আবার আাসিব ফিরে এই মামা-খালাদের ভীড়ে :)
বাল্য বয়েসে সিলেট শহরে পড়াশুনা করতে গিয়া আমি বিরাট বিশাল বিপদের মুখে পড়ছিলাম... শালার যেইখানেই যাই সেইখানেই মামারা খালারা... যাদের বেশীরভাগরেই আমি চিনিনা... কোথাও গিয়া বন্ধুবান্ধবদের সাথে সিগারেট ধরায়া একটা শান্তিমত টান দেয়ার মোকা নাই... খালারা দেইখা ফেলে... ... খুশীর কথা এই যে এদের কারো সাথেই সামনাসামনি ডীল করা লাগে নাই... লাগলে কী যে দশা হইত আল্লা-মাবুদই জানে... যাদের সাথে ডীল হইছে যেমন আপন মামা-কালা তাদের কাহানী টাই পেশ করি...
আমার ছোট খালা... আমার ফ্রেন্ড ই বলা যায়... কত গল্প আড্ডাবাজি করতাম উনার সাথে... ভাগ্য খারাপ যে আমি লন্ডনে থাকার সময় উনি বাংলাদেশে ছিলেন, আর আমি দেশে ফেরার কয়দিন আগে উনি লন্ডন শিফট করলেন ... তো অনার্সে থাকতে একদিন রাতে বড় খালার বাসায় খাওয়া দাওয়া সাইরা পত্রিকা পড়তে বসলাম... পড়তে গিয়া দেখি আয়-হায় আজকে রাতে তো টেলি তে বিশ্বসুন্দরী পেতিযোগীতা দেখাবে
.
.. বড় খালারে আর বলা যায় না খালা পেতিযোগীতা দেখতাম
... কি করি করি...
মনে পড়ল ছোট খালার কথা... রওনা দিলাম ছোট খালার বাসায়... খালা গেইট খুইলা দেখে আমি দাড়ায়া আছি... খানিক জিগ্যাসাবাদের পর যখন বের হইল যে আমি বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগীতা দেখতে আসছি তখন উনার হাঝব্যন্ড মেনেলাউসরে ডাইকা আনলেন... দুইজন মিইলা এইটা নিয়া অনেক হাসাহাসিও করলেন... আমার বয়েস তখন বেশী হইলে বিশ... চোখ-মুখ লাল কইরা বইসা ছিলাম বেশ কতখন...
যাউগ্গা প্রতিযোগীতা শুরু হইলে দর্শক আমরা তিনজন- আমি, খালা আর মেনেলাউস... সবই ঠিক ছিল... প্যাচ লাগলো সুইমিং কস্টিউম রাউন্ডে... মেনেলাউস অশ্লীল অশ্লীল কয়া চ্যানেল চেইন্জ কইরা বিবিসি তে নিয়া গেল... পুরা পেতিযোগীতাই বিনাশ... পরের বছর সুন্দরী প্রতিযোগীতার সীঝনে মেনেলাউস লন্ডনে ঘুরতে যাওয়ায় মজাই হইছিল...
সেইবার আমি আর খালা বসলাম দেখতে... আবারো প্যাচ লাগলো বীচ-সেশনে আইসা... ঐবার বিভিন্ন দেশের সুন্দরীদের ১০/১১ জনের গ্রুপে ভাগ করা হইছিল... একেকটা গ্রুপের বীচ-সেশন শুরু হয় আর আমি ছাদের টিকটিকি গুণি, আর খালা তাকের বইয়ের নাম পড়া শুরু করে... এইরকম দুইটা গ্রুপের সেশান শেষ হওয়ার পর দেখা গেল পুরাই লস প্রজেক্ট... তখন খালা আর আমার একটা চুক্তি হয়া গেল... এক গ্রুপের সেশান সে একলা দেখব আর আমি চইলা যামু, আবার পরের গ্রুপের সেশান আমি আইসা একলা দেখুম আর খালা উইঠা চইলা যাইব ... ঈঈঈ-হা... আহা কি আনন্দ ''আখাশে'' বাতাসে
এই খালারই পিঠাপিঠি মাগার একটু বড় হইল আমার ছোট মামা... অতিরিক্ত পাকনা... আজকাল মাথায় ছিট ও ধরছে মনে হয়... কে জানে... বেশী বেশী চিন্তাবিদ চিন্তাশীল হইলে যা হয় আরকি... তো ইনার সমস্যা হইল কোন টপিক শুরু করলে আল্লার বান্দারে আর থামানো যায়না... এইটা নিয়া মোটামুটি একটা থিসিস কইরা ফেলে... এই কারনে আমার সাথে কোন কিছু নিয়া আলাপ শুরু করলে আমি শুরুতেই কনক্লুশানে পৌছানোর মত একটা থিওরি বাইর করার চেষ্টা করি...।
তো সেইবার মিরপুরে আব্বার হার্টের অপারেশান হইল... অপারেশানের আগে আব্বার কেবিনে মামা আর আমি বইসা আছি, সাথে আম্মা... মামা শুরু করল, ''বাফড়া, ডাক্তার তো শুনলাম দুঃশ্চিন্তা করতে মানা করল, এতে নাকি হার্টের সমস্যা বাড়ে। আমি ভাবতাছি আমার দুই মেয়েরে নিয়া আমার...''। আমি মাঝখানেই আটকায়া দিলাম, '' জ্বি মামা ঐটা দুঃশ্চিন্তা হিসেবেই কাউন্ট হবে''। ''আরে তুমি তো প্রশ্নটাই শোননাই''। ''মামা আমি প্রশ্নটা অনুমান করতে পারছি... আপনার দুইমেয়েরে নিয়া করা চিন্তা গুলা কি দুঃশ্চিন্তা হিসেবে কাউন্ট করা হবে নাকি এইটাই আপনের প্রশ্ন''। ''অ... তা তুমি এই উত্তর পাইলা কেমনে''? - ''না মামা, এইটা ক্লাস টেনে থাকতে চিন্তা কইরা রাখছিলাম... চিন্তার প্রসেস টা ফলো করার সময় নিজেরে ফিলোসফার মনে হচ্ছিল... এখন আর প্রসেস টা মনে নাই... খালি কনক্লুশান টা মনে আছে'' :)। আমার মুখে স্মিত, ফ্রেন্ডলী হাসি; দুইনম্বুরি করতাছি এইটা সন্দেহ করার মত কোন সাইন ই নাই চেহারায়।
