গোলাপে তার নাম
আনোয়ার সাদী
এমন একটা দুপুর কত দিন পরে এলো। সাত নয়, আট নয় কিংবা নয় নয়, পুরো দশ বছর পর। চারদিকে রোদ অথচ তার আঁচ লাগছে না গায়ে। মনে হয় মখমলের মতো কোমল তাপ চামড়া ছুঁয়ে নেমে যাচ্ছে নিচে। মগডালে হালকা নড়ছে গাছের পাতারা। তার কোনো প্রভাব নেই নিচে। বাতাস তবে গেল কই? কলোনির শেষ মাথায়ও বাতাস নেই। অনেকটা দূরের খোলা প্রান্তরে কেবল রোদ আর কেমন যেন ঝিমুনি আসা নির্জনতা, একটা ঘুম ঘুম ভাব এনে দেয়। চোখের পাতা মেলে রাখা কষ্টের।
চা খাবি?
রফিকের প্রস্তাব ভালো লাগে। ঠিক সময়ে ঠিক বিষয়টি বুঝতে তার জুড়ি নেই। অথচ চাকরিটা করল না সময়মতো। বিয়ে করেছে কি না, জানা নেই। সুযোগ পাচ্ছি না জানার। জানি, রফিক আশা করত, তার একটি ছেলে হবে। সেও হবে বাবার মতো, সৃজনশীল। শহরে যাকে বলে ক্রিয়েটিভ। ক্রিয়েটিভ মানুষদের তাই ধরাবাঁধা চাকরি করতে নেই। এ প্রসঙ্গে সুমনের গান প্রিয় উদাহরণ রফিকের। ‘দুই হাতের আঙুলগুলোও কিনতে পারো।’ চাকরি আপসে অলক্ষ্যে কিনে নেয় মানুষের মাথা। মানুষ আর মানুষ থাকে না। সে হয় মেশিন। সে জন্য চাকরি করে না রফিক। কিন্তু আমি ক্রিয়েটিভ না। আমি সংসারি। মিডিওকার। আর আমার নামও সাধারণ। হাসান মিয়া। আমাকে কেউ হাসান ডাকে না। ডাকে মিয়া। ক্লাস টেনে পড়ার সময় এই নামে একটা কৌতুকের ক্যাসেট বাজারে বের হয়েছিল। তার নাম ছিল প্রেমে মিয়া খাইলো ধরা। তখন কিছুদিন আমার নাম ছিল ধরা হাসান। নাম বদলেছে কিন্তু গুণ বদলায়নি। আমি ধরা খেয়ে খেয়ে জীবন পার করছি। ধরা মানে বঞ্চিত হওয়া। মানে ভাগ্যের ওপর আমার কোনো হাত নেই আরকি। অন্যরা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার ক্ষতি করে দেয়। আমি তাতে কিছু মনে করি না।
চল, চা পান করি।
খাওয়া আর পানের মধ্যে পার্থক্য কী? প্রশ্ন রফিকের।
খেতে হয় চাবিয়ে আর পান করতে হয় গিলে, আমার স্মার্ট জবাব।
চাকরি করে করে তোর দেখি অভ্যাসই বদলে গেছে। সবকিছুতে সিরিয়াস ব্যাখ্যা দিতে হয়। হাসি মানানসই রফিকের মুখে। রফিক শিল্পী। সে আঁকে। তার ছবি ভালো দামে বিক্রি হয়। বছরে দুবার ছবি বিক্রি করে। বাকি সময় আঁকে আর ঘুরে বেড়ায়। তার ইচ্ছে, ছেলে জন্মালে সেও ঘুরে বেড়াবে। দেশ দেখবে, বিদেশ দেখবে, মানুষ দেখবে, জীবন দেখবে, জীবন বুঝবে, মানুষ বুঝবে। একটা জীবনে এর চেয়ে বেশি আর কী দরকার?
আমি তার সঙ্গে একমত নই। মানুষ বুঝতে হলে থাকতে হবে নিয়মের ভেতর। সমাজের ভেতর। সমাজ ভেঙে দেওয়ায় আনন্দ নেই।
রফিক মনে করে, না ভাঙতে পারলে আনন্দ নেই। না ভাঙলে নতুন করে গড়া যায় না। রফিক বিপ্লবী, আমি অতোটা না। আমি বায়িং হাউজে ম্যানেজারি করি। আমার মতে, টাকা সমাজ বদলায়। মানি টকস এভরিহোয়্যার।
মামা চা, আদাযুক্ত, চিনি বর্জিত, লংযুক্ত ঘন লিকার বর্জিত।
বহেন মামা।
বোঝা গেল, এই দোকানে রফিকের আনাগোনা নিয়মিত। বেঞ্চিতে পদ্মাসন করল সে। এই ভঙ্গি খুব পরিচিত আমার। বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোতে এভাবেই দোকানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সে বসে থাকত। ব্যাগ থেকে বের হতো বাঁশি। তাতে সুর উঠত। অধিকাংশ সময় রবীন্দ্রনাথ। রফিকের কাছেই আমার বাঁশিতে হাতেখড়ি হয়েছিল। মাস্টার্সে উঠে আমিও দারুণ বাজাতাম। কিন্ত গত নয় বছরে, নাহ্্ এক লাইনও না। সা রে গা মার চেয়ে আমার আঙুল এখন বেশি পারদর্শী সার্টিন আর রিঅ্যাকটিভ কাপড় চেনায়।
তুই কি বাঁশিটা ধরে রেখেছিস? আমি কৌতূহলী হই।
নিশ্চয়ই শোনাতে অনুরোধ করবি না।
অনুরোধ করব বলেই তো প্রসঙ্গ টানলাম।
তাহলে শোন। মমতাজ বাজাই।
না।
তাহলে?
রবীন্দ্রনাথ বাজা। মায়াবন বিহারিণী।
তুই নে, বাজা।
আমি বাজাতে পারি না রফিক। আমি গত দশ বছরে এমন ঝিম ঝিম ভালো লাগা দুপুর পাইনি। একেবারে অলস দুপুর আমার জীবনে আসেনি আর। দুপুরটা আমাকে অনুভব করতে দে। তোর বাঁশির সঙ্গে যদি গেঁথে থাকে একটা দুপুর, মন্দ কী?
অথচ, দুপুর দেখার জন্য অনেক দূর চলে যেতি তুই। বাসের ছাদে চেপে। অনেক দিন কুমিল্লা গেছিস। বসতি বাসের জানালার পাশে। ডান গাল কালো হয়ে থাকত তোর। আমরা তোর নাম দিয়েছিলাম ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট হাসান। ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট হাসান না, তোরা আমার নাম দিয়েছিলি সাদা-কালো মিয়া। মিয়া উচ্চারণ অনেকটা বেড়ালের ডাক মিয়াও হয়ে যেত।
রফিক আমাকে একটানে অতীতে নিয়ে যায়। দুপুর নিয়ে আমার অনেক আদিখ্যেতা ছিল। হলের ছেলেরা ক্লাস থেকে ফিরে দুপুরে ঘুমাত, বিকেলে ছাত্রী হলে যাবে বলে। আমরা অবশ্য ছাত্রী হল বলতাম না। বলতাম লেডিস হল। তাতে মেয়েগুলোকে আরও মায়াবি মনে হতো। যা হোক, দুপুর আমার প্রিয়। গাছেরা এ সময় বেশ নীরব থাকে, প্রচুর অক্সিজেন উৎপাদন করে বলেই হয়তো। শুধু ঝিনুকই নীরবে মুক্তা ফলায় না। সেই গাছের আকর্ষণে চারুকলায় গিয়ে বসতাম বেঞ্চিতে। সেখানেই রফিকের সঙ্গে আমার পরিচয়।
শুধু দুপুর তোকে টেনে আনত চারুকলায়, তা আমরা বিশ্বাস করতাম না হাসান। রফিক অতীতের আরেকটি অধ্যায় সামনে আনল।
সেটা আমি জানি, মানে জানতাম। কিন্তু লোপা সব সময় আমার বন্ধুই ছিল। সে কখনো অন্য কিছু ছিল না।
সেটা আমরা জানতাম না। তার স্কেচগুলো আছে তোর কাছে?
