তারই কিছু রং নাও তুমি
আমার কয়েকটা Mode আছে। এগুলির একটার থেকে আরেকটা এতোটাই আলাদা, যে নিজেকে বেশি প্রকাশ করে ফেললে মনুষ্যসমাজ আমাকে ত্যাজ্য করে তাদের বানানো এসাইলামগুলিতে পাঠিয়ে দেবে। তাই চুপচাপ থাকি। কোনদিন কেউ যদি আমার ভিতরের খবর এতটুকুও আঁচ করতে পারে আমি উল্টোদিকে ঘুরে দৌঁড়! এভাবেই এতগুলি বছর এই পৃথিবী নামের তল্লাটে কাটিয়ে দিলাম।
কিন্তু ধামাচাপা খুব সহজ কাজ নহে। মাঝেমাঝেই দুয়েকটা অসতর্ক মূহুর্তে এমন সব কাজ করে ফেলি যে পরে বহুদিন একটা খচখচে অনুভূতি মনের মধ্যে বয়ে বেড়াতে হয়। কাল (নাকি পরশু), বহু বছর পর ইম্পালসিভ হয়ে একটা মেইল পাঠালাম একজনকে। পাঠিয়েই মনে হল ব্যাপারটা ঠিক হল না। অনেক আগে একজনকে মেইল করলেই অনেক অনেক বকা খেতে হতো, কারন তার পার্টনার দেখে ফেললে তার জীবনে অনেক সমস্যা হতে পারে। আমার জেদী, বিরক্ত, রাগী, ভিলেইন মোড তখন ব্যাপক একটিভ ছিল, তাই আমি ইচ্ছা করে আরো বেশি বেশি করে মেইল করতাম। সেই চ্যাপ্টার বহু আগেই খতম, কিন্তু কাল যাকে মেইল পাঠালাম তার বর্তমান কোনকিছুই জানিনা, হুট করে বোধহয় এখন কাউকে মেইল করা ঠিক না, কে জানে কার কখন কি ঝামেলা থাকে।
একসময় আমার জীবনের লক্ষ্য ছিল পৃথিবী আর তার প্রাণী আর অপ্রাণী জগৎকে একেবারে মিনিমাম পর্যায়ে বিরক্ত করে কোনমতে এখান থেকে টাটাবাইবাই নেয়া। মাঝে বেশ কয়েকবছর সেটা ভুলে অনেক ছোটাছুটি করা গেল, এখন আবার পুরোনো লক্ষ্য নিয়ে ভাবতে হবে।
সুমনের কনসার্ট চলছে আজ, কাল আর পরশু। খুবই দুঃখের বিষয় টিকেট পাইনি। অবশ্য জোগাড় করার চেষ্টাও করিনি চরম আলস্যের কারনে। সুমনের থেকে যদিও অঞ্জন বেশি প্রিয় আমার, তবুও আমার অলসতার কারনে কনসার্টটা দেখতে পেলাম না বলে একটু খারাপ লাগছে। একটু, বেশি না।
সিম্পল প্যাশন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে, ছোট্ট বই। নির্বিকারভাবে নিজের গভীরতম অনুভূতি বর্ননা করে যেতে আমি অনেক অনেক চেষ্টা করেছি সারাজীবন, কিন্তু এই বই পড়ে বুঝলাম যে নির্মোহ দৃষ্টিতে নিজের ভিতরের মোহকে দেখার যে প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি, সেটা কোনদিন আমার রপ্ত হবেনা। এতোটা অন্তরদৃষ্টি আমার নেই। আমার ভিতরে যা আছে, তা হলো নিজের অসংখ্য স্বাতন্ত্র আর সার্বভৌম সত্ত্বার সাথে নিরন্তর যুদ্ধ। ক্লান্ত হয়ে যাই, কিন্তু এ থেকে আমার মুক্তি নাই।
আপনার লেখা বেশি চেনা চেনা লাগতেছে, আপনি কে আগে এখানে অন্য কোন নামে লিখতেন?
দারুণ!
মন্তব্য করুন