কিন্তু মামা শুরু করল নতুন অধ্যায়- ''ফিলোসফার বইলা ভালো কথা মনে করাইছ... তাইলে ফিলোসফাররা যা ভাবে তা কি দুঃশ্চিন্তরা পর্যায়ে পড়েনা''... হুদা কামে ভেঝাল... কই থিকা আরেকটা প্রশ্ন বাইর কইরা আনল:(!!! ''জ্বিনা মামা, ঐটা দুঃশ্চিন্তার ক্যাটাগরিতে পড়েনা... কারন ঐ চিন্তা করার সময় হি হ্যাঝ নাথিং অ্যাট স্টেইক...। কিন্তু আপনে চিন্তা করার সময় আপনের দুই মেয়ের ফিউচার অ্যাট স্টেইক, তাই আপনার চিন্তাটা আলটিমেটলি দুঃশ্চিন্তা :)''... মামা দেখলাম আমার থিওরিতে মুগ্ধ হয়া টয়লেটে ঢুকল... বাইর হইল পাক্কা ৪৫ মিনিট পর... বলে ''ইয়ে হাই-কমোডে বইসা ঠিক প্রেশারটা পাচ্ছিলাম না... মনে হয় উইটাবিক্স খাওয়া শুরু করতে হইব... আচ্ছা বাফড়া তুমার কি মনে হয়না যে আমাদের হিউম্যান বডির ডিঝাইনে ভুল আছে? মানে এই যে হাই কমোডে বসার কারনে প্রেশার পাইলাম না এইটা তো বডির ডিঝাইনেরই ভুল... আমাদের কি উচিত না অপারেশান এর মাধ্যমে হিউম্যান অ্যনাটমির/বডির ডিঝাইন টা ঠিক করা''!!!!!!!!!!!!! আমি তো বিশাল টাসকি.... এরে নিয়া কি করা যায়...চিন্তা করছেন আমাদের চিন্তাবিদের চিন্তার গতি!!!! - '' মামা, হাই কমোড চেন্জ কইরা লো কমোড বসাইলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়... এতো প্যাচালের কি মানে???!!
''
এখন বুইঝা নেন এই লোকের বড়ভাই আমার বড়মামা জনাব জুলমান কবির কি জিনিস হইতে পারে... আল্লায় এর হাত থিকা মানবজাতিরে বাচাক... উফফফফফফ... ইনি আমাদের সবাইরেই খুব স্নেহ করেন, মাগার স্নেহটা বিরক্তির পর্যায়ে চইলা যায়... দেশে আসার পর বড়মামা আসছিল বাসায় আমারে উপদেশ দিতে... এমন দৌড়ানি দিছি যে তার শখ মিটায়া দিছি ... পরে মামার সাথে খারাপ আচরনের কারন উদ্দেশ্য ও এর সমাধান নিয়া আব্বার সাথে এজেন্ডাভিত্তিক মিটিং হইছিল... ঐটা আরেক পোস্টে কাভার করুমনে
তো বড়মামা জুলমান কবির একবার সিলেট আসলেন... সেইবার আমি অনার্ষের ছাত্র। উনার সাথে দেখা করার জন্য আমি আর ছোট খালু মেনেলাউস গেলাম নানাবাড়ীতে... গল্প করার ফাকে মামা আস্কাইলেন, বাফড়া সামনের দশ তারিখে তুমার নানার মৃত্যুবার্ষিকীতে ফুল দিতে যাবানা গোরস্হানে... বললাম না মামা, যাবনা। কারণ ফুল দেয়ার আইডিয়াটা আমার পছন্দ হয়না (আসলে আমি ''হুদাই ভাব'' নেয়ার তালে ছিলাম , আর মুজতবা আলীর একটা বইয়ে দুইটা লাইন পড়ছিলাম, ভাবলাম এইটা শুনায়া মামার সাথে কাউল করি
)। মামা আস্কাইলেন কেনু কেনু? বললাম মামা এই ব্যাপারে হাফিজের একটা ভার্স আছে, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত অনুবাদ করছিলেন
''গরীব গোরে দীপ জ্বেলোনা
ফুল দিওনা কেউ ভুলে
শামা পোকার পুড়ে না পাখ
দাগা না পায় বুলবুলে''
''বাহ বাহ''... মামার চোখেমুখে আাভা... ভাগ্নের গুণে মামা পুরা মুগ্ধ ..। ''দারুণ কইছো তো... হাফিজের ভার্শন টা বল''... মামা ঐটাতো ফার্সি... আপনে বুঝবেন না... মামাও দেখি ভাবে আছে ''আরে বল, বল... ফার্সি আমরাও কম বেশ পারি''... হুদাই ডায়লোগ দিল... আরে আমি নিজেই ফার্সি জানিনা, আমার মামায় জানবো কইথিকা
... খিকজ..। ''ফার্সিটা বলো তুমি, শুনি''
''বর মাজারে বা গরীবা
না চিরাঘে, না গুলে
না পুড়ে পরওয়ানা সাদদ
না সাতায়ে বুলবুলে''
এরপর মামা তো ডগমগ খুশী হয়া আমারে দুইশ টাকা ধরায়া দিল হাতে ... ঐটাই ছিল কবিতা আবৃত্তি কইরা পাওয়া আমার লাইফের পয়লা আর শেষ ইনকাম
... দুইদিন পরে ছোটখালার বাসার উঠানে আরো টাকা মিলায়া এই দুইশ টাকায় টুফা-টুফি খেলার জন্য চাল-পেয়াঝ কেনা হয়... আমরা সবাই ছোটখাট টুফাটুফি খাওয়া খাইছিলাম... তয় সবচে মজা পাইছিলাম মামার এই মুগ্ধ হয়া মোঘল বাদশাহ রা যেইরকম দরবারে বইসা শিল্পীদের স্বর্নমুদ্রা দিতেন সেই স্টাইলে টাকা বিতরণ করা দেইখা
...
