জার্সি
কেউ পরেছে ব্রাজিল টিমের হলুদ জার্সি, কারো বা আর্জেন্টিনার। আছে জার্মানির, স্পেনের , ডাচদেরও।
যদিও তাদের অনেকেই জানে না, এই রঙ্গিন জামাগুলো বিশ্বের মানুষের মনযোগে ছিল এতোদিন।
বেশ কয়েকজনের জার্সি গায়ের তূলনায় বড়, তাতে কী, নতুন পওয়া এই গেঞ্জি, তাদের ছোট জগতে অনেক বড় আনন্দের ঢেউ এনেছে।
কথা বলছিলাম কতগুলো পিচ্চিদের ড্রেস নিয়ে। ওরা পড়তে বসেছে পাণ্থকুঞ্জ নামে একটা পার্কে। পার্কটি পাঁচতারা হোটেল সোনারগাঁওয়ের কাছে। মানে উল্টোদিকে।
সেই স্কুলে বেঞ্চ নাই, স্কুল ড্রেসের বালাই নাই। মাটিতে মাদুর বিছিয়ে পড়ে তারা। অ-তে অজগরটি আসছে তেড়ে। আ -তে আমটি আমি খাব পেড়ে। ভালো কথা পেড়ে খাওয়া আমে ফর্মালিন থাকে না।
যাহোক,এটা আমার কল্পনা। বাস্তবে ওই ছেলে-মেয়েরা জর্সি গায়ে দেয়ার স্বপ্নও বোধ হয় দেখে না। ওরা ঘুমায় ফুটপাতে। ওদের ঘর পলিথিনে তৈরি। বিশ্বকাপ মানে কী. তা বুঝতেও তাদের অনেক সময় লাগবে।
তবে তারা সবাই এই ঈদে একটা করে জর্সির মালিক হতে পারে। নির্ভর করছে আপনার আগ্রহের ওপর।
এই যে আপা, এই যে ভাই, বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষ্যে প্রিয় দলের যে জার্সি আপনি কিনেছেন, টূর্নামেন্ট শেষে তা পরে তো আর অফিসে যাওয়া যাবে না। তাই না? ঘরে তো পরতে হবে সূতির মসৃণ কাপড়। তাহলে আসুন না জর্সিটা ওদের দান করে দেই।
বাড়ির পাশে ফুটপাতে ঘুমানো কাউকে। কাজের বুয়ার ছেলেকে। গ্রামের রিক্সাচালকের ছেলেকে। মোটর সাইকেলের সার্ভিস সেন্টারের কিশোর শ্রমিককে।আমাদের বিশ্বকাপের উন্মাদনার ফসল, ওদের জীবনে ঈদের আনন্দ হয়ে আসুক।
ভালো প্রস্তাব!
মন্তব্য করুন