বিষণ্ণ বাউন্ডুলে'এর ব্লগ
ডিসেম্বরের শহরে..
'আরকেন' এর নতুন সিজন আসছে কয়েক দিন আগে, আগের পর্ব গুলি আবার দেখে নিলাম। এনিমে সম্পর্কে আমার চিন্তা ভাবনা বদলে দেওয়া 'আরকেন', প্রথম সিজনের মত মন্ত্রমুগ্ধ করে দিবে সেই আশাও করি নাই। এখন মনে হইতাছে এই বছরে এর চাইতে দারুন কিছুই দেখা হয় নাই! নিজেকে ভুল প্রমানিত হইতে দেখলেও মাঝে মাঝে বেশ আনন্দ লাগে। এই সিজনেই একটা গান শুনলাম, আশিনিকোর 'পেইন্ট দ্য টাউন ব্লু' ।
শুনতে শুনতে মনে হলো, নীল থেকে নীলে যেতে যেতে মানুষের আসলে কি হয়? অন্ধকার কালোয় হারিয়ে যায় নাকি আবছা হতে হতে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়?
ইভান, উমা আর সৃজিতের জন্য ভালোবাসা..
সেই গ্রীষ্মের সকাল গুলো তেই
পর্দা ঠেলে সরিয়ে
হাওয়া দিলো ভাসিয়ে
হাওয়া দিলো ভাসিয়েতখন আমার এ বিছানা ঘুম
ছাড়েনি চোখের কোন
আর হাওয়াতে লাগালো দোল
হাওয়াতে লাগালো দোলতখন আবার এ মন জাগে
কোন অচেনা সংরাগে
তখন আবার এ মন জাগে
কোন অচেনা সংরাগে
যেন তুলো
সে যে আকাশ পথে দিতে হবে পাড়ি
তুমি আঁচল পেতে রাখো না
আমি আসছি চলে
তুমি চোখ বুজো না, বুজো না
আমি এলাম বলে
এখনো সময় অনেক বাকি.আমার মনের এ গোপন পথে
আজো সে বাউন্ডুলে
চোখ রেখে কাটা ঘুড়িতে
হঠাৎ যায় হারিয়ে
আমার মনের গভীরতা কে
অনুভূতির আঙ্গুলে
স্পর্শ করে দেখনি
স্পর্শ করে দেখনিতখন আবার এ মন জাগে
কোন অচেনা সংরাগে
তখন আবার এ মন জাগে
কোন অচেনা সংরাগে
যেন তুলো
সে যে আকাশ পথে দিতে হবে পাড়ি
তুমি আচল পেতে রাখো না
আমি আসছি চলে
তুমি চোখ বুজো না, বুজো না
আমি এলাম বলে
এখনো সময় অনেক বাকি.
যেহেতু, এ শহরে কেবলই রাত হয়ে যায়..
দেখলাম অনেক ভেবে আকাশ পাতাল,
বলেছো যা; নেই কোন ভুল।
যথাযথ নেইকো কারন বলার মতন,
যাবে না কেন ছেড়ে এই ধুসর শহর?
এ শহর বড্ড বেশি কেমন যেন -
ক্লান্তি মাখায় মনের ঘরে যখন তখন।
বাজে ভীড়, গুমোট ধোঁয়ায় পথ চলা দায় -
গল্প আঁকার তুলোট মেঘের অভাব ভীষন।
সাদা মন মানুষদেরও বড্ড আকাল,
বাঁকা পথে না চললে ফের নিত্য নাকাল।
এ শহর পিছন ফেলে আলোয় দাড়াও,
আঁধারেও; আপন সুখের নেশায় হারাও।
চায়ের কাপে একলা হবার সময় এখন,
চিনি কম বলার ভুলে হাসার মতন।
পারাপারের রাস্তা পাশের যত্ত ছায়া,
ফিকে হয়ে আসবে কেবল অবাক মায়া
দেখো ঠিক বদলে যাবো হঠাত করেই,
কি আসে যায়; ডাক না দেবার কারন পেলে?
ভেজা কাক বৃষ্টি ছুঁয়ে বুকপকেটে জমুক চিঠি
ডাকঘর হারাচ্ছে রোজ রাখবে কে খোঁজ নেই শহরে।
ভালো থেকো নদীর ওপার সবুজ ছুঁয়ে,
এপারে মেঘ ছু্ঁয়ে যাক নরম রোদের সাঁঝ প্রহরে..।।
কথা ছিল, আঙ্গুলের ফাঁকে থাকবে; তুমি..
# # # #
কিছু কথা নয় অজানাই থাক।
কি ই বা যায় আসে?
ভুলে পথ,
যদি;
শঙ্খনীল শব্দগুলো -
বৃষ্টি হয়ে ঝরে
বুকের ভেতর?
হিম হিম হিম কুয়াশায়,
যদি;
মিলে যায় এক সমুদ্র আমার?
সব্বার বুকে জমাট ঘুমের মতন,
অগোছালো স্মৃতির স্বপন ছুঁয়ে;
হারানো ডায়েরির মত নির্বাক?
# # # #
বুঝি, দেখেছিলেম তোমায় কিছু দিন; নীলে।
এলো চুলে ফিরে চাওয়া,
মৃদু হাসি ;
অবাক মায়ায় ভরা সাগর ছোঁয়ায় -
হৃদি মাঝে, নীলাকাশ; গেল মিলে।।
# # # #
মাঝে মাঝে; শুধু ইচ্ছে জাগে মনে।
কেবলই ইচ্ছে জাগে,
মাঝে মাঝে।
কথার কথায় না হাসিয়ে,
কথায় কথায়; কথকতায় -
তোমার বাদলা দিনের মেঘলা চোখে,
চকিত খুশি; লুকিয়ে ফেলার -
কারন হতে, ইচ্ছে জাগে; মনে।।
# # # #
তোমার না থাকার মাঝেই আছি আমি,
আমার পাশে থেকেও
তোমার তুমিতেই হারিয়ে খুঁজেছো যতটা;
এই আমাকেই - অনাদিকাল..
..অযথাই।।
# # # #
খোদার রহম,
এক্স - ওয়ান ফোর থ্রি!
আজ থেকে বহুদিন পর,
কোন অপরিচিত রাস্তায়।
যদি দেখা হয়ে যায়,
আবার?
আমাদের না,
তোমার; আর আমার?
চিনতে পারবে কি?
নাকি বেখেয়ালে
চলে যাবে,
রাস্তার অন্য পার?
হয়তো গাড়ির জানলা বন্ধই থাকবে,
ওপাশে তুমি;
সাথে হয়তো যথাযথ পরিবার।
আমি, নিশ্চয়ই হাটাপথে আনমনা;
অথবা এলোচুলে রিকশায়।
চোখে, চোখ পড়ে গেলে? তখন?
সানগ্লাসের নিচে চোখ দেখা যায় না।
কিংবা, সে চোখে প্রান থাকে না। জানি।
তবুও..
আমার হয়তো সাহসেই কুলোবে না
হাত তুলে ডাকার!
আর তুমি,
রেডিওতে ভলিউম হয়তো বাড়িয়ে নেবে
কয়েক দাগ।
স্মৃতি জিনিসটা আস্ত একটা রাসকেল,
বড় বেশি চেচামেচি করে মাঝে মাঝে।
আবার, কে জানে?
হয়তো তোমাদের মতন সভ্য হয়ে যাবো ততদিনে।
হাসিমুখেই অদলবদল হবে সম্ভাষন,
চোখে হাসি নাই বা থাকুক ; কি আসে যায়।
কথা হবে বেশ, আসলে কিছুক্ষন।
কে কোথায়, কি করা হয় আজকাল?
'ও' কোথায় আছে, এইসব আর কি!
এক যে ছিল ছোট্ট রাজকুমার..
আমি যখন ছোট ছিলাম, অনেক ছোটই বলা যায়। আমি বই পড়তে খুব ভালোবাসতাম, গল্পের বই।
এখনও ভালবাসি, কিন্তু তখনকার মত অতটা না। ওই মনটাই আসলে আর নেই, অথবা কেমন ছিল তা মনে নেই।
যা মনে রাখার কথা সেটাই বরং ভুলে বসে থাকি। এজন্যই হয়তো মাঝে মাঝে নিজেকে বড় বড় মনে হয়!