খালি আমার না, মামার ''স্টাইলটাও সেইরাম শাহী স্টাইল''
যেমন বাফড়া তেমন তার মামা-খালারা! এই প্রতিভা কি সাধে বিকশিত হইছে!
ছোটখালার নাম কি হেলেন?
চিন্তা করেন বিকাশ নামের কোন মামা থাকলে পেতিভা কি হারে, কি প্রবল মাত্রায় বিকশিত হইত
ছোট খালার নাম হেলেন না.. কিন্তু হেলেনের চেয়ে কিছু কম ও না
... মেনেলাউস নামটা দিছিলাম আসলে অন্য কারনে... তয় নো ওরিঝ... নামকরনে স্বার্থকতা রাকহছি এক কোণে না এক কোণে 
মেনেলাউসের মর্তবা জানার জন্য মন নিশপিশ করতেছে
আরেক পোস্টের মেটেরিয়াল এই পোস্টেই খায়া ফেলবেন
... এমনিতেই পোস্টের আইডয়ার খরায় ভুগতাছি... :(
... এইদিক থিকা আপনাদের কীবোর্ড আরামেই আচে
... যা ইচ্ছা লেকহেন আর কি সুন্দর লেকহা বাইরায়া যায়... বাই দ্য ওয়ে কোন এক ঈদে কাল্লু মামা না কোন এক ভাইরে নিয়া একটা পোস্ট দিছিলেন... পইড়া মন খারাপ হইছিল ভাইবোন দুজনের জন্যই.... সামুতে কিছু কারনে আমার ব্লগিং ঐসময় বন্ধ থাকায় আর জানানো হয়নি মুগ্ধতার কথা... এই সুযোগে জানায়া দিলাম..।
আর কিছুটা নিজের সাথেও মিল পাইছিলাম... আমার ঐ খালার কাছে আমি কিচুটা কাল্লু মামা টাইপ ই ছিলাম
... যেকোন দরকারে পাওয়া যেত 
১০০ বার লেখেন খ।
মুখ্ত বয়ান
... খেক খেক কেক 
হিক... *খেক
...নুশেরাপুই কৈয়া দিছে দেখি...
চরম মজা পাইলাম...
একবার এক বন্ধু সহ গেছি এক বান্ধুবীর বাসায়, সেইখানে ২ জন ছিলো বান্ধুবী, টিভি রুমে ছিলাম, টিভি ছাড়া ছিলো, হিন্দি উত্তেজক ভিডিও হৈতে ছিলো দেইখা যার বাসা, সে বিবিসি চয়ানেল দিলো...কথা বার্তার ফাঁকে বিবিসিতে কুন্যায়গার্ যুদ্ধ বন্দী/বন্দিনীদের প্রায় উলঙ্গ/উলঙ্গ অবস্থায় দেখাইয়া আমদের চমকিত কৈরা দিলো...
ছোটো খালুর নামকরনের কাহিনী কি? সাম্রাজ্যবাদী নাকি?
হা হা হা... এইটাইপ গেন্জামে আমি পড়ছিলাম... দুর্ভাগ্যবশত রিমোট আমার হাতেই ছিল... হিন্দি ছবিতে নায়ক নায়িকা বেশীই তাফালিং শুরু কইরা দিল গানের মাঝখানে... ঐদিকে মুরব্বি একজন চিপায় বইসা... চেইন্জ কইরা নিলাম নিউঝ চ্যানেলে, ঐ বিবিসি তেই... হেদের তখন শখ জাগছিল ফ্যাশন শো কাভার করার... ভাবলাম অ্যনিমাল প্ল্যানেটে লয়া যাই... এইটা সেফ বেট... গিয়া দেী সিংহ মামা-সিংহী মামীরে নিয়া ব্যাস্ত... এইদিকে মুরব্বী ঐদিকে পিচ্চি দুই কাঝিন... কইলাম যা শালার টিভি তোরে বন্ধই কইরা দিমু... ঐদিন বন্ধ কইরা তবেই নিষ্ক্ৃতি পাইছিলাম
এর লাইগা খেলার চ্যানেল হইল সেইফ।
জ্বি নাহ... খেলার চ্যানেলেই যত গ্যান্জাম... কমেন্টে দেখেন বেশী ক্যারফা ঐ খেলার চ্যানেলেই হইছে
ঈদের সময় একবার বাড়িতে সবাই মিলে চ্যানেল আইতে "জয়যাত্রা" দেখতেছি, চরম উত্তেজনা। হঠাৎ বিজ্ঞাপন বিরতি। কেউ উঠলাম, সবাই অপেক্ষা করতেছি কখন আবার শুরু হবে। হঠাৎ করে, হিরোর বিজ্ঞাপন। ১৫ সেকেন্ডের মাঝে টেবিলের সবাই হাওয়া!!!
