মুতিয়া মুরালীধরন কিংবা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওন
আজকে এক মজার ঘটনা। একটা দরকারী মেইল করছি। সহকর্মী বন্ধু হইলোঃ বিসমিল্লাহ কইয়া সেন্ড করেন। আমিও একি সময় সেন্ড করলাম আর মুখে কইলামঃ বিছমিল্লাহ! বিছমিল্লাহ’র বদৌলতে কাজটা হলে মন্দ হয়না। তবে পাশে থেকে আরেকজন হইলোঃ আপনি মাত্র সিগারেট খেয়েছেন আর সেই মুখেই বিছমিল্লাহ কইছেন-কাম হইবোনা! সাথে সাথে শুরু হইলো হাসা-হাসি। আরেকজন বুজুর্গব্যক্তি তিনি অবশ্য বিড়ি সিগারেট তেমন পান করেননা। তিনি বল্লেন আরো আজব কথা!
-সিগারেট তো আল্লাহ’র সৃষ্টি।
-হাঁ তাইতো!
-আরে না দুনিয়াতে আল্লাহ বলছে মন্দ কাজ থেইক্কা দূরে থাকতে। আরেকজন কোনা থাইক্কা আওয়াজ দিলো।
-আরে দুনিয়াতে আল্লাহ’র ইশারা ছাড়া একটা গাছের পাতাও নড়েনা আর এতো সুন্দর ফিনিশিঙ্গএর সিগারেট সৃষ্টিকর্তার হুকুম ছাড়া সৃষ্টি হবে-এইডা কেমন কথা?
-তার মাইনে হুইস্কি-ব্র্যান্ডি-ডান্ডি কিংবা গুন্ডা-গুন্ডি-আলু-পটল কিংবা তিতহোটলা কিংবা মানবতা বিধ্বংসি আনবিক বোমা সবি সৃষ্টিকর্তার খাজাঞ্চিখানা থেইক্কা নামছে? আরেকজন নামাজী নোট যোগ করলো।
-আপনার সাথে থাইক্কা সবাই ন-আস্তিক হয়ে যাচ্ছে। আমার দিকে তাকাইয়া আরেকজন কইলো।
আমি আসলে ন-আস্তিক না। তবে আস্তিকতা নিয়ে ক্যাঁচা-ক্যাঁচি কিংবা নাস্তিকতা নিয়ে ঘষা ঘষি ভালূ লাগেনা। কেমন জানি নিজেরে অতি-জ্ঞানী আর সস্তা মুনে হয়। আস্তিকদের বলতে ইচ্ছে করে-থাকুকনা দুই একজন বেয়াড়া মানুষ-যারা ভাগ্যে বিশ্বাস না করে-নিজের খেলা নিজে খেলুক আর ন আস্তিকদের বলতে ইচ্ছে করে-থাকুকনা দুই একজন মানুষ যারা আজীবন চিন্তা করতেই থাকুক না-সৃষ্টিকর্তা দুধ আর মুত কিভাবে একসাথে সৃষ্টি করছেন! তবে দুধ আর মুত দুইটাই দরকারী। দুধ খাইয়া মুতিবেন আবার মুতিয়া দুধ খাইবেন। মুতিতে মুতিতে মুত্তিয়া মুরলীধরন! তারমতো বিশ্বমানের স্পীনার হইতে না পারেন-মুতিয়া ঢাকা শহরের রাস্তা ঘাট সাইজ করতারবেন। অনেক জ্ঞানী মানুষ কিন্তু রাস্তার আশেপাশে মুতামুতি করেন। আসলে রাস্তার পাশে দাঁড়াইয়া মুত্রবিয়োগ অতিশয় আনন্দের কাজ। যেমন আনন্দের কাজ হইলো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া। হাগু কিংবা মুতুকে বলা হয় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওন। কতো সুন্দর করে বলা হয়- ‘প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া’। অর্থাৎ কুলু কুলু করে নদী বয়ে যাচ্ছে। তার পারে গিয়ে মৃদুমন্দ সমীরনে বসিয়া যাবতীয় বিয়োগ করা সাথে মনে কিছু উদাস কিছু ভাব যোগ করা। পৃথিবীতে নাকি সবচাইতে আনন্দের কাজ হইলো ত্যাগ। কতো সুন্দর একটা শব্দমালাঃ ত্যাগেই সুখ! আমাদের জ্ঞানী নেতা-পাতিনেতা কিংবা উপনেতারা এক কাজটি শুধু ছোটঘরে কিংবা ‘প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিবার সময় খেয়াল করেন’ কিংবা ‘খেয়াল রাখেন’।
খেয়াল কথাটা অনেক চমতকার! যেমনঃ ছেলেটা খেয়ালী। এখানে এক ধরনের প্রচ্ছন্ন আদরের ভাব আছে। আবার আমি খেয়াল রাখছি। মাইনে হইলো বেটা দারোয়ানী করতাছে-সিকিউরিটি গার্ডের নকরী নিছে। খেয়াল নাই মাইনে ভুইল্লা গেছে। এই ভুইল্লা যাওন-মনে রাখন সব মিলিয়েই আজব মানবজীবন। আমরা খুব সহজে অতীত ভুলে যাই। অনেকে আবার ভূলেনা। সেদিন একজন কইতাছেঃ
-আওয়ামী লীগে এতো তারেক রহমান কবে থেক্কে পয়দা হইছে?
-আপনি সবকিছুতে তারেক রহমান দেখতেছেন! একজন ছুপা ছাগু আর ওপেন বিএম্পি কইলো।
-তয় কি কইতাম?
-এভাবে কওন ঠিক না!
-দেখেন পোষ্টারঃ
তারেক ভাইয়া আসবে দেশে,
বীরের বেশে বাংলাদেশে।
জ্বল জ্বলে পোষ্টার! তারেক ভাইয়া হাত উঁচাইয়া আছেন আর হাসছেন। এই হাসির কিন্তুক অনেক ব্যাখ্যা করন যায়! তারেক ভাই হাসছেন কারন তিনি দেখিতেছেন-দুদক অনেকেরে ডাকিয়া ডাকিয়া মুখে ফেনা তুলিয়া ছাড়িয়া দিতাছে আর বলিয়া দিতাছে-এই বিলাই আসলেই সাদা ছিলো-কালা যে রঙ্গটা এইডা আসলে রোমানা পেইন্টের কেরামতি। এই কালা বিলাইয়ের সাথে বাংলাদেশের রাজনীতির কুনু যোগ কিংবা বিয়োগ নাইক্কা। তারেক হাস্তেছেন কারন-তাঁর ফাকিস্তানী রাজনৈতিক ভাবনার অনেক নীচে অবস্থান করছেন একদা বঙ্গশার্দুল অধুনা গামছাশার্দুল। তিনি হাসতেছেন কারন-উনারে যাহারা তারেইক্কা চুরা কহিয়াছিলো তারাই অনেকে এখুন হইছে তস্কর! এতো হাল্কা আলোচনায় সিরিয়াস কথা কইতে ইচ্ছে করেনা। তবুও এক প্যারা যোগ করা যায়ঃ
বি এন পি নামের দল প্রতিষ্ঠিত না হইলে আজকের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ৯০% শতাংশ দেখা যেতোনা। কিভাবে? কারন দুই একজন ছাড়া তাদের ক্যারিয়ার হইতো এখুনু ফাকিস্তান থেইক্কা খুচরা দামে মাল্টা কিনে এনে পাইকারী দামে বাদামতলীর হাটে পাইকারী বেচা-বিক্রি করতে হইতো। কারন পঞ্চম বাহিনীর নেতা যদি কিনিয়া-বেচিয়া দল না বানাইতেন আর তাদেরকে ইলেকশনে না জিতাইতেন তা হইলে আর