হতে চাওয়া ইচ্ছে গুলো...
১.
মানুষ বড় হতে হতে তার জীবনের হতে চাওয়া ইচ্ছা গুলো সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়। ছোটবেলায় যখন খুব ছোট তখন আমাকে "বড় হলে কি হবে?" কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলতাম পাইলট হবো (বোধহয় খুব ছোট্ট বেলায় শিখিয়ে দেওয়া )। যখন ক্লাস থ্রি বা ফোরে পড়ি তখন ডাক্তার হবো মানুষের সেবা করবো টাইপ কথা বলতাম। ক্লাস সিক্সের পর ইঞ্জিনিয়ার হবার বাসনা দেখতাম (তখন ইঞ্জিনিয়ারদের খুব স্মার্ট লাগতো)। একসময় হাতের লিখা খারাপ বলে উদ্ধারের পথ খুজতে থাকলাম। কি এমন করলে আমাকে লিখতে হবে না? পেয়েও গেলাম উত্তর। কম্পিউটার নিয়ে পড়তে হবে। এই জবে হাতে লিখার কোন কাজকারবারই নাই। ইউরেকা!! মনস্থির করে ফেললাম। আগ্রহ যে একদমই ছিল না তাও বলবো না। যায় হোক নিজের জীবনটাকে সাদা বাক্সটার সামনে সপে দিলাম। ভুলটা বোধহয় তখনই প্রথম করলাম।
২.
ইদানীং আমার রাজনীতিবিদ হতে ইচ্ছা হয়। কারণটা আবেগের নয়, ক্ষোভ থেকে। ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির নেতা থেকে শুরু করে এম পি, মিনিস্টার পর্যন্ত সবাই আমের চেয়ে আঁটি বড় টাইপভাব। এরা কেউ সময় মতো অফিসে যায় না। কাজ করতে হয় না। কাউকে জবাবদিহিও করতে হয়না। কিছু লিখতে তো হয়ই না। মাস শেষে বেতন, রেশন, গাড়ি, বাড়িভাড়া সবই পাচ্ছে (আমার এক বাড়িভাড়া দিতে গেলেই পকেট শুকায় যায়)। এক ব্যাংকার বন্ধুর কাছে শোনা, তাদের মাসেঞ্জার বা পিয়ন আছে যে ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির নেতা সে কোন কাজই করে না। অফিসে আসে ইচ্ছা মতো, যায় ও ইচ্ছা মতো। অফিসের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পর্যন্ত ভয় পায়। কারন পূর্বের ম্যানেজারদের দুই তিন জন কে পুরা ট্রান্সফার করিয়ে দিয়েছিল। রীতিমত ট্রান্সফারের হুমকি দিয়ে। এই যদি হয় ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির নেতার ক্ষমতার দাপট, এমপি মিনিস্টারের কথা বাদই দিলাম।
৩.
যাদের ক্ষমতা নেই তারা যেই হোক না কেন তাঁর কোন দাপট নেই। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আহম মুস্তফা কামালের কথা মনে আছে? হ্যাঁ লোটাস কামালের কথা বলছিলাম। জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির ৩৬তম বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবের উত্তরে বলেছিলেন, "আমি নির্দোষ এটা আমি বলবো না। কিন্তু পারলে প্রমাণ করুন।" একে বলে ক্ষমতার দাপট। সেইদিনই বুঝেছিলাম এরা শুধু টাকার পাহাড়ই গড়ে নি। ক্ষমতাও কুক্ষিগত করেছেন ভালভাবেই।
আবার দুই একটা সন্ত্রাস বিরোধী মিটিং সেমিনারে জ্বালাময়ী লিখিত বক্তব্য পাঠ করে নোবেলের জন্য লবিং গ্রুপিং করতে পারলে তো কথায় নাই। নোবেল জিনিসটা "নো" "বেল" হলেও কিন্তু এই বেলের টেস্ট অনেকেই হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। পারলে টাকা দিয়ে কিনে আনে অবস্থা। এই নোবেল পেয়েছিলেন একজন অরাজনেতিক বাক্তিত্ব। সব রাগ পড়লো বেল পাওয়া মানুষটি উপর। "তুই কেন পেলি? এটা আমাদের পাওয়ার কথা। আমরা ওয়াইন, উইস্কি, রাম সব খায়"। অরাজনেতিক বাক্তিত্ব ডঃ ইউনুস এদের সাথে পারবেন কিভাবে? পারলেনও না। নিজের গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান থেকে নিজেকেই বেরিয়ে যেতে হল। আমার কেন জানি মনে হয় আমেরিকান বন্ধুরা না থাকলে উনাকে সত্যিকারের বেল হাতে নিয়ে এদেশই ছাড়তে হতো কিনা।
লিখতে থাকলে এই লিখা শেষ হবে না। কারন এই বিষয়ে লিখার উপাদানের শেষ হবে না। এতকিছুর পরও শান্তি পায় যখন মনে হয় আমাকে ঘন্টায় ঘন্টায় মিথ্যা বলতে হয় না। আমাকে নিয়ে কার্টুন ব্রিদুপ করা হয়না। রাস্তা আটকিয়ে হরতাল করে মানুষকে কষ্ট দেই না। কোর্ট কাচারি করতে হয়না। মানুষের কাঁচা গালি শুনতে হয়না। শুধু আমাকে আমার মতো থাকতে দাও, আর কিচ্ছু চাইনা। আমার কম্পিউটার টাকে চলার শক্তি টা ঘন্টায় ঘন্টায় বন্ধ করো না। কারন আমাদের কোথাও যাবার জায়গা নাই বুঝে গেছি। আরেকটা ফখরুদ্দীন-মইন রাজত্বকাল খুব দরকার। তোমাদের থামানোর যে আর কোন রাস্তা নাই। ফখরুদ্দীন-মইন রে অনেক মিস করি।
---------------------------------------------------------------------------------------------------
এইটি আমার প্রথম কোন ব্লগে লিখা। নিজে পড়েই বুঝতে পারছি কচিকাঁচা টাইপ ও অসংখ্য ভুল বানানে ভরা। আশা করবো আমার অক্ষমতা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
কার্টুনঃ শিশির (লেখার বিষয়বস্তুর জন্য জনগণ কথাটি যুক্ত করা হয়েছে)
এবি'তে স্বাগতম। স্বাগতম বাংলা ব্লগের দুনিয়াতেও।