আর ঐ যে ওভাকন ওভাস্ট্যাট... ''আহা মিষ্টি কি যে মিষ্টি এই ছোট্ট সংসার''
... তয় সবচে গ্রস ছিল ঐ লাগবা বাজির অ্যড টা... ইইইঈই
এখন আর কোন চ্যানেলই সেইফ না
,কয়েকদিন পর না আবার দাবি ওঠে
একদফা একদাবি ,
।
কার্টুন নেটওয়ার্কে চাই সবিতা ভাবি
সবিতা ভাবি টা কে? নাকি ইন জেনারেল ভাবি?
সামুতে একবার একটা নিক কহুলছিল বড়ভাবি নাম দিয়া... কয়দিন পরে আসলো মেঝভাবি... পুলাপানদের কাম ছিল ঐ নিকের ব্লগে গিয়া ফাইঝলামি করা

গুগল সার্চ দেন!!

সামুতে কে জানি একবার এই নিয়া একটা পোস্ট করছিলো, সাথে ছবি'র লিংকসহ.. সে এক বিশাল অবস্থা!!!
সসার্চ দেওনের কী-ওয়ার্ড গুলা কয়া দিলে সুবিধা হইতো... ডাল মে কুছ কালার গন্ধ পাইতাছি... বাংগালী কবে রুবাবা ভাবী থিকা সবিতা ভাবীতে শিফট হইল জানতেই পারলাম না ... আফসুস
ও, নামকরন নিয়া যে কথা বার্তা হৈয়া গেছে, সেইটা আমার কমেন্টানের মাঝে...চ্যরি..
একটা প্রসঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছা করতেছে আবার শরমও লাগতেছে...
টিভিতে একটু ইয়ে দৃশ্য দেখানোর সময়েই ক্যান জানি মুরুব্বিরা টিভিরুমের দিকে চইলা আসতো...
বিশ্বকাপ ফুটবলের নিরীহ খেলাগুলির বিরতির মধ্যে অ্যাড চলতেছে, সবাই উইঠা ভাত খায় দাঁত মাজে, এমন সময় ব্রাজিল সাপোর্টার কোন সাম্বারমণীর বেলাজ অঙ্গভঙ্গি শুরু হইতো... কয়েক সেকেন্ডের মাথায় দেখা যাইতো মুরুব্বিগো কেউ না কেউ আইসা টিভিরুমে হাজির। তখন শত খুঁইজাও আর রিমোটখান হাতের কাছে পাওন যাইতো না...
শাওনরে উত্তর দিছি... পইড়া আমার অবস্হাটা বিবেচনা করেন... ঐদিন ঘাম ছুইটা গেছল... চ্যানেল থিকা চ্যানেলে লাফাইতাছি মাগার রক্ষা নাই
...
হ মুরব্বীদের এই টাইমিংটার রহস্যের কুলকিনারা নিজে মুরব্বি না হওয়া পর্যন্ত করা সম্ভব না বইলাই মনে হয়... কি আজীব টাইমিং কইরা উপস্হিত হয় তারা
...
সাম্বা নেত্য লয়া বেশী কিছু কইলাম না ;)
....কমন পড়ছে এডাও...জিম্বাবু্যে আর ভারতের একটা খেলায়, জিম্বাবুয়ে হারার দোরগোড়া থেইকা জিতা'র পর, গ্যালারীতে যা দেখাইলো, সেইটা যে কোনো হট দৃশ্যও ফেল করায়, আর বৈসা টিভি দেখতেছিলাম বাবা-মা, ছোটো বোন আর আমি...আর রিমোট তো পাইলামই না...
এখন অবশ্য সিস্টামটা উপকারে দেয়, অনাকাঙ্খিত মুরুব্বী আইসা টিভি'র সামনে বৈসা আমার রিমোট ঘুরানির বিরুপালোচনা করলে, রিমোট ইনএক্সিসেবল জায়গায় রাখার আগে, নাদারখাস একটা চ্যানেল দিয়া, নিজের কাজে অন্যদিকে ফিরা থাকি...

আরে এইটা তো জটিল টেকনিক মুরব্বি সাইজ করার
আচ্ছা নাদারখাস এর ব্যাভার বুচ্ছি এবং মানে টাও কনটেক্সট থিকা বুইঝা পাইছি। তারপরো বলোতো নাদরাখাস মানে টা কি? স্ল্যং নাকি? নাকি ফ্যামিলি সেটিংয়ে ব্যাভার করা যায়? আন্চলিক ভাষা থিকা আসছে? হইলে কোন অন্চলের?
কোন বিশ্বকাপ ফুটবলে তা মনে নাই। তবে আশির দশকের শেষদিকে সম্ভবত। স্কুলে পড়ি, বাড়িতে সাদাকালো টিভি। খেলা শুরু হইতো রাইত ২/৩টার সময়। বিটিভি অল্প কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ খেলা দেখাইতো কেবল।
পরিবারের সবাই মিলে দল বেঁধে সেই খেলা দেখার রেওয়াজ ছিলো। মুড়ি চানাচুর মাখানো, গরম গরম চা... বেশ একটা উৎসব উৎসব ভাব ছিলো। আমি পরিবারের সবচেয়ে ছোট সন্তান, আমরা চাইর ভাই।
তো এরম এক রাইতে, ব্রাজিলের খেলা চলতেছে। সবাই মিলে খেলা দেখতেছি। লগে খোশগল্প চলতেছে। ক্যামেরা ধরলো গ্যালারিতে নৃত্যরত এক ব্রাজিলীয় তরুনীরে। একটা টিশার্ট আর শর্টস পইরা নাচতেছে। সেই মেয়ের অনেক প্রতিভা
একসময় কথা নাই বার্তা নাই হুট কইরা টিশার্ট খুইলা ফালাইলো। বলাই বাহুল্য, টিশার্ট আর শইল্যের মাঝখানে আর কিছুই ছিলো না...