না, নেই।
রাখতে পারতি।
রেখেছিলাম। অনেক বছর। বছর পাঁচেক ছিল। পরে বাসাবদল, ঠিকানাবদল, বিয়েÑ সব মিলিয়ে আর রাখতে পারিনি।
রফিক বলে, লোপার হাত বেশ ভালো ছিল। বিশেষ করে ওয়াটার কালারে। চোখ এমনভাবে আঁকত! মনে হতো প্রাণ আছে। ওই চোখের দিকে তাকানো যেত না।
ও আমার কোনো জলরং করেনি। সব স্কেচ। সেখানেও চোখ ছিল জীবন্ত। মনে হতো নড়ছে। অদ্ভুত।
হ্যাঁ, তোকে দেখত আর পেন্সিলের ঝড় তুলত। অস্থির ছিল মেয়েটা। তোর সঙ্গে তাহলে প্রেম ছিল না। ওর কি কোনো প্রেম ছিল?
প্রেম ছিল একটা। সে কথা অনেক পরে জেনেছি। লোপা ছিল চাপা স্বভাবের। সব কাজ নীরবে করত। কিছুই চোখে পড়ত না। শুধু অস্থিরতা চোখে পড়ত। সে যে আমার স্কেচ করত তা-ই জানতাম না। একদিন কিছু টোকাই চলে এলো বকুলতলায়। এটা-সেটা কুড়াতে কিংবা আমার মতোই ঘুরতে। সংখ্যায় ওরা চার-পাঁচজন হবে। তাদের একজন এসে আমার চেহারা দেখে আবার দৌড়ে লোপার কাছে যায়। বুঝলি রফিক, আমি তার মাথামু- কিছুই বুঝলাম না। টোকাই যায় আর হাসে। হাসে আর হাসে। ধমক দিতেই বলল, আফায় কী সুন্দর আপনেরে আঁকছে। দেহেন। উঠে গিয়ে আমি তো তাজ্জব। লোপার ক্যানভাসজুড়ে আমার ছবি। এরপর আর এই মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করে থাকা যায়? তার পর কত ছবিই তো আঁকল। ভেবেছিলাম, একটু বোধ হয় দুর্বলতা আছে। কিন্তু তা নয়, ওর প্রেমটা ছিল চট্টগ্রামের এক ছেলের সঙ্গে। ছেলেটির বাবা সরকারি চাকরির সুবাদে বেশ কিছুদিন ছিল লোপাদের গ্রামের বাড়ি। ভৈরব বা নরসিংদী বা কিশোরগঞ্জ কোনো একটা থানায়। তখনই সম্পর্ক।
ছোটবেলার ভালো লাগা টাইপের একটা কিছু সম্ভবত, রফিক বলে।
তা না। আমার জবাবে কৌতূহল বাড়ে রফিকের।
সম্পর্ক অনেক সিরিয়াস ছিল। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি। আমাকেই পছন্দ করে এমন একটা ভুল ধারণাও কাজ করতে শুরু করেছিল। করবে না কেন? সকালে গিয়ে হাজির হতো আমার হলে। একসঙ্গে নাশতা। বিকেলেও আমার সঙ্গে। অথচ, এক দ- বসত না কোথাও। কেবল হাঁটা। টিএসসি থেকে পুরান ঢাকা। আহসান মঞ্জিল থেকে মোহাম্মদপুর। আমার পায়ে একটা ব্যথা ছিল, মা বলতেন বাতের ব্যথা, সেটা সেই কয় মাসের হাঁটায় ভালো হয়ে যায় জানিস। ওটাই লোপার কাছে আমার একমাত্র পাওয়া রে।
তাহলে তার এত অস্থিরতা কেন ছিল? শারীরিক?