যাই হোক আজকের অনেক গদ্দীনশীন মন্ত্রী আসলি আমলা-ব্যবসায়ী জীবনে কুনুদিন একের ভিতর তিন হইতে পারতেননা। ‘একের ভিতর তিন’ বুইঝছেন? একজন মানুষ তিনি রাজনীতিক-ব্যবসায়ী আবার মন্ত্রী। তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবে সিলেকশান হবেন-ইলেকশান করবেন-তারপরে মন্ত্রী হবেন আর মন্ত্রী হয়ে ভাববেন দেশের তাবত রাষ্ট্রীয় কিংবা বিরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা তাদের হাতেই। আমলারা উনাদেরকে চটাইবেননা কারন আমলা ভাই এইডা খুব ভালো বুঝেন যে, এই রাজনীতিবিদ-ব্যবসায়ী-মন্ত্রীকে না চটাইয়া তেলের উপর রাখলে গদ্দিনশীন আমলা গদ্দিনশীন এম পি কিংবা মন্ত্রী হওন সময়ের ব্যাপার। এইযে গরীব রাজনীতিবিদদের হাত থেইক্কা রাজনীতিরে গুলশান-বনানীতে নিয়ে যাবার জন্য জেঃ জিয়া-জেঃ এরশাদ-বেখাজি সহ নতুন প্রজন্মের ভাই-বেরাদরগন সর্বজনাব তারেক ভাইয়া-কুকু ভাইয়া-আন্ডা ভাইয়া-ফালু কাকা-সবাইকে প্রানডালা মোবারকবাদ।
হ্যাপি ব্লগিং।
(কাকতালীয়ভাবে মুত্তিয়া মুরলীধরনের নাম যুক্ত হওয়ায় আমি খুবি দুঃখিত)
হাহাহাহাহাহা
কিনতু আমরা যে তারাপদ রায়ের কবিতার মতো, দিনে দিনে লাইনের নীচে নেমে যাচছি, তার কি হবে ভাইজান। তাদের জন্যে কিছু বলেন
ধন্যবাদ তানবীরা সাথে থাকার জন্য।
নীচে নামার কথাও লিখবো।
সাথে থাকুন।
আবারো ধন্যবাদ!!
এক্কেরে খাঁটি কতা ভাইজান। এমপি, মন্ত্রীদের তেলাইলে আমলাদের ভবিষ্যৎ এক্কেবারে ফকফকা !
তাইতো তেলের দামও এত বাড়ে !
তেলে তেলে তেলময় হয়ে গেছে দুনিয়া।
সাথে থাকার জন্য ধনিয়াপাতা।
ভালো আছেন তো?
বাউন্ডেল ভাই পড়া শেষ হয় নাইক্কা?
পড়ছি।
কিছু মনে করবেন না প্লিজ।
আমার কাছে মনে হয়েছে
মরালি আপনার লেখা যে স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে থাকে,
এই লেখাটি তা করতে পারে নি। দুঃখিত।
ধন্যবাদ বিষন্ন ভাই-আপনার মতামতের জন্য।
সব সময় পাশে পাবো আশা করছি।
আছি ও থাকবো।আশা রাখি।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
বেশ কয়েকদিন হল আপনার নাগরিক গল্প পাচ্ছিনা যে?
একটু ব্যস্ত আছি ভাই-এখুন অন্য লাইনে লিখছি।
আবার শুরু করবো নাগরিক গল্প।
ধন্যবাদ গুরু!!
অতটা তুলতে নেই আকাশে,
পড়ে গেলে একটু বেশিই লাগবে!
অপেক্ষায় থাকবো। ভাল থাকুন।
আকাশে তুলিনি গুরু!
ভালো থাকবেন।
দুই তিন টা লাইন শেন ওয়ার্নের মতো হইছে!
শেন ওয়ার্ণের মতোন!
মন্তব্য করুন