উফ, দেখার মতো একটা জিনিস... মানে আমাদের ঘরের তখনকার পরিবেশটা আর কী... কে যে কোনদিকে তাকাবে কেউ বুঝে উঠতে পারে নাই। তখন রিমোটের নামও আমরা শুনি নাই।
একবার দক্ষিন আফ্রিকার ক্রিকেট খেলায় এই রকম বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পরছিলাম। ওরা কেন জানি সবাই শরীর শুকাইতে স্টেডিয়ামে আসছিল। যেন বিচে বেড়াইতে আসছে। ক্যামেরাম্যান শালাও ফাযিল। একটু পর পর ক্যামেরা গ্যালারীর সামনে যেখানে সবাই শুইয়া শুইয়া রোদ পোহাইতে পোহাতে খেলা দেখতাছে ওইখানেই নিয়া যায়। কি বেশরম।
এইটা নব্বইয়ের বইলা মনে হইতেছে। ঐ দৃশ্যের পর থিকা বেরসিক বিটিভি ঐরম কিছু দেখলে বাংলাদেশ টেলিভিশন লেখা একটা বোর্ড দেখাইতো যতোক্ষণ বিদায় না হয়
হ... নব্বইয়ের বিশ্বকাপে... মনে পড়ছে...
হ... এই টাইপ সিচুয়েশান বড়ই বিরক্তিকর... কেমন জানি ... সবাই বুঝদার পাবলিক হইলেই সমস্যা... তখন দেখতেও মন চায়... আবার লাজুক সাইজা অন্যদিকে মুখ ঘোরাইতে হয়... আবার মুখ ঘোরাইলেও সমস্যা- তখন মানে দাড়ায় ''বাহ পুলাতো লায়েক হয়া গেছে... সবই বুঝে ;)''' যাই করেন না কেন সমস্যায় পরবেন ই
কমন পড়ছে; জীবন জুড়িয়া এই রকম ঘটনার শেষ নাই; এগুলা দিয়া একটা পোস্ট দিমু নাকি
আবার জিগায় ???
আবার জিগস... লাগাও... তুআমার মামা খালাদের কর্তুত শুনি কিছু
আমার টিভি-ডিজাস্টারের সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হইলো হিটলার বাপের সাথে। আমি পড়তেছিলাম, বাপেই বারংবার ডাকাডাকি কইরা নিয়া গেলো ("বেয়াদব মেয়ে, এতোবার ডাকি কানে যায় না? দুনিয়ার কোন খোঁজখবর তো রাখবেনা, আছে খালি নাটক আর খেলা দেখার তালে... বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলছে, পুরা সাবকন্টিনেন্টে উত্তেজনা, সব ফ্যানাটিক লুনাটিক হয়ে গেছে আর এই নবাবজাদি বই নিয়া বসছে...")।
তখনও ডিশ আসে নাই, সিএনএন আর বিবিসি সম্প্রচার সবে শুরু হইছে বিটিভির পাশাপাশি। সেইটা দেখার জন্যই বাপের তলব। আমি টিভিরুমে গেলাম, আর অন্য নিউজের হেডিং শুরু হইলো। বাপে তাও রেহাই দেয় না ("আরে বাবা ঐটা ইম্পর্ট্যান্ট নিউজ, বার বার দেখাবে, আর একটা কথা না বলে বসে দেখো")। বসলাম। অল্পক্ষণের মধ্যেই শুরু হইলো এক সচিত্র প্রতিবেদন, কোন্ জায়গায় যেন মহিলাদের একটা আজিব সংগঠন অন্তর্বাস দাহ করার প্রোগ্রাম করতেছে (এইসব বস্ত্রখণ্ড ওয়ার্ডরোব থেকে নিয়ে আসা না, অকুস্থলেই ঘটনা চলমান)... আমি মাথা নিচু কইরা একবার টিভির দিকে তাকাই তো আরেকবার কোণা দিয়ে বাপের চেহারা দেখি... এই ঘটনার পর আর কোনদিন বাপে আমারে খবর দেখতে ডাকেন নাই
টিভিতে সবচাইতে বিব্রতকর অভিজ্ঞতা হইলো একবার পুরা পরিবার গেছিলাম মামার বাসায়। মামা -আব্বা-আম্মা সোফায় বসা, আমি আর তুতো ভাই-বোনেরা নিচে কার্পেটে বসা। টিভিতে সবাই মিলে দেখবো ফুটবল কিংবা অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সাউথ আফ্রিকায় হইছিল। জাঁকজমকের সাথে অনুষ্ঠান শুরু হইলো। মামা-আব্বা বাইরের দেশের অনুষ্ঠান-টেকনোলজি নিয়া ব্যাপক জ্ঞান-গর্ভ প্রশংসা চালাইতাছিল। যথাসময়ে সাউথ আফ্রিকার আদিবাসীরা আসলো পারফর্ম করতে...টপলেস!
আমরা তুতো ভাইবোনেরা কি করবো বুঝতে না পাইরা নিজেরা আড্ডা মারতে লাগলাম নানা বিষয়ে, মামা-আব্বা-আম্মা চুপ। সেদিন আর কোনো কথা কয় নাই
সব ফ্যনাটিক লুনাটিক হয়া গেছে.. খেক খেক খেক... মজার কথা কইছে তো
আাপনের আব্বা তো বেশ গ্যান-পিপাসু ছিলেন
এই ঘটনার জবাব নাই!

ঐ তুমারে ফলো করতে গিয়া মিয়া ইংলিশেই কমেন কইরা ফালাইছি
...
হে হে হে। আপনার চৌদ্দগুষ্ঠির নামের তালিকাটা দেন। সেইরাম সব নাম!
