ইউজার লগইন

আনোয়ার সাদী'এর ব্লগ

জার্সি

কেউ পরেছে ব্রাজিল টিমের হলুদ জার্সি, কারো বা আর্জেন্টিনার। আছে জার্মানির, স্পেনের , ডাচদেরও।
যদিও তাদের অনেকেই জানে না, এই রঙ্গিন জামাগুলো বিশ্বের মানুষের মনযোগে ছিল এতোদিন।

বেশ কয়েকজনের জার্সি গায়ের তূলনায় বড়, তাতে কী, নতুন পওয়া এই গেঞ্জি, তাদের ছোট জগতে অনেক বড় আনন্দের ঢেউ এনেছে।

কথা বলছিলাম কতগুলো পিচ্চিদের ড্রেস নিয়ে। ওরা পড়তে বসেছে পাণ্থকুঞ্জ নামে একটা পার্কে। পার্কটি পাঁচতারা হোটেল সোনারগাঁওয়ের কাছে। মানে উল্টোদিকে।
সেই স্কুলে বেঞ্চ নাই, স্কুল ড্রেসের বালাই নাই। মাটিতে মাদুর বিছিয়ে পড়ে তারা। অ-তে অজগরটি আসছে তেড়ে। আ -তে আমটি আমি খাব পেড়ে। ভালো কথা পেড়ে খাওয়া আমে ফর্মালিন থাকে না।

যাহোক,এটা আমার কল্পনা। বাস্তবে ওই ছেলে-মেয়েরা জর্সি গায়ে দেয়ার স্বপ্নও বোধ হয় দেখে না। ওরা ঘুমায় ফুটপাতে। ওদের ঘর পলিথিনে তৈরি। বিশ্বকাপ মানে কী. তা বুঝতেও তাদের অনেক সময় লাগবে।

সমর্থক সমাচার

ব্রাজিল টিমের ভক্তদের প্রাণের মনি নেইমার এবার চান বিশ্বকাপ জিতুক আর্জেন্টিনা। ব্রাজিল হেরে যাবার পর ল্যাটিন ফুটবলের পতাকা এখন আর্জেন্টিনার কাছেই।
আর্জেন্টিনার মেসি বার্সাতে তার সহকর্মী।এরইমধ্যে ডাক্তার পাঠিয়ে নেইমারের পাশে আছে ক্লাবটি। এরআগে হরমোনজনিত অসুখের চিকিৎসার ব্যয়বহন করে মেসিকে ফিট করে তোলে ক্লাবটি। বিনিময়ে মেসি সেই কিশোরবেলা থেকেই ক্লাবটির সঙ্গে।
আবার দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় মেসিকে পছন্দ করেন না আর্জেন্টিনার মানুষরা।এমনকী তারা মনে করেন মেসির ব্যক্তিত্ব নাই। মার্কিন সাংবাদিকরা এসব তথ্য দুনিয়ার মানুষদের জানিয়েছেন।

এসব কথা বলছি বাংলাদেশে ওই দুই দলের ভক্তদের কথা মাথায় রেখে। বিশেষ করে যারা অন্যদের হেয় করে মন্তব্য করেন বা হাসাহাসি করেন। তাদের আচরণ চর দখলের জন্য লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করার মতোই। গালাগালি, পচানো, হিংসা, হেয় করা এসব কোন বিচারে খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব হয় ?

বাজেট

বিবাহিতদের মধ্যে কৌতুকটির প্রচলন ব্যপক। সুখি দাম্পত্যের অন্যতম উপায়ও সেটি। বলি,

জগতের সব ছোটখাট বিষয়, এই যেমন কোথায় কত খরচ হবে, কাকে কত টাকা দিতে হবে এসব দেখবে ঘরের বউরা। মানে মেয়েরা।

জাগতের সব জটিল বিষয়, এই যেমন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে কী না, তা পানির জন্য হবে না তেলের জন্য হবে, তা ভাববে ঘরের কর্তা মানে ছেলেরা।

এভাবে দায়িত্ব বন্টন হলে আশা করার যায় সবার মুখে হাসি থাকবে। কৌতুক হোক, আর যা-ই হোক, টাকা-পয়সা ব্যবস্থাপনা, মানে কোথায় কত খরচ, কাকে কত দিতে হবে এসব বিষয়ে বাঙালি মেয়েদের জ্ঞান বেশ ভালো। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত মেয়েদের। তাদেরকে বাজেট করে সংসার চালাতে হয়। তারা বাজেট বুঝে সবচেয়ে বেশী।

এখনো মধ্যবিত্তের যে বউকে মাসের শেষে ধারকর্জের টাকায় চলতে হয়, তার চেয়ে বেশী ঘাটতি বাজেট কে মোকাবেলা করে?

ফর্মালিন

তোমার আমার ভালোবাসা থাকবে অনেক তাজা
ফুল দিয়েছি ভালোবাসায় ফর্মালিনে ভেজা

জি আজকের বিষয় ফর্মালিন।

সেদিন আজিমপুর গুরস্তানের জনৈক গোরখোদকের বরাত দিয়ে একজন সুশীল জানিয়েছেন, বছরের পর বছর এখন নাকি মরদেহ পচে না। ফর্মালিনের ভয় জীবন থাকতেও আছে,মরে গেলেও থাকছে।

ঢাকার কিছু বাজার ফর্মালিনমুক্ত ঘোষণা করেছিলো এফবিসিসিআই। দুয়েকটা বাজারে সোয়ালাখ টাকা দামের ফর্মালিন সনাক্তকরণ মেশিন এখন আর ব্যবহার করা হয় না। বাজার সমিতির কার্যালয়ে বন্দি সেসব মেশিন। কালের কণ্ঠ জানাচ্ছে দুটো বাজারে চিঠি দেয়া হয়ছে মেশিন ফেরত চেয়ে।

যাক, খাবার না পচলেও বিএনপি জানাচ্ছে পচে গেছে আওয়ামী লীগ। ফর্মালিন দিয়ে তাদের তাজা রাখার কোন পরিকল্পনা বিএনপির নাই। তারা অপেক্ষায় আছে, আওয়ামী লীগ আরেকটু পচুক।

আওয়ামী লীগের আবার মায়ার শরীর। তারা বিএনপিকে ভালোবাসে। তাই ফরমালিন দিয়ে বিএনপিকে তাজা রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

অগ্রন্থিত সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ

দুনিয়াজুড়ে প্রেমিকদের দল দুইটি। একদল তাজমহল দেখেছে, অন্যদল তা দেখেনি। প্রেমিকদের মধ্যে প্রচলিত এমন কথা আপনারাও নিশ্চয়ই শুনেছেন, প্রিয় পাঠক। ভ্রমণপিপাসুরাও এমন কথা বলেন। আবার, যারা এলিয়েন, ভিনগ্রহ নিয়ে পড়াশুনা করেন,তাদেরও দল দুটি। একদল দানিক্যান পড়েছেন, অন্যদল , যারা পড়েনি। আমার হিসাবে পাঠক মদারুর মতো। দুটি কারণে পড়ে। বৃষ্টি উদযাপন করতে, আবার বৃষ্টি আসেনি এই দু:খে। কিন্তু এ কথা বলতেই হয়, অসাম্প্রদায়িক পাঠকদের দল দুটি। একদল লালসালু পড়েছে অপর দল পড়েনি। পরীক্ষা পাসের জন্য হলেও আমাদের সমবয়সীদের লালসালু পড়তে হয়েছে। ফলে,সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ’র অগ্রন্থিত রচনা একটি লোভনীয় বই। কিন্তু প্রথমার বইটি যতটা ওয়ালীউল্লাহর অগ্রন্থিত রচনা হয়েছে, তারচেয়ে বেশী অগ্রন্থিত সাজ্জাদ শরিফ,অগ্রন্থিত শহীদুল জহির এবং অগ্রন্থিত শিবব্রত বর্মন হয়েছে। কেন? বলছি। তার আগে অনুবাদ বিষয়ে বলি।