যাই হোক, আগের কথায় আসি। সেই ছোটবেলায় আমার নিজের তো আর বই কেনার উপায় ছিল না। কেউ উপহার দিলে পড়তাম, সেই সময়ে আমার নানার কাছ থেকেই পেয়েছিলাম সবচেয়ে বেশি বেশি।
মাঝে মাঝেই পেতাম নতুন একেকটা বই, নতুন কোন কাহিনী পড়তে কি যে ভালো লাগতো তা বলে বোঝানোর নয় আসলে। যে জানে, সে জানে। তখনই একবার একটা বই পেয়েছিলাম, আতোয়াঁ দ্যু সাঁ-জ্যুপেরীর লেখা 'ছোট্ট রাজপুত্র'।
অন্যরকম এক রাজপুত্রের গল্প ছিল তা, অনেক কিছু বুঝি নি তখন পড়ার সময় তাই অত বেশি ভালোও লাগে নি। তবে বইটার পাতায় পাতায় আঁকা ছবিগুলোর জন্যই হয়তো তাকে ভুলে যাই নি।
আবোল তাবোল - ১৮
মনে হইতাছে কয়েক হাজার বছর পর কিছু লিখতে বসছি। কিছু লিখার নাই যদিও, লেখালেখি ভুইলা গেছি কতদিন হইছে তাও ভুইলা গেছি। তাও, একটা কিছু লিখতে ইচ্ছে করতাছে তাই রাতদুপুরে গান শুনতে শুনতে হঠাৎ টাইপ করতে বসা। সকালে উইঠা মন চাইলে ডিলিট দিয়া দিলাম, কি আছে!
গত বছরের শেষের দিকে একবার ঠিক করছিলাম নিয়মিত আসমু আবার এখানে, কিসের কি! আজকে আইসা অবশ্য বেশ ভালো লাগতাছে। মীর ভাই এখনও আছে, দেখে একটু সাহস পাই পাই করতাছে। শান্ত ভাই এর লেখা নাই প্রথম পাতায়, ব্যাপারটা হজম করতে কষ্ট হইতাছে। শারমিন আপু নিয়মিত লিখতেছে, চমৎকার।
নিজেরে আজকাল মাঝে মাঝেই রোবট রোবট লাগে, 'অফিসিয়াল' লাইফে না ঢুইকাই! খাই, দাই, ঘুমাই। মুভি দেখি, গান শুনি। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে ঘুড়াঘুড়িটা না থাকলে মনে হয় আমার থাকা না থাকার কোন গুরুত্বই থাকতো না নিজের কাছেই।
ভালোবেসে, ছবিতা..![অ'ড টু মাই বিলাভড]
ছোট্ট চিঠির
আদর পরশ
ঘুম চোখ ভোর
রাত দুপুরে,
মন কেমনের
অবাক হরষ
বুক শিরশির
হৃদয়পুরে।
চোখ পাকানো
মারার ছলে
ঘোর শাসনে
হাসির লহর,
চুপটি বসে
মন হারানো
শালিক গোনার
অলস প্রহর।
ঘাসজমিনে
পা দোলানো
অবাধ
চুলের ঢেউ,
চারুকলার
দুপুররোদে
পুকুরধারে
কেউ।।
রুপকথা ক্ষন
চায়ের কাপে
চুমুর টানে
সাঁঝের ছায়া,
কিংবা বিকেল
খানিক দুরে
পথের ডাকে
আধেক মায়া।
কি আসে যায়
বিষ্টি এলে?
হুট বাতাসে;
পরান মেলে।
খুব অকারন
তোমায় ছুঁলে?
ছোট্ট দুহাত,
আর কিছু নেই।
জগৎ জুড়ে
খেলার ছলেই,
চাই বা কি আর;
তোমায় পেলে?!
তুমি আমার কাছে থাকো.. [বাউন্ডুলের গান!]
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর জোড়া
পিচের পথ
ঘেষা মায়া,
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর ছাড়া
মেঘের দল
পাখির ছায়া।
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর জোড়া
সড়ক বাতি
নেভা জ্বলা,
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর ছাড়া
রেলের পথ
থামা চলা।।
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর জোড়া,
বাঁধা ছক
সুখ খোঁজা
মুখোশ আর
মেকি হাসা।
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর ছাড়া,
ছায়াপথ
মায়া চোখ
অনাবিল
ভালোবাসা।।
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর জোড়া;
রেলিং ছোঁয়া
চায়ের কাপ
অক্লেশে উড়া ধোঁয়া।
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর ছাড়া;
বুড়ো বুকে অভিমান
চোখে হাসি তবু স্থির
এলো চুলে কথকতা।।
*শর্ত প্রযোজ্য.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
তুমি ছুঁয়ে দিলেই,
বৃষ্টি।
নাতিশীতোষ্ণ শিহরনে,
এলোমেলো মনে;
রাস্তা ভুল।
আলো আধারির মিশেলে,
নীল নির্জনে;
অজানা সুখের ঘ্রান।
তুমি ছুঁয়ে দিলেই -
রোদ্দুর মনে মেখে,
শেষ বিকেলের আলোয়;
ছায়াময় পথচলা।
মেঘ মেঘ সন্ধ্যার,
হঠাৎ নীরবতা -
আর নিনির্মেষ চুমুকের;
আধ্-কাপ চা-ই থাকুক সাক্ষি।
অগোছালো এলোচুলই,
ভালো মানায়;
আঙুলের ফাঁকে।
ঘোরলাগা জোছনায়,
দিন আর রাত কি?
