বাজেট
বিবাহিতদের মধ্যে কৌতুকটির প্রচলন ব্যপক। সুখি দাম্পত্যের অন্যতম উপায়ও সেটি। বলি,
জগতের সব ছোটখাট বিষয়, এই যেমন কোথায় কত খরচ হবে, কাকে কত টাকা দিতে হবে এসব দেখবে ঘরের বউরা। মানে মেয়েরা।
জাগতের সব জটিল বিষয়, এই যেমন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে কী না, তা পানির জন্য হবে না তেলের জন্য হবে, তা ভাববে ঘরের কর্তা মানে ছেলেরা।
এভাবে দায়িত্ব বন্টন হলে আশা করার যায় সবার মুখে হাসি থাকবে। কৌতুক হোক, আর যা-ই হোক, টাকা-পয়সা ব্যবস্থাপনা, মানে কোথায় কত খরচ, কাকে কত দিতে হবে এসব বিষয়ে বাঙালি মেয়েদের জ্ঞান বেশ ভালো। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত মেয়েদের। তাদেরকে বাজেট করে সংসার চালাতে হয়। তারা বাজেট বুঝে সবচেয়ে বেশী।
এখনো মধ্যবিত্তের যে বউকে মাসের শেষে ধারকর্জের টাকায় চলতে হয়, তার চেয়ে বেশী ঘাটতি বাজেট কে মোকাবেলা করে?
স্বামীর টাকা আভ্যন্তরীণ উৎস, মুরগিটা, লাউটা বিক্রির টাকা যায় কোথায়? ছেলের পছন্দ, মেয়েকে লিপস্টিকের টাকা গোপনে দেয় মধ্যবিত্তের মা-ই, বাবারা তো নানা কাজে ব্যস্ত থাকে।
এত কিছুর পরও ঘরের বাজেটে পারদর্শীরা আলোচনায় নেই। তাই জাতীয় বাজেট নিয়ে আমিও কিছু বলি।
বাজেট জনতুষ্টিমূলক, উচ্চাভিলাষি, এসব বাক্যের আসলে অর্থ নাই। সরকার জনগণের ভোটে গঠিত হয়। কাজেই ছলে-বলে-কৌশলে-আদরে-সোহাগে জনগণের মন জয় করাই তার কাজ।
বিরোধীদলও জনগণের মন চায়। সে লক্ষ্যে সেও কাজ করে।
বেকারদের জন্য চাকরীর ব্যবস্থা করতে বাজেটে কি আছে? তার বাস্তবায়ণ হয়েছে কতটুকু। মানুষকে ভালো রাখতে কী ব্যবস্থা বাজেটে। সুনির্দিষ্ট তা-ই আমাদের জানাক এবার বিশেষজ্ঞরা। চাইছি।
বাজেট ব্যবসা বান্ধব হতে পারে। এ জন্য থোক বরাদ্দ বা পলিসি সহায়তাও দেয়া হয়। এই যেমন এখন শুন্যশূল্ক মানে ট্যাক্সছাড়া অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র বিদেশ থেকে আনতে চান তৈরি পোষাক রপ্তানিকারকরা। এমন আরো অনেক কিছু আছে।
যাহোক, জটিল কথায় যেতে চাই না। কুইজ দেই।
বলেনতো দেখি, গণমাধ্যমের বাইরে বাজেট শব্দটা সবচেয়ে বেশী উচ্চারিত হয় কোথায়?
কোথায়?
গাউসিয়া-নিউমার্কেট-চাঁদনিচকে।
ভাই আমার বাজেট নাই। দাম কমান।
আপা বলেন আপনার বাজেট কতো?
আর উচ্চারিত হয় মাছের বাজারে
কি ভাই নিবেন না?
নারে ভাই বাজেট নাই।
মন্তব্য করুন