বাংলা নববর্ষ বরণ

পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে নানা জনের নানা কথা পড়েছি। সবগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পড়ে, মনে হলো আমিও কিছু বলি। সে সব খুবই সাধারণ কিছু কথা এখানে বলতে চাই।

পোশাক প্রসঙ্গে শুরু করি। আমাদের গ্রামের মানুষদের প্রধান পোশাক লুঙ্গি। মেয়েদের শাড়ি। অবশ্য প্যান্ট, টি-শার্ট গ্রামের পথ চিনেনি, ভাবলে ভুল হবে। সালোয়ার কামিজ ও স্কার্ট সম্পর্কে গ্রামের মানুষ অবগত নয়, তা ভাবা ঠিক নয়। শিক্ষা, টেলিভিশনসহ নানা যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে, এখন আর প্রাচিন কালের গ্রামের মতো গ্রাম খুঁজে পাওয়া মুশকিল। গ্রাম রূপান্তরিত হয়েছে মফস্বলে, মফস্বল শহরে। আচরণে, চিন্তায়।গ্রামের মানুষ সুযোগ সুবিধা পাক, তা আমি চাই। ভালো কথা,শহরের মানুষের অনেকরই ঘরের আরামদায়ক পোশাকের নাম, লুঙ্গি।

মানুষ এগিয়ে যাক ভালোবাসায়

আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাংলা সন তারিখের ব্যবহার খুব একটা নেই। অথচ, সম্রাট আকবর এই সন গণণা শুরু করেছিলেন, রাজস্ব আদায় মাথায় রেখে।কবে কৃষকের হাতে টাকা পয়সা আসবে তার হিসাব বাংলা ক্যালেন্ডারে ভালোই আছে। তাহলে, বাংলা সন গণনা কত দিন টিকে থাকবে? থাকবে ভাষার সমান বয়সে মানে বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে ততদিন। কৃষকের সঙ্গে এখন আর এর সম্পর্ক নেই। এর কারণ একটু ভিন্ন।

কিছু অর্জন আমাদের উৎসব। যেমন বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, মানুষের চেতনা থেকে এগুলো উদযাপিত হয়। উদযাপনের নানা আনুষ্ঠানিকতা আছে।

কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান আমাদের উৎসব। যেমন, ঈদ, দূর্গাপূজা,বড়দিন,বৌদ্ধ পূর্ণিমা। সার্বজনীণ দূর্গাপূজার সময় অসাম্প্রদায়িক মুসলিমরা বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আবার ঈদে অসাম্প্রদাযিক হিন্দু বলতে পারেন একই কথা , ধর্ম যার যার উৎসব সবার। উদযাপনের আছে বেশ কিছু নিয়ম।

গোলাপে তার নাম

আনোয়ার সাদী

এমন একটা দুপুর কত দিন পরে এলো। সাত নয়, আট নয় কিংবা নয় নয়, পুরো দশ বছর পর। চারদিকে রোদ অথচ তার আঁচ লাগছে না গায়ে। মনে হয় মখমলের মতো কোমল তাপ চামড়া ছুঁয়ে নেমে যাচ্ছে নিচে। মগডালে হালকা নড়ছে গাছের পাতারা। তার কোনো প্রভাব নেই নিচে। বাতাস তবে গেল কই? কলোনির শেষ মাথায়ও বাতাস নেই। অনেকটা দূরের খোলা প্রান্তরে কেবল রোদ আর কেমন যেন ঝিমুনি আসা নির্জনতা, একটা ঘুম ঘুম ভাব এনে দেয়। চোখের পাতা মেলে রাখা কষ্টের।

চা খাবি?