ভুল ভালোবাসায়,
তুমি ছুঁয়ে দিলেই;
মিলে যাবে অপার্থিব হাহাকার।
অবাক দ্বীর্ঘশ্বাসে,
আলতো হাসিতে;
বুক ভরে দিবে মহাকাল।
বেখেয়ালে,
শুধু একবার;
তুমি ছুঁয়ে দিলেই..।। *
#অযথাই
ভালোবেসে, অযথা-ই.. [এলোমেলো কাব্যকথন!]
# # #
তোমাকে কিছুই বলার সাধ্য নেই আমার।
ভালোবাসি -
এই এতটুকুন একটা শব্দ,
একবার জেনে গেলে;
কিছুই বলার থাকে না আর..
# # #
সব কথা বলতে নেই,
সব কিছু বুঝতে নেই।
পাছে -
ভুলগুলো ভালোবাসা হয়ে যায়,
ফুল হয়ে অসময়; ফের ঝরে যায়।
যথাযথ অবহেলায়,
অযথা ভালোবেসে; ভালোবাসায়..
# # #
ভালোবাসি,
সোদা গন্ধ রাত।
আর মনের কোণে,
অকারন
ক্ষনে ক্ষন -
অধরা; তোমার হাত..।
# # #
সারারাত,
নিকষ কালো অন্ধকার।
আলতো পরশে;
মৌনমুখর -
এলোমেলো কথকতা,
নিঝুমপুরের গান।
ভরে থাক,
তোমার প্রান।
ভোরের স্নিগ্ধ আলোয়,
অনাদিকাল -
মায়াভরা;
তোমার চোখ।
অধরা গালের টোল,
মৃদু হাসি।
দুর বহুদুর,
তবু-ও;
ভালোবাসাবাসি।
আমার হোক..
# # #
তখন,
আমার চোখে
তোমার ছবি;
এলোমেলো -
যখন,
বৃষ্টি এলো..
# # #
সে আমার নয়,
এ হতে পারে না।
ভাবনা আমার.. [হাবিজাবি!]
# # #
আজকাল মাঝে মাঝেই একটা জিনিস দেখে বেশ অবাক লাগে। ফ্যাশন হবে হয়তো কোন, অনেকেই দেখি এফবি তে 'ধর্ম' দিয়ে রাখে 'হিউম্যানিটি' অথবা 'মানবতা'।
আমি বুঝি না অনেক কিছুই। তবুও এটুকু অন্তত জানি, দুনিয়াতে কোন ধর্মই কাউকে অন্য কারো কোন প্রকার ক্ষতি করার অধিকার দেয় না, বরং বিপদে যে কারো পাশে দাড়াতেই উত্সাহ দেয়।
যারা যারা এফবি-তে 'মানবতা' ধর্মের অনুসারী তাদের কাছে কেবল জানতে ইচ্ছে করে, তারা কি একবারও দ্বিধাহীন চিত্বে বলতে পারবে যে তাদের ধর্ম মানবতা পরিপন্থী? তাদের একবারও কি মনে হয় না, এই কাজটা হয়তো তার নিজের ধর্মকেই ছোট করে দেখাচ্ছে?
হয়তো, ক্রমাধুনিক জীবনধারায় নিজের ধর্মকে ছোট করে দেখানোটাই যুগের দাবি। নিজ ধর্ম কে সম্মান করে যে যার মতন নিজেদের নিয়মকানুন মেনে চলার পাশাপাশি 'মানবতা'র ডাকে সাড়া দিয়ে সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়ে পথ চলাটা হয়তো 'চলে না'।
তুমি বিনে অজানাই হৃদি মোর..