না, তা নয়।
তবে?
অস্থিরতার কারণ অপেক্ষা। যে ছেলেটাকে সে ভালোবাসত, তার জন্য অপেক্ষা। সব সময় ভাবত এই বুঝি আসবে। এই বুঝি এলো। এই বুঝি দেখা হয়ে গেল, এমন ভাব কাজ করত তার মনে। উচাটন থাকত।
ছেলেটা কি যখন-তখন চট্টগ্রাম থেকে চলে আসত? জানতে চায় রফিক।
সেটা আমি জানি না। তবে, লোপা চাইত ছেলেটা আসুক। লোপা প্রবলভাবেই কামনা করত তা। সে জন্য তার মন সব সময় ছেলেটাকে দেখার জন্য প্রস্তুত থাকত। সেই প্রস্তুতি তাকে সব সময় অস্থির করে রাখত। বন্ধুদের কেউ কেউ ভাবত, মেয়েটা প্রেমের জন্য অস্থির হয়ে থাকে। ওই বয়সে আমারা শরীরের ভাষার কত ভুল অনুবাদই না করেছি। আমি একদিন জানতে চেয়েছিলাম লোপার কাছে, সে কেন মাঝে মাঝেই চমকে ওঠে?
কী বলেছিল? জানতে চায় রফিক।
বলেছিল, সে আচমকা রাস্তায় হাসানকে দেখে। হাসান মানে আমি না। সেই চট্টগ্রামের ছেলেটার নামও হাসান। কোন কোন ছেলেকে তার হাসান মনে হয়। তারপর ভালো করে খেয়াল করে দেখে, সে হাসান নয়। অন্য কেউ। অনেক পরে বুঝেছি, সেই ছেলেটাকে বারবার দেখতে চায় বলে তার মাথা তাকে দেখার ব্যবস্থা করে। পরে লোপাকে আর পাইনি আমরা।
হ্যাঁ, অনার্স শেষ করার আগে চলে যায় সে। জানায় রফিক।
তার কোনো খোঁজ পাইনি আর। তবে চট্টগ্রামের হাসানের সঙ্গে একবার দেখা হয়েছিল। তখন জেনেছি, বিয়ে হয়ে গেছে লোপার।
বিয়ে?
হ্যাঁ, ছেলেটা তাই বলেছিল। কাকে যেন বিয়ে করে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যায়। তার সঙ্গে যোগাযোগও করেনি।
তাই?
সে কথাই তো বলল। নিজেদের প্রেমের অনেক স্মৃতিচারণাও করেছিল। সেই কাহিনি অনেক রোমাঞ্চকর। শহরে এমন প্রেম সম্ভব না। সম্ভব মফস্বলে।
দু-একটা ঘটনা বল তো।
সকালে বকুল ফুল কুড়াতে যেত লোপা। যেতে হতো হাসানদের বাড়ির সামনের পথে। সেখানে একটা গোলাপ ঝাড় ছিল। অবহেলায় জন্ম, অনেক ফুল হতো, তাই তার নাম ছিল গোলাপ ঝাড়। ঝাড় হলে হবে কী, ফুলের পাপড়ি ছিল বেশ বড়। তো, বকুল নিয়ে ফেরার পথে প্রতিদিন একটি করে গোলাপ তুলে নিত লোপা। প্রথমে হাতে রাখত, তারপর ফুলদানিতে, তারপর বইয়ের ভেতর। একদিন গোলাপের পাপড়িতে অন্য রং দেখে বেশ খুশিই নাকি হয়েছিল লোপা। ধর, লালের ওপর কালো রং। খেয়াল করে দেখল, ওতে লেখা আছে ভালোবাসি, ভালোবাসি আর একটি নাম। লোপা। মুগ্ধ হয় মেয়েটি। বুঝতে পারে, কেউ একজন মজেছে তার প্রেমে। কিন্তু সে কে, তা বুঝতে পারেনি। অথচ তার মন চাইত লোকটাকে জানতে।