পায়ের ধুলো নেই-১২

ওটা কি বল? নাতো ওটা দেখি শক্ত। বা রে, গায়ে আবার প্যাঁচানো আছে ট্যাপ। লাল রঙের। এই ট্যাপ দিয়েই টেনিস বলকে ট্যাপ-টেনিস বানানো যাবে। দারুণ আনন্দ হয় ছেলেটির। সে আনন্দ বিজয়ের। টেনিস বল একটা থাকলেও তাকে ট্যাপ -টেনিস বানানোর শখ পূরণ করা যাচ্ছিল না কোনভাবেই। হাসিতে উজ্জল হয় দিন।
অবশ্য দিনটা একটু অন্যরকম। গাড়ির প্যা পো খুব একটা নেই। মাঠেও জমছে না খেলা। অনেক মানুষ নেই বলে মাঠটিকে লাগছে বেশ বড়। এটা ছেলেটির কাছে এক বিস্ময়। মানুষ কম থাকলে মাঠ কেন বড় হয়ে যায়! আবার কেউতো মাঠের কোন অংশ বাড়ি নিয়ে যায় না।তাহলে বেশি মানুষ হলে মাঠ কেন ছোট লাগে! যাহোক, শক্ত কৌটাটা আপাতত বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাক।
লাল রঙ দেখে ছোট বোনটা ঘুর ঘুর করে ভাইয়ের পাশে।সে পড়ে টু-তে।তোমার হাতে ওইটা কী ভাই?
কী জানি। এইটা থেকে ট্যাপ এনে টেনিস বলে লাগাবো। ট্যাপ টেনিস হবে।
আমারে খেলতে দিবা।
দিমুনে। বাবা কাজে গেলে আসিস।
বাবা কাজে যায়।মা রান্নায় ব্যস্ত হয়। ঘরের দরজা বন্ধ করে ভাইয়ের কাছে আসে মেয়েটি।সে টু-তে পড়ে। জানালা দিয়ে আসা রোদ ঘরকে যথেষ্ট আলোকিত রাখে।
কই ভাই, ট্যাপ-টেনিস বল বানানো শেষ?

পায়ের ধুলো নেই-১১

স্যার ফুল নিবেন? তাজা গোলাপ ফুল। মাত্র বিশ টাকা।
দুই তোড়া ফুলসহ নিজের মাথা গাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে জানতে চায় মেয়েটি। বয়স কত হবে ? বিশ বা বাইশ। কোলে শিশু। শিশুটি মাথায় ছোট ছোট চুল তেল দিয়ে ল্যাপ্টানো। মেয়েটির চুল বেণী করা। সেই বেণী ঝুলিয়ে দেয়া আছে মাথার দুদিকে। একদিকের বেণী আঁকড়ে আছে শিশুটি।
গাড়ি মানে বাংলাভিশনের গাড়ি। আট ঘণ্টা ডিউটির ক্লান্তি দূর করতে মিশে আছি সিটের সঙ্গে। মেয়েটির বয়স বেশি বলে কৌতুহল একটু কম। আট দশ বছরের কেউ বা কোন কিশোর বা কিশোরী ফুল বেচতে এলে তার কৌতুহলের কমতি থাকে না। প্রথমে তারা জানতে চায় ফুল কিনবো কি না? তারপর উঁকিঝুঁকি দেয় নায়ক-নায়িকা দেখার আগ্রহ থেকে। তাদের কাউকে দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়। তারপর দুয়েকটা মন্তব্য করে কেটে পড়ে। তাদের খাতায় বাকী দেয়া বলে কিছু থাকে না। পনের টাকা দাম চাইলে দশ টাকায় কেনা যায়। সে অভিজ্ঞতা এখন আর মিলছে না। মেয়েটার কৌতূহল কম কিংবা সন্ধ্যার অন্ধকারে বুঝতে পারে না এটা টিভির গাড়ি।
নিবেন? তাজা আছে।