পরিবর্তন জিনিসটা অনেক সময়ই সুফল বয়ে আনে জানি। কিন্তু মাঝে মাঝে অপেক্ষার সময়গুলো একটু বেশিই ধিরস্থির মনে হয়। আবহাওয়া বদলাচ্ছে প্রতিনিয়ত, ফলে ঠাণ্ডা জ্বর লেগেই আছে। শরীর সব কিছু সইতে পারে না সবসময়। তবে চারপাশের বিভিন্ন মুখোসের নিচের মুখের ক্রমাগত বদল খুব একটা অবাক করে না আর আজকাল, সয়ে যায় নি যদিও। আসলে ভাবতেও ক্লান্তি লাগে মাঝে মাঝে।
আর কাছের দুরের যত কাছের মানুষগুলো, তাদের মন ভালো না থাকাটাও আসলে বেশ খারাপ জিনিস। আর নিজের এ ব্যাপারে যখন হাত পা বাধা মনে হয়, অস্থির লাগে খুব। হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে, কিন্তু হেরে যেতে নেই বলে পারি না।
সবকিছু মিলিয়েই মন ভালো যাচ্ছে না। একদিন পরেই খুব প্রিয় সময় জানার পরও, খুব প্রিয় কিছু মানুষ অথবা সময়ের অভাব হয়তো কিছুতেই ঘুচবার নয়।
অমলিন.. [ খুচরো পঙক্তিমালা! ]
# # #
আলো আধারির সুরে গানে,
কান্না হাসির পথচলা -
হঠাৎ হাওয়ার গায়;
কফির ধোঁয়ার ডাক
ছুঁয়ে যাক আর নাই থাক -
আনমনা একটুকু চাহনিতে,
বিষাদলোকের দিন;
অমলিন..
# # #
বাতাসে -
পাতার
আওয়াজে
দিন,
মেঘছোয়া
নীরবতায়;
অমলিন..
# # #
গানবন্দী,
স্বপনছোঁয়া;
বিষাদলোকের দিন -
প্রখর
রৌদ্র কিরনেও
অমলিন..
# # #
আউলা বাতাসে,
এলোমেলো;
যথাযত যথা তথা
কত কথা কথকতা -
নিয়ন ছোঁয়া
অন্ধকারেও,
এদিক সেদিক;
খামখেয়ালি
আলোর পরশ
উদাস করা -
অযথাই,
রাত্রিদিন;
অমলিন..
# # #
আজ মন খারাপ,
খুব মন খারাপের দিন।
রোদ্দুর হোক,
বৃষ্টি ঝরুক -
বিষাদলোকের ছায়া?
অমলিন..
# # #
রোদ্দুরেও,
মেঘলা মন;
বৃষ্টিভেঁজে
সমুদ্দুর -
ভালোবাসা; বহূদুর..
আঁধারেও,
চোখের তারায়;
সুপ্রিয় স্মৃতিছোঁয়া
সূর্যের দিন -
অমলিন..
জোছনা রোদে, বৃষ্টি ভিজে; বিষাদকথন - গানে..
সময় ভালো যাচ্ছে না, অসময়ের ছোঁয়াচে আলোয়। অথবা বলা চলে ভরদুপুরের মিষ্টি হিমেল হাওয়াতেও, এলোমেলো অচেনা ছায়ায়।
বেখেয়ালে প্রাণে বাজে মন কেমনের সুর,
না পাওয়া আর পেয়ে হারানোর কথকতা।
অভিমান লাগে খুব, নেশার মতন।
মনের জানলা জুড়ে সমুদ্দুরের উদাস হাওয়ার বাক্স খুলে বসে অরিজিত্ আর কৌশিকী।
"কিছু কিছু কথা
বসে আছে ভিজে,
মিছি মিছি ব্যাথা
হয় নিজে নিজে।
ঝরে যাওয়া পাতা
জুড়ে বসে ডালে,
মেঘে মেঘে কথা
শোনে সে আড়ালে।
আকাশ যখন গাইবে বলে
বাদলেরই গান,
বাতাস তখন বইতে গিয়েও
দেখায় অভিমান..অভিমান।
আকাশ যখন ফিরতি পথে
মন খারাপের সুর,
বাতাস তখন নিরব চিঠি
পাঠায় বহুদুর..বহুদুর।
কিছু কিছু ধুলো
জমে আছে কাঁচে,
ডাকনাম গুলো
ভীষণই ছোঁয়াচে।
মরে যাওয়া জমি
ভিজে গেলে জলে,
চারাগাছ গুলো
কত কি যে বলে।
তোমার
এমনি আসা এমনি যাওয়া,
এমনি হাজার ছল;
সাজিয়েছো যেনো -
তোমার
এমনি খেলা খেয়াল খুশি,