লেখা দারুণ তো বটেই, প্রথম তিনটা প্যারা দুর্দান্তও হয়েছে।
পুরোদমে লেখালেখি চালিয়ে যান ব্রাদার। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো। সময়ের বড় অভাব জীবনে। দিনটারে টাইন্না ৪৮ ঘন্টায় নিতে ইচ্ছা করে।
পয়লা লেখা!!! বিশ্বাসই হইতেছেনা!!! সুপার লাইক ভ্রাতা....

আরে মোল্লা যে
হ্যাঁ ওইরকমই। যা করি ফেসবুকের স্ট্যাটাস
থাঙ্কস নাঈম ভাই 
বেশ ভালো লেখেন।
এখনকার মানুষেরা এতো ভালো করে লিখতে জেনেও যখন বলে যে পারিনা, মনে পড়ে নিজে কেমন ফালতু লেখা দিয়ে শুরু করেছিলাম। সেইসব পড়লে কেমন যে লাগে
এবি'তে স্বাগতম।
আরো আরো পোষ্ট দেন
আর রেজিষ্টশন করেছেন এখন নিজেকে নিয়ে বলতে পারেন নির্ভয়ে!

@ জেবীন, ভালো হয়েছে কিনা বুঝতে পারছি না। শুধু মনে হয়েছে আহা কত মানুষ কত ভালো লিখে
ধন্যবাদ। বাকি টা বাকি থাকল
এবিতে স্বাগতম।
এভাবেই লিখতে থাকুন নিয়মিত
ধন্যবাদ। ইনশাল্লাহ চেষ্টা থাকবে।
স্বাগতম!
আসুন, 'আমরা বন্ধু'র বন্দরে বন্ধুত্বে বন্দী হই!
ধন্যবাদ। বন্দর ওপেন রেখেন
আমিই এই বন্দরে নতুন!
আমি মাত্র আজ জয়েন দিয়েছি। এবি'র সাথে সম্পর্ক অনেক দিনের। ব্লগে নাদান।
লেখা দারুন হইছে।
ধন্যবাদ ভাই। :\
লাইক
এক সময় স্যার জিগাইলেই কইতাম পাইলট হমু... আকাশে উড়াল দেয়ার ইচ্ছা ছিল না আসলে ... তখন আমাগো শিখানো হইতো যে, পাইলট/ইঞ্জিনিয়ার/ডাক্তার হইতে হইবো
ভাল লাগলো আশিক...
নিয়মিত লেখালেখি করো... ভালই লাগবো কিন্তু
টুটুল ভাই, অইটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম। কিছু শিখানো হয়। বাবা মার স্বপ্ন
আচ্ছা চেষ্টা করবো নিয়মিত থাকার। জানেন তো আমি একটু অস্থির, বেশীক্ষণ কোন কিছু ভালা লাগে না। আর যখন কিছু করি ভালবাইসসা ভাসায় দেই
পয়লা ছবি দেইখা ভাবছি আপনি জনগন হইতে চাইতেছেন

