মানুষ এগিয়ে যাক ভালোবাসায়
আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাংলা সন তারিখের ব্যবহার খুব একটা নেই। অথচ, সম্রাট আকবর এই সন গণণা শুরু করেছিলেন, রাজস্ব আদায় মাথায় রেখে।কবে কৃষকের হাতে টাকা পয়সা আসবে তার হিসাব বাংলা ক্যালেন্ডারে ভালোই আছে। তাহলে, বাংলা সন গণনা কত দিন টিকে থাকবে? থাকবে ভাষার সমান বয়সে মানে বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে ততদিন। কৃষকের সঙ্গে এখন আর এর সম্পর্ক নেই। এর কারণ একটু ভিন্ন।
কিছু অর্জন আমাদের উৎসব। যেমন বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, মানুষের চেতনা থেকে এগুলো উদযাপিত হয়। উদযাপনের নানা আনুষ্ঠানিকতা আছে।
কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান আমাদের উৎসব। যেমন, ঈদ, দূর্গাপূজা,বড়দিন,বৌদ্ধ পূর্ণিমা। সার্বজনীণ দূর্গাপূজার সময় অসাম্প্রদায়িক মুসলিমরা বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আবার ঈদে অসাম্প্রদাযিক হিন্দু বলতে পারেন একই কথা , ধর্ম যার যার উৎসব সবার। উদযাপনের আছে বেশ কিছু নিয়ম।
পয়লা বৈশাখ উদযাপনের নিয়ম কী? এদিন গ্রামে গ্রামে যে মেলা হয়, সেখানে অংশগ্রহণ সবার। শহরের পথে নামে সবাই। গ্রাম আসে শহরে।শহর যায় গ্রামে। এর ভেতর দিয়ে কোটি কোটি টাকার অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ হয়। ফলে, এক সময় বাংলা সনের ব্যবহার নাই হয়ে গেলেও শুধু পয়লা বৈশাখ উদযাপনের কারণে এই ক্যালেন্ডার টিকে থাকবে।
পান্তা ইলিশ যদি এই উৎসব উদযাপনের অন্যতম অনুসঙ্গ হয় মন্দ কী? পান্তা আমার খেতে ভালোই লাগে। শরীর ঠাণ্ডা থাকে। কৃষক সকালে পান্তা খেয়ে অনেক সময় ধরে রোদে কাজ করতে পারে। একটা তৃণমূলের অভ্যাস যদি উৎসবের অংশ হয়, মানে গ্রাম আসে শহরে ক্ষতি কী?
ইলিশ পান্তা টিকে থাকুক। মানুষ এগিয়ে যাক নিবিড় ভালোবাসায়।
সবাইকে শুভ নববর্ষ।
শুভেচ্ছা আপনাকেও!
অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন