হঠাৎ
হঠাৎ কি কারনে এই হারানো ব্লগের কথা মনে হইলো কে জানে। লগইন করতে গিয়া এক বিপত্তি, পাসওয়ার্ড ভুল। তারপর আরেকটা জিনিষ আবিস্কার করলাম, আমার ইউজার নেইম টার বানান আসলে ভুল। এইটা আবিস্কার কইরা কতক্ষণ থমকায় থাকলাম, এইটা ক্যামনে ভুল হইলো! পরে মনে হইলো হয়তো এই ব্লগ আমাকে ঠিক নামে জায়গা নিতে দেয়নাই। হইতেও পারে। নাও হইতে পারে।
টানা তিনদিন না ঘুমানো অবস্থায় অনেকদিন পর আছি। বেশ হাইপার হয়ে আছি, বিকালে ঘুমে পড়ে যাইতেছিলাম, এখন ঘুমের কোন নিশানাই নাই। চক্ষু দুইটা মনে হইতেছে কোটর থেইকা বাইর হইয়া কোথাও চলে যাইতে চায়। অনেককাল পর হইলো এইরকমটা। শেষ মনে হয় চাকরিজীবি যখন ছিলাম তখন ছিল এরকম, সারা সপ্তাহ কাজ না কইরা দুই রাতে সব কাজ একবারে নামায় দেয়ার ঘটনা যখন ঘটতো। ইদানিং নিস্তরঙ্গ বেকার জীবন, টানা রাত জাগা তেমন একটা হয়ে ওঠেনা। আর জাগলেও সারাদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুমায়ে সমান সমান।
উপরে লিখছি বেকার। আসলে বেকার আমি না। গত তিনরাত ধরে জেগে আছি একটা জিনিষ তৈরি করতে। সেইটা আজকে সকালে এই জম্বি মাথা এবং চোখ নিয়ে বেশ কয়েকজন বাঘা বাঘা লোকের সামনে দেখানো হইলো, তো অনেকেই এইসব ঘটনায় বেশ ফেইসবুক স্টেটাস, ট্যাগিং ইত্যাদি করে বিষয়টার গুরুত্ব নিজেকে এবং বাকি দুনিয়াকে জানান দেয়। আমার এইগুলার অভ্যাস নাই, বরং অনেকটাই সংকোচ, তাই নিজেও ঠিক ভরসা পাইনা নিজের কাজকর্মে। পাবলিক যোগাযোগ একটা খুবি জরুরি বিষয়, কিন্তু এই কাজে আমার অসম্ভব ক্লান্তি। এক ঘন্টার 'ফলপ্রসূ' যোগাযোগ = আমার শক্তি আর উদ্যম আটলান্টিকের নিচে। আমারে কেউ ক্যানো পালে না, আমি শুধু বই পড়ব, আর মাসে একবার ঘুরতে যাবো। আমাকে এমনে পালবে, তিনবেলা খাওয়াটা রাইন্ধে দিবে, ঘরদোর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে, এইরকম কাউরে দরকার। পলিটিক্যালি কারেক্ট না মনে হয়। হু কেয়ার্স!
হুয়ান রুলফো পড়তেছি, পেদ্রো পারামো। এইটা পড়তে বসলেই আমার কেবল দ্যা ওয়েইস্টল্যান্ডের কথা মনে আসে। সব শেষ, ঠিক এমনটা না, কিন্তু কিছু একটা আছে, কেমন জানি অনেক অনেক দীর্ঘশ্বাস, হাহাকার একসাথে শব্দের খাঁচায় আটকায়ে বই দুইটার মলাটের ভিতর রাখা। বন্দীরা বের হবার জন্য ছটফট করেনা, দিকভ্রান্তের মতন এদিক ওদিক হাতরায় শুধু, একটা স্মৃতিকাতর আর পরাবাস্তব ঘোরের মধ্যে। অদ্ভুত!
এইটা অনেকদিন আগে শুরু করলাম পড়া, কিন্তু সময়টা ইদানিং বই পড়ার অনুকূল না। দুইন্নার কাজ নিয়ে ছোটাছুটি করেই যাইতেছি। তবে আমি প্রতিজ্ঞা করলাম যে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই বই আমি খতম দিবো। যদি মনে থাকে, তাইলে এক সপ্তাহ পর এইখানে আইসা দেইখা যাবো এই প্রতিজ্ঞার গতিও আমার অন্য সমস্ত প্রতিজ্ঞার মতই হইলো কিনা, এবং আমার প্রতিজ্ঞা পালন সংক্রান্ত অত্যাশ্চর্য দক্ষতা বিষয়ে একটি গুরুগম্ভীর পোস্ট নাজিল করব। আমিন।
ওয়েলকাম ব্যাক। সমস্ত ছোটো ছোটো উইশ ও পড়াশুনা পূরণ হয়ে যাক এই সময়ে!
ভাল লাগল
আমিন।
অনেক দিনের পর
আপনেরে দেখে ভালো লাগলো।
প্রতিজ্ঞা তার চিরচেনা রাস্তা ধরছে .
মন্তব্য করুন