ফিলথি
জনাব এ কে খন্দকারের বইটির ব্যাপারে বলছি ! বইটিতে লেখা “জয় পাকিস্তান” বা “জিয়ে পাকিস্তান” নিয়ে পার্লামেন্টে সাংসদদের অনিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া, ক্ষিপ্ততা, অশোভন উক্তি, বিশ্রি গালাগাল মাননীয় সাংসদদের নীচ মানসিকতার কথাই শুধু জানান দেয় যা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয় । ব্যাপারটাতো সামান্যই, এত সামান্য যে এটাকে ফিলথি বা ফালতু হিসেবে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেওয়াই হতো বুদ্ধিমানের কাজ । তাজকন্যা শারমিন আহমদের বইটির ব্যাপারে তাই করা হয়েছিল । ফলে বইটি নিয়ে তেমন হৈচৈ হয়নি । অথচ ওটাতেও আওয়ামীদের জন্য ব্যাপক আপত্তিকর মাল মসলা ছিল ! আমি বিষয়টাকে ফালতু বা ফিলতি বলছি এই কারণে যে, ৭ মার্চ ’৭১ এ “বাংলাদেশ” ছিল পাকিস্তানের অবকাঠামোতে একটি প্রদেশ মাত্র, সার্বভৌম কোন দেশ নয় । সে প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যদি “জয় পাকিস্তান বা জিয়ে পাকিস্তান” বলেও থাকেন তাতে ‘মহা বাংলা’ অশুদ্ধ হবার কথা না । এত ছোট ছোট ইস্যু নিয়ে আমাদের দেশটাতে কেন অত হৈচৈ পড়ে যায় বুঝিনা !
নেতৃত্ব, রাজনৈতিক দলগুলো, সুশীল সমাজ বা বুদ্ধিজীবীরা কবে থেকে স্বাধীনতার কথা ভাবছিলেন তা নিয়ে তর্ক থাকতে পারে, কিন্তু এতে কোনরূপ সন্দেহ নাই যে ’৭১ এর ৩ মার্চের আগে গণমানুষ কখনো পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ স্বাধীন করার কথা কল্পনায়ও ভাবেননি । ’৪৭ থেকে এই ভূখণ্ডের মানুষ ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ” বলে আসছিল, ৭ মার্চ ’৭১ পর্যন্ত বলেছে ! ইহাই ছিল স্বাভাবিক ! এ নিয়ে একজন সন্মানিত মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে নাজেহাল করার চেষ্টা শুধু সাংসদদের কুপমন্ডুকতারই পরিচয় দেয় । আমাদের সংসদ অর্বাচীন আর কুপমন্ডুকদের খোঁয়াড়ে পরিণত হয়েছে, ভাবতে কষ্ট হয় ।
মন্তব্য করুন