পায়ের ধুলো নেই-১০

হৃমায়ূন আহমেদ: যে ছিল এক মুগ্ধকর। এটি স্থপতি শাকুর মজিদের বই। হুমায়ূন আহমেদকে যেভাবে দেখছেন তার বর্ণনা। আমার ভালো লেগেছে। বইটি পড়া শেষ হতে না হতে হাতে নেই হুমাযূন আহমেদ স্মারকগ্রন্থ।পড়ি আর আমার একটা ধারণা গলে গলে মন থেকে বেরিয়ে যায়। আমার মনের গভীরে একটা হাহাকার তৈরি হয়। একটা ভাবনাকে আঁকড়ে থেকে আমি দুর্দান্ত কিছু স্মৃতি তৈরি থেকে বঞ্চিত থেকেছি। বঞ্চনার কথা বলার আগে ধারণার কথা বলি। আমি মনে করতাম লেখকের সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক ব্যক্তিগত নয়। ব্যক্তি মানুষটার কাছাকাছি যাওয়ার কোন মানে নেই। লেখক অনেক দিন বেঁচে থাকুন এই কামনা করি তাঁর অনেক লেখা পড়ার আ্গ্রহ থেকে। কিন্তু বই দুটি পড়ে মনে হলো হুমায়ূন আহমেদের কাছাকাছি হলে জ্ঞানের রাজ্যে আরো সাবলীল হতে পারতাম।

মাথায় গল্প নিয়ে ঘুরছি...

নীরব রাত। পাতা ঝরার শব্দ পাওয়া যায়। এমনকী নিজের শ্বাসের শব্দে চমকে উঠার পরিবেশে দূর থেকে ভেসে আসে বাঁশির শব্দ। কার এমন মন কেমন লাগা সুর ! জানার উপায় নেই। জানালায় চোখ রাখি। বালিচর। দূরে পানি। ওটা মেঘনা। তারওপর জ্যোন্সার নাচ..
মাথায় ঘুরছে বিকেল থেকে। ছুটির দিনে একটু ঘুম সুখ বিসর্জন দিয়ে ভেবেছিলাম গল্পের চরিত্রের সঙ্গে যাই, সেই আলো প্লাবিত মেঘনার চরে।
যাওয়া হচ্ছে না।
মাথায় ঘুরছে একটা গল্প।
ত নিয়ে বসে আছি।
শব্দে অনুবাদ হবার আগে নিজেই পড়ে নিচ্ছি গল্পটা। বর্ণমালাহীন এ ভাষার নাম কী?

ভাল বই মন্দ বই

অমর একুশে বইমেলা শেষ হয়ে আসছে।বিকেল হলেই এই শহরের ব্যস্ততা উপেক্ষা করে কোথাও যাবার জন্যে মন উদগ্রিব হবে না আর।।এক বছর মেয়াদী একটা অপেক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি।
পাঠক লেখক ও প্রকাশকের এই মিলন মেলা শুধু আড্ডা বা বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়।জাতির মানসিকতা গঠনেও এর অবদান অনেক।দেশের পাঠ্য বই বহির্ভূত ৯৫শতাংশ বই এই মেলা কেন্দ্র করে প্রকাশিত হয়।ফলে, গত এক বছরে দেশের গুনীদের ভাবনার সম্মিলন হয় মেলায়। বাংলা একাডেমীর হিসাব মতে,এবারে বই আসার কথা প্রায় চার হাজারের মত। অনেকেই বলা শুরু করেছেন এরমধ্যে মানসম্পন্ন বইয়ের সংখ্যা হাতে গোনা। মানে জাতীয় জীবনের নানা তর্কের মত বইমেলা নিয়েও বেশ কিছু বিতর্ক এখন মেলার মৌসুমে আছে।