এভাবে পার হয় সাত দিন। দশ দিনের মাথায় লোপার সঙ্গে আরও একটা নাম দেখা গেল। সেটা হাসান। হাসান মানে সেই মফস্বলের ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন। সেই হাসান মানে বন্যায় স্যালাইন বানানোর উদ্যোক্তা। মফস্বলে এই টাইপের ছেলে মেয়েদের ভালো হিসেবে বেশ নামডাক থাকে। ফলে, প্রথম প্রেমটা ওখানেই।
কিশোরী প্রেম। চল, তোকে আমার বাসায় নিয়ে যাই। তোর জন্য কিছু সারপ্রাইজ আছে। আমার হাত ধরে টান দেয় রফিক। দশ বছর পর দেখা, দেখে আসি ঘরসংসার কিছু হলো কি না। নাকি পুরো ঘরজুড়ে ছবি আর রঙের ঘর বসতি হলো।
বিয়ের বিষয়টা বুঝলাম না, লোপা বিয়ে করে বিদেশে যাবে কেন? শুনেছি, ওর বড় বোন অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। ওখানে গিয়ে কিছুদিন থাকা তেমন জটিল কিছু না। এমনটাই জেনেছি।
পুরোনো প্রেমিকার নিন্দা করতে ছেলেরা বেশ পছন্দ করে দেখছি। তবে, সে অনেক মজার মজার ঘটনা বলেছে। কাশবনে ঘুরতে যাওয়া। অমাবস্যার রাতে জোনাকি ধরে সাদা বোতলে ধরে রাখা। এসব যা হয় আরকি।
এটাই আমার ফ্ল্যাট। দাঁড়া, কলবেল চাপি। রফিক বলে।
আরেকটা কথা বলেছিল ছেলেটি।
কী কথা? জানতে চায় রফিক।
ওরা একটা ভুল করেছিল।
ভুল মানে?
মানে, লোপা নাকি কনসিভ করেছিল, সেই ক্লাস টেনেই। ভুল তো হতেই পারে। ওরা সেই ভুলটা করেছিল। তা মেনে নিতে পারেনি লোপার বাবা, মা কিংবা হাসানের অভিভাবকেরা। ওরা বদলি হয়ে ভুল শুধরে নেয়। হাসানকে তেমন কষ্ট করতে হয়নি। কিন্তু লোপাকে সমর্পিত হতে হয় সার্জনের ছুরির নিচে। তেমন বড় ঘটনা না। কিন্তু তার পর থেকেই নাকি অস্থির থাকে লোপাÑ ছেলেটা বলেছিল।
আমি বিশ্বাস করি না। নাক ফুলিয়ে বলে রফিক। তার ক্রুদ্ধ চোখের সামনে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে যায়। নীল পাড়ের হালকা গোলাপি কাজ করা শাড়ির আঁচল সামলাতে সামলাতে সামনে আসে মেয়েটি। লোপা।
তুমি এখানে? আমি অবাক হয়ে জানতে চাই।
অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরেই তো রফিককে বিয়ে করি। জানায় লোপা। তোমাকে দাওয়াত দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু কোনো খোঁজ পেলাম না। ওকে কোথায় পেলে রফিক?
রফিক অস্ফুটে কী বলে, তা আমি বুঝতে পারি না। আমার দুই কানে অযাচিত গরম লাগে। বাইরে সুনসান নীরবতা। গাছের পাতা নড়ারও শব্দ হয়। এমন দুপুর গত দশ বছরে আসেনি আর।
ভালো লাগলো!
এরকমও হয় নাকি ভাই? গল্পটা কিন্তু দারুণ হয়েছে!
মন্তব্য করুন