তার্পর পইড়া বুজ্জি আপ্নে আম্লীক নৈলে বিম্পী হৈবার্চান
হেহেহে.। পুরাটা পড়েন নাই মনে হয়।

আগে যা একটু লিখতাম টিখতাম এই সব লোকের জন্য লেখা ছাড়ান দিছি। এতো সুন্দর লিখেও বিনয় কুমার সাজছে। দেখতে থুক্কু লেখা ভাল হয়েছে আশিক ভাই।
চালায় যান।
হাহাহা। থাঙ্কস ভাই। জানেনই তো, আগে দর্শনধারী পরে গুন বিচারী
থাঙ্কস রাসেল ভাই 
রাজনীতিবিদ হলে এক দিন না এক দিন মার খেতে হপে...তাই আমি পুলিশ হতে চাই
ব্লগের দুনিয়ার স্বাগতম ..এবি ব্লগে স্বাগতম
~
হো সেইটাই। যাক পুলিশ বন্ধু থাকা খারাপ না। বিপদে আপদে কামে দেয়
থাঙ্কস ভাই।
আরে আশিক ভাই, হইয়াইতো গেছে লেখা । আর চিন্তা কি ?
মন খুইল্লা, হাত খুইল্লা লেখেন
যা বাবা! ফেসবুক থেকে এবার ব্যাকসাইড ব্লগে নিয়ে হাজির!! নিজের যে মাথায় সমস্যা তা দেখে না আর আমারে কই শুধু !!
ব্লগে

ভালো থাইকেন
হাহাহা. আপনার সব নাট বল্টু রিপ্লেস করার জন্য আসতে হল
ভাল থাকবেন আপনিও। ধন্যবাদ
কালবেলা পড়েই অনিমেষের মতো রাজনীতি করার প্রথম এবং শেষ শখ জেগেছিল।
==============================
আমি তো ভাবতাম আপনি ব্লগের পুরোনো কেউ!!! আজ-ই জানলাম আপনি নয়া!!
অনেক ভালো লিখেন তো!! লিখতে থাকুন

এবিতে
কালবেলা পড়ে কারো হিরো হতে ইচ্ছা করেনি বিন্দুমাত্র.। এমন কেউকেই পাওয়া যাবে না। তবে আমার ইচ্ছা গুলা আবেগ থেকে না।ক্ষোভ থেকে এটা কেন তাও বলেছি।
না। আমি এখানে নতুন কিন্তু এবির সাথে পরিচয় এবির জম্মলগ্নর সময় থেকে। ব্লগের বয়স কতদিন জানি না।
ধন্যবাদ। লেখার উৎসাহ পাচ্ছি :\
এই জন্যেই কবীর সুমন সাহেব গান গেয়ে গেছেন যে
ইচ্ছে হলো এক ধরনের বেড়াল ছানা
মিহি গলার আব্দারে সে খুব সেয়ানা!
বুঝিনাই ভাই।
যাই হোক ভাল থাকবেন।
অনেক ভাল লিখেছেন।
ইচ্ছের রূপান্তর, মৃত্যু এসব নিয়েই জীবন।
আপনার ক্ষোভ অনেকের মধ্যেই আছে এই দেশের মানুষের ক্ষোভ কোনদিন প্রশমিত হবে বলেও মনে হয়না.....
সহমত জানাচ্ছি। তবুও কেন জানি মনে হয়, সব খারাপেরও শেষ আছে। হয়তো তখন থাকা হবে না। কিন্তু এইভাবে চলবেও না। নিজেরাই নিজেদের কে ঘৃণা করতে শুরু করবে। ছেলে মেয়ে রা বাবা মার অন্যায়য়ের প্রতিবাদ করবে। সামাজিক ভাবেই এরা একদিন অপদস্থ হবে। আশায় বুক বাঁধি।
লেখা দুর্দান্ত হইছে, নিয়মিত লিখবেন।
এবি তে সুস্বাগত।
লেখা দুর্দান্ত হইছে, নিয়মিত লিখবেন।
এবি তে সুস্বাগত।
ধন্যবাদ
মন্তব্য করুন