সামান্য ইন্দ্রিয়সুখের জন্য হারাম খাবার গ্রহণের কোনো মানে নাই। যা ভালো লাগে তাই খাই, না পেলে আফসোস নাই। মদ গাজা বন্ধুরা খায় তাকিয়ে শুধু দেখি। এক্সপেরিমেন্টেও টেস্ট করা হয় নাই। এডভেঞ্চার প্রিয় বন্ধুদের কাছে আমার সমন্ধে মুল্যায়ন, জীবনে তো কিছুই করলি না, পুরাই নিরামিষ। জীবন নিরামিশ হলেও নিরামিশ আমার ভালো লাগে। বাবা মা যখন ছিল তখন আমি এইসব সব্জী কব্জি কিছুই খেতাম না। এখন অবশ্য সব খাই, তিতা করল্লা উচ্ছে থেকে শুরু করে লাউ চালকুমড়া সবই গিলি। খেতে হয় এখন প্রয়োজনেই মুলত, বুয়ার যে রান্নার প্রতিভা তাতে যুতের খাওয়া এখন সব বাইরে কিং