আসবে একে একে
সেই আমলে সঠিক সময় রিমোট খুইজা পাইতামনা
নাকি সেই আমলে রিমোট খুজতে মন চাইতো না ?
রিমোট কি জিনিস? আইজকাল আমি আর চেনেল চেঞ্জ করি না | নিলাজের মত দেকতেই থাকি, মুরুব্বিরা হাঁটা স্বাস্থ্যের জইন্যে ভালা কয়া হাঁটা হাঁটি করতে থাকে
পুলা লায়েক হয়া গেছেরে... লায়েক হইছে
আরে লায়েক না, বেশরম হয়া গেছে... লাজশরমের ডেইট এক্সপায়ার করছে
ঐ লায়েক পুলার গতি না করায় বেশরম হইছে আরকি
... ইয়ে বেত্যবন্দির সিভি/বায়োডাটা টা নিয়া একটা গতি করেন তো লায়েক নিলাজটার 
ব্যাপক পোষ্ট। অনেক মজা পাইলাম। ফারসী কবিতাডা সেরাম হইছে। আর মামা খালা খালুরাও সেরাম। লাইকরলাম।
থ্যংকু থ্যংকু
জয়তু মামা খালা।
আবার কয়..
... মামা খালারে জয়তুর উপরে জয়তু
... আপনের মামাখালার কালেকশান টাও কি ইরাম আজীব নাকি? 
হে হে হে। ব্যাপক মজা পাইছি।
ব্যাপক মজা পাইলাম, তা হিসাব মোতাবেক আপনের নানায় তো জিউস হইবো তাই না??
টিভি দেখা নিয়ে তো কতই বিব্রতকর পরিস্থিতি হয়, কিন্তু দুরন্ত চিত্ত
কিশোরেরা আরো এক টাইপের জিনিস নিয়া ধরা খাইয়া কিন্তু বিব্রত এবং পৃষ্ঠে
বেদনা বোধ করে সেই অভিজ্ঞতার কথা কেউ কইল না।
আমার আবার কিন্তু ঐধরনের কোন অভিজ্ঞতা নাই, তাছাড়া ঠাকুরঘরের কলার
ব্যাপারেও আমি কিছুই জানি না, সত্যি!
জিউস,মিউস জানিনা, তয় নানা সাক্ষাত আঝরাইল ছিল
... হুদা কামে দাবড়ানি দিত...
আমরা দুরন্ত চিত্তের যারা ছিলাম তারা বই পড়তাম... গ্রামদেশ ছিল কি না তাই
... দুরন্তচিত্তোপযোগী ছবি দেখা হইত কমই ... 
আর ঠাকুর ঘরের কলা রে ভাই এক আজীব জিনিস... কে খাইল, কে খায় এইটা আইজ পর্যন্ত বাইর করা যায় নাই
হাহা মজা পাইলাম ।
কিন্তু কাহিনী হইল, বানান এর দিকে মনোযোগী না হইলে কিন্তু পড়তে অনেক কষ্ট হইয়া যাইব!!!
কৈশোরে টিভিতে ইংরেজি সিনেমা! আফসুস!!!
আর কয়েন না... টেনে থাকতে টিভিতে রাত দশটার খবরের পর একটা সিরিঝ দিত ''প্রিন্সেস অব ডার্কনেস'' না কি যেন .. ভাইরে ভাই মাঝে মাঝে যা একেক সীন থাকত
আর বানানরে ভাই... আলস্য
আরেকটা ঘটনা কই... একসময় দেশে চ্যানেল সিক্স না কী যেন একটা চ্যানেল প্রচার হইতো। যেটা শনিবার অথবা রবিবার গভীর রাইতে পুরাই বড়দের হয়া যাইতো।
আমরা বাড়িতে চাইর ভাই। স্বভাবতই সেইটার দিকে একটা ঝোঁক ছিলো সবার। কিন্তু টিভি তো একটা, তাও কমন রুমে। বাড়িতে রাত জাগনেওয়ালা আমি আর বাপ। বাপ তো এসব দেখবে না। কিন্তু সেদিন দেখা যাইতো ভাইরাও জাইগা থাকতো। কিন্তু কেউ কিছু কইবার পারতো না। সবাই মনে হয় অপেক্ষা করতো অন্যরা ঘুমাক। কিন্তু দেখা যাইতো কেউই ঘুমাইতেছে না...!!!
আর প্রথম দিকে ডিশওয়ালাদের নিজস্ব একটা চ্যানেল ছিলো, যেটাতে ভিসিআর মারফত ছবি দেখাইতো। সারাদিন হিন্দি সিনেমা দেখাইলেও, রাইতে দেখাইতো বড়দের সিনেমা... রাইত জাগনেওয়ালা খেতাবপ্রাপ্ত বইলা আমিই এইটা বেশি দেখতাম। কিন্তু আমাদের পারিবারিক টিভি এতোটাই কমন স্পেসে ছিলো যে দেইখা শান্তি পাইতাম না.. কে কখন উকিঁ মারে...!
নজুদার প্ল্যান টা কি?? পোলাপানের চক্ষুলজ্জাও ভাইংগা দিবেন মনে হইতাছে!!!!
...
আপনার ঐচ্যানেলটার নাম ছিল টিবি৬ ।
২০০১ বা ২০০২ এর দিকে আসছিল রেন টিভি... রাশান চ্যানেল ছিল ঐটা । ঐটাতে মনে হয় শনিবার না যেন মংগলবারে বড়দের কারসাজি দেখাইত। চিন্তা করেন পুলাপানের মধ্যকার ভ্রাত্বিত্তবোধ- দেখতে যেন না ভুলে সেজন্য যেইদিন রাতে দেখাইব সেই দিন দুপুর থিকা ফ্রেন্ড সার্কেলে মিসকল মারামারি শুরু হইত একজন আরেকজনরে... মানে হইল যে আইজকা রাইতে দেখাইবরে মামু; দেখতে ভুলিস না।
আর রাতের বেলা পুলাপান টিভির ভল্যুম একদম লো কইরা টিভি চালায়া দিত... আমি নিশ্চিত যে ফুল ভলিউমে দেখার সুযোগ থাকলে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পুলাপানরা রাশান ভাষায় কথা কওয়া শিখ্যা যাইত দুই মাসেরট মইধ্যে

ইয়ে রেনটিভিতে সকাল বেলায় কার্টুন দেখাইতো ,বড়ই সৌন্দর্য
।
ইয়ে কার্টুন টা কখনো দেখা হয় নাই
... রেন টিভিতে কার্টুন!!!! এইটা কি গাড়িয়াল ভাইয়ের গান শুনতে ''ওয়াইল্ড ওয়েস্টে'' যাওয়ার মত হয়া গেল না ব্যাপারটা??!!! 
হ, ধান ভানতে সালেকা মালেকা গাওনের মতই আর কি
রাশান ভাষা শিক্ষাটা খুব জরুরী!
না সেইটা নাহ... মাগার ফ্রীতে রাশান ভাষা শিক্ষার এই চান্সটা কি মিস দেয়া উচিত ছিল

এজন্যই এক ফুলের এত মালী ভালা না
মালি একশো একটা হইলেই বা কি..। মাগার এক মালি আরেক মালির ঘাড়ে পড়লে সমস্যা.. এই যা
একবার বাংলাদেশের খেলা দেখতেসিলাম খেলা হচ্ছিল সাউথ আফ্রিকায় ,ধুন্দুমার উত্তেজনা ,বাপ আর আমি মিলাতো নখ কামড়াচ্ছি তো কামড়াচ্ছি ,হঠাত ক্যামেরা দেখি দর্শক গ্যালারির দিকে চইলা গ্যাল ।এমনিতেই সাউথা আফ্রিকায় খেলাগুলা আমি মিস দিইনা ,চামেচুমে অনেক কিছু দেখা যায়
,মাগার ঐদিন একেবারে রাখঢাক না কইরায় মাঠে জনৈক প্রকৃতিবাদী সুন্দরী একেবারে নর্তন কুর্দন জুইড়া দিসে ,আমি তো তখনই ঘড়ির দিকে তাকায় টাইম ডায়ালেশন -কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মত আধ্যাত্মিক ব্যাপার স্যাপার নিয়ে চিন্তা শুরু কইরা দিসি ,আর বাপ দেখি ঐদিকে খালি রিমোট টিপে ,মাগার আমাদের রিমোট যে কাজ করেনা ,ওইমুহুর্তে তার সেটা মনে নাই 
এই যেমন হলিউডি চুমাচুমিও না হয় সামনাসামনি বইসা দেইখা ফেলা যায়... মাগার বাংলা/হিন্দি ছবিতে ঐ যে ফুলে ফুলা ঘষা দিয়া একটা সিম্বলিক ভাব নেয়ার চেষ্টা করে তখন ব্যাপারটা আরো বেশী চোখে লাগে
... ঐটাইপ ব্যাপার আরকি... মাথা ঘুরায়া অন্যদিকে তাকাইলে আরো বেশী চোখে লাগে
... কিন্তু মাথা না ঘুরাইলেও সমস্যা 
আরেকটা ঘটনা কই,একটু অন্যরকম ,তখন স্কুলে ,দাড়ি মোচ গজাইতাসে ,একটু একটু লায়েক হইতাসি ,পুলাপান মাঝে মাঝে মাসুদ রানা আনে ,আর কি জানি সব পড়ে ,তো একদিন আমগো এক দুস্ত মাঠে দাঁড়ায়া কইতাসে ,ওই মাইয়াটারে দেখ, ফিগার পুরাই সোহানার মত ...।
পাশে দেখি আমাদের এক পুলার মা ফ্যালফ্যাল কইরা আমগো দিকে তাকায় আছে
।
সেইদিন ছবির হাঁটে তোমার (তুমি কৈরাই কৈ, তুমিতো কৈলা রনির ক্লাসমেট) লগে কতা কওনের পরই বুঝছিলাম, তোমারে দিয়া হৈবো। হৈলো। বিয়াপক মজা পাইছি... চালাইয়া যাও...
হুদাই লজ্জা দিলেন মেসবাহ ভাই; আর সাথে খুশীও কইরা দিলেন (এই খুশী করাটা অবশ্য হুদাই না
)... চালায়া যামু ইনশাল্লাহ...
... তয় আপনেরাও মাঝে মাঝে এইরাম কমেন্ট কইরা ''চল চল চল'' আবহের বার্তা রাইখেন আর ''উর্ধগগনের'' ঐ পছন্দ করুন নামের মাদলে টিপি দিয়েন
খিকজ 
সেরম মজমা হৈছে পোস্ট কমেন্টে।
আর কয়েন না... এইরকম ভদ্র পোস্টে আইসা পুলাপান কমেন্টে যা যা কাহানীর বর্ণনা দিয়া গেল
... ছিহ ছিহ 
পোষ্ট অত্যধিক তুন্দুরুস্ত হৈছে!
আপনের দেয়া ইমো দেইখা তো সেইরকম মনে হইতাছে না
... চড়-চাপড় দেয়ার হইলে আব্বা এইরকম ইশারা কইরা ডাইকা নিয়া যাইত
.. 
পড়তে একটু দেরী হইয়া গেল। তাতে অবশ্য মজা একটুও কমে নাই।
নো ওরিঝ
... দের আয়ে দুরস্ত আয়ে
... আর আগের কমেন্টে তো দেখলেনই যে আপনে দেরীতে আসতে আসতে পোস্টে খালি দুরুস্তি না, তন্দরুস্তি ও আসছে
...।
বাই দ্য ওয়ে আমার একদম পয়লা পোস্টে পারলে দেইখেন... রোবোট আপনেরে নিয়া একটা কোবতে রচনা করছেন :)
পড়তে দেরী হওনে বরং মজাটা বেশী পাইলাম...পোস্ট আর মন্তব্য মিলাইয়া পুরা ব্যাপারটা জমছে...
আর কয়েন না... যা তা অবস্হা..
... আমি তো কমেন্ট রিভাইঝ দিতাছি মাঝে মাঝেই:)... সব্বারই একটা না একটা কাহানী আচে মুরব্বিদের হাতে ধরা খাওয়া নিয়া এইটা ভাবতেই মজা লাগতাছে 
আবার জিগায়.. আরো বিস্তারিত ধরা খাওয়ারও ঘটনা আছে বহুজনের.. এই ভরা মজলিসে এইসব বলা ভালু না!!!

কয়া ফেল... এইসব চাইপা রাখলে নাকি আলসার হয়- হুমায়ুনের নাটকে শুনছিলাম
দেরীতে পড়াতে মজার পোষ্টের সাথে মজার কমেন্টগুলা বোনাস পাইলাম।
পোষ্ট ত বাফড়ার মতই জোশ।
থ্যংকু থ্যংকু
টিভি নিয়া অমন কাহিনী সবারই কিছু না কিছু আছে...
আগেরবার কমেন্টে বলছিলাম, আসে নাই... তাই আর কইলাম না...
চিন্তাবিদ ছোটমামুর একটা কথা মনে পড়ল, একবার ভাইয়ার ফ্রেন্ডরা অনেকক্ষন যাবত আড্ডা দিতেছে, হুট করে বাথরুম থেকে বাইর হইলেন আগেরদিন বেড়াতে আসা মামা, ঠোটে আধখাওয়া সিগ্রেট, একহাতে চা্যের কাপ-পিরিচ অন্যহাতে লুঙ্গির গিট সাম্লাইতে সাম্লাইতে!! সবতো হা! এতোক্ষন যাবত কোন ট্যা-ফো শুনে নাই যা থেকে টয়লেটে কেউ আছে আন্দাজ করবো, তাও আবার এতোকিছু সমেত!!... তো মামা বাইর হইয়া মোটেই বিব্রত না হইয়া আগেরদিন উনারে জিজ্ঞাসা করা কি এক বিষয় নিয়া উনার বিস্তারিত চিন্তাশীল মতামত জানানি শুরু করলেন!! ...
মামারা একটু পাগল-ছাগল কিসিমের না হইলে মজা নাই
... আর সাথে দিলদরিয়া হইলে তো আর কথাই নাই 
ঐ তুমি আবার ভাইবোনা তুমার মামারে পাগল-ছাগল কইছি
আমরা সবাই ছোটখাট টুফাটুফি খাওয়া খাইছিলাম...
টুফাটুফি জিনিসটা কি?
টুফাটুফি হইলো বাড়ীর উঠানে বাচ্চাদের রিয়েল-লাইফ রান্নাবাটি খেলা যেখানে সত্যি সত্যি ভাত-তরকারি রান্না করা হয় উঠোনে গর্ত করে চুলা বানিয়ে (গাছের শুকনো ডাল-পালা ভেংগে জ্বালানী হিসেবে ব্যাভার করা হয়) ... বড়রা কেউ একজন তদারক করেন ব্যাপারটা, রান্নায়ও হেল্পান
মন্তব্য আর কমেন্ট সবই এত জোস্। এই জিনিস আমি এতদিন কেমনে মিস করলাম!

হে হে বিয়াপুক পুস্ট। বাংলার ঘরে ঘর এক সমস্যা দেখা যায়। মনে আছে টাইটানিক মুভি দেখতে গিয়া একবার এক আন্টির পাল্লায় পড়ছিলাম। আন্টি তো খালি রিমোট টিপে, কিন্তু কাম আর হয় না। এইদিকে আমি ফার্স্টে একবার ছাদের কুনা-কাঞ্চিতে টিকটিকি খুঁজলাম, নাই। এরপর টেবিলের ওপর পেপার খুঁজলাম, নাই। এরপরে জানলা দিয়ে বাইরে আকাশে পাখি খুঁজলাম, নাই। নাই তো নাই, কোনদিকে কিছু নাই। আন্টির বয়স বেশি না হওয়ায় নাক-নুক একটু লাল হইসিলো। তয় মানীর মান আল্লা রাখে। ফাইনালি কারেন্ট গেলো গা।
আন্টি কয়, ইশশ্। এত সুন্দর সিনেমাটা শেষ করতে পারলাম না।
আমি কই, ধুর মড়ার কারেন্ট। একদিনও সিনেমাটা শেষ করতে দেয় না।
(ওইদিন মনে মনে দুইজনই আল্লারে ধন্যবাদ দিছিলাম। তয় দুইজনে পরে একসাথে মুভিটা দেখছি। ওইসব সীনও দেখছি। প্রথমবারে যে লজ্জাটা পাচ্ছিলাম, সেটা পরে কেটে যায় এবং দেখি খুব বেশি কিছু আসলে টাইটানিকে নাই। হুদাই ভয় পাইসিলাম)
আমার বড় মামা কিছুদিন আগে মারা গিয়েছেন| আমাদের জন্য বুকভরা ভালোবাসা ছিল, বদলে শুধু বিতৃশনা পেয়েছেন| বড়মামার জন্য বন্ধুদের কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইল|
মন